Ad T1

উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুলে বরখাস্ত হওয়া দুই শিক্ষকের পক্ষে বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৩: ৪৫
রাজধানীর উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা ও অসদাচরণের অভিযোগে দুই শিক্ষক বরখাস্তের ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। চাকরি বহালের দাবিতে স্কুলে গেটে তালা দেয়া সহ কিছু শিক্ষার্থীকে আন্দোলনে নামানো হয়েছে। বরখাস্ত হওয়া দুই শিক্ষক পতিত আওয়ামী সরকারের সাবেক কেবিনেট সচিব কবির বিন আনোয়ারের বোন। তারা হলেন-কলেজের প্রভাতি শাখার প্রভাষক শ্যামলী হোসেন ও ইংলিশ ভার্সনের প্রভাতি শাখা প্রধান ইমেলদা হোসেন।
গত ২৭ মার্চ তাদের শোকজসহ সাময়িক বরখাস্ত করে এডহক গভর্নিং বডি। তবে এতদিন স্কুল বন্ধ থাকার পর বুধবার খোলার প্রথম দিনেই তাদের বহালের দাবিতে ফ্যাসিবাদের দোসর কিছু শিক্ষকের পরোক্ষ সহায়তায় একদল শিক্ষার্থীকে মাঠে নামানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এতে দীর্ঘদিন পর স্কুল খুললেও ক্লাস কার্যক্রমে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রলীগ কর্মী সমর্থকরা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। সেখানে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক শ্যামলী হোসেনও আছেন। আন্দোলনের কারণে শিক্ষকরাও তাদের অফিসে ঢুকতে পারছেন না। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গেটের বাইরে তাদের জন্য হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকাল থেকেই এ আন্দোলন চলছে।
সাধারণ শিক্ষকদের অভিযোগ, বরখাস্ত হওয়া দুই শিক্ষক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে শিক্ষকদের মাঝে গ্রুপিং করেন। সুবিধাভোগীদের নিয়ে আন্দোলন করে চাকরিতে বহালের পাঁয়তারা করছেন। ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন হলেও তাদের দোসররা এখনো সক্রিয় স্কুলটিতে। এমনকি বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষও ফ্যাসিবাদের দোসরদের পরোক্ষ সমর্থন দিচ্ছেন। যে কারণে স্কুলে অস্থিরতা সৃষ্টি হলেও কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না।
সূত্রমতে, গত ২৭ মার্চ উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আ.ন.ম. শামসুল আলম খান স্বাক্ষরিত আলাদা নোটিশে দুই শিক্ষকের শোকজসহ সাময়িক বরখাস্তের কথা জানানো হয়।
প্রভাষক শ্যামলী হোসেনকে দেয়া নোটিশে বলা হয় এডহক গভর্নিং বডির ১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ১৬৬তম (বর্তমান এডহক কমিটির দ্বিতীয়) সভার আলোচ্য বিষয় ১২ এর সিদ্ধান্তের আলোকে আপনার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা ও অসদাচরণ অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ১ এপ্রিল হতে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
এছাড়াও আপনার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে সুস্পষ্ট লিখিত জবাব পত্র প্রাপ্তির পরবর্তী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে উপস্থাপন করার জন্য বলা হলো। ১ এপ্রিল হতে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সাময়িক বরখাস্ত করার কারণে বিধি মোতাবেক বেতন ভাতাদি প্রদানের জন্য হিসাব শাখাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়।
শাখা প্রধান ইমেলদা হোসেনকেও একইধরণের বরখাস্তের নোটিশ দেয়া হয়। স্কুলে বরখাস্ত হওয়া দুই শিক্ষকের অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা প্রসঙ্গে জানতে অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আ.ন.ম. শামসুল আলম খানের মোবাইলে যোগাযোগ করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের মহাসচিব জাকির হোসেন বলেন, আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ চাই। ফ্যাসিবাদের দোসররা সেটা প্রতিষ্ঠা হোক চায় না। সেজন্য পতিত ফ্যাসিবাদী সরকারের দুর্নীতিবাজ কেবিনেট সচিব কবির বিন আনোয়ারের দুই বোন দুর্তীতির মাধ্যমের নিয়োগের অভিযোগে বরখাস্ত হলেও স্কুলে অস্থিরতা সৃষ্ট্ করছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর অবস্থান থাকবে।
Ad
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত