Ad T1

কোটালীপড়ায় চলছে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান

উপজেলা প্রতিনিধি, কোটালীপাড়া (গোপালঞ্জ)
প্রকাশ : ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১৬: ০৫
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের লোকনাথ পঞ্জিকা অনুযায়ী গোপালগঞ্জের কোটালীপড়ায় চলছে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। এ উপলক্ষে উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নের বুরুয়া গ্রামে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার ব্যতিক্রমী আয়োজন করা হয়েছে।
শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সামাজিকতায় সমৃদ্ধ বুরুয়া গ্রামটিতে বসবাস করছে প্রায় ৬ শত পরিবার। প্রতি পরিবার থেকে ১ কেজি চাল ও ১০ টাকা করে তুলে পান্তা-ইলিশের আয়োজন করে গ্রামবাসী।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে বর্ণাঢ্য এক শোভাযাত্রা বুরুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু হয়ে কালিগঞ্জ বাজার ঘুরে পুনরায় বিদ্যালয় চত্বরে এসে পান্তা ইলিশ খাওয়ার অনুষ্ঠানে মিলিত হয়।
বুরুয়া গ্রামে অনুষ্ঠিত চৈত্র সংক্রান্তি ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন কমিটির সভাপতি শংকর দত্ত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শোভাযাত্রাটির উদ্বোধন করেন। শোভাযাত্রায় আয়োজন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মঙ্গল চন্দ্র ফলিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক তাপস বাড়ৈসহ গ্রামটির সকল বয়সের সহস্রাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেয়। ঢোল, বাঁশিসহ নানা বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে নেচে গেয়ে শোভাযাত্রার আনন্দ-উৎসব সকলকে মুগ্ধ করে তোলে।
শোভাযাত্রা শেষে বুরুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শুরু হয় পান্তা-ইলিশ খাওয়া পর্ব। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গ্রামের শিশু থেকে বৃদ্ধ সকল বয়সের প্রায় দুই হাজার ব্যক্তি পান্তা-ইলিশ খাওয়ায় অংশ নেয়।
কবি ও শিক্ষক মিন্টু রায় বলেন, সরকারিভাবে প্রতিবছর ১৪ এপ্রিল দেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হলেও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বাংলা বর্ষপঞ্জি হিসেবে চৈত্র সংক্রান্তি ও বর্ষবরণের আয়োজন করে। গতবছর ১৪ এপ্রিলের সাথে বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী পহেলা বৈশাখ একই তারিখে অনুষ্ঠিত হলেও এ বছর বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী ১৫ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেই অনুযায়ী সনাতন ধর্মালম্বীরা গতকাল চৈত্র সংক্রান্তি ও আজ পহেলা বৈশাখ।
বুরুয়া গ্রামের কলেজ ছাত্রী রিপা বাড়ৈ বলেন, সকালে আমরা বর্ষবরণের শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে এখানে এসে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পান্তা ইলিশ খেলাম। অনেকদিন পরে আমরা গ্রামবাসী একসাথে বর্ষবরণ উপলক্ষে একসঙ্গে মিলিত হলাম। এতে আমাদের সামাজিক ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত হয়েছে বলে আমি মনে করছি। আমরা চাই প্রতিবছর গ্রামবাসী এভাবে একত্রিত হয়ে চৈত্র সংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষ পালন করুক।
আয়োজন কমিটির সভাপতি শংকর দত্ত বলেন, আমরা এই পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এখানে দুই হাজার লোকের পান্তা ইলিশ খাওয়ার আয়োজন করেছিলাম। তবে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে। সবাই আনন্দ-উৎসাহের মধ্যে দিয়ে এই পান্তা ইলিশ খেয়েছে। আমরা এই আয়োজন ধরে রাখার চেষ্টা করবো।
Ad
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত