সবুর শাহ্ লোটাস, বগুড়া
বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বগুড়ায় আওয়ামী লীগ সরকারের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য ২০১২ থেকে তিন বছরের বেশি সময় পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক ছিলেন বিরোধীদলের জন্য মূর্তিমান আতঙ্ক। বিরোধীদল দমনের জন্য একাধিক পুরস্কারও পেয়েছেন। গত আগস্টে আন্দোলনের সময় খুলনায় ছাত্রদের ওপর গুলিবর্ষণসহ নির্যাতন চালান তিনি। ওই কারণে অন্তর্বর্তী সরকার তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়।
বগুড়ায় ২০১৩ সালের ৩ মার্চ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে চাঁদে দেখার ঘটনায় বগুড়ায় কমপক্ষে ১২ জনকে গুলি করে যে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়, তার নায়ক এই মোজাম্মেল। শাজাহানপুর, নন্দীগ্রাম, সদরসহ বেশ কয়েকটি থানায় তখন বিরোধীদল দমনে মামলা শুরু হয়। এ ছাড়া বগুড়া বিএনপির ঘাঁটি হওয়ায় নেতাকর্মীদের ৬ শতাধিক মামলা দিয়ে দুই হাতে টাকা লুটেছেন। এ সময় তার আস্থাভাজন প্রতিটি থানায় ছিল নিজস্ব বাহিনী। তিনি দাপটের সঙ্গে বলতেন, আমি বিবাহিত থেকেও পুলিশে চাকরি নিয়েছি এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতা ছিলাম।
বগুড়ায় ম্যাসাকার
২০১২ সালের পুলিশ সপ্তাহে তিনি রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) লাভ করেন। বিশেষ মিশনে ঢাকা থেকে বগুড়া জেলায় পুলিশ সুপার হিসেবে তাকে পাঠায় তৎকালীন ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার। পুলিশ প্রশাসক হিসেবে থাকার সময় বগুড়ার ১২টি থানায় কমপক্ষে ৬০০ মামলায় ১৫ হাজার বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছিল। আল্লামা সাঈদীকে চাঁদে দেখার গুজব না বুঝে শেয়ার করায় কমপক্ষে ১২ জনকে গুলি করেন মোজাম্মেল। ওই সময় একদিনেই ১২ জন নিহতে ঘাতক ছিলেন তিনি।
২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নে (র্যাব) যোগদান করেন। গত ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হন। কমিশনার হিসেবে যোগদানের পর পরই বগুড়া এবং নওগাঁয় আওয়ামী লীগের হয়ে খুলনায় ছাত্র আন্দোলনের ১৬ জুলাই ছাত্রদের ওপর গুলিবর্ষণসহ নির্যাতন চালান। বর্তমানে তিনি বাধ্যতামূলক অবসরে রয়েছে।
ভূমিদস্যুতা, চোরাচালান, সিন্ডিকেট এবং রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগকে ব্যাপক সুবিধা দিয়ে নিজস্ব বলয় গড়ে তুলেছিলেন। এখনো বগুড়ায় পুলিশে কর্মরত দুজন ছিলেন তার নানা অপকর্মের সাক্ষী। এই সময় তারা এই এসপির নির্দেশে দুই হাতে কামাই করেছেন। ওসিসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে পুলিশের তদন্ত হলেও সেগুলো আলোর মুখ দেখেনি।
তার সহযোগীরা এখনো বহাল
টেন্ডারবাজি, ভূমিদখল, পরিবহন সেক্টর নিয়ন্ত্রণ এবং ভূমিদস্যুদের তিনি একহাতে চালিয়েছেন। তার তিন বছর সময়ে পুলিশে দুটি বড় নিয়োগ হয়। ওই নিয়োগে তিনি ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা করে নিয়ে কনস্টেবল পদে দুই হাতে টাকা কামিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নিজস্ব লোক বলে পরিচিত বর্তমানে পুলিশের সিআইডিতে আছেন ওসি পদমর্যাদার একজন এবং একজন গোয়েন্দা সংস্থায়। তারা এখন বগুড়ায় চাকরিরত।
এদিকে সাঈদীকে চাঁদে দেখার ঘটনায় বগুড়ায় পুলিশের গুলিতে ১২জন নিহত হয়। এ সময় নন্দীগ্রাম, শাজাহানপুর ও বগুড়া সদর থানা আক্রান্ত হয়। এই ৩রা মার্চের ঘটনায় ১০৪টি মামলা দায়ের হয়। পরে পেট্রলবোমা হামলা, গাড়ি পোড়ানো, মানুষ হত্যাসহ নাশকতার আরও ১৪২টি মামলা দায়ের হয়। এই ২৪৬ মামলায় সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা। প্রতিটি মামলায় পাঁচশ থেকে ১ হাজার অজ্ঞাত আসামি দেওয়া হয়েছিল। এদের কাছ থেকে বাড়ি বাড়ি ঘুরে পুলিশের একটি টিম এসপি মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে ভয়ভীতি দেখিয়ে কিংবা মামলা থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলে টাকা আদায় করত।
শহর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট হামিদুর রহমান চৌধুরী বলেছেন যে, মূলত ওই সময়কার পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে বিরোধীদলীয় বিশেষ করে বিএনপির দুর্গ বলে খ্যাত বগুড়ায় ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়েছিল। বগুড়া নবাববাড়ীস্থ বিএনপি ও জেলা জামায়াতের কার্যালয়ে গিয়ে অগণিত মানুষ অভিযোগ করেন যে, গরু-ছাগল বিক্রয় করে এমনকি জমিজমা বিক্রয় করেও পুলিশকে আমাদের টাকা দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
বিচার চান ভুক্তভোগীরা
পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক বগুড়ায় থাকাকালে তার সঙ্গে চাকরি করা একাধিক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, পাবনার চাটমোহরে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন এবং বাবার বাড়ির লোকজনের নামে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ফ্ল্যাট ও জায়গা রয়েছে। বগুড়াতেও তার বেনামে ব্যবসায় টাকা লগ্নি রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করলেও বগুড়ায় আসলেই তিনি তার ওই সময়কার সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। এখনো তিনি বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়ার পরেও তার ফেসবুক এবং লাইভ প্রোগ্রাম আপলোড যেগুলো ছিল সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছেন। তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার হোয়াটসঅ্যাপসহ সব ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। একটি সূত্রে জানা গেছে, তিনি ঢাকাতেই অবস্থান করছেন এবং নাম্বার বদলিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলেছেন।
বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বগুড়ায় আওয়ামী লীগ সরকারের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য ২০১২ থেকে তিন বছরের বেশি সময় পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক ছিলেন বিরোধীদলের জন্য মূর্তিমান আতঙ্ক। বিরোধীদল দমনের জন্য একাধিক পুরস্কারও পেয়েছেন। গত আগস্টে আন্দোলনের সময় খুলনায় ছাত্রদের ওপর গুলিবর্ষণসহ নির্যাতন চালান তিনি। ওই কারণে অন্তর্বর্তী সরকার তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়।
বগুড়ায় ২০১৩ সালের ৩ মার্চ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে চাঁদে দেখার ঘটনায় বগুড়ায় কমপক্ষে ১২ জনকে গুলি করে যে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়, তার নায়ক এই মোজাম্মেল। শাজাহানপুর, নন্দীগ্রাম, সদরসহ বেশ কয়েকটি থানায় তখন বিরোধীদল দমনে মামলা শুরু হয়। এ ছাড়া বগুড়া বিএনপির ঘাঁটি হওয়ায় নেতাকর্মীদের ৬ শতাধিক মামলা দিয়ে দুই হাতে টাকা লুটেছেন। এ সময় তার আস্থাভাজন প্রতিটি থানায় ছিল নিজস্ব বাহিনী। তিনি দাপটের সঙ্গে বলতেন, আমি বিবাহিত থেকেও পুলিশে চাকরি নিয়েছি এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতা ছিলাম।
বগুড়ায় ম্যাসাকার
২০১২ সালের পুলিশ সপ্তাহে তিনি রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) লাভ করেন। বিশেষ মিশনে ঢাকা থেকে বগুড়া জেলায় পুলিশ সুপার হিসেবে তাকে পাঠায় তৎকালীন ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার। পুলিশ প্রশাসক হিসেবে থাকার সময় বগুড়ার ১২টি থানায় কমপক্ষে ৬০০ মামলায় ১৫ হাজার বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছিল। আল্লামা সাঈদীকে চাঁদে দেখার গুজব না বুঝে শেয়ার করায় কমপক্ষে ১২ জনকে গুলি করেন মোজাম্মেল। ওই সময় একদিনেই ১২ জন নিহতে ঘাতক ছিলেন তিনি।
২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নে (র্যাব) যোগদান করেন। গত ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হন। কমিশনার হিসেবে যোগদানের পর পরই বগুড়া এবং নওগাঁয় আওয়ামী লীগের হয়ে খুলনায় ছাত্র আন্দোলনের ১৬ জুলাই ছাত্রদের ওপর গুলিবর্ষণসহ নির্যাতন চালান। বর্তমানে তিনি বাধ্যতামূলক অবসরে রয়েছে।
ভূমিদস্যুতা, চোরাচালান, সিন্ডিকেট এবং রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগকে ব্যাপক সুবিধা দিয়ে নিজস্ব বলয় গড়ে তুলেছিলেন। এখনো বগুড়ায় পুলিশে কর্মরত দুজন ছিলেন তার নানা অপকর্মের সাক্ষী। এই সময় তারা এই এসপির নির্দেশে দুই হাতে কামাই করেছেন। ওসিসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে পুলিশের তদন্ত হলেও সেগুলো আলোর মুখ দেখেনি।
তার সহযোগীরা এখনো বহাল
টেন্ডারবাজি, ভূমিদখল, পরিবহন সেক্টর নিয়ন্ত্রণ এবং ভূমিদস্যুদের তিনি একহাতে চালিয়েছেন। তার তিন বছর সময়ে পুলিশে দুটি বড় নিয়োগ হয়। ওই নিয়োগে তিনি ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা করে নিয়ে কনস্টেবল পদে দুই হাতে টাকা কামিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নিজস্ব লোক বলে পরিচিত বর্তমানে পুলিশের সিআইডিতে আছেন ওসি পদমর্যাদার একজন এবং একজন গোয়েন্দা সংস্থায়। তারা এখন বগুড়ায় চাকরিরত।
এদিকে সাঈদীকে চাঁদে দেখার ঘটনায় বগুড়ায় পুলিশের গুলিতে ১২জন নিহত হয়। এ সময় নন্দীগ্রাম, শাজাহানপুর ও বগুড়া সদর থানা আক্রান্ত হয়। এই ৩রা মার্চের ঘটনায় ১০৪টি মামলা দায়ের হয়। পরে পেট্রলবোমা হামলা, গাড়ি পোড়ানো, মানুষ হত্যাসহ নাশকতার আরও ১৪২টি মামলা দায়ের হয়। এই ২৪৬ মামলায় সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা। প্রতিটি মামলায় পাঁচশ থেকে ১ হাজার অজ্ঞাত আসামি দেওয়া হয়েছিল। এদের কাছ থেকে বাড়ি বাড়ি ঘুরে পুলিশের একটি টিম এসপি মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে ভয়ভীতি দেখিয়ে কিংবা মামলা থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলে টাকা আদায় করত।
শহর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট হামিদুর রহমান চৌধুরী বলেছেন যে, মূলত ওই সময়কার পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে বিরোধীদলীয় বিশেষ করে বিএনপির দুর্গ বলে খ্যাত বগুড়ায় ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়েছিল। বগুড়া নবাববাড়ীস্থ বিএনপি ও জেলা জামায়াতের কার্যালয়ে গিয়ে অগণিত মানুষ অভিযোগ করেন যে, গরু-ছাগল বিক্রয় করে এমনকি জমিজমা বিক্রয় করেও পুলিশকে আমাদের টাকা দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
বিচার চান ভুক্তভোগীরা
পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক বগুড়ায় থাকাকালে তার সঙ্গে চাকরি করা একাধিক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, পাবনার চাটমোহরে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন এবং বাবার বাড়ির লোকজনের নামে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ফ্ল্যাট ও জায়গা রয়েছে। বগুড়াতেও তার বেনামে ব্যবসায় টাকা লগ্নি রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করলেও বগুড়ায় আসলেই তিনি তার ওই সময়কার সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। এখনো তিনি বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়ার পরেও তার ফেসবুক এবং লাইভ প্রোগ্রাম আপলোড যেগুলো ছিল সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছেন। তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার হোয়াটসঅ্যাপসহ সব ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। একটি সূত্রে জানা গেছে, তিনি ঢাকাতেই অবস্থান করছেন এবং নাম্বার বদলিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলেছেন।
ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগের সব তথ্য ব্যান্ডউইথ সরবরাহকারী ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সার্ভারে জমা হয়। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এমনকি জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানের সব ডাটা এখন রয়েছে ভারতীয় সার্ভারে।
২১ ঘণ্টা আগেজুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ১৬ প্রকৌশলীকে। পাশাপাশি একই অভিযোগে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের এক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে।
২ দিন আগেএমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষক ও কর্মচারী তাদের পেনশনের টাকার জন্য দীর্ঘদিন ধরে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরছেন।
২ দিন আগেপতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের আমলেই গত দেড় দশকে ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে। ১৯৮২ সালে করা ওষুধ নীতির কয়েক দফা পরিবর্তন হলেও বাড়েনি সরকার নিয়ন্ত্রিত অত্যাবশকীয় ওষুধের তালিকা।
২ দিন আগে