Ad T1

কিশোরগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

উপজেলা প্রতিনিধি, (কটিয়াদী) কিশোরগঞ্জ
প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১৫: ১৭

কিশোরগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় তানিয়া আক্তার (৩০) নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে কিশোরগঞ্জ সদরের মেডিল্যাব হেলথ কেয়ার সেন্টার থেকে বাজিতপুর জহিরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

তানিয়া আক্তার কটিয়াদী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বপাড়া এলাকার মাহমুদ হাসানের স্ত্রী। উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নের পিপুলিয়া গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের মেয়ে তিনি।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১১ এপ্রিল সকালে তানিয়া আক্তারের প্রসব ব্যথা শুরু হলে কিশোরগঞ্জ সদরের স্টেশন রোডে মেডিল্যাব হেলথ কেয়ার সেন্টারে নিয়ে যান স্বজনরা। সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষার পর দুপুরে ডা. নাসিমাতুল জান্নাত মিতুল তাকে সিজার করাতে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে সিজারের মাধ্যমে তার ছেলেসন্তান জন্মগ্রহণ করে। তখন মা ও ছেলে সুস্থ ছিল। কিন্তু পরে সংকট দেখা যায় তানিয়ার। ঘণ্টা দুয়েক পর রোগীকে ব্লাড দেয়া হয়। তারপরই শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে বাজিতপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেলে পাঠানো হয়। সেখানে নেয়ার পথেই মারা যান তানিয়া।

তানিয়ার স্বামী মাহমুদুল হাসান বলেন, শুক্রবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে সিজারের মাধ্যমে ছেলেসন্তান জন্মগ্রহণ করে। তখন মা ছেলে উভয়ই সুস্থ ছিল। ২টা ৪০ মিনিটে তানিয়ার সঙ্গে কথাবার্তা হয়। তখন তানিয়া স্বাভাবিক ছিল। আগে ডাক্তার রক্ত সংগ্রহের কথা বলেননি, এমনকি ব্লাড না লাগার কথাও আমাদের জানাননি। কিন্তু পরে অন্য রোগীর ব্লাড তার শরীরে পুশ করেন। রোগীর অস্থিরতার কারণে সাময়িক ব্লাড দেয়া বন্ধ রাখার পর পুনরায় ব্লাড পুশ করেন। অবস্থা জটিল হতে থাকলে রাত ৯টা ১০ মিনিটে রিলিজ দিয়ে বাজিতপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলে। পরে পুলেরঘাট বাজারে যেতেই রোগী মারা যান।

এই ভুল চিকিৎসার কারণে নবজাতক হারালো তার মাকে, ভাই হারালো তার বোনকে, স্বামী হারালো তার স্ত্রীকে, মা হারালো তার মেয়েকে। এর জন্য দায়ী কে- প্রশ্ন এলাকাবাসীর?

তানিয়ার ভাই রাজন বলেন, ‘আমার বোনকে তারা মেরে ফেলেছে। আমি তাদের বিচার চাই।’

এ বিষয়ে জানতে ডাক্তার নাসিমাতুল জান্নাত মিতুলকে ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ করেনি।

হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কেন এমন হলো আমরা বলতে পারবো না। ওই চিকিৎসক আমাদের এখানে নিয়মিত সিজার করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের রিপোর্ট না করারও অনুরোধ জানান।

কিশোরগঞ্জ সদর থানার ওসি আব্দুল আল মামুন বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে।’

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত