Ad T1

ফসলি জমি রক্ষায় বালুমহাল ইজারা বাতিল দাবিতে ‘মার্চ ফর আত্রাই’

জসিম উদ্দিন, খানসামা (দিনাজপুর)
প্রকাশ : ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১৭: ২৯
আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১৭: ৩৪
দিনাজপুরের বীরগঞ্জের জয়গঞ্জ খেয়াঘাটে আবারো বালুমহাল ইজারা দেওয়ায় ফুঁসে উঠেছেন স্থানীয় কৃষকরা। তারা ফসলি জমি রক্ষায় ইজারা বাতিল দাবিতে সোমবার আত্রাই নদীরে তীরে মার্চ ফর আত্রাই কর্মসূচি পালন করেছেন।
সোমবার সকালে উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের ঝাড়বাড়ী শান্তির মোড় হতে আত্রাই নদী পর্যন্ত প্রায় ঘন্টাব্যাপি এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
জানা যায়, শতগ্রাম ইউনিয়নের গড়ফতু গ্রাম ও কাশিমনগর অংশে একটি বালুমহাল রয়েছে। সেটি আড়াই বছর আগে স্থানীয়দের জানমাল রক্ষার আন্দোলনের মুখে বাতিল করে জেলা প্রশাসন। এর পর থেকে ঘাটের আশপাশের ফসল ফলাচ্ছিলেন স্থানীয় কৃষকরা। কিন্তু আবারো সেখানে বালুমহাল ইজারা দেওয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
২০২২ সালে ইজারা বাতিল হওয়ার পর থেকে নিরাপদেই ছিল সেখানকার স্থানীয় কৃষি ও জীববৈচিত্র। আশপাশের চাষিরা নানা ফসল ফলিয়ে আবারো স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছিলেন, কিন্তু সেখানে পুনরায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জেলা প্রশাসন।
স্থানীয় সচেতন মহল আমার দেশকে বলেন, বিগত সময়ে বন্ধ থাকার পরে আবারও কিছু প্রভাবশালী সুবিধাভোগী চক্র তাদের স্বার্থে এই বালু মহাল ইজারা নিয়েছে। আর জেলা প্রশাসন বিস্তারিত তথ্য না নিয়ে সেটি বালুকেকোদের হাতে তুলে দিয়েছে। এতে এলাকাবাসীর অপূরণীয় ক্ষতির আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। ইতিমধ্যে ইজারাদার কর্তৃক ডেজার মেশিন নদীতে আনা হয়েছে।
গড়ফতু উদয়ন ক্লাবের সভাপতি হামিদুর রহমান আমার দেশকে বলেন, জেলা প্রশাসন সরেজমিন তদন্ত না করেই প্রভাবশালীদের চাপ কিংবা অর্থের কাছে নতি স্বীকার করেছে। না হয় গণবিরোধী এমন সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই নিতে পারে না সরকার। অবিলম্বে এই ইজারা বাতিল করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
মো. আশরাফুল নামের আরেক কৃষক অভিযোগ করে বলেন, 'এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।'
জানতে চাইলে বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর আহমেদ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি আমার দেশ পত্রিকার প্রতিনিধি শোনার পরেই কথা না বলে ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি তিনি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলামের মুঠো ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ ছাড়াও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. জানে আলমের যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক বলেন, যদি কিছু জানার থাকে তাহলে জেলা প্রশাসক এর কাছে জেনে নিবেন। এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।

বিষয়:

দিনাজপুর
Ad
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত