সর্দার আনিস ও জাহিদুল ইসলাম
সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও ৪৩তম বিসিএসে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বাদ পড়া ২২৭ জনের প্রতীক্ষার প্রহর যেন কোনোমতেই শেষ হচ্ছে না। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এরই মধ্যে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা যোগদান করতে পারলেও নিরপরাধ হয়েও তাদের অনেকে বাদ পড়েছেন। তাদের আবেদন পুনর্বিবেচনার বিষয়টি দীর্ঘদিনেও সুরাহা হয়নি। অজ্ঞাত কারণে ফাইলটি সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে ফাইলবন্দি হয়ে পড়ে আছে। ভুক্তভোগীরা অবিলম্বে বিষয়টি সুরাহার দাবি জানিয়েছেন।
সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের জন্য প্রথম গেজেটে সুপারিশপ্রাপ্ত মতিউর রহমান বলেন, আমি কোনো ধরনের ফৌজদারি কিংবা রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত নই। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কোনো ধরনের অপরাধ কিংবা কোনো ধরনের রাজনীতির ধারেকাছেও ছিলাম না। বাবা-মাও নেই। অপরাধ না করেও অপরাধীর মতো সময় ব্যয় করতে হচ্ছে। গেজেটের জন্য রাস্তায় ঘুরতে হচ্ছে। আমাদের গেজেটের প্রজ্ঞাপনটি দ্রুত দিয়ে আমাদের এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিন।
গোলাম মোস্তফা (লাইভস্টক) বলেন, দীর্ঘদিনের স্বপ্ন হাতে এলো ঠিকই, কিন্তু সবার সঙ্গে নিজেকে খুঁজে পেলাম না। মনে হচ্ছে খাবার হাতে পেয়ে মুখে দেব, ঠিক সেই মুহূর্তে লাথি মেরে আমার খাবার ফেলে দেওয়া হলো। কোনো অপরাধ ছাড়াই এই বঞ্চনা আমার জন্য বয়ে চলা প্রতিনিয়ত দুর্বিষহ থেকে দুর্বিষহ হচ্ছে, জীবন্ত লাশে পরিণত হয়েছি। এই অচলাবস্থা থেকে মুক্তি চাই। এভাবে অনেকেই তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ৪৩তম বিসিএসের চূড়ান্ত তালিকায় সুপারিশপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে গত বছরের ১৫ অক্টোবর প্রকাশিত প্রথম গেজেট থেকে বাদ পড়েন ৫৯ জন। এই গেজেট মোতাবেক যোগদানের তারিখ নির্ধারণ ছিল গত বছরের ১৭ নভেম্বর। কিন্তু এর আগেই ২৮ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নোটিশের মাধ্যমে যোগদানের তারিখ পিছিয়ে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়।
সবাই যখন যোগদানের জন্য অপেক্ষায়, তার ঠিক দুদিন আগে গত ৩০ ডিসেম্বর ১ হাজার ৮৯৬ জনের নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, যেখানে ২২৭ জনের গেজেট বাতিল করা হয়। এ ২২৭ জনের মধ্যে ২০৮ জন প্রথম গেজেটে ছিলেন। আগের গেজেটে বাতিল করা ৫৯ জনের মধ্যে ৪১ জন নতুন গেজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি দ্বিতীয় গেজেটে বাদ পড়া ২২৭ জন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করেন।
গত ৯ জানুয়ারি এনএসআই ও ডিজিএফআই প্রতিনিধির সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বৈঠক এবং মিটিং শেষে সিনিয়র সচিব মিডিয়াকে জানান, ফৌজদারি অপরাধ, রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ ও একাডেমিক জীবনে বহিষ্কারাদেশ—এই তিন অপরাধ না থাকলে দু-তিন কর্মদিবসের মধ্যে নিরপরাধ যারা তাদের সবার গেজেট হবে এবং বেশিরভাগই হবে বলেও আশ্বাস দেন।
এদিকে আবার যাচাই-বাছাই শেষে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে আবার ২২৭ জনের তথ্য পাঠানো হয় এবং মন্ত্রণালয় গেজেট প্রকাশের উদ্দেশ্যে নতুন করে একটি তালিকা প্রস্তুত করে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ১৯ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতকৃত তালিকা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু গত ১৫ দিনেও ফাইলটির কোনো সুরাহা হয়নি।
বাদ পড়া ২২৭ জনের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান জানান, জুলাই-আগস্টে অভ্যুথানে যারা হত্যা, নিপীড়ন, মামলা আছে কি না, তা যাচাই-বাছাই চলছে। যাচাই-বাছাই শেষে দ্রুত সময়ের মধ্য তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও ৪৩তম বিসিএসে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বাদ পড়া ২২৭ জনের প্রতীক্ষার প্রহর যেন কোনোমতেই শেষ হচ্ছে না। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এরই মধ্যে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা যোগদান করতে পারলেও নিরপরাধ হয়েও তাদের অনেকে বাদ পড়েছেন। তাদের আবেদন পুনর্বিবেচনার বিষয়টি দীর্ঘদিনেও সুরাহা হয়নি। অজ্ঞাত কারণে ফাইলটি সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে ফাইলবন্দি হয়ে পড়ে আছে। ভুক্তভোগীরা অবিলম্বে বিষয়টি সুরাহার দাবি জানিয়েছেন।
সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের জন্য প্রথম গেজেটে সুপারিশপ্রাপ্ত মতিউর রহমান বলেন, আমি কোনো ধরনের ফৌজদারি কিংবা রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত নই। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কোনো ধরনের অপরাধ কিংবা কোনো ধরনের রাজনীতির ধারেকাছেও ছিলাম না। বাবা-মাও নেই। অপরাধ না করেও অপরাধীর মতো সময় ব্যয় করতে হচ্ছে। গেজেটের জন্য রাস্তায় ঘুরতে হচ্ছে। আমাদের গেজেটের প্রজ্ঞাপনটি দ্রুত দিয়ে আমাদের এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিন।
গোলাম মোস্তফা (লাইভস্টক) বলেন, দীর্ঘদিনের স্বপ্ন হাতে এলো ঠিকই, কিন্তু সবার সঙ্গে নিজেকে খুঁজে পেলাম না। মনে হচ্ছে খাবার হাতে পেয়ে মুখে দেব, ঠিক সেই মুহূর্তে লাথি মেরে আমার খাবার ফেলে দেওয়া হলো। কোনো অপরাধ ছাড়াই এই বঞ্চনা আমার জন্য বয়ে চলা প্রতিনিয়ত দুর্বিষহ থেকে দুর্বিষহ হচ্ছে, জীবন্ত লাশে পরিণত হয়েছি। এই অচলাবস্থা থেকে মুক্তি চাই। এভাবে অনেকেই তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ৪৩তম বিসিএসের চূড়ান্ত তালিকায় সুপারিশপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে গত বছরের ১৫ অক্টোবর প্রকাশিত প্রথম গেজেট থেকে বাদ পড়েন ৫৯ জন। এই গেজেট মোতাবেক যোগদানের তারিখ নির্ধারণ ছিল গত বছরের ১৭ নভেম্বর। কিন্তু এর আগেই ২৮ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নোটিশের মাধ্যমে যোগদানের তারিখ পিছিয়ে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়।
সবাই যখন যোগদানের জন্য অপেক্ষায়, তার ঠিক দুদিন আগে গত ৩০ ডিসেম্বর ১ হাজার ৮৯৬ জনের নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, যেখানে ২২৭ জনের গেজেট বাতিল করা হয়। এ ২২৭ জনের মধ্যে ২০৮ জন প্রথম গেজেটে ছিলেন। আগের গেজেটে বাতিল করা ৫৯ জনের মধ্যে ৪১ জন নতুন গেজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি দ্বিতীয় গেজেটে বাদ পড়া ২২৭ জন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করেন।
গত ৯ জানুয়ারি এনএসআই ও ডিজিএফআই প্রতিনিধির সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বৈঠক এবং মিটিং শেষে সিনিয়র সচিব মিডিয়াকে জানান, ফৌজদারি অপরাধ, রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ ও একাডেমিক জীবনে বহিষ্কারাদেশ—এই তিন অপরাধ না থাকলে দু-তিন কর্মদিবসের মধ্যে নিরপরাধ যারা তাদের সবার গেজেট হবে এবং বেশিরভাগই হবে বলেও আশ্বাস দেন।
এদিকে আবার যাচাই-বাছাই শেষে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে আবার ২২৭ জনের তথ্য পাঠানো হয় এবং মন্ত্রণালয় গেজেট প্রকাশের উদ্দেশ্যে নতুন করে একটি তালিকা প্রস্তুত করে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ১৯ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতকৃত তালিকা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু গত ১৫ দিনেও ফাইলটির কোনো সুরাহা হয়নি।
বাদ পড়া ২২৭ জনের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান জানান, জুলাই-আগস্টে অভ্যুথানে যারা হত্যা, নিপীড়ন, মামলা আছে কি না, তা যাচাই-বাছাই চলছে। যাচাই-বাছাই শেষে দ্রুত সময়ের মধ্য তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগের সব তথ্য ব্যান্ডউইথ সরবরাহকারী ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সার্ভারে জমা হয়। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এমনকি জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানের সব ডাটা এখন রয়েছে ভারতীয় সার্ভারে।
২১ ঘণ্টা আগেজুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ১৬ প্রকৌশলীকে। পাশাপাশি একই অভিযোগে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের এক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে।
২ দিন আগেএমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষক ও কর্মচারী তাদের পেনশনের টাকার জন্য দীর্ঘদিন ধরে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরছেন।
২ দিন আগেপতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের আমলেই গত দেড় দশকে ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে। ১৯৮২ সালে করা ওষুধ নীতির কয়েক দফা পরিবর্তন হলেও বাড়েনি সরকার নিয়ন্ত্রিত অত্যাবশকীয় ওষুধের তালিকা।
২ দিন আগে