Ad T1

ফেনীর স্থল ও নদী সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার

জেলা প্রতিনিধি, ফেনী
প্রকাশ : ০৯ মে ২০২৫, ১৯: ৪০

ভারত ও পাকিস্তান সংঘাতকে ঘিরে ফেনীর ১০৩ কিলোমিটার স্থল ও নদী সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছিল। তবে বিজিবির টহল জোরদারের পাশাপাশি গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সীমান্তবাসীর মাঝে।

বিজিবির দেওয়া তথ্যমতে, ফেনীর ৯৫ কিলোমিটার স্থল সীমান্ত ও বাকি আট কিলোমিটার নদী সীমান্ত পথ রয়েছে। এই স্থল ও নদীপথে সীমান্ত রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে রয়েছে ফেনীস্থ-৪ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। এ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন সীমান্তপথে নীরব নজরদারির পাশাপাশি বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। একইসঙ্গে আনসার ভিডিপি ও এলাকাবাসীও সজাগ রয়েছেন।

জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা ফুলগাজী, পরশুরাম ও ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের বাসিন্দারা জানান, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ থাকলেও এই সীমান্ত এখনো স্বাভাবিক। তবে, ভারত অংশে বিএসএফ আগে লাল হ্যালোজিন লাইট ব্যবহার করলেও এখন তাদের উজ্জ্বল এলইডি লাইট ও ক্যামেরা এবং সেন্সর প্রতিস্থাপন করছে বলে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে । তারা বলেন, যদি বিএসএফ কোনোরকম তৎপরতা দেখায়, তাহলে স্থানীয় জনতা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিজিবিকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানা যায়, বিজিবি, পুলিশ ও জেলার সীমান্তবর্তী এ তিনটি উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয় অব্যাহত রেখে আনসার সদস্য এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা রাতে এখানকার সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে।

ফেনীস্থ-৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন জানান, বর্তমান প্রেক্ষাপটে নানা প্রকার ঘটনাকে ঘিরে সীমান্ত সুরক্ষা ও আধিপত্য বিস্তার জোরদার করা হয়েছে। সীমান্তের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সর্বদা সজাগ সতর্ক থেকে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে। সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে হুঁশিয়ারি জারি করা হয়েছে। এ ছাড়াও, অধিকতর টহল তৎপরতার জন্য সীমান্তে জনবল বৃদ্ধির পাশাপাশি সীমান্ত পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য গোয়েন্দা তৎপরতাও বাড়ানো হয়েছে।

জেলা কোর কমিটির সভাপতি ও ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, বিজিবি যখনই চাইবে, দেশের প্রয়োজনে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত