প্রতিনিধি, বুটেক্স
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা-সমাবেশ, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী হেনস্তা, বল প্রয়োগ সবই ছিল ছাত্রলীগের নিত্যদিনের ঘটনা। এছাড়াও হাসিনা সরকারের আমলে ছাত্রলীগের সব কার্যক্রম ছিল ক্যাম্পাসে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বা টেন্ডার, প্রোগ্রামের কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয় তহবিলের অর্থ আদায়, টেন্ডারের কাজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহারকে ঘিরে। এসব কিছু নিজেদের কবজায় আনতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সতর্কসূচক ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেয়া হতো উপাচার্যের ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয়ের সামনে।
আর এসব কিছুর নেতৃত্বে ছিলেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম টিপু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম মিরান। সাধারণ শিক্ষার্থীর তাদের চাপে পড়ে এসব কর্মকাণ্ডে অংশ নিলেও জানতেন না কেনো তারা দায়িত্বরত জায়গায় বসে আছেন।
শহীদ আজিজ হলের সজল (ছন্দনাম) নামে ৪৮তম ব্যাচের একজন শিক্ষার্থী বলেন, নির্দেশমতো হল থেকে আমাদের সবাইকে খুব সকালে ঘুম থেকে ডেকে দলবদ্ধভাবে ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও সেদিন ক্যাম্পাসের সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল, তবুও কী কারণে যেতে হচ্ছে তা আমাদের জানানো হয়নি। মনে প্রশ্ন জাগলেও ভয়ে তা প্রকাশ করার সাহস হয়নি। কেবল জানলাম সিনিয়রদের আদেশ, যা অমান্য করলে বিপদ হতে পারে।
বুটেক্সে হবে প্রথম সমাবর্তন। ওই আয়োজনকে ঘিরে গাউন ও বিভিন্ন উপহারসামগ্রী কেনার জন্য যে টেন্ডার প্রকাশ করা হয় তা ঘিরে সব আয়োজন ছাত্রলীগের।
বাইরের কোনো প্রতিষ্ঠানকে ওই টেন্ডার বিট করতে দেয়া হবে না এবং ছাত্রলীগই ওই টেন্ডার পেতে চাচ্ছে।
ক্যাম্পাসে বাজে পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে তা মনে করে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামান ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করেন। পিঅ্যান্ডডি কার্যালয়ের সামনে তখন কয়েকজন পুলিশ অবস্থান করছিলেন, যারা পুরো পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছিলেন। কিছু সময় পর চিৎকার ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটে।
ঘটনার দিন তৎকালীন পরিকল্পনা ও উন্নয়নের (পিঅ্যান্ডডি) পরিচালক অধ্যাপক ড. ফরহাদ হোসেনের অফিসকে ঘিরে হয় যত আয়োজন।
সেদিনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনের গিফট ও অন্য প্যাকেজ সরবরাহের টেন্ডার কার্যক্রমের দায়িত্বে আমি ছিলাম।
যথাযথ প্রক্রিয়ায় অভিজ্ঞ ও যোগ্য প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের লক্ষ্যে টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। তবে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার হুমকির কারণে প্রথম দফায় কোনো প্রতিষ্ঠান আবেদন জমা দিতে সাহস করেনি, ফলে টেন্ডার বাতিল হয়।
তিনি আরো বলেন, দ্বিতীয় দফায় টেন্ডার আহ্বান করা হলে কিছু প্রতিষ্ঠান ক্যাম্পাসে এসে টেন্ডার জমা দিতে চেষ্টা করে, কিন্তু ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বাধা দেয়।
সেদিন টেন্ডার জমা দিতে আসা একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে তারা অনেকক্ষণ যাবৎ আটকে রাখে। খবর পেয়ে আমি সঙ্গে সঙ্গে তা পুলিশকে জানাই এবং টেন্ডার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তেজগাঁও থানার ওসির সহায়তায় ক্যাম্পাসেও পুলিশ মোতায়েন করি।
পুলিশ ডাকার কারণ জানতে চেয়ে তারা আমার অফিসে এসে চাপ প্রয়োগ করে এবং বিভিন্ন হুমকিসহ অপমানজনক আচরণ করে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সেদিন একটি টেন্ডার প্রতিষ্ঠানের একজন ব্যক্তিকে যখন ক্যাম্পাসে আসতে দিচ্ছিল না। তখন সেই ব্যক্তি শিক্ষককে কল দেন। পরে পুলিশের সহায়তায় টেন্ডার সংক্রান্ত কাগজ জমা দেন।
পরে সেই ব্যক্তি ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মী তাকে ধরে ঘণ্টাব্যাপী তার ওপর হেনস্তা ও মানসিক নির্যাতন চালায়।
টেন্ডার জমা প্রদানে বাধার পাশাপাশি এদিন উপাচার্য রুম ঘেরাও করে নেতাকর্মী নিয়ে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘জামায়াত-শিবির রাজাকার, এ মুহূর্তে বুটেক্স ছাড়’ স্লোগান দেয়া হয়।
এ বিষয়ে তৎকালীন উপাচার্য ড. শাহ আলিমুজ্জামান বলেন, টেন্ডার জমা দেয়ার আগে ও পরে ছাত্রলীগ আমার ওপর চাপ সৃষ্টি করে, যাতে তাদের পছন্দের ব্যক্তি কাজটি পায়। আমি বারবার তাদের বলেছি, নিয়ম মেনে টেন্ডার জমা দিলে এবং অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে কাজ পাওয়া যাবে, অন্যথায় নয়।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা-সমাবেশ, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী হেনস্তা, বল প্রয়োগ সবই ছিল ছাত্রলীগের নিত্যদিনের ঘটনা। এছাড়াও হাসিনা সরকারের আমলে ছাত্রলীগের সব কার্যক্রম ছিল ক্যাম্পাসে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বা টেন্ডার, প্রোগ্রামের কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয় তহবিলের অর্থ আদায়, টেন্ডারের কাজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহারকে ঘিরে। এসব কিছু নিজেদের কবজায় আনতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সতর্কসূচক ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেয়া হতো উপাচার্যের ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয়ের সামনে।
আর এসব কিছুর নেতৃত্বে ছিলেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম টিপু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম মিরান। সাধারণ শিক্ষার্থীর তাদের চাপে পড়ে এসব কর্মকাণ্ডে অংশ নিলেও জানতেন না কেনো তারা দায়িত্বরত জায়গায় বসে আছেন।
শহীদ আজিজ হলের সজল (ছন্দনাম) নামে ৪৮তম ব্যাচের একজন শিক্ষার্থী বলেন, নির্দেশমতো হল থেকে আমাদের সবাইকে খুব সকালে ঘুম থেকে ডেকে দলবদ্ধভাবে ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও সেদিন ক্যাম্পাসের সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল, তবুও কী কারণে যেতে হচ্ছে তা আমাদের জানানো হয়নি। মনে প্রশ্ন জাগলেও ভয়ে তা প্রকাশ করার সাহস হয়নি। কেবল জানলাম সিনিয়রদের আদেশ, যা অমান্য করলে বিপদ হতে পারে।
বুটেক্সে হবে প্রথম সমাবর্তন। ওই আয়োজনকে ঘিরে গাউন ও বিভিন্ন উপহারসামগ্রী কেনার জন্য যে টেন্ডার প্রকাশ করা হয় তা ঘিরে সব আয়োজন ছাত্রলীগের।
বাইরের কোনো প্রতিষ্ঠানকে ওই টেন্ডার বিট করতে দেয়া হবে না এবং ছাত্রলীগই ওই টেন্ডার পেতে চাচ্ছে।
ক্যাম্পাসে বাজে পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে তা মনে করে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামান ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করেন। পিঅ্যান্ডডি কার্যালয়ের সামনে তখন কয়েকজন পুলিশ অবস্থান করছিলেন, যারা পুরো পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছিলেন। কিছু সময় পর চিৎকার ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটে।
ঘটনার দিন তৎকালীন পরিকল্পনা ও উন্নয়নের (পিঅ্যান্ডডি) পরিচালক অধ্যাপক ড. ফরহাদ হোসেনের অফিসকে ঘিরে হয় যত আয়োজন।
সেদিনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনের গিফট ও অন্য প্যাকেজ সরবরাহের টেন্ডার কার্যক্রমের দায়িত্বে আমি ছিলাম।
যথাযথ প্রক্রিয়ায় অভিজ্ঞ ও যোগ্য প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের লক্ষ্যে টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। তবে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার হুমকির কারণে প্রথম দফায় কোনো প্রতিষ্ঠান আবেদন জমা দিতে সাহস করেনি, ফলে টেন্ডার বাতিল হয়।
তিনি আরো বলেন, দ্বিতীয় দফায় টেন্ডার আহ্বান করা হলে কিছু প্রতিষ্ঠান ক্যাম্পাসে এসে টেন্ডার জমা দিতে চেষ্টা করে, কিন্তু ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বাধা দেয়।
সেদিন টেন্ডার জমা দিতে আসা একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে তারা অনেকক্ষণ যাবৎ আটকে রাখে। খবর পেয়ে আমি সঙ্গে সঙ্গে তা পুলিশকে জানাই এবং টেন্ডার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তেজগাঁও থানার ওসির সহায়তায় ক্যাম্পাসেও পুলিশ মোতায়েন করি।
পুলিশ ডাকার কারণ জানতে চেয়ে তারা আমার অফিসে এসে চাপ প্রয়োগ করে এবং বিভিন্ন হুমকিসহ অপমানজনক আচরণ করে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সেদিন একটি টেন্ডার প্রতিষ্ঠানের একজন ব্যক্তিকে যখন ক্যাম্পাসে আসতে দিচ্ছিল না। তখন সেই ব্যক্তি শিক্ষককে কল দেন। পরে পুলিশের সহায়তায় টেন্ডার সংক্রান্ত কাগজ জমা দেন।
পরে সেই ব্যক্তি ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মী তাকে ধরে ঘণ্টাব্যাপী তার ওপর হেনস্তা ও মানসিক নির্যাতন চালায়।
টেন্ডার জমা প্রদানে বাধার পাশাপাশি এদিন উপাচার্য রুম ঘেরাও করে নেতাকর্মী নিয়ে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘জামায়াত-শিবির রাজাকার, এ মুহূর্তে বুটেক্স ছাড়’ স্লোগান দেয়া হয়।
এ বিষয়ে তৎকালীন উপাচার্য ড. শাহ আলিমুজ্জামান বলেন, টেন্ডার জমা দেয়ার আগে ও পরে ছাত্রলীগ আমার ওপর চাপ সৃষ্টি করে, যাতে তাদের পছন্দের ব্যক্তি কাজটি পায়। আমি বারবার তাদের বলেছি, নিয়ম মেনে টেন্ডার জমা দিলে এবং অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে কাজ পাওয়া যাবে, অন্যথায় নয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের সময় পুলিশি হামলার প্রতিবাদে ১৪ মে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কালো দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
১ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার দফা দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের চলমান আন্দোলনের উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
১৪ ঘণ্টা আগেস্নাতক পাস করলে উক্ত অর্থ শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়ার নিয়ম থাকলেও ছাত্রলীগ র্যাগ কমিটি গঠন করে নামমাত্র প্রোগ্রাম আয়োজন করে আত্মসাৎ করত। এদিকে দুই ব্যাচের ক্ষেত্রে কোনো র্যাগ প্রোগ্রাম আয়োজন ছাড়াই পুরো অর্থ আত্মসাৎ করে নিষিদ্ধ এ ছাত্রসংগঠনটি।
১৫ ঘণ্টা আগে‘এই শিকল তোমাদের হাতে দিয়ে গেলাম, আমার মাধ্যমে যদি কোনো অন্যায় পাও তাহলে আবার আটকায় দিয়ো’। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করতে এসে বাসভবনের শিকল খুলে এ মন্তব্য করেন নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম।
১৬ ঘণ্টা আগে