Ad T1

ভারতের গণমাধ্যমগুলোর মিনিমাম স্ট্যান্ডার্ডও নেই: শফিকুল আলম

যশোর অফিস
প্রকাশ : ১০ মে ২০২৫, ১৭: ৫৯
আপডেট : ১০ মে ২০২৫, ২০: ২৪

ভারতের গণমাধ্যমগুলোর ‘মিনিমাম স্ট্যান্ডার্ডও নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ওরা কে কত জোরে কথা বলতে পারে, যেন তার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। ওরা মানুষকে তথ্য জানায় না। নাটক তৈরি করে। তুলনায় বাংলাদেশের মিডিয়া অনেক রেসপন্সেবল (দায়িত্বশীল)।

শনিবার বিকেলে যশোরের কেশবপুরে পাথরা পল্লী উন্নয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠান শুরুর আগে শফিকুল আলম উপস্থিত সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। পরে তিনি আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেন।

সম্প্রতি বাংলাদেশের ছয়টি টেলিভিশনের ইউটিউব চ্যানেল ভারতে ব্লক করা হয়েছে এবং এই বিষয়ে বাংলাদেশ কেনো পাল্টা ব্যবস্থা নেবে কি না জানতে চাইলে তিনি ‘না-সূচক’ জবাব দেন। তিনি বলেন, নিষিদ্ধ করে কারও গুরুত্ব বাড়াতে চাই না।

শফিকুল আলম আরও বলেন, ভারতীয় গণমাধ্যম ছিল মূলত বাংলাদেশের পতিত স্বৈরাচারের সমর্থক। স্বৈরশাসকের পতনে তাদের মাথায় বাজ পড়েছে। সে কারণে তারা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভয়াবহ প্রপাগান্ডা ছড়ায়।

দুই দেশের (বাংলাদেশ-ভারত) মিডিয়ার তুলনা করতে বললে শফিকুলের জবাব, স্বৈরাচারের আমলে আমাদের মিডিয়াও জঙ্গিনাটক সাজাতে ভূমিকা রেখেছে। অনেক মিডিয়া ছিল স্বৈরাচারের টুল। সেই সময়ের অবসান হয়েছে। এখন আমাদের দেশের মিডিয়া ভারতের তুলনায় মাচ বেটার (অনেক ভালো)।

‘অনেক সাংবাদিকের নামে প্রমাণ ছাড়াই মামলা করা হয়েছে এবং তারা জামিন পাচ্ছেন না’- সম্প্রতি সম্পাদকদের একটি অনুষ্ঠানে এমন বক্তব্য উপস্থাপন সংক্রান্ত এক প্রশ্নে শফিকুল আলম বলেন, মামলা কি আমরা করেছি? ভুয়া মামলা যদি হয়ে থাকে তো সেগুলো করেছেন রাজনীতিকরা। অন্যায় না করলে কোনো সাংবাদিককে হ্যারাস (হয়রানি) করা হবে না- সরকারের পক্ষ থেকে এটা আমি নিশ্চিত করছি।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফ্রিডম অব স্পিচ (মতপ্রকাশের স্বাধীনতা) নিশ্চিত করেছে। এখন মিডিয়াগুলোকে ইনস্টিটিউশন হয়ে উঠতে হবে।

সাবেক রাষ্ট্রপতির আবদুল হামিদের দেশত্যাগ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল বলেন, এই ব্যাপারে গতকাল শুক্রবার সরকার একটি স্টেটমেন্ট দিয়েছে। ওটাই সরকারের অবস্থান। তবে আবদুল হামিদকে দেশত্যাগে কেউ যদি সহায়তা করে থাকে তাহলে তাকে অবশ্যই আইনের মুখোমুখি হতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি প্রসঙ্গে শফিকুল বলেন, আজ সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা রয়েছে। সেখানে কী সিদ্ধান্ত হয় তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তবে আইসিটি অ্যাক্ট সংশোধন হতে চলেছে বলে তিনি জানান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্কুলটির প্রাক্তন ছাত্র ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি এসএম রাশিদুল ইসলাম।

অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহান, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা বেগম প্রমুখ।

এডি/জেডএম

বিষয়:

ভারতযশোর
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত