Ad T1

চোরাচালানের ট্রানজিট মেঘনা, হাত বাড়ালেই মেলে মাদক

উপজেলা প্রতিনিধি, মেঘনা (কুমিল্লা)
প্রকাশ : ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২: ১৪
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলাকে মাদকসহ চোরাচালানিদের ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। উপজেলার প্রতিটি গ্রামেই হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে বাহারি নামের মাদক। প্রতিটি এলাকায় মাদক প্রকাশ্যেই বেচাকেনা করতে দেখা যায়। এখন আর কাউকে ভয় পায় না। যারা বাধা হয়ে দাঁড়াবো, তাদের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমেই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে কারবারিরা।
মেঘনা-কাঁঠালিয়া নদীবেষ্টিত হওয়ায় সড়কপথের পাশাপাশি নৌপথও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ-ভারতীয় চোরাচালান চক্র আখাউড়া, ব্রাহ্মণপাড়াসহ কুমিল্লার সীমান্ত এলাকা দিয়ে পাচার হওয়া মাদকসহ বিভিন্ন পণ্যের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার হয় এই উপজেলার সড়ক এবং নৌপথ।
মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর বাজার দিয়ে নদীপথে সরাসরি কোনো ঝামেলা ছাড়াই মেঘনায় চলে আসে এসব পণ্য। এই চক্রটি অতি ক্ষমতাবান। চক্রের অনেক সদস্য সমাজের কর্ণধার সেজে আছেন অর্থের জোরে। যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তাদের সঙ্গে সখ্য তৈরি হয় অর্থের জোরে। উপজেলার প্রতিটি বাজার, নদীর তীর ঘেঁষা গ্রামগুলোকেই বেছে নিয়েছে চক্রটি। এতে রাজধানীসহ দেশজুড়ে তাদের পাচার করতে সহজ হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনকে ফাঁকি দেয়া যায়।
উপজেলার শিক্ষার্থীরা মাদকাসক্ত হয়ে যাচ্ছে। অনেকে মাদকের টাকা জোগাড় করতে চুরি, ছিনতাইসহ খারাপ কাজে লিপ্ত হচ্ছে। এতে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে অভিভাবক মহল। চোরাচালান চক্রের সদস্যরা কিশোর গ্যাংকে টাকা দিয়ে ব্যবহার করছে তাদের মাদক কারবার ও চোরাচালানে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, আমার সন্তান এখন আর আমার কথা শোনে না। যারা প্রশ্রয় দিয়ে তাকে বিপথগামী করছে তারা অনেক ক্ষমতাধর, ভয়ে মুখ খুলতে পারছি না। যারা মাদকের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে তারাই এখানে এই কারবারে জড়িত।
এ বিষয়ে মেঘনা থানার ওসি আব্দুল জলিল দৈনিক আমার দেশকে বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা প্রতিটি এলাকায় মাদক সেবন ও নির্মূলের জন্য গণসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করবো।
Ad
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত