ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল হওয়ায় যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ৪টি পণ্যবোঝাই বাংলাদেশি ট্রাক ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ফেরত পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলো রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ডিএসভি এয়ার অ্যান্ড সি লি. বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ঢাকায় নিয়ে গেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সিএন্ডএফ এজেন্ট সূত্র জানায়, বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ফেরত যাওয়া পণ্যের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ডিএসভি এয়ার অ্যান্ড সি লি.। যার চারটি ট্রাকের নাম্বার- যশোর ট ১১-১৮০২, ঢাকা মেট্রো ট ১১-৯২২১, ঢাকা মেট্রো ট ২০-৪৪৬০ ও ঢাকা মেট্রো ট ২০-১৩১২ ট্রাক।

এর আগে গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) জারি করা সার্কুলার নং ১৩/২০২৫-কাস্টমসের মাধ্যমে কার্যকর হওয়ায় বুধবার থেকে ভুটান, নেপাল এবং মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্রুত ও স্বল্প খরচে বাণিজ্য করার পথ বন্ধ হয়ে যায়।

ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়াডিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, স্থলবন্দর দিয়ে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের জন্য ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় একটি চিঠি ইস্যু করেছে কাস্টমসে। এই চিঠির আলোকে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার পণ্য বেনাপোল থেকে পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ বন্ধ হয়ে যায়।

বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন জানান, ভারত সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্তে দুই দেশের বাণিজ্য ও বন্ধুত্ব সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হবে। ভারত সরকার তাদের এই সিদ্ধান্ত পরিহার করে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ধরে রাখবেন বলে আমরা আশাবাদ ব্যাক্ত করছি।

বেনাপোল বন্দরের উপ পরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির জানান, ভারত সরকার ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় পেট্রাপোল কাস্টমস থার্ডকান্ট্রির পণ্যে কার্পাস ইস্যু করছে না। এতে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার আওতায় পণ্যবোঝাই ট্রাক ভারতে ঢুকতে পারছে না। তবে ভারতের অভ্যন্তরে রপ্তানির উদ্দেশ্যে আসা অন্যান্য পণ্যের রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি।