Ad T1

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৫: ১৮

দুই বছর আগে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কদমতলীর খালপাড় এলাকায় যৌতুকের জন্য গরম তেল ঢেলে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী মিজান সরদারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

রবিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে দণ্ডের পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত।

ট্রাইব্যনালের রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম জর্জ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করায় আদালত আসামি মিজান সরদারকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণার আগে মিজানকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবারও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

আদালত সূত্র জানা যায়, মিজান সরদারের সাথে ১০ বছর পূর্বে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মিম আক্তার রুপা।তাদের একটি পুত্র সন্তান এবং কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়েররর থেকে মিজান রুপাকে নির্যাতনের জন্য মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে জাহাঙ্গীর আলম মিজানকে ২০ লাখ টাকা দিয়ে জমি কিনে দেন এবং সাত লাখ টাকা দিয়ে একটি দোকানও করে দেন। এরপর সে আরও যৌতুক দাবি করে। তবে রুপা তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। মিজান রুপার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বাড়িয়ে দেয়। তবে ভিকটিম দুই সন্তানের কথা চিন্তা করে তা সহ্য করে।

২০২৩ সালেন ৬ মে রাত ১০ টার দিকে মিজান

কেরানীগঞ্জের কদমতলীর খালপাড় এলাকার বাসায় রুপাকে যৌতুকের জন্য চাপ দেয়। রুপা যৌতুক দিতর অপরাগতা প্রকাশ করলে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে রুপা দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ৩ টার দিকে মিজান সয়াবিন তেল গরম করে এনে রুপার শরীরে ঢেলে দেয়। এতে তার শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়। তার দুই সন্তানও কিছুটা দগ্ধ হয়। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ২৫ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রুপা।

এ ঘটনায় যৌতুকের জন্য মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে রুপার বাবা জাহাঙ্গীর আলম ২০২৩ সালের ৯ মে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩১ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। ২০২৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত চার্জশিটভুক্ত ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত