স্টাফ রিপোর্টার
দেশের সরকারি সব হাসপাতালে রোগীদের কথা চিন্তা করে ২৪ ঘণ্টা রোগ নির্ণয় সেবা চালুর আহ্বান জানিয়েছেন চিকিৎসক ও ল্যাব টেকনোলিজিস্টরা। তারা বলছেন, ‘রোগ নির্ণয়ে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা গেলে রোগ নির্ণয়কারী বিভাগসমূহ সার্বক্ষণিক চালু থাকবে। এতে করে রোগী মৃত্যু কমার পাশাপাশি চিকিৎসায় ভোগান্তি কমে আসবে।
বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ সোসাইটি ফর মেডিকেল ল্যাবরেটরি টেকনোলজিস্ট আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘ল্যাবসমূহ জীবন বাঁচায়’।
রেজিস্টার্ড সাইন্টিস্ট মো. সোহেল রানার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ নিপসমের পরিচালক অধ্যাপক ডা. জিয়াউল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হসপিটাল সার্ভিস ম্যানেজমেন্টের লাইন ডিরেক্টর ডা. জয়নাল আবেদিন টিটো, আইএইচটি’র অধ্যক্ষ ডা. মুজিব উদ্দিন। প্রধান বক্তা বৈষম্য বিরোধী জাতীয় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো আব্দুস সামদ।
বক্তারা বলেন, দেশের আপামর জনগণের মানসম্মত ও সঠিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে রোগ নির্ণয়ের জন্য নির্ভুল পরীক্ষা-নিরীক্ষা অত্যাবশ্যক। এজন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে সংস্কার কার্যক্রম ফলপ্রসু করার লক্ষে কিছু অবশ্যম্ভাবী সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসমূহ থেকে শুরু করে বিশেষায়িত সেবা প্রদানকারী স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানসমূহে ২৪ ঘন্টা জরুরি সেবার পাশাপাশি রোগ নির্ণয় সেবা চালু করতে হবে। এরকম স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে রক্ত সঞ্চালন বিভাগ নিশ্চিত করা, প্রয়োজনীয় জনবলের পদ সৃষ্টি করতে হবে।’
ল্যাব টেকলোজিস্টরা বলেন, হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা রোগ নির্ণয় হলে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে, সর্বাধিক মেশিনারিজ ব্যবহারিত হবে এবং মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগেই রিয়েজেন্ট (পরীক্ষা নিরীক্ষার উপকরণ) ব্যবহার করা সম্ভব হবে। রোগের শুরুতেই নির্ণয় করা গেলে মৃত্যু ঝুঁকির সংখ্যা কমানো যাবে।’
তারা বলেন, জীবাণু ও বিকিরণ ঝুঁকি সাথে বসবাস মেডিকেল টেকনোলজি ও ফার্মাসিস্টদের ঝুঁকি ভাতা কার্যকরি করা এবং রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা সময়ের দাবি। অন্যান্য ডিপ্লোমাধারীদের মত কর্মক্ষেত্রে দশম গ্রেডের মর্যাদা প্রদান করে বৈষম্যমুক্ত করতে হবে। রোগী ও মেশিনারিজ নিয়ে সরাসরি নিজ হাতে কাজের কারণে পদ মর্যাদা বৃদ্ধিতে নিয়মিত কাজের গুণগতমান বৃদ্ধি করবে। একইসাথে গ্রাজুয়েট মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের মেডিকেল ল্যাবরেটরি সাইন্টিফিক অফিসার বা কোয়ালিটি কন্ট্রোল অফিসার পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ দিলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মান নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখার সুযোগ পাবে। যা বর্তমানে সরকারিভাবে চালু নেই অর্থাৎ সুপারভাইজার আছে কিন্তু ওয়ার্কিং অফিসার নেই।’ সকল ল্যাবসমুহের জন্য সেন্ট্রাল কোয়ালিটি কন্ট্রোল অথরিটি সৃষ্টি করে রোগ নির্ণয় ব্যবস্থায় সংস্কার কার্যকর করা যায় বলেও জানান টেকনোলজিস্টরা।
রেজিস্টার্ড সাইন্টিস্ট মো. সোহেল রানা বলেন, ‘রোগীর সেবাদান কার্যক্রমে চিকিৎসক, নার্সের পাশাপাশি রোগ নির্ণয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জনবল মেডিকেল টেকনোলজিস্ট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নীতিমালা অনুযায়ী একজন চিকিৎসকের বিপরীতে তিনজন নার্স ও পাঁচজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট থাকা প্রয়োজন। সরকারি চাকরিতে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের ও ফার্মাসিস্টদের দশম গ্রেডে উন্নীতকরণের বিষয়টি নতুন কোন বিষয় নয়। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়েই এ পেশার পথচলা শুরু হলেও ১৯৮৯ সাল পরবর্তী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট পেশাজীবীদের দশম গ্রেড বা দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদা দাবিটি অব্যাহতভাবে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতে বারংবার উপস্থাপিত হয়ে আসছে।’
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ডা. জয়নাল আবেদিন টিটো বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশে মেডিকেল সায়েন্স নিয়ে নিজেদের অর্থায়নে প্রশিক্ষণ করানো হয়। কিন্তু বাংলাদেশে এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। এক সময় সরকারের অর্থায়নে হলেও বর্তমানে চিকিৎসক, নার্স ও টেকনোলজিস্টদের এই ধরনের প্রশিক্ষণ খুব একটা দেখা যায়না। দেশের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা সদর হাসপাতাল এবং বিভাগীয় মেডিকেল কলেজসহ সব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে ২৪ ঘণ্টা ল্যাব সার্ভিস চালু রাখা উচিত। জরুরি বিভাগে কোনো রোগী গেলেই তার এক্স-রে করতে হয়। এজন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি বহির্বিভাগে ১৬ ঘণ্টা থাকা উচিত। আর অন্তঃবিভাগে প্রতি ফ্লোরে অন্তত একটি করে থাকা দরকার। পৃথিবীর অনেক দেশে এই ব্যবস্থা রয়েছে। এমনকি আমাদের এক থেকে ইউনিয়ন থেকে আরেক ইউনিয়নের দূরত্বও অনেক। এ কারণে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রেও সিবিসি, সেরাম ক্রিটিনিন, প্রেগনেন্সি টেস্টসহ সাধারণ কিছু পরীক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা গেলে রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা বাড়বে, একই সঙ্গে হাসপাতালে চাপও কমে আসবে। ডিপ্লোমা মেডিকেল টেকনোলিজস্টরা এসব পরীক্ষা করবে। মানুষকে বুঝাতে হবে তাদের ভালোর জন্য এখানে পরীক্ষা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি উপজেলায় একটি এবং জেলা সদর হাসপাতালে অন্তত দুটি ব্লাড ব্যাংক থাকা দরকার। কিন্তু যারা এগুলোর ব্যবস্থা নেবে সেই পর্যন্ত কথাগুলো যায়না। আমাদের আরেকটি বড় সমস্যা যুগোপযোগী শিক্ষার অভাব। কারিকুলাম আন্তর্জাতিক মানের হওয়ার উচিত। দেশের মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ খুব গুরুত্বপূর্ণ। যোগ্যতা অনুযায়ী কর্ম এবং কর্ম অনুযায়ী বেতন দিতে হবে-এটা আমাদের সংবিধানেই আছে। এজন্য আপনাদের পদোন্নতিসহ নানা দাবি জানাতে পারেন। কিন্তু তা কখনোই কাজ ফেলে নেয়, কাজের মধ্যদিয়েই।’
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ডা. জিয়াউল ইসলাম বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশের যে কথা আমরা বলছি, সেটি তখনই হবে যখন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও যুগোপযোগী করা সম্ভব হবে। যার বড় অংশ ল্যাবরেটরি সার্ভিস। এটাকে আধুনিকায়ন ও সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। আমাদের আরও মানসম্মত ল্যাবরেটরি দরকার। মনে রাখতে হবে একটা পরীক্ষা জীবন যেমন নতুন করে জীবন দিতে পারে, তেমনি নাশের কারণ হতে পারে। এজন্য আরও গুণগত রোগ নির্ণয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।’
দেশের সরকারি সব হাসপাতালে রোগীদের কথা চিন্তা করে ২৪ ঘণ্টা রোগ নির্ণয় সেবা চালুর আহ্বান জানিয়েছেন চিকিৎসক ও ল্যাব টেকনোলিজিস্টরা। তারা বলছেন, ‘রোগ নির্ণয়ে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা গেলে রোগ নির্ণয়কারী বিভাগসমূহ সার্বক্ষণিক চালু থাকবে। এতে করে রোগী মৃত্যু কমার পাশাপাশি চিকিৎসায় ভোগান্তি কমে আসবে।
বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ সোসাইটি ফর মেডিকেল ল্যাবরেটরি টেকনোলজিস্ট আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘ল্যাবসমূহ জীবন বাঁচায়’।
রেজিস্টার্ড সাইন্টিস্ট মো. সোহেল রানার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ নিপসমের পরিচালক অধ্যাপক ডা. জিয়াউল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হসপিটাল সার্ভিস ম্যানেজমেন্টের লাইন ডিরেক্টর ডা. জয়নাল আবেদিন টিটো, আইএইচটি’র অধ্যক্ষ ডা. মুজিব উদ্দিন। প্রধান বক্তা বৈষম্য বিরোধী জাতীয় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো আব্দুস সামদ।
বক্তারা বলেন, দেশের আপামর জনগণের মানসম্মত ও সঠিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে রোগ নির্ণয়ের জন্য নির্ভুল পরীক্ষা-নিরীক্ষা অত্যাবশ্যক। এজন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে সংস্কার কার্যক্রম ফলপ্রসু করার লক্ষে কিছু অবশ্যম্ভাবী সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসমূহ থেকে শুরু করে বিশেষায়িত সেবা প্রদানকারী স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানসমূহে ২৪ ঘন্টা জরুরি সেবার পাশাপাশি রোগ নির্ণয় সেবা চালু করতে হবে। এরকম স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে রক্ত সঞ্চালন বিভাগ নিশ্চিত করা, প্রয়োজনীয় জনবলের পদ সৃষ্টি করতে হবে।’
ল্যাব টেকলোজিস্টরা বলেন, হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা রোগ নির্ণয় হলে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে, সর্বাধিক মেশিনারিজ ব্যবহারিত হবে এবং মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগেই রিয়েজেন্ট (পরীক্ষা নিরীক্ষার উপকরণ) ব্যবহার করা সম্ভব হবে। রোগের শুরুতেই নির্ণয় করা গেলে মৃত্যু ঝুঁকির সংখ্যা কমানো যাবে।’
তারা বলেন, জীবাণু ও বিকিরণ ঝুঁকি সাথে বসবাস মেডিকেল টেকনোলজি ও ফার্মাসিস্টদের ঝুঁকি ভাতা কার্যকরি করা এবং রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা সময়ের দাবি। অন্যান্য ডিপ্লোমাধারীদের মত কর্মক্ষেত্রে দশম গ্রেডের মর্যাদা প্রদান করে বৈষম্যমুক্ত করতে হবে। রোগী ও মেশিনারিজ নিয়ে সরাসরি নিজ হাতে কাজের কারণে পদ মর্যাদা বৃদ্ধিতে নিয়মিত কাজের গুণগতমান বৃদ্ধি করবে। একইসাথে গ্রাজুয়েট মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের মেডিকেল ল্যাবরেটরি সাইন্টিফিক অফিসার বা কোয়ালিটি কন্ট্রোল অফিসার পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ দিলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মান নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখার সুযোগ পাবে। যা বর্তমানে সরকারিভাবে চালু নেই অর্থাৎ সুপারভাইজার আছে কিন্তু ওয়ার্কিং অফিসার নেই।’ সকল ল্যাবসমুহের জন্য সেন্ট্রাল কোয়ালিটি কন্ট্রোল অথরিটি সৃষ্টি করে রোগ নির্ণয় ব্যবস্থায় সংস্কার কার্যকর করা যায় বলেও জানান টেকনোলজিস্টরা।
রেজিস্টার্ড সাইন্টিস্ট মো. সোহেল রানা বলেন, ‘রোগীর সেবাদান কার্যক্রমে চিকিৎসক, নার্সের পাশাপাশি রোগ নির্ণয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জনবল মেডিকেল টেকনোলজিস্ট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নীতিমালা অনুযায়ী একজন চিকিৎসকের বিপরীতে তিনজন নার্স ও পাঁচজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট থাকা প্রয়োজন। সরকারি চাকরিতে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের ও ফার্মাসিস্টদের দশম গ্রেডে উন্নীতকরণের বিষয়টি নতুন কোন বিষয় নয়। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়েই এ পেশার পথচলা শুরু হলেও ১৯৮৯ সাল পরবর্তী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট পেশাজীবীদের দশম গ্রেড বা দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদা দাবিটি অব্যাহতভাবে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতে বারংবার উপস্থাপিত হয়ে আসছে।’
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ডা. জয়নাল আবেদিন টিটো বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশে মেডিকেল সায়েন্স নিয়ে নিজেদের অর্থায়নে প্রশিক্ষণ করানো হয়। কিন্তু বাংলাদেশে এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। এক সময় সরকারের অর্থায়নে হলেও বর্তমানে চিকিৎসক, নার্স ও টেকনোলজিস্টদের এই ধরনের প্রশিক্ষণ খুব একটা দেখা যায়না। দেশের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা সদর হাসপাতাল এবং বিভাগীয় মেডিকেল কলেজসহ সব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে ২৪ ঘণ্টা ল্যাব সার্ভিস চালু রাখা উচিত। জরুরি বিভাগে কোনো রোগী গেলেই তার এক্স-রে করতে হয়। এজন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি বহির্বিভাগে ১৬ ঘণ্টা থাকা উচিত। আর অন্তঃবিভাগে প্রতি ফ্লোরে অন্তত একটি করে থাকা দরকার। পৃথিবীর অনেক দেশে এই ব্যবস্থা রয়েছে। এমনকি আমাদের এক থেকে ইউনিয়ন থেকে আরেক ইউনিয়নের দূরত্বও অনেক। এ কারণে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রেও সিবিসি, সেরাম ক্রিটিনিন, প্রেগনেন্সি টেস্টসহ সাধারণ কিছু পরীক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা গেলে রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা বাড়বে, একই সঙ্গে হাসপাতালে চাপও কমে আসবে। ডিপ্লোমা মেডিকেল টেকনোলিজস্টরা এসব পরীক্ষা করবে। মানুষকে বুঝাতে হবে তাদের ভালোর জন্য এখানে পরীক্ষা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি উপজেলায় একটি এবং জেলা সদর হাসপাতালে অন্তত দুটি ব্লাড ব্যাংক থাকা দরকার। কিন্তু যারা এগুলোর ব্যবস্থা নেবে সেই পর্যন্ত কথাগুলো যায়না। আমাদের আরেকটি বড় সমস্যা যুগোপযোগী শিক্ষার অভাব। কারিকুলাম আন্তর্জাতিক মানের হওয়ার উচিত। দেশের মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ খুব গুরুত্বপূর্ণ। যোগ্যতা অনুযায়ী কর্ম এবং কর্ম অনুযায়ী বেতন দিতে হবে-এটা আমাদের সংবিধানেই আছে। এজন্য আপনাদের পদোন্নতিসহ নানা দাবি জানাতে পারেন। কিন্তু তা কখনোই কাজ ফেলে নেয়, কাজের মধ্যদিয়েই।’
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ডা. জিয়াউল ইসলাম বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশের যে কথা আমরা বলছি, সেটি তখনই হবে যখন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও যুগোপযোগী করা সম্ভব হবে। যার বড় অংশ ল্যাবরেটরি সার্ভিস। এটাকে আধুনিকায়ন ও সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। আমাদের আরও মানসম্মত ল্যাবরেটরি দরকার। মনে রাখতে হবে একটা পরীক্ষা জীবন যেমন নতুন করে জীবন দিতে পারে, তেমনি নাশের কারণ হতে পারে। এজন্য আরও গুণগত রোগ নির্ণয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।’
প্রতিবছরের মতো এবছরও বাংলাদেশে বৈশ্বিক অভিগম্যতা সচেতনতা দিবস (গ্লোবাল অ্যাক্সেসিবিলিটি অ্যাওয়ারনেস ডে - GAAD) পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভার মাধ্যমে দিবসটি পালন করে এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)
১৯ ঘণ্টা আগেসরকারের সুস্পষ্ট ঘোষণা ছাড়া রাজপথ থেকে একচুলও নড়বেন না বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিন। তারা জুমার নামাজের পরে অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন। শুক্রবার সকালে কাকরাইল মসজিদের সামনে সমাবেশ শুরুর আগে তিনি এ কথা বলেন।
২০ ঘণ্টা আগেরাজধানীর বনানীর নৌবাহিনী সদর দপ্তরের সামনে গাড়ি ধাক্কায় অজ্ঞাত পরিচয় (৩২) এক নারী নিহত হয়েছেন।
১ দিন আগেদেশের প্রথম ভূগর্ভস্থ মেট্রোরেল-ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-১-এর ইউটিলিটি লাইন নর্দা থেকে বিমানবন্দর স্টেশনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
১ দিন আগে