বিনোদন রিপোর্টার
গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় দলটির পক্ষে ফ্যাসিবাদী সুরে কথা বলার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন দেশের নাটক-চলচ্চিত্রাঙ্গনের কয়েকটি পরিচিত মুখ। এদের বেশিরভাগই মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তারা সামাজিক মাধ্যমে বর্তমান সরকার ও ছাত্রসমন্বয়কদের সমালোচনায় মুখর। কেউ ইনিয়ে-বিনিয়ে, কেউ সরাসরি কথা বলছেন ফ্যাসিবাদের পক্ষে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের শুরু থেকে সমালোচনা ও কটাক্ষে মুখর অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। সম্প্রতি তার একটি পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে।
অমর একুশে বইমেলায় হাসিনার গ্রাফিতি সম্বলিত ডাস্টবিনে সরকারের প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলমের ময়লা ফেলার ছবির স্ক্রিনশট পোস্ট করেন প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী শাওন। ডাস্টবিনে শেখ হাসিনার ছবির নিন্দা জানিয়ে পোস্টে লেখেন, ‘ভাগ্যিস এই দৃশ্য দেখার জন্য হুমায়ুন আহমেদ নেই।’ সেই পোস্টে এক হুমায়ূন ভক্ত লিখেছেন, ‘হুমায়ুন আহমেদ থাকলে অবশ্যই বইমেলার পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য কিছু ময়লা এই ডাস্টবিনে ফেলতেন। তিনি জানেন, বন্যেরা বনে সুন্দর আর আবর্জনা ডাস্টবিনে।’
সম্প্রতি নারী ফুটবলারদের কটূক্তির সংবাদ শেয়ার করতে গিয়ে গণঅভ্যুত্থানকে কটাক্ষ করেন এই গায়িকা, অভিনেত্রী। গত বছরের নভেম্বরে ছাত্র আন্দোলনকে কটাক্ষ করে লেখেন, ‘ছাত্রনং অধ্যয়নং তপঃ’ সংস্কৃত এই শ্লোকটি সংস্কার করে ‘ছাত্রনং আন্দোলনং তপঃ’ করা এখন সময়ের দাবি। অক্টোবরে খুনের মামলায় আটক আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূরের জন্মদিনে একটি ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘আপনার মতো একজন মানুষের সঙ্গে অন্যায় হবে কখনো ভাবিনি! তবুও আশা… আপনি যেন ন্যায়বিচার পান।’ পুলিশ দিয়ে বিরোধী পক্ষের কর্মী খুনের মাস্টারমাইন্ড বলে একাধিক সংবাদ প্রচারিত হয়েছিল আসাদুজ্জামান নূরের নামে। অভিনেত্রী শাওনের ভাষায় খুনিকে গ্রেপ্তার করা ‘অন্যায়’।
মেহের আফরোজ শাওনের মতো বড় পর্দার আরেক অভিনেত্রী, নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হওয়া মাহিয়া মাহি সরকারের সমালোচনা ও কটাক্ষ করতে নিজেকে ব্যস্ত রাখছেন। শনিবার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলমের হাসিনা ডাস্টবিনে ময়লা ফেলার ছবি পোস্ট করে মাহি লিখেছেন, ‘ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না কী বলব? সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন গোটা কয়েক রাগের ইমো। আরেক চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ছবি পোস্ট করে মাহি লিখেছেন, ‘হাইরে বাকস্বাধীনতা।’ এই পোস্টেও জুড়ে দিয়েছেন বেশ কয়েকটা রাগের ইমো। দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলার খবর শেয়ার করেও ইমোসহ মনের রাগ ঝেড়েছেন এই নায়িকা। নভেম্বরে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ‘হায় বাংলাদেশ, এখানে কেউ নিরাপদ না, কেউ না।’ তবে কোন ঘটনা ইঙ্গিত করে এই পোস্ট তা লেখেননি।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে না পাওয়া অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী তার ফেসবুক ব্যবহারই করেন রাজনৈতিক প্রচারে। কখনো গোপনে স্লোগান লেখার ভিডিও পোস্ট করছেন, কখনো বইমেলা বয়কট করার আহ্বান দিচ্ছেন, কখনো প্রকৃতির হাতে বিচার দিচ্ছেন। এই সরকারকে অবৈধ বলার পাশাপাশি সরকারবিরোধী নানা প্রচারণায় সরব প্রাচীর ফেসবুক। সমন্বয়কদের হুমকি এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)কে কটাক্ষ করার পোস্ট তার টাইমলাইনে।
অভিনয়ে খুব বেশি প্রভাব রাখতে না পারলেও অভিনেত্রী দ্বীপান্বিতা মার্টিন ফেসবুকে সরব ফ্যাসিবাদের পক্ষে। দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের পাশে থাকার ক্রেডিট নিতে তিনি এসব করছেন বলেও এক পোস্টে উল্লেখ করেছেন। দ্বীপান্বিতার ভাষায় জুলাই ‘জঙ্গি ও মৌলবাদের গণঅভ্যুত্থান’। ‘বঙ্গোপসাগরেও সমন্বয়কদের জায়গা হবে না’ বলে হুমকি দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। নাস্তিক মুফাস্সির ইসলামের ভিডিও শেয়ার করে দ্বীপান্বিতা লেখেন, ‘আমি মনে করি তিন দিকে ভারতের বর্ডার। একদিকে এখন আরাকান বাহিনী। ফলে এদের জন্য বঙ্গোপসাগর ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই। অন্য দেশও এদের নেবে না। সব বাদ দিয়ে সাঁতার শেখা শুরু কর তোরা।’
গত ২৪ জানুয়ারি এই অভিনেত্রী ভারতীয় মিডিয়ার সঙ্গে গলা মিলিয়ে একটি ভুয়া পদত্যাগপত্র পোস্ট করে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুজব ছড়ান।
‘আলো আসবেই’ নামের কুখ্যাত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাক্টিভ দুই অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী ও অরুণা বিশ্বাসকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে লাইভ করেছেন দ্বীপান্বিতা। যেই অরুণা বিশ্বাস আন্দোলনরত ছাত্রদের উপর গরম পানি ঢালার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সমন্বায়ক সারজিস আলমের পদত্যাগের ভুয়া খবরসহ অসংখ্য মিথ্যা ও গুজবে ভরপুর দ্বীপান্বিতার ফেসবুক আইডি।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর কুখ্যাত ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের কথা সামনে আসে। ওই গ্রুপের বেশিরভাগ সদস্য আত্মগোপনে গেলেও নিজের ফেসবুকে সক্রিয় চিত্র নায়িকা সোহানা সাবা।
সোহানা সাবা গত ১৪ জানুয়ারি ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ছবি পোস্ট করেন। ছবিতে দেখা যায় ক্যামেরার সামনে কথা বলছেন শেখ হাসিনা। ছবিতে লেখা, একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার প্রদান করছেন বাংলাদেশের সাংবিধানিক ও বৈধ প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদায় ভারতে অবস্থানরত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবিটি শেয়ার করে সোহানা সাবা লিখেছেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কলম ভেঙে ফেলব আজ!!
সাবাড় শেয়ার করা ছবিতে শেখ হাসিনার অনুরাগীরা আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তবে ফ্যাক্ট চেক করে দেখা যায়, শেখ হাসিনার এ ছবিটি বহু পুরোনো। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক কোনো গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার খবরটি আওয়ামী লীগের গুজব সেলের প্রচার করা একটি গুজব।
১৪ জানুয়ারি আরেকটি মিথ্যা তথ্যসম্বলিত পোস্ট করতে দেখা যায় সোহানা সাবাকে। সাবা লিখেছেন, অমর্ত্য সেনের সে বিখ্যাত কথাগুলো কেন জানি দু-দিন ধরে খুব জ্বালাচ্ছে আমাকে। খাদ্যের অভাবে দুর্ভিক্ষ হয় না, দুর্ভিক্ষ হয় ক্রয়ক্ষমতার অভাবে। এ দেশের সাধারণ মানুষের, বিশেষত গরিব শ্রেণির ক্রয়ক্ষমতা আর কতদিন থাকবে, কে জানে! লক্ষণ কিন্তু ভালো না।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতা প্রমাণ করতে নোবেল জয়ী ড. অমর্ত্য সেনের যে বক্তব্য সাবা পোস্ট করেছেন তার অর্ধেক সত্য, বাকি অর্ধেক সোহানার মনগড়া প্রপাগান্ডা। ‘খাদ্যের অভাবে দুর্ভিক্ষ হয় না, দুর্ভিক্ষ হয় ক্রয়ক্ষমতার অভাবে।’ এমন কোনো কথা অমর্ত্য সেন বলেননি। তিনি বলেছেন, ‘খাদ্যের অভাবে দুর্ভিক্ষ হয় না, দুর্ভিক্ষ হয় ব্যবস্থাপনার অভাবে।’ ‘ব্যবস্থাপনা’ আর ‘ক্রয়ক্ষমতা’ শব্দ দুটির পার্থক্য বুঝতে না পারার কথা না এ অভিনেত্রীর। তিনি ইচ্ছা করেই মিথ্যা কোটেশন ছড়িয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন।
গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় দলটির পক্ষে ফ্যাসিবাদী সুরে কথা বলার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন দেশের নাটক-চলচ্চিত্রাঙ্গনের কয়েকটি পরিচিত মুখ। এদের বেশিরভাগই মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তারা সামাজিক মাধ্যমে বর্তমান সরকার ও ছাত্রসমন্বয়কদের সমালোচনায় মুখর। কেউ ইনিয়ে-বিনিয়ে, কেউ সরাসরি কথা বলছেন ফ্যাসিবাদের পক্ষে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের শুরু থেকে সমালোচনা ও কটাক্ষে মুখর অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। সম্প্রতি তার একটি পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে।
অমর একুশে বইমেলায় হাসিনার গ্রাফিতি সম্বলিত ডাস্টবিনে সরকারের প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলমের ময়লা ফেলার ছবির স্ক্রিনশট পোস্ট করেন প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী শাওন। ডাস্টবিনে শেখ হাসিনার ছবির নিন্দা জানিয়ে পোস্টে লেখেন, ‘ভাগ্যিস এই দৃশ্য দেখার জন্য হুমায়ুন আহমেদ নেই।’ সেই পোস্টে এক হুমায়ূন ভক্ত লিখেছেন, ‘হুমায়ুন আহমেদ থাকলে অবশ্যই বইমেলার পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য কিছু ময়লা এই ডাস্টবিনে ফেলতেন। তিনি জানেন, বন্যেরা বনে সুন্দর আর আবর্জনা ডাস্টবিনে।’
সম্প্রতি নারী ফুটবলারদের কটূক্তির সংবাদ শেয়ার করতে গিয়ে গণঅভ্যুত্থানকে কটাক্ষ করেন এই গায়িকা, অভিনেত্রী। গত বছরের নভেম্বরে ছাত্র আন্দোলনকে কটাক্ষ করে লেখেন, ‘ছাত্রনং অধ্যয়নং তপঃ’ সংস্কৃত এই শ্লোকটি সংস্কার করে ‘ছাত্রনং আন্দোলনং তপঃ’ করা এখন সময়ের দাবি। অক্টোবরে খুনের মামলায় আটক আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূরের জন্মদিনে একটি ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘আপনার মতো একজন মানুষের সঙ্গে অন্যায় হবে কখনো ভাবিনি! তবুও আশা… আপনি যেন ন্যায়বিচার পান।’ পুলিশ দিয়ে বিরোধী পক্ষের কর্মী খুনের মাস্টারমাইন্ড বলে একাধিক সংবাদ প্রচারিত হয়েছিল আসাদুজ্জামান নূরের নামে। অভিনেত্রী শাওনের ভাষায় খুনিকে গ্রেপ্তার করা ‘অন্যায়’।
মেহের আফরোজ শাওনের মতো বড় পর্দার আরেক অভিনেত্রী, নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হওয়া মাহিয়া মাহি সরকারের সমালোচনা ও কটাক্ষ করতে নিজেকে ব্যস্ত রাখছেন। শনিবার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলমের হাসিনা ডাস্টবিনে ময়লা ফেলার ছবি পোস্ট করে মাহি লিখেছেন, ‘ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না কী বলব? সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন গোটা কয়েক রাগের ইমো। আরেক চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ছবি পোস্ট করে মাহি লিখেছেন, ‘হাইরে বাকস্বাধীনতা।’ এই পোস্টেও জুড়ে দিয়েছেন বেশ কয়েকটা রাগের ইমো। দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলার খবর শেয়ার করেও ইমোসহ মনের রাগ ঝেড়েছেন এই নায়িকা। নভেম্বরে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ‘হায় বাংলাদেশ, এখানে কেউ নিরাপদ না, কেউ না।’ তবে কোন ঘটনা ইঙ্গিত করে এই পোস্ট তা লেখেননি।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে না পাওয়া অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী তার ফেসবুক ব্যবহারই করেন রাজনৈতিক প্রচারে। কখনো গোপনে স্লোগান লেখার ভিডিও পোস্ট করছেন, কখনো বইমেলা বয়কট করার আহ্বান দিচ্ছেন, কখনো প্রকৃতির হাতে বিচার দিচ্ছেন। এই সরকারকে অবৈধ বলার পাশাপাশি সরকারবিরোধী নানা প্রচারণায় সরব প্রাচীর ফেসবুক। সমন্বয়কদের হুমকি এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)কে কটাক্ষ করার পোস্ট তার টাইমলাইনে।
অভিনয়ে খুব বেশি প্রভাব রাখতে না পারলেও অভিনেত্রী দ্বীপান্বিতা মার্টিন ফেসবুকে সরব ফ্যাসিবাদের পক্ষে। দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের পাশে থাকার ক্রেডিট নিতে তিনি এসব করছেন বলেও এক পোস্টে উল্লেখ করেছেন। দ্বীপান্বিতার ভাষায় জুলাই ‘জঙ্গি ও মৌলবাদের গণঅভ্যুত্থান’। ‘বঙ্গোপসাগরেও সমন্বয়কদের জায়গা হবে না’ বলে হুমকি দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। নাস্তিক মুফাস্সির ইসলামের ভিডিও শেয়ার করে দ্বীপান্বিতা লেখেন, ‘আমি মনে করি তিন দিকে ভারতের বর্ডার। একদিকে এখন আরাকান বাহিনী। ফলে এদের জন্য বঙ্গোপসাগর ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই। অন্য দেশও এদের নেবে না। সব বাদ দিয়ে সাঁতার শেখা শুরু কর তোরা।’
গত ২৪ জানুয়ারি এই অভিনেত্রী ভারতীয় মিডিয়ার সঙ্গে গলা মিলিয়ে একটি ভুয়া পদত্যাগপত্র পোস্ট করে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুজব ছড়ান।
‘আলো আসবেই’ নামের কুখ্যাত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাক্টিভ দুই অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী ও অরুণা বিশ্বাসকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে লাইভ করেছেন দ্বীপান্বিতা। যেই অরুণা বিশ্বাস আন্দোলনরত ছাত্রদের উপর গরম পানি ঢালার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সমন্বায়ক সারজিস আলমের পদত্যাগের ভুয়া খবরসহ অসংখ্য মিথ্যা ও গুজবে ভরপুর দ্বীপান্বিতার ফেসবুক আইডি।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর কুখ্যাত ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের কথা সামনে আসে। ওই গ্রুপের বেশিরভাগ সদস্য আত্মগোপনে গেলেও নিজের ফেসবুকে সক্রিয় চিত্র নায়িকা সোহানা সাবা।
সোহানা সাবা গত ১৪ জানুয়ারি ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ছবি পোস্ট করেন। ছবিতে দেখা যায় ক্যামেরার সামনে কথা বলছেন শেখ হাসিনা। ছবিতে লেখা, একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার প্রদান করছেন বাংলাদেশের সাংবিধানিক ও বৈধ প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদায় ভারতে অবস্থানরত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবিটি শেয়ার করে সোহানা সাবা লিখেছেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কলম ভেঙে ফেলব আজ!!
সাবাড় শেয়ার করা ছবিতে শেখ হাসিনার অনুরাগীরা আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তবে ফ্যাক্ট চেক করে দেখা যায়, শেখ হাসিনার এ ছবিটি বহু পুরোনো। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক কোনো গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার খবরটি আওয়ামী লীগের গুজব সেলের প্রচার করা একটি গুজব।
১৪ জানুয়ারি আরেকটি মিথ্যা তথ্যসম্বলিত পোস্ট করতে দেখা যায় সোহানা সাবাকে। সাবা লিখেছেন, অমর্ত্য সেনের সে বিখ্যাত কথাগুলো কেন জানি দু-দিন ধরে খুব জ্বালাচ্ছে আমাকে। খাদ্যের অভাবে দুর্ভিক্ষ হয় না, দুর্ভিক্ষ হয় ক্রয়ক্ষমতার অভাবে। এ দেশের সাধারণ মানুষের, বিশেষত গরিব শ্রেণির ক্রয়ক্ষমতা আর কতদিন থাকবে, কে জানে! লক্ষণ কিন্তু ভালো না।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতা প্রমাণ করতে নোবেল জয়ী ড. অমর্ত্য সেনের যে বক্তব্য সাবা পোস্ট করেছেন তার অর্ধেক সত্য, বাকি অর্ধেক সোহানার মনগড়া প্রপাগান্ডা। ‘খাদ্যের অভাবে দুর্ভিক্ষ হয় না, দুর্ভিক্ষ হয় ক্রয়ক্ষমতার অভাবে।’ এমন কোনো কথা অমর্ত্য সেন বলেননি। তিনি বলেছেন, ‘খাদ্যের অভাবে দুর্ভিক্ষ হয় না, দুর্ভিক্ষ হয় ব্যবস্থাপনার অভাবে।’ ‘ব্যবস্থাপনা’ আর ‘ক্রয়ক্ষমতা’ শব্দ দুটির পার্থক্য বুঝতে না পারার কথা না এ অভিনেত্রীর। তিনি ইচ্ছা করেই মিথ্যা কোটেশন ছড়িয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন।
গত মাসের শেষদিকে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ‘রিকশা গার্ল’ নামের সিনেমা। সিনেমাটিতে একজন রিকশাচালকের সংগ্রাম ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যে কারণে এবার রিকশাচালকদের জন্য বিশেষ শো’র উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের প্লেব্যাকে জনপ্রিয় নাম খান আসিফুর রহমান আগুন, যিনি আগুন হিসেবে পরিচিত। এ পর্যন্ত চলচ্চিত্রে গান গেয়েছেন প্রায় তিন হাজারের মতো। ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ চলচ্চিত্রে গান গাওয়ার মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রের গানে অভিষেক হয়।
২ দিন আগেসম্প্রতি ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে বাঁধন সরকার পূজার নতুন গান ‘এক জনমে হাজার মরণ’। গানটি লিখেছেন রাকিব হাসান রাহুল, সুর-সংগীত করেছেন অদিত রহমান। ভিডিও নির্মাণ করেছেন সৈকত নাসির।
৩ দিন আগেদুই অভিনেত্রীকে ডিবি কার্যালয়ে আনার পর থেকে গোয়েন্দারা তাদের রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রসহ বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। ষড়যন্ত্রে লিপ্ত না হওয়ার হুঁশিয়ার দিয়ে তাদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
৩ দিন আগে