Ad T1

কাট্টলির ২৫ কোটি টাকা তছরুপ, ব্যবস্থা নিতে দুদকে প্রেরণ করবে বিএসইসি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ২১: ৪৭
প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থের কমপেক্ষ ২৫ কোটি টাকা তছরুপের প্রমাণ পেয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তছরুপের এ ঘটনায় কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) প্রেরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
একইসঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বকেয়া লিস্টিং ফি পরিশোধে এক মাসের সময় সীমা বেঁধে দিয়েছে কমিশন। এ সময় সীমার মধ্যে ফি পরিশোধে ব্যর্থ হলে প্রত্যেক পরিচালককে (স্বতন্ত্র ও ২০১৮ সালে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ৩৪ কোটি সংগ্রহ করেছিল কাট্টলি টেক্সটাইলস। উত্তোলিত অর্থ কোম্পানির মূলধনী যন্ত্রপাতি, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার স্থাপন ও আইপিও খরচ মেটাতে ব্যবহার করার কথা। কিন্তু আইপিও অর্থ সংগ্রহ করার চার বছরের বেশি পেরিয়ে গেলেও কোম্পানি সংগৃহীত অর্থ ব্যবহার করতে পারেনি।
এ কোম্পানির আইপিও অনুমোদনে ডিএসইর পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তৎকালীন কমিশন কোম্পানিটিকে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের অনুমতি দিয়েছিল। এছাড়া কিছু বিনিয়োগকারীর কাছ থেকেও অভিযোগ ছিল যে, কোম্পানিটি নিজস্ব স্থাপনা ব্যবহার না করে ভাড়া দিয়ে রেখেছে এবং ভাড়া আয়ের উপরই কোম্পানির পরিচালন ব্যয় নির্ভরশীল। এরপর কোম্পানিটি মিথ্যা আর্থিক প্রতিবেদন ও ভুয়া ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠে। এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিএসইসি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এক কোটি টাকা এবং স্বতন্ত্র ও মনোনীত পরিচালক ব্যতীত অন্য পরিচালকদের প্রত্যেককে ৫০ লাখ টাকা করে জরিমানা করে।
Ad
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত