বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস আজ
আজাদুল আদনান
সাত বছর আগে দেশে ম্যালেরিয়া রোগীর যে চিত্র ছিল এখনো তা-ই রয়ে গেছে। এজন্য বাহকদের অসচেতনতাকে দায়ী করা হলেও নির্মূল কার্যক্রম নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। বছরের পর বছর ধরে কার্যক্রম চললেও নির্মূলে তেমন প্রভাব ফেলছে না। উল্টো নির্মূল হওয়া জেলায়ও সংক্রমণের নজির রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে এখনো ১৩ জেলায় ম্যালেরিয়ার উপস্থিতি রয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম বিভাগের তিন জেলা বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজারে। মোট রোগীর ৯২ ভাগই ভাগই এ তিন জেলার। সবেচেয়ে বেশি বান্দরবানে। স্বাভাবিক কার্যক্রমের অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের ট্রায়াল চালাচ্ছে সরকার। তবে সরকারের অপারেশন প্লান (ওপি) বন্ধ থাকায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে কর্মসূচিতে। প্রশিক্ষণ ছাড়াই কাজ করতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
এমন প্রেক্ষাপটে আজ শুক্রবার অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য-‘আমরাই করব ম্যালেরিয়া নির্মূল : নব উদ্যমে, নব বিনিয়োগে ও নব চিন্তায়’।
সাত বছর ধরে আক্রান্তের হার একই গতিতে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (ম্যালেরিয়া এডিসবাহিত রোগ) তথ্য বলছে, ২০১৮ সালে দেশে ম্যালেরিয়ার যে চিত্র ছিল, গত সাত বছরে তার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। উল্টো আগের সময়ের চেয়ে কার্যক্রম আরে জোরদার হলেও রোগী বেড়েছে। ২০১৮ সালে সারাদেশে ১০ হাজার ৫২৩ জন ম্যালেরিয়ার রোগী শনাক্ত হয়েছিল। সেখানে গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ১০০ জন। মাঝে করোনা মহামারির দুই বছরে ডায়াগনোসিস কম হওয়ায় রোগী কমে আসে। কিন্তু ২০২২ সাল থেকে আবারও পুরোনো রূপে ফেরে ভাইরাসটি।
৯২ ভাগই তিন জেলায়, বান্দরবানেই ষাট ভাগ
শুরু থেকেই পাহাড়ি অঞ্চলে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ ছিল সবচেয়ে বেশি। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। সমতলের বহু জেলায় নির্মূল করা সম্ভব হলেও অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না পাহাড়বেষ্টিত জেলাগুলোতে। মোট রোগীর ৯২ ভাগই বান্দরবান, রাঙামাটি ও কক্সবাজারে। এর মধ্যে ৬০ ভাগই বান্দরবানে। দুর্গম এলাকা হওয়ায় এ জেলার প্রতিটি উপজেলায় রোগী রয়েছে। এর মধ্যে সবেচেয়ে বেশি লামা, আলীকদম ও থানচি উপজেলায়। সেখানে ঠিকমতো ডায়াগনোসিস ও চিকিৎসা দিতে পারছেন না স্বাস্থ্যকর্মীরা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রোগী রাঙামাটিতে। এছাড়া ম্যালেরিয়ার উচ্চ সংক্রমিত এলাকা তালিকায় রয়েছেÑ কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামে। অন্যদিকে সংখ্যায় কম হলেও এখনো ম্যালেরিয়া রয়েছেÑ ময়মনসিংহ, শেরপুর, নেত্রকোনা, কুড়িগ্রাম, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও মৌলভিবাজারে।
শুধু সংক্রমণ নয়, শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা যায়নি প্রাণহানিও। সাত বছর আগে ২০১৮ সালে মৃতের সংখ্যা সাতজন ছিল। এরপর ক্রমান্বয়ে কমার চেয়ে কখনো বেড়েছে, কখনো কাছাকাছি ছিল। কমার ইতিহাস খুব একটা নেই। ২০২৩ সালের মতো গত বছরও ম্যালেরিয়ায় ভুগে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা কক্সবাজার ও বান্দরবানের বাসিন্দা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হোসাইন আমার দেশকে বলেন, ‘অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় নির্মূল কার্যক্রমে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আমরা ভেক্টর সার্ভিলেন্স করি। কোন জায়গায় বেশি তা চিহ্নিত করে আবাসস্থল ধ্বংসে সবধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সমস্যা হলো মানুষের সচেতনতার অভাবের পাশাপাশি দুর্গম এলাকায় কার্যক্রম চালানো অনেকটা কঠিন। এজন্য যারা বনের ভেতরে কাজ করে তাদের স্বেচ্ছাসেবক করে সেসব এলাকায় কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।’
বান্দরবানে চলছে ভ্যাকসিন ট্রায়াল
ম্যালেরিয়া নির্মূলে এখন পর্যন্ত সফল কোনো ভ্যাকসিন নেই। ২০২৩ সালে প্রথমবার ভ্যাকসিন প্রয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় গত বছর। কিন্তু রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। চলতি বছর বান্দরবানের ১০০টি গ্রামে টার্গেটেড রোগীকে ওষুধ খাওয়ানোর পাশাপাশি ভ্যাকসিন ট্রায়াল কার্যক্রমও চালাচ্ছে সরকার।
সরকারের ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. শ্যামল দাস বলেন, ‘গতানুগতিক কার্যক্রমে ম্যালেরিয়া নির্মূল সম্ভব না হওয়ায় আমরা কার্যক্রমে পরিবর্তন এনেছি। এজন্য সর্বোচ্চ রোগীর জেলা বান্দরবানের ১০০টি গ্রামকে বেছে নেওয়া হয়েছে, এগুলোকে ২৫টি করে চার ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগে টার্গেটকৃত রোগীকে দুই ডোজের ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে। দ্বিতীয় ভাগে চলছে ভ্যাকসিনেশন, তৃতীয় ভাগে ওষুধ এবং ভ্যাকসিন প্রদান এবং শেষভাগে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এই গবেষণায় যেটাতে সবচেয়ে বেশি সফলতা মিলবে, সে অনুযায়ী আক্রান্ত জেলাগুলোতে কর্মসূচি চালানো হবে।’
ওপি বন্ধের প্রভাব পড়ছে কার্যক্রমে
এদিকে ওপি বন্ধ হওয়ায় অন্যান্য কর্মসূচির পাশপাশি নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে ম্যালেরিয়া নির্মূল কার্যক্রমে। সিডিসির উপপরিচালক ডা. আশরাফুন নাহার বলেন, ‘যেহেতু ওপি প্ল্যান বন্ধ, তাই চারটি বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে কর্মসূচি চালিয়ে নিতে হচ্ছে। আগে সবাইকে নিয়ে যে প্রশিক্ষণ হতো, সেটি এখন হচ্ছে না। ফলে প্রশিক্ষণ ছাড়াই কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন চিকিৎসকরা।’
জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. গোলাম সারোয়ার বলেন, পাহাড়ি অঞ্চলে ব্যাপকভাবে এখনো ম্যালেরিয়া ছড়াচ্ছে। সরকারের কার্যক্রমগুলো অনেক বিস্তৃতি হলেও কিছু দুর্গম এলাকায় তারা ঠিকমতো পৌঁছাতে পারে না। ফলে সেখানে কার্যক্রম অনেকটা দুর্বল। আবার যেসব উপকরণ ব্যবহার হচ্ছে সেগুলো বেশ পুরোনো। সেগুলোর কার্যক্ষমতা কতটা যাচাই করা দরকার। একই সঙ্গে সার্ভিলেন্স ও মনিটরিং ও সঠিক ব্যবস্থা জরুরি। ব্যর্থ হলে ২০৩০ সালের মধ্যে ম্যালেরিয়া থেকে মুক্তির যে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ কঠিন হয়ে যাবে।’
সাত বছর আগে দেশে ম্যালেরিয়া রোগীর যে চিত্র ছিল এখনো তা-ই রয়ে গেছে। এজন্য বাহকদের অসচেতনতাকে দায়ী করা হলেও নির্মূল কার্যক্রম নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। বছরের পর বছর ধরে কার্যক্রম চললেও নির্মূলে তেমন প্রভাব ফেলছে না। উল্টো নির্মূল হওয়া জেলায়ও সংক্রমণের নজির রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে এখনো ১৩ জেলায় ম্যালেরিয়ার উপস্থিতি রয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম বিভাগের তিন জেলা বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজারে। মোট রোগীর ৯২ ভাগই ভাগই এ তিন জেলার। সবেচেয়ে বেশি বান্দরবানে। স্বাভাবিক কার্যক্রমের অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের ট্রায়াল চালাচ্ছে সরকার। তবে সরকারের অপারেশন প্লান (ওপি) বন্ধ থাকায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে কর্মসূচিতে। প্রশিক্ষণ ছাড়াই কাজ করতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
এমন প্রেক্ষাপটে আজ শুক্রবার অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য-‘আমরাই করব ম্যালেরিয়া নির্মূল : নব উদ্যমে, নব বিনিয়োগে ও নব চিন্তায়’।
সাত বছর ধরে আক্রান্তের হার একই গতিতে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (ম্যালেরিয়া এডিসবাহিত রোগ) তথ্য বলছে, ২০১৮ সালে দেশে ম্যালেরিয়ার যে চিত্র ছিল, গত সাত বছরে তার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। উল্টো আগের সময়ের চেয়ে কার্যক্রম আরে জোরদার হলেও রোগী বেড়েছে। ২০১৮ সালে সারাদেশে ১০ হাজার ৫২৩ জন ম্যালেরিয়ার রোগী শনাক্ত হয়েছিল। সেখানে গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ১০০ জন। মাঝে করোনা মহামারির দুই বছরে ডায়াগনোসিস কম হওয়ায় রোগী কমে আসে। কিন্তু ২০২২ সাল থেকে আবারও পুরোনো রূপে ফেরে ভাইরাসটি।
৯২ ভাগই তিন জেলায়, বান্দরবানেই ষাট ভাগ
শুরু থেকেই পাহাড়ি অঞ্চলে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ ছিল সবচেয়ে বেশি। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। সমতলের বহু জেলায় নির্মূল করা সম্ভব হলেও অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না পাহাড়বেষ্টিত জেলাগুলোতে। মোট রোগীর ৯২ ভাগই বান্দরবান, রাঙামাটি ও কক্সবাজারে। এর মধ্যে ৬০ ভাগই বান্দরবানে। দুর্গম এলাকা হওয়ায় এ জেলার প্রতিটি উপজেলায় রোগী রয়েছে। এর মধ্যে সবেচেয়ে বেশি লামা, আলীকদম ও থানচি উপজেলায়। সেখানে ঠিকমতো ডায়াগনোসিস ও চিকিৎসা দিতে পারছেন না স্বাস্থ্যকর্মীরা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রোগী রাঙামাটিতে। এছাড়া ম্যালেরিয়ার উচ্চ সংক্রমিত এলাকা তালিকায় রয়েছেÑ কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামে। অন্যদিকে সংখ্যায় কম হলেও এখনো ম্যালেরিয়া রয়েছেÑ ময়মনসিংহ, শেরপুর, নেত্রকোনা, কুড়িগ্রাম, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও মৌলভিবাজারে।
শুধু সংক্রমণ নয়, শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা যায়নি প্রাণহানিও। সাত বছর আগে ২০১৮ সালে মৃতের সংখ্যা সাতজন ছিল। এরপর ক্রমান্বয়ে কমার চেয়ে কখনো বেড়েছে, কখনো কাছাকাছি ছিল। কমার ইতিহাস খুব একটা নেই। ২০২৩ সালের মতো গত বছরও ম্যালেরিয়ায় ভুগে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা কক্সবাজার ও বান্দরবানের বাসিন্দা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হোসাইন আমার দেশকে বলেন, ‘অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় নির্মূল কার্যক্রমে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আমরা ভেক্টর সার্ভিলেন্স করি। কোন জায়গায় বেশি তা চিহ্নিত করে আবাসস্থল ধ্বংসে সবধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সমস্যা হলো মানুষের সচেতনতার অভাবের পাশাপাশি দুর্গম এলাকায় কার্যক্রম চালানো অনেকটা কঠিন। এজন্য যারা বনের ভেতরে কাজ করে তাদের স্বেচ্ছাসেবক করে সেসব এলাকায় কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।’
বান্দরবানে চলছে ভ্যাকসিন ট্রায়াল
ম্যালেরিয়া নির্মূলে এখন পর্যন্ত সফল কোনো ভ্যাকসিন নেই। ২০২৩ সালে প্রথমবার ভ্যাকসিন প্রয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় গত বছর। কিন্তু রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। চলতি বছর বান্দরবানের ১০০টি গ্রামে টার্গেটেড রোগীকে ওষুধ খাওয়ানোর পাশাপাশি ভ্যাকসিন ট্রায়াল কার্যক্রমও চালাচ্ছে সরকার।
সরকারের ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. শ্যামল দাস বলেন, ‘গতানুগতিক কার্যক্রমে ম্যালেরিয়া নির্মূল সম্ভব না হওয়ায় আমরা কার্যক্রমে পরিবর্তন এনেছি। এজন্য সর্বোচ্চ রোগীর জেলা বান্দরবানের ১০০টি গ্রামকে বেছে নেওয়া হয়েছে, এগুলোকে ২৫টি করে চার ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগে টার্গেটকৃত রোগীকে দুই ডোজের ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে। দ্বিতীয় ভাগে চলছে ভ্যাকসিনেশন, তৃতীয় ভাগে ওষুধ এবং ভ্যাকসিন প্রদান এবং শেষভাগে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এই গবেষণায় যেটাতে সবচেয়ে বেশি সফলতা মিলবে, সে অনুযায়ী আক্রান্ত জেলাগুলোতে কর্মসূচি চালানো হবে।’
ওপি বন্ধের প্রভাব পড়ছে কার্যক্রমে
এদিকে ওপি বন্ধ হওয়ায় অন্যান্য কর্মসূচির পাশপাশি নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে ম্যালেরিয়া নির্মূল কার্যক্রমে। সিডিসির উপপরিচালক ডা. আশরাফুন নাহার বলেন, ‘যেহেতু ওপি প্ল্যান বন্ধ, তাই চারটি বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে কর্মসূচি চালিয়ে নিতে হচ্ছে। আগে সবাইকে নিয়ে যে প্রশিক্ষণ হতো, সেটি এখন হচ্ছে না। ফলে প্রশিক্ষণ ছাড়াই কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন চিকিৎসকরা।’
জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. গোলাম সারোয়ার বলেন, পাহাড়ি অঞ্চলে ব্যাপকভাবে এখনো ম্যালেরিয়া ছড়াচ্ছে। সরকারের কার্যক্রমগুলো অনেক বিস্তৃতি হলেও কিছু দুর্গম এলাকায় তারা ঠিকমতো পৌঁছাতে পারে না। ফলে সেখানে কার্যক্রম অনেকটা দুর্বল। আবার যেসব উপকরণ ব্যবহার হচ্ছে সেগুলো বেশ পুরোনো। সেগুলোর কার্যক্ষমতা কতটা যাচাই করা দরকার। একই সঙ্গে সার্ভিলেন্স ও মনিটরিং ও সঠিক ব্যবস্থা জরুরি। ব্যর্থ হলে ২০৩০ সালের মধ্যে ম্যালেরিয়া থেকে মুক্তির যে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ কঠিন হয়ে যাবে।’
‘শিক্ষার্থীদের প্রথম দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাজেট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়েছে। দীর্ঘদিনের আবাসন সংকট নিরসনে অস্থায়ী হল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন প্রকল্পও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।’
১২ ঘণ্টা আগে‘সামান্য পানির বোতল নিক্ষেপের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজন শিক্ষার্থীকে ডিবি অফিসে জিজ্ঞাসাবাদে নেয়া হয়েছে। অথচ আমাদের শিক্ষক, সাংবাদিক ও সহপাঠীরা আন্দোলনের সময় বারবার হামলার শিকার হয়েছেন, সে বিষয়ে তো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’
১৪ ঘণ্টা আগেপ্রগতিশীল নেত্রীরা বলেন, এ কর্মসূচি কেবল নারীদের স্বার্থরক্ষা নয় বরং এটি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির আন্দোলনের অংশ।
১৫ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ‘বোতলকাণ্ড’ ঘিরে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া সহপাঠী ইসতিয়াককে আটকের ঘটনায় যদি কোনো ক্ষতি হয়, তাহলে ডিবি অফিস ঘেরাও করা হবে।
১৫ ঘণ্টা আগে