Ad T1

রাজৈরে পুলিশের গাড়িতে হামলা-ভাঙচুর, এসআইসহ আহত ২

উপজেলা প্রতিনিধি, রাজৈর (মাদারীপুর)
প্রকাশ : ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৯: ২০
আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২: ২৯
মাদারীপুরের রাজৈর থানা পুলিশের দুটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। রোববার (১৩ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে রাজৈর উপজেলার রাজৈর বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় রাজৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা ও ড্রাইভার শাহাবুদ্দিন গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় এক সাংবাদিকের মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শত্রুতার জেরে দুদিন যাবৎ বদরপাশা ও পশ্চিম রাজৈর গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ চলে আসছে। এ সংঘর্ষ থামানোর জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ।
Rajoir-1
রোববার রাতে চতুর্থ ধাপের সংঘর্ষ শেষে রাজৈর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মিটিং করছিল মজুমদারকান্দি গ্রামের লোকজন। খবর পেয়ে রাজৈর থানার পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে পুলিশের দুটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধরা।
এ সময় রাজৈর থানার এসআই মোস্তফা ও পুলিশের গাড়ির ড্রাইভার শাহাবুদ্দিন গুরুতর আহত হন। পরে তাদের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাজৈর থানার ওসি মোহাম্মদ মাসুদ খান জানান, আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এসময় এসআই মোস্তফা ও ড্রাইভার শাহাবুদ্দিনের মাথায় আঘাত করে হামলাকারীরা। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Rajoir-2
প্রসঙ্গত, ঈদের পর ২ এপ্রিল রাজৈর উপজেলার পশ্চিম রাজৈর গ্রামের ফুচকা ব্রিজ এলাকায় বাজি ফোটায় বদরপাশা গ্রামের আতিয়ার আকনের ছেলে জুনায়েদ আকন ও তার বন্ধুরা। এসময় ওই গ্রামের মোয়াজ্জেম খানের ছেলে জোবায়ের খান ও তার বন্ধুরা বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে ৩ এপ্রিল সকালে রাজৈর ব্যাপারীপাড়া মোড়ে জোবায়েরকে একা পেয়ে পিটিয়ে তার ডান পা জখম করে দেয় জুনায়েদ ও তার লোকজন।
পরে আহত জোবায়েরের বড় ভাই অনিক খান (৩১) বাদী হয়ে জুনায়েতকে প্রধানসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে রাজৈর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফুসে ওঠে উভয় গ্রামের লোকজন। একপর্যায়ে ১২ এপ্রিল রাতে পশ্চিম রাজৈর ও বদরপাশা গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরে খবর পেয়ে রাজৈর থানার পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ওই সংঘর্ষে দুই ওসি ও ১০ পুলিশ কর্মকর্তা-সদস্যসহ ২৫ জন আহত হন।
Ad
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত