আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ, সংস্কার এবং গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে এই বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল শুরু করে এনসিপি। মিছিলটি জিপিও ঘুরে গোলাপশাহ মাজারের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

মশাল মিছিল থেকে যুবলীগের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও; এই বাংলায় হবে না, আওয়ামী লীগের ঠিকানা; হুঁশিয়ার সাবধান, আওয়ামী লীগের দালালেরা; একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

মশাল মিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার বলেন, যদি মনে করে আবার আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাস্তায় মহড়া দিবে, আর ছাত্র-জনতা, এনসিপি সহ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সকল পক্ষ চুপচাপ বসে থাকবে, এটা হচ্ছে না। অবশ্যই রাজপথ এনসিপির দখলে থাকবে। ঢাকা শহরের প্রত্যেকটা অলিগলি এনসিপির দখলে থাকবে। যারাই গণহত্যার বিচারের বিরোধিতা করবে তাদেরই আগামী নির্বাচনে জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে।

তিনি আরও বলেন, আজকে অদ্ভুত এক সংস্কার প্রস্তাব আনা হয়েছে, বলা হয়েছে যদি নির্বাচনে কারচুপি করা হয় তাহলে যারা কারচুপির সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তি দেয়া যাবে না। এই মতলবটা বুঝতে চেষ্টা করেন। সামনে যারা নির্বাচনে কারচুপি করতে চায় তাদের মাথা থেকে কুবুদ্ধি বের হইছে। এত সুন্দর সুন্দর সংস্কার প্রস্তাব আমরা, দেশের জনগণ করলো তারা এইগুলো বাদ দিয়ে এখন তারা এমন প্রস্তাব আনছে, আসলেই তাদের মনের মধ্যে নির্বাচনে কারচুপি করার খায়েশ। স্থানীয় পর্যায়ে তারা ইতোমধ্যে বলা শুরু করেছে, আমরা ভোটকেন্দ্র দখল করবো।

কোন কোন রাজনীতিবিদ ও দল প্রশ্ন তুলে কিসের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা হবে, এমন অভিযোগ করে এনসিপির আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম বলেন, আমরা বলি ৫ আগস্টের অভ্যুত্থান কোন আইন মেনে হয়নি। সেদিন সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসে হাসিনাকে উৎখাত করে আপনাদেরকে জেল থেকে মুক্ত করেছে। তাও কোন আইন মেনে হয়নি। তখন মানুষ রাস্তায় নেমে রায় দিয়েছে, আমরা আর হাসিনাকে চাই না। সে ক্ষেত্রে হাসিনার বিলুপ হয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা বিলুপের প্রথম পদক্ষেপটি সম্পন্ন হয়েছে।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন, জয়নাল আবেদিন শিশির, ফয়সাল আহমেদ শান্ত, যুগ্ম সংগঠক দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী, রাকিব হাসান, মো. আতাউল্লাহ, ওয়ালীউল্লাহ ও শিবলী নোমান প্রমুখ।