পাকিস্তান ও ভারতের পাল্টাপাল্টি আক্রমণের পর মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে শতাধিক ব্যক্তিকে বাংলাদেশে পুশ ইন করেছে বিএসএফ।

বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মেহেদী হাসান বলেন, গত বুধবার ভোরে বিজিবি বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে ১৫ জনকে আটক করে। স্থানীয় মাধবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শীব নারায়ন শীল এটা নিশ্চিত করেছেন।

এরমধ্যে নয়জন পুরুষ, তিনজন মহিলা ও তিনজন শিশু রয়েছে। এদের বাড়ি নড়াইল, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায়।

এদিকে পুশ ইন ঠেকাতে বিজিবির পাশাপাশি পুলিশ সীমান্ত এলাকার পাঁচটি থানা শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা থানার সীমান্তে এলাকায় টহল জোরদার করেছে।

আটকের তথ্য দিয়ে ৪৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জাকারিয়া বলেন, এরা সবাই বাংলা ভাষায় কথা বলছে। যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মৌলভীবাজার জেলার সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে এ পর্যন্ত ১০৩ জন ভারতীয় নাগরিকের অনুপ্রবেশের খবর বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করে। এর মধ্যে বিজিবির হাতে আটক হয়েছে ৭৩ জন। বিজিবি এদের নাম ঠিকানা যাচাই-বাছাই করছে।

এরই মধ্যে কমলগঞ্জের ধলই সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ১৫ জন, বড়লেখার পাল্লাতল ও লাতু সীমান্ত থেকে ৫৮ জনকে আটকের খবর পাওয়া গেছে।

তাছাড়া কুলাউড়ার মুরইছড়া সীমান্ত দিয়ে আরও ৩০ জন অনুপ্রবেশ করেছে বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করে।

কমলগঞ্জ মাধবপুর ইউপির সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্যা বিনা রানী দেব জানান, তিনি আটক লোকদের বিজিবি ক্যাম্পে নেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন। তবে পরবর্তীতে তার আর থানায় যাওয়া হয়নি।

কমলগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বলেন, ‘বিভিন্ন মারফতে শুনেছি বিজিবি ১৫ জনকে আটক করেছে। তবে এখনো পর্যন্ত থানায় হস্তান্তর করেনি।

এদিকে পুশ ইন ঠেকাতে বিজিবির ও পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি স্পেশাল ব্রাঞ্চের সাদা পোশাকের পুলিশও তৎপরতা বাড়িয়েছে এমন তথ্য দৈনিক আমার দেশকে জানান মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন।

তিনি আরো জানান, সীমান্তের যেসব রুট দিয়ে আসতে পারে সব জায়গায় আমাদের টহল গাড়ি আছে, স্পেশাল ব্রাঞ্চের লোকজনও মোতায়েন আছে।

এডি/ এইচআর