Ad T1

চালের দাম কমলেও পেঁপেঁর কেজি ১০০ টাকা!

সরদার আনিছ
প্রকাশ : ১০ মে ২০২৫, ২২: ৪২

সপ্তাহের ব্যবধানে তিন টাকা আর ১৫ দিনে মিনিকেট চালের কেজিতে কমেছে ১৩ টাকার মতো। আরো কমতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কারওয়ানবাজারের জনতা রাইস এজেন্সির রাসেল মিয়া বলেন, বাজারে নতুন চালের সরবরাহ ক্রমেই বাড়ছে। এখন পুরাতন মিনিকেট বাজারে নেই বললেই চলে। ফলে চালের দাম কমা অব্যাহত রয়েছে। তবে গরিবের খাবার মোটা চালের দাম তেমন একটা কমেনি। কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা কমেছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, দুসপ্তাহের ব্যবধানে সবচেয়ে বেশি কমে তীর কোম্পানির মিনিট গতকাল শনিবার বিক্রি হয়েছে ৭৩ টাকা কেজি। কেজিতে কমেছে ১৩ টাকার মতো। আরো কমতে পারে। এছাড়া অন্যান্য মিনিকেট চালও একই হারে কমে বিক্রি হচ্ছে। মোটা চালের তেমন একটা কমেনি আবার সামনে কমারও কোনো সুখবর নেই। বর্তমানে গুটি স্বর্ণা ৫০টাকা এবং ব্রি-২৮ জাতের চাল ৫৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম কমলেও পেঁপের দাম আকাশচুম্বী, কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে বর্তমানে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দাম কিছুটা কম হলেও মুরগির ডিমের দাম বেড়েছে ডজনে ১০টাকার মতো।

শনিবার রাজধানীর নয়াবাজার, কেরানিগঞ্জের বউবাজার ও কারওয়ানবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সবজির দাম ৫০ টাকার নিচে নেমে এসেছে। যদিও কয়েকদিন আগে অধিকাংশ সবজির দাম ৮০ টাকার উপরে ছিল।

কারওয়ানবাজারের সবজি বিক্রেতা জাকিয়া বলেন, বেশ কিছুদিন সব ধরনের সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে দাম কমছে।

শনিবার কারওয়ানবাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি পটোল, বরবটি, চিচিঙ্গা, কাঁকরোল, শসা, করলা, টমেটো, লাউ, ঝিঙে, ধুন্দুল, ঢ্যাঁড়স ৫০টাকার নিচে বিক্রি হয়েছে। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা করে, টমেটোর কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু ২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া সব ধরনের শাকের দামও কিছুটা কমেছে।

কারওয়ান বাজারের আড়তদার বাবুল মিয়া বলেন, শীতের সবজি শেষ হয়ে যাওয়ায় বাজারে সরবরাহ কমে গিয়েছিল। এখন আবার সরবরাহ বেড়ে দাম কমছে। এ অবস্থা আরো কিছুদিন থাকতে পারে।

সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৫ থেকে ১০ টাকা। সবচেয়ে বেশি কমেছে ফরিদপুর ও মেহেরপুর অঞ্চলের পেঁয়াজের দাম। গতকাল শনিবার খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৮ থেকে ৫৫ টাকায়। যদিও রাজধানীর অভিজাত এলাকার বাজার ও পাড়া–মহল্লায় এ দাম আরও কিছুটা বেশি। তবে আমদানি করা ইন্ডিয়ান পেঁয়াজের কেজি ৭০ টাকা।

কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী কাদের বলেন, পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। ফরিদপুর এলাকার পেঁয়াজের দাম ৪৫ টাকা এবং পাবনাসহ অন্য এলাকার পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রবিবার থেকে আরও ১ থেকে ২টাকা কমতে পারে। তবে তিনি বলেন, পাইকারি বাজারে কমলেও খুচরা বাজারে এর প্রভাব খুবই কম। ব্যবসায়ীরা বাড়তি দামেই বিক্রি করছেন।

সপ্তাহের মধ্যে মুরগির ডিমের (লাল) দাম ডজনে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে এক ডজন ডিম বিক্রি হয় ১২৫ টাকায়, যা বর্তমানে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কিছুটা কমেই বিক্রি হচ্ছে। শনিবার এক কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৫০–২৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত