Ad T1

কোটালীপাড়ায় দিনে দুপুরে ডাকাতি ও হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

উপজেলা প্রতিনিধি, কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ)
প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২৫, ১৭: ১৮
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আলোচিত ডাকাতি ও হত্যার ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কোটালীপাড়া থানা ও গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনার সাথে জড়িত ২ জনকে বৃহস্পতিবার ও ১ জনকে শনিবার গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে লুট হওয়া ২৪ হাজার ১০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার চৌরখালী গ্রামের আতা শেখের ছেলে সামিউল শেখ, পার্শ্ববর্তী বংকুড়া গ্রামের সোহরাব খানের ছেলে মোরশেদ আলম ওরফে কামাল ও একই গ্রামের শওকত আলী ভূইয়া।
এর আগে গত ১১ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের লাখিরপাড় গ্রামের দন্তচিকিৎসক পল মজুমদারের বাড়িতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় পল মজুমদারদের ছেলে পিয়াস মজুমদারকে হাত পা বেধে হত্যা করে রেখে যায় ডাকাত দল। এ ঘটনায় ওইদিনই পল মজুমদার বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় একটি হত্যা ও ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।
আলোচিত এই খুন, ডাকাতি ও আসামি গ্রেপ্তারের বিষয় নিয়ে শনিবার বিকেল ৩ টায় গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপার
মো. মিজানুর রহমান বলেন প্রেস কনফারেন্সে সাংবাদিকদের বলেন, বাদী পল মজুমদার একটি জমি রেজিস্ট্রি করার জন্য কয়েকদিন আগে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে ঘরে রেখেছিলেন। এই খবর গ্রেপ্তারকৃতরা কোন একভাবে জেনে যায়। ঘটনার দিন পল মজুমদার ও তার স্ত্রী তাদের কর্মস্থলে গেলে দুপুরের দিকে আসামীরা পাঁচজনে মিলে প্রথমে বাড়িতে প্রবেশ করে। ঘরে ঢুকে লুট করার সময় পল মজুমদারের ছেলে দেখে ফেলায় তাকে প্রথম হাত পা বেঁধে ফেলে। পরে লোক জানাজানি হয়ে যাবে এই ভয়ে তাকে হত্যা করা হয়। পরে ঘর থেকে ১ লক্ষ ৯ হাজার টাকা লুট করা হয়।
এই ঘটনার পর পুলিশের একটি টিম ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য অভিযানে নামে। ঘটনার পরদিন অর্থাৎ ১২ মার্চ সন্ধ্যায় উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের খান মার্কেট এলাকা থেকে মোর্শেদ আলম ওরফে কামাল কে আটক করে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে ঘটনার স্বীকারোক্তি দেয়। তারই দেওয়া তথ্যমতে অপর আসামি সামিউল শেখ কে বাগেরহাটের কচুয়া থানার কামারগাতী এলাকা থেকে ও আরেক আসামি শওকত আলী ভুঁইয়া কে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় আসামিদের কাছ থেকে নগদ ২৪ হাজার ১০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারের আসামিরা জানিয়েছেন তারা কেউ মাদকাসক্ত আবার কেউ ঋণগ্রস্ত। মাদক ও ঋণের টাকা জোগাড় করতেই তারা এই ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে। এর আগে আরো ২ বার এই বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। ডাকাতিকালে ঘর থেকে নগদ ১ লক্ষ ৯ হাজার টাকা ছাড়াও একটি রুপার চেইন তারা লুট করেছে। ঘটনার সময় আসামীরা ৫ জন ছিলেন বলে স্বীকার করেছে গ্রেফতারকৃতরা। আমরা এখন পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছি। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

বিষয়:

Ad
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত