বিনোদন রিপোর্টার
‘প্রাত্যহিক জীবনের প্রতি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য’- ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটি কর্তৃক ‘স্পেশাল মেনশন এওয়ার্ড’ (জুরি) জিতেছে বাংলাদেশি সিনেমা ‘মাস্তুল’। মস্কোর স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে নির্মাতা মোহাম্মদ নূরুজ্জামানের হাতে এই প্রশংসাপত্র তুলে দেয় ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটি কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত সোয়া ৮টায় বসছে মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ৪৭তম আসরের সমাপনী অনুষ্ঠান। তার আগে সকালে হয়ে গেল ‘ফার্স্ট প্রাইজ’ সেরিমনি। যেখানে স্পেশাল মেনশন এওয়ার্ড জিতল ‘মাস্তুল’।
মস্কো থেকে নির্মাতা এ বিষয়ে বলেন, ‘মস্কোতে ‘মাস্তুল’-এর প্রিমিয়ারে ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছি। বিভিন্ন দেশের সাধারণ দর্শক থেকে ফিল্ম ক্রিটিক, সাংবাদিকরা সিনেমাটি নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। ‘মাস্তুল’ নিয়ে এতো মানুষের আগ্রহই আমার কাছে বড় প্রাপ্তি বলে মনে হয়েছে। এর মধ্যে ফার্স্ট প্রাইজ সেরিমনিতে ‘ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটি’ কর্তৃক ‘স্পেশাল মেনশন’ পাওয়া সন্দেহাতীতভাবে ‘মাস্তুল’-এর জন্য বিশেষ অর্জন!’
পুরস্কার প্রদানের মধ্য দিয়ে ৪৭তম মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা নামল বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ‘মাস্তুল’ চমক দেখাতে পারবে কিনা, এমন প্রশ্নে নির্মাতা বলেন, “আসলে মস্কোর এমন প্রেস্টিজিয়াস উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে যখন ‘মাস্তুল’ নির্বাচিত হওয়ার খবর পেয়েছিলাম, সেটাই ছিল আমার জন্য বড় চমক। তার উপর মস্কোতে মানুষ ছবিটি দেখেছে, প্রশংসা করেছেÑ অন্য একটা স্বাধীন সংগঠনের তরফে ‘স্পেশাল মেনশন’ও পেলাম, আর কী চাই!”
বিশ্বের দ্বিতীয় প্রাচীনতম চলচ্চিত্র উৎসব হিসেবে খ্যাত মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এর আগে এই উৎসবে অংশ নিয়ে পুরস্কৃত হয় আদিম নামের একটি বাংলা সিনেমা। এবার ৯০ বছরের পুরোনো এই উৎসবের চলমান ৪৭তম আসরে পুরস্কার ও ভূয়সী প্রশংসা পেল বাংলাদেশি ছবি ‘মাস্তুল’। এর আগে, গত মঙ্গলবার মস্কোতে হয়েছে ‘মাস্তুল’-এর বিশ্ব প্রিমিয়ার। যেখানে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ফিল্ম ক্রিটিক থেকে সাধারণ দর্শকরা উপস্থিত ছিলেন। মাস্তুল-এর এই বিশ্ব প্রিমিয়ারে দর্শক সারিতে ছিলেন সিনেমার নির্মাতা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান,চিত্রগ্রাহক আরিফুজ্জামান এবং ‘মাস্তুল’ প্রধান দুই অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু ও দীপক সুমন। সিনেমাটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী শেষে টিম মাস্তুলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছায় ভাসিয়ে দেন দর্শকরা। পরে সিনেমাটির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানতে চান ফিল্ম ক্রিটিক থেকে সমঝদার দর্শকরাও। মস্কোর মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে টানা কয়েক বছর ধরেই নিয়মিত যাচ্ছে বাংলাদেশি সিনেমা। এর মধ্যে আদিমসহ পুরস্কৃত হয়েছে নির্বাণ নামের একটি ছবিও। তবে টিম মাস্তুলের সদস্যরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে মস্কোর দর্শকদের কাছ থেকে যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন, তার চেয়ে বড় পুরস্কার আর কিছু হতে পারে না! দর্শক ও ফিল্ম ক্রিটিকদের কাছ থেকে এমন ভালোবাসায় মুগ্ধ ছবির প্রধান দুই অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু এবং দীপক সুমন।
নিজের অভিনীত ছবি নিয়ে মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে উপস্থিত হতে পারায় ‘ভাগ্যবান’ বলে মন্তব্য করে বাবু বলেন, ‘মস্কোর মতো এতো বড় উৎসবে হাজির হতে পারা যে কারো জন্যই সৌভাগ্যের, আমি নিজের অভিনীত কাজ দিয়ে এই উৎসবে হাজির হতে পারায় সৌভাগ্যবান মনে করছি। এই ছবিতে সুযোগ পাওয়াকেও আমি সৌভাগ্যের মনে করি।’
গুণী এই অভিনেতা আরো বলেন, ‘মস্কোর মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে ঠাঁই করে নেওয়া শুধু মাস্তুল টিমের জন্য নয়, পুরো বাংলাদেশ এবং স্বাধীনধারার চলচ্চিত্রকর্মীদের জন্য বিশেষ গর্বের’।
অভিনেতা দীপক সুমন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘মাস্তুল-এর বদৌলতে মস্কোতে আসা আমার জন্য বিশেষ গর্বের। ছবিটির উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে দর্শকের যে প্রতিক্রিয়া দেখেছি, সেটা আমার জন্য অভাবনীয়’। তিনি বলেন, ‘দর্শক এতো নিখুঁতভাবে সবকিছু অবজার্ভ করেছেন, সেটা দেখে আমি বিস্মিত হয়েছি’। একজন ভিনদেশি দর্শকতো আমাকে জিজ্ঞেসই করে ফেললেন যে, ‘আমি সত্যি সত্যি জাহাজে জব করি কিনা!’ দর্শক এবং ক্রিটিকদের এমন ভাবনা নিঃসন্দেহে আমার জন্য বড় প্রাপ্তির।
চিত্রগ্রাহক আরিফুজ্জামানও দর্শকের নিখুঁত পর্যবেক্ষণ দেখে রীতিমত বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, মস্কোতে এসে একটা জিনিস দেখেছি, সবাই অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে সিনেমা দেখেন। আমাদের ‘মাস্তুল’ ছবিটি সিনেবোদ্ধা থেকে সাধারণ দর্শক এতো মনোযোগ দিয়ে দেখবেন, সেটা ‘মিট দ্য প্রেস’-এ জার্নালিস্ট এবং ক্রিটিকদের প্রশ্নে টের পেয়েছি। সবাই সিনেমাটির এতো খুঁটিনাটি জিজ্ঞেস করছিলেন, এটাতে আমি এচিভমেন্ট বলেই মনে করি।
২১ এপ্রিল মস্কোতে পা রাখার পর থেকেই উৎসব আয়োজকদের ‘মিট দ্য প্রেস’ কিংবা টিভি সাক্ষাৎকার থেকে উদ্বোধনী প্রদর্শনী শেষে দর্শকদের মুখোমুখি এবং পরে তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেওয়ার কাজটি একাগ্রতার সঙ্গে করে যাচ্ছেন নির্মাতা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। এর আগে এই উৎসবে তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন ‘আদিম’ নিয়ে যে ছবির সহপ্রযোজক ছিলেন তিনি। কিন্তু এবার গেছেন নিজের নির্মিত সিনেমা নিয়ে। অভিজ্ঞতাও তাই ভিন্ন।
নূরুজ্জামান বলেন, “আমার সবচেয়ে যে বিষয়টি তৃপ্তির লেগেছে, সেটা হলো উৎসবের প্রজেকশন সিস্টেম! এতো দারুণ স্ক্রিন, এতো বিশাল- সেই সঙ্গে সাউন্ডসহ টেকনিক্যাল সব বিষয়ে ভীষণ তৃপ্তি পেয়েছি ‘মাস্তুল’-এর প্রিমিয়ারে। দীর্ঘদিন দক্ষিণ ভারতে থেকে এই সিনেমার সাউন্ডের কাজ করেছি, মস্কোতে ‘মাস্তুল’-এর প্রিমিয়ারে সাউন্ডের যে ডেলিভারি দেখেছি, মনে হয়েছে পরিশ্রম সার্থক! মস্কোতে ‘মাস্তুল’-এর প্রিমিয়ারে শুধু ভিনদেশি দর্শকই নয়, উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী বাঙালিদের অনেকে। তারা সিনেমাটি দেখে বলেছেন-সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, মানবিক আবেগ ও বাস্তবতাকে ছুঁয়ে যাওয়া এই সিনেমা মস্কোর দর্শকদের হৃদয় জয় করতে সক্ষম হয়েছে। মস্কোর সমালোচকরা ‘মাস্তুল’-এর গল্প, নির্মাণশৈলী ও অভিনয়কে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। অনেক দর্শকই মন্তব্য করেছেন, সিনেমাটি শুধু একটি দেশের গল্প নয়— এটি একটি সার্বজনীন মানবিক ভাষা, যা যে কোনো সংস্কৃতির মানুষকেই নাড়া দিতে সক্ষম।”
সিনেমার চিত্রগ্রহণ, আবহসংগীত ও সংলাপ মস্কোর চলচ্চিত্রবোদ্ধাদের মন জয় করে নিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তারা। এই অর্জন শুধু ‘মাস্তুল’ সিনেমার নয়, বরং এটি পুরো বাংলাদেশি চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য এক গৌরবময় মুহূর্ত। মস্কোর এই উচ্ছ্বসিত সাড়া প্রমাণ করে, ভালো গল্প এবং দক্ষ নির্মাণশৈলী থাকলে ভাষা বা ভৌগোলিক সীমা কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। ‘মাস্তুল’ সেই সীমা অতিক্রম করে এখন বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরছে। নির্মাতা জানিয়েছেন, পুরস্কার ঘোষণার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার পর্দা নামছে মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবের। আর এদিন স্থানীয় সময় রাতে রয়েছে ‘মাস্তুল’-এর আরো একটি প্রদর্শনী। আজ ২৬ এপ্রিল মাস্তুল টিমের ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
‘প্রাত্যহিক জীবনের প্রতি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য’- ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটি কর্তৃক ‘স্পেশাল মেনশন এওয়ার্ড’ (জুরি) জিতেছে বাংলাদেশি সিনেমা ‘মাস্তুল’। মস্কোর স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে নির্মাতা মোহাম্মদ নূরুজ্জামানের হাতে এই প্রশংসাপত্র তুলে দেয় ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটি কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত সোয়া ৮টায় বসছে মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ৪৭তম আসরের সমাপনী অনুষ্ঠান। তার আগে সকালে হয়ে গেল ‘ফার্স্ট প্রাইজ’ সেরিমনি। যেখানে স্পেশাল মেনশন এওয়ার্ড জিতল ‘মাস্তুল’।
মস্কো থেকে নির্মাতা এ বিষয়ে বলেন, ‘মস্কোতে ‘মাস্তুল’-এর প্রিমিয়ারে ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছি। বিভিন্ন দেশের সাধারণ দর্শক থেকে ফিল্ম ক্রিটিক, সাংবাদিকরা সিনেমাটি নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। ‘মাস্তুল’ নিয়ে এতো মানুষের আগ্রহই আমার কাছে বড় প্রাপ্তি বলে মনে হয়েছে। এর মধ্যে ফার্স্ট প্রাইজ সেরিমনিতে ‘ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটি’ কর্তৃক ‘স্পেশাল মেনশন’ পাওয়া সন্দেহাতীতভাবে ‘মাস্তুল’-এর জন্য বিশেষ অর্জন!’
পুরস্কার প্রদানের মধ্য দিয়ে ৪৭তম মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা নামল বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ‘মাস্তুল’ চমক দেখাতে পারবে কিনা, এমন প্রশ্নে নির্মাতা বলেন, “আসলে মস্কোর এমন প্রেস্টিজিয়াস উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে যখন ‘মাস্তুল’ নির্বাচিত হওয়ার খবর পেয়েছিলাম, সেটাই ছিল আমার জন্য বড় চমক। তার উপর মস্কোতে মানুষ ছবিটি দেখেছে, প্রশংসা করেছেÑ অন্য একটা স্বাধীন সংগঠনের তরফে ‘স্পেশাল মেনশন’ও পেলাম, আর কী চাই!”
বিশ্বের দ্বিতীয় প্রাচীনতম চলচ্চিত্র উৎসব হিসেবে খ্যাত মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এর আগে এই উৎসবে অংশ নিয়ে পুরস্কৃত হয় আদিম নামের একটি বাংলা সিনেমা। এবার ৯০ বছরের পুরোনো এই উৎসবের চলমান ৪৭তম আসরে পুরস্কার ও ভূয়সী প্রশংসা পেল বাংলাদেশি ছবি ‘মাস্তুল’। এর আগে, গত মঙ্গলবার মস্কোতে হয়েছে ‘মাস্তুল’-এর বিশ্ব প্রিমিয়ার। যেখানে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ফিল্ম ক্রিটিক থেকে সাধারণ দর্শকরা উপস্থিত ছিলেন। মাস্তুল-এর এই বিশ্ব প্রিমিয়ারে দর্শক সারিতে ছিলেন সিনেমার নির্মাতা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান,চিত্রগ্রাহক আরিফুজ্জামান এবং ‘মাস্তুল’ প্রধান দুই অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু ও দীপক সুমন। সিনেমাটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী শেষে টিম মাস্তুলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছায় ভাসিয়ে দেন দর্শকরা। পরে সিনেমাটির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানতে চান ফিল্ম ক্রিটিক থেকে সমঝদার দর্শকরাও। মস্কোর মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে টানা কয়েক বছর ধরেই নিয়মিত যাচ্ছে বাংলাদেশি সিনেমা। এর মধ্যে আদিমসহ পুরস্কৃত হয়েছে নির্বাণ নামের একটি ছবিও। তবে টিম মাস্তুলের সদস্যরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে মস্কোর দর্শকদের কাছ থেকে যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন, তার চেয়ে বড় পুরস্কার আর কিছু হতে পারে না! দর্শক ও ফিল্ম ক্রিটিকদের কাছ থেকে এমন ভালোবাসায় মুগ্ধ ছবির প্রধান দুই অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু এবং দীপক সুমন।
নিজের অভিনীত ছবি নিয়ে মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে উপস্থিত হতে পারায় ‘ভাগ্যবান’ বলে মন্তব্য করে বাবু বলেন, ‘মস্কোর মতো এতো বড় উৎসবে হাজির হতে পারা যে কারো জন্যই সৌভাগ্যের, আমি নিজের অভিনীত কাজ দিয়ে এই উৎসবে হাজির হতে পারায় সৌভাগ্যবান মনে করছি। এই ছবিতে সুযোগ পাওয়াকেও আমি সৌভাগ্যের মনে করি।’
গুণী এই অভিনেতা আরো বলেন, ‘মস্কোর মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে ঠাঁই করে নেওয়া শুধু মাস্তুল টিমের জন্য নয়, পুরো বাংলাদেশ এবং স্বাধীনধারার চলচ্চিত্রকর্মীদের জন্য বিশেষ গর্বের’।
অভিনেতা দীপক সুমন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘মাস্তুল-এর বদৌলতে মস্কোতে আসা আমার জন্য বিশেষ গর্বের। ছবিটির উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে দর্শকের যে প্রতিক্রিয়া দেখেছি, সেটা আমার জন্য অভাবনীয়’। তিনি বলেন, ‘দর্শক এতো নিখুঁতভাবে সবকিছু অবজার্ভ করেছেন, সেটা দেখে আমি বিস্মিত হয়েছি’। একজন ভিনদেশি দর্শকতো আমাকে জিজ্ঞেসই করে ফেললেন যে, ‘আমি সত্যি সত্যি জাহাজে জব করি কিনা!’ দর্শক এবং ক্রিটিকদের এমন ভাবনা নিঃসন্দেহে আমার জন্য বড় প্রাপ্তির।
চিত্রগ্রাহক আরিফুজ্জামানও দর্শকের নিখুঁত পর্যবেক্ষণ দেখে রীতিমত বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, মস্কোতে এসে একটা জিনিস দেখেছি, সবাই অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে সিনেমা দেখেন। আমাদের ‘মাস্তুল’ ছবিটি সিনেবোদ্ধা থেকে সাধারণ দর্শক এতো মনোযোগ দিয়ে দেখবেন, সেটা ‘মিট দ্য প্রেস’-এ জার্নালিস্ট এবং ক্রিটিকদের প্রশ্নে টের পেয়েছি। সবাই সিনেমাটির এতো খুঁটিনাটি জিজ্ঞেস করছিলেন, এটাতে আমি এচিভমেন্ট বলেই মনে করি।
২১ এপ্রিল মস্কোতে পা রাখার পর থেকেই উৎসব আয়োজকদের ‘মিট দ্য প্রেস’ কিংবা টিভি সাক্ষাৎকার থেকে উদ্বোধনী প্রদর্শনী শেষে দর্শকদের মুখোমুখি এবং পরে তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেওয়ার কাজটি একাগ্রতার সঙ্গে করে যাচ্ছেন নির্মাতা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। এর আগে এই উৎসবে তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন ‘আদিম’ নিয়ে যে ছবির সহপ্রযোজক ছিলেন তিনি। কিন্তু এবার গেছেন নিজের নির্মিত সিনেমা নিয়ে। অভিজ্ঞতাও তাই ভিন্ন।
নূরুজ্জামান বলেন, “আমার সবচেয়ে যে বিষয়টি তৃপ্তির লেগেছে, সেটা হলো উৎসবের প্রজেকশন সিস্টেম! এতো দারুণ স্ক্রিন, এতো বিশাল- সেই সঙ্গে সাউন্ডসহ টেকনিক্যাল সব বিষয়ে ভীষণ তৃপ্তি পেয়েছি ‘মাস্তুল’-এর প্রিমিয়ারে। দীর্ঘদিন দক্ষিণ ভারতে থেকে এই সিনেমার সাউন্ডের কাজ করেছি, মস্কোতে ‘মাস্তুল’-এর প্রিমিয়ারে সাউন্ডের যে ডেলিভারি দেখেছি, মনে হয়েছে পরিশ্রম সার্থক! মস্কোতে ‘মাস্তুল’-এর প্রিমিয়ারে শুধু ভিনদেশি দর্শকই নয়, উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী বাঙালিদের অনেকে। তারা সিনেমাটি দেখে বলেছেন-সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, মানবিক আবেগ ও বাস্তবতাকে ছুঁয়ে যাওয়া এই সিনেমা মস্কোর দর্শকদের হৃদয় জয় করতে সক্ষম হয়েছে। মস্কোর সমালোচকরা ‘মাস্তুল’-এর গল্প, নির্মাণশৈলী ও অভিনয়কে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। অনেক দর্শকই মন্তব্য করেছেন, সিনেমাটি শুধু একটি দেশের গল্প নয়— এটি একটি সার্বজনীন মানবিক ভাষা, যা যে কোনো সংস্কৃতির মানুষকেই নাড়া দিতে সক্ষম।”
সিনেমার চিত্রগ্রহণ, আবহসংগীত ও সংলাপ মস্কোর চলচ্চিত্রবোদ্ধাদের মন জয় করে নিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তারা। এই অর্জন শুধু ‘মাস্তুল’ সিনেমার নয়, বরং এটি পুরো বাংলাদেশি চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য এক গৌরবময় মুহূর্ত। মস্কোর এই উচ্ছ্বসিত সাড়া প্রমাণ করে, ভালো গল্প এবং দক্ষ নির্মাণশৈলী থাকলে ভাষা বা ভৌগোলিক সীমা কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। ‘মাস্তুল’ সেই সীমা অতিক্রম করে এখন বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরছে। নির্মাতা জানিয়েছেন, পুরস্কার ঘোষণার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার পর্দা নামছে মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবের। আর এদিন স্থানীয় সময় রাতে রয়েছে ‘মাস্তুল’-এর আরো একটি প্রদর্শনী। আজ ২৬ এপ্রিল মাস্তুল টিমের ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
ইসরাইল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে গাজায় প্রবেশের অনুমতি না দিলেও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে চলমান যুদ্ধ এ বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে গুরুত্বপূর্ণভাবে উপস্থিত থাকবে। উৎসবে প্রদর্শিত হবে একটি প্রামাণ্যচিত্র, যার নাম ‘পুট ইউর সোল অন ইউর হ্যান্ড অ্যান্ড ওয়াক’।
১ দিন আগেঈদুল ফিতরে মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ইউটিউব ফিল্ম ‘তোমাদের গল্প’ দর্শকদের কাঁদিয়েছে, আবেগপ্রবণ করেছে। এর চিত্রনাট্য লিখেছেন সিদ্দিক আহমেদ। এবার ঈদুল আজহার জন্য একসঙ্গে কাজ করলেন তারা। তাদের নতুন ইউটিউব ফিল্মের নাম রাখা হয়েছে ‘ক্ষতিপূরণ’।
৩ দিন আগেবাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। রাজনীতির দীর্ঘ পথচলায় গণতন্ত্র রক্ষায় আপসহীন নেত্রীর তকমা পেয়েছেন। হয়ে উঠেছেন দলের রাজনৈতিক আদর্শ। বিষয়গুলোকে উপজীব্য করে সম্প্রতি তৈরি হলো একটি বিশেষ গান।
৩ দিন আগেবর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে সংলাপের ডেলিভারি, শরীরী ভাষার স্বাতন্ত্র্য আর সাবলীল অভিনয় দিয়ে দর্শকমনে জায়গা করে নিয়েছেন মোশাররফ করিম। মোশাররফ করিম মানেই দুর্দান্ত ।
৪ দিন আগে