নাজিব ওয়াদুদ
ফিলিস্তিন বৃহত্তর আরবি ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির অংশ। তাদের পৃথক জাতি হয়ে ওঠার ইতিহাস মাত্র সেদিনের কথা, বিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে, যখন ভয়াবহ মানবতাবিরোধী জায়নবাদী আগ্রাসন তাদের ‘দেশহীন’ করে তোলে। তাদের সাহিত্যিক ঐতিহ্য বিস্ময়কর সমৃদ্ধ ও বহুমুখী। অবিশ্বাস্য গতি, শক্তি ও সমৃদ্ধি নিয়ে তারা নির্মাণ করেছে জাতীয় সাহিত্যিক ঐতিহ্য। দেশ পুনরুদ্ধার, স্বাধীনতা অর্জন এবং জাতি গঠনের সংগ্রামে তাদের সাহিত্যের যাত্রা সমান্তরাল। বিশাল আরবি সাহিত্যের সীমানা অতিক্রম করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও তারা অপ্রতিদ্বন্দ্বী। প্রবন্ধ, উপন্যাস, ছোটগল্প, কবিতা, নাটক ও সংগীত- সব শাখায় সৃজনশীল, মেধাবী ও বহুলপ্রজ লেখকের আবির্ভাব ঘটেছে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে।
ফিলিস্তিনি বুদ্ধিজীবী এডওয়ার্ড সাঈদ (১৯৩৫-২০০৩) শুধু বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান দার্শনিকই নন, তিনি সাহিত্য-সমালোচনা, নৃতত্ত্বচিন্তা এবং মধ্যপ্রাচ্য-ইসলাম ও সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমেও বিশ্বকে আলোড়িত, প্রভাবিত করেছেন। তার ওরিয়েন্টালিজম (১৯৭৮) উপনিবেশোত্তরবাদ পাঠের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। ফিলিস্তিনের জাতীয় কবি মাহমুদ দারউইশ (১৯৪২-২০০৮) বিষয়, চিন্তা ও আঙ্গিকবৈচিত্র্যের কারণে বিশ্বখ্যাত।
অধিকাংশ ফিলিস্তিনি সাহিত্যিকই একাধিক শিল্প-প্রকরণের চর্চা করেছেন। যেমন জাবরা ইবরাহিম জাবরা (১৯২০-১৯৯৪) উপন্যাস, কবিতা ও প্রবন্ধ লিখেছেন সমান দক্ষতায়। মুঈন বুসাইসু কবিতার পাশাপাশি নাটক লিখেছেন। অনেক ফিলিস্তিনি লেখক ইংরেজিসহ অন্য ভাষাতেও সাহিত্যচর্চা করছেন। অনুবাদের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি সাহিত্য এখন বিশ্ববাজারে জায়গা করে নিয়েছে।
ওসমানীয় শাসনের শেষ দিকে উদারবাদী সংস্কারের পর ফিলিস্তিনে অনেকগুলো সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়। ১৯০৮ সালে হাইফা থেকে বের হয় আল কারমেল, ১৯১১ সালে জাফা থেকে ফিলিস্তিন এবং তারপরের বছর জেরুসালেম থেকে আদ্-দস্তুর। জায়নবাদের বিপদ সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার জন্য নিয়মিত প্রবন্ধ-নিবন্ধ ছাপা হতো এসব দৈনিকে। ১৯১৭ সালে ব্রিটিশদের আগমনের পর ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের প্রতি তাদের সমর্থনজ্ঞাপক নীতি ও পদক্ষেপের প্রতিবাদ করত এই পত্রিকাগুলো। ফিলিস্তিনি লেখকরা অন্যান্য আরব দেশের সাময়িকীগুলোতেও নিয়মিত লিখতেন এবং সে সময় আরবজুড়ে আরবি ভাষা ও সাহিত্যের যে পুনর্জাগরণ চলছিল, তাতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছিলেন। খলিল আস-সাকাকিনী (১৮৭৮-১৯৫৩) ও মুহাম্মদ ইসআফ আন-নাশ্শাশিবি (১৮৮২-১৯৪৮) এ সময়ের সবচেয়ে বিখ্যাত ও সৃজনশীল গদ্যকার। তারা ঐতিহ্যবাদী সাহিত্যের পাশে আধুনিকতামনস্ক স্টাইল ও আইডিয়ার চর্চা করেন।
ঐতিহ্যগতভাবেই হচ্ছে ফিলিস্তিন ও আরব দুনিয়ায় সবচেয়ে জনপ্রিয় সাহিত্যপ্রকরণ। শুরুর দিকে ইবরাহিম তুক্কান (১৯০৫-১৯৪১), আব্দুর রহিম মাহমুদ (১৯১৩-১৯৪৮) ও আব্দুল করিম আল-কারমির (১৯০৭-১৯৮০) মতো কবিরা ঐতিহ্যবাদী প্রেমের বিষয়ের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ জাতীয়তাবাদী আবেগ, দুর্নীতিবাজ ফিলিস্তিনি ও আরব নেতাদের বিদ্রুপ ও প্রত্যাখ্যান এবং ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ ও তার জায়নবাদ-প্রীতির তীব্র সমালোচনাকে যুক্ত করেন। ১৯৪৮ সালে জায়নবাদীদের ফিলিস্তিন দখলের বিরুদ্ধে লড়াই করে মৃত্যুবরণ করেন মাহমুদ। ফিলিস্তিনি লেখকরা যে প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন এবং মৃত্যু অথবা বন্দিত্বকে স্বীকার করেন, সেই দীর্ঘ ঐতিহ্যের শুরু এ থেকেই।
ফিলিস্তিনি সাহিত্য স্পষ্ট বাঁক নেয় ১৯৪৮ সালের নাকবাহর পর। নাকবাহ বলতে ফিলিস্তিনিরা ইসরাইল রাষ্ট্রের উত্থান এবং ফিলিস্তিনিদের ছিন্নভিন্ন হওয়া বোঝান। গদ্য-পদ্য উভয় প্রকরণেই নির্বাসনের নিদারুণ মনস্তাপ প্রতিফলিত হতে থাকে। ১৯৪৮ সালের এই বিপর্যয় সাত লক্ষাধিক ফিলিস্তিনিকে ভিটেছাড়া করে। অন্যদিকে ইসরাইলের দখলদারিত্বে বসবাস করতে থাকেন অনেক ফিলিস্তিনি, আত্মীয়-স্বজন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, ইসরাইলি অস্তিত্বের প্রথম ১৮ বছর তাদের বাস করতে হয় সামরিক শাসনের অধীনে। এই বন্দিত্ব ও পরাধীনতাবোধের কথাও উঠে আসে বিকাশমান সাহিত্যে।
১৯৬৭ সালে ইসরাইল নতুন করে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকা, মিসরের সিনাই উপদ্বীপ এবং সিরিয়ার গোলান মালভূমি জবরদখল করে। এই নিষ্ঠুর সামরিক দখলদারত্বের অভিজ্ঞতা ফিলিস্তিনি লেখকদের অধিকতর বক্তব্যধর্মী সাহিত্যের দিকে ঠেলে দেয়। গেরিলা যুদ্ধের পাশাপাশি ‘প্রতিরোধ সাহিত্য’ নামে নতুন একটি সাহিত্যিক ধারা গতিমান হয়। এর মূল সুর ছিল একদিকে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগ্রামের যথার্থতা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ ও গৌরবগাথা তুলে ধরা, অন্যদিকে ইসরাইল রাষ্ট্রের অবৈধতা ও তার বিরোধিতাকে উচ্চকিত করা।
নাকবাহ-পরবর্তী লেখায় ইসরাইল রাষ্ট্র ও তার সামরিক দখলদারত্বের মধ্যে বসবাসরত এবং অন্যত্র নির্বাসিত ও শরণার্থী জীবনযাপনকারীসহ সব শ্রেণির ফিলিস্তিনির অভিজ্ঞতা উঠে এসেছে। এ সময় নারী লেখকদের উত্থান ঘটে। ফাদওয়া তুক্কান (১৯১৭-২০০৩) এদের প্রধান পূর্বসূরি। তিনি জাতীয়তাবাদী কবিতার পাশাপাশি প্রেম ও যৌনতার কথাও লিখেছেন।
সাহার খলিফা (১৯১১) ফিলিস্তিনি ঔপন্যাসিকদের পূর্বসূরি এবং অধিকৃত এলাকায় বসবাসকারী লেখকদের মধ্যে অন্যতম। তার ছয়টি উপন্যাস পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং ১৯৭৫ সালে প্রকাশিত দ্য ওয়াইল্ড থর্ন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে। এতে ইসরাইলি দখলদারত্বে ফিলিস্তিনিদের জীবনের সূক্ষ্ম ও শিল্পিত চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। খলিফা লেখেন শক্ত নারীবাদী আবেগ নিয়ে, পুরুষতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ করে, এই যুক্তি দেখিয়ে যে, নারীমুক্তি হলো জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
ইসরাইলে বসবাসকারী ফিলিস্তিনি লেখকদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাম এমিলি হাবিবি (১৯২১-১৯৯৩), তওফিক জাইয়াদ (১৯২৯-১৯৯৪) ও আন্তন শাম্মাস (১৯৫০)। ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত হয় তার দ্য স্ট্রেঞ্জ ইভেন্টস ইন দ্য ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স অব সাঈদ, দ্য পেস্অপটিমিস্ট উপন্যাসটি। আঙ্গিক ও প্রভাব বিবেচনায় এটি বিংশ শতাব্দীর আরবি সাহিত্যে একটি উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি। জাইয়াদ ‘প্রতিরোধ সাহিত্য’ ধারার কবি। তিনি ফিলিস্তিনি পাঠকদের রুশ সাহিত্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। ১৯৯৪ সালে ইসরাইলি ঘাতকদের হাতে নিহত তার উপন্যাস এরাবেস্কট ইসরাইলে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
মাহমুদ দারউইশ সন্দেহাতীতভাবে সবচেয়ে নন্দিত কবি, অন্য যেকোনো ফিলিস্তিনি লেখকের তুলনায় তার রচনা সর্বাধিক অনূদিত। অন্য ফিলিস্তিনি কবির মতোই দারউইশের প্রথম দিকের কবিতায় প্রেম ছিল মূল প্রতিপাদ্য, কিন্তু দ্রুত তা জাতীয়তাবাদী রূপ পরিগ্রহ করে। তবে এ দুটি ধারার মেলবন্ধন ঘটান তিনি। প্রায়ই তিনি ফিলিস্তিন হারানোর যন্ত্রণা ও দয়িতা-বিচ্ছেদের কষ্ট সমান্তরালে স্থাপন করেন। কবি হিসেবে যেমন বিশ্বখ্যাতি অর্জন করেন, ফিলিস্তিনি কবিতা ও সংগ্রামকেও বিশ্ববাসীর আকর্ষণে পরিণত করেন।
নির্বাসিত প্রধান ফিলিস্তিনি লেখকদের মধ্যে আছেন সাংবাদিক-ঔপন্যাসিক গাসসান কানাফানি (১৯৩৬-১৯৭২) ও সাংবাদিক-কবি কামাল নাসের (১৯২৫-১৯৭৩)। তিনি বৈরুত থেকে প্রকাশিত পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন-এর পত্রিকা আল-হাদাফ সম্পাদনা করেন। তার লেখা কয়েকটি ছোট উপন্যাস বহুল প্রশংসিত। সবচেয়ে বিখ্যাত উপন্যাস মেন ইন দ্য সান প্রকাশিত হয় ১৯৬২ সালে। ১৯৭২ সালের জুলাই মাসে ইসরাইলি সন্ত্রাসীরা গাড়িতে বোমা ফাটিয়ে তাকে হত্যা করে।
কামাল নাসের ১৯৪৮ সালের যুদ্ধের পর রামাল্লাহ থেকে একটা সাহিত্য পত্রিকা বের করেন। ১৯৬৭ সালে ইসরাইল কর্তৃক নির্বাসিত হওয়ার পর তিনি বৈরুতে চলে যান এবং প্যালেস্টিনিয়ান লিবারেশন অরগানাইজেশন-এর পত্রিকা ফিলাস্তিন আত-তাওরার সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬০ সালে তার প্রভাবশালী কবিতাগ্রন্থ সিংগিং ওন্ডস বের হয়। কয়েক শ’ প্রবন্ধ ও কলাম লেখেন তিনি। ১৯৭৩ সালের এপ্রিলে নিজ অ্যাপার্টমেন্টে ইসরাইলি আততায়ীর হাতে নিহত হন নাসের। মৃত্যুর পর, ১৯৭৪ সালে, তার রচনাবলি দুই খণ্ডে প্রকাশিত হয়।
ফিলিস্তিনি সাহিত্যের জগতে সাম্প্রতিক কালে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হচ্ছে একদল আমেরিকাপ্রবাসী লেখকের উত্থান। তারা লেখেন ইংরেজিতে এবং সমকালীন বিষয় ও আঙ্গিক আত্মস্থ করে। কবি ও নাট্যকার সুহাইর হাম্মাদ ১৯৭৩ সালে জর্দানের আম্মানে শরণার্থী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পরে তিনি আমেরিকায় পাড়ি জমান। ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত তার কবিতাগ্রন্থ বর্ন প্যালেস্টিনিয়ান, বর্ন ব্ল্যাক ফিলিস্তিনি ও আফ্রো-আমেরিকান অভিজ্ঞতার সাযুজ্য আবিষ্কার করে। নাথালি হান্দাল ফিলিস্তিনি-আমেরিকান কবি ও নাট্যকার। আরব নারী কবিদের কবিতা নিয়ে একটি সংকলন সম্পাদনা করেন তিনি। এখন কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। নাওমি শিহাব নাঈ (১৯৫২) কবিতা, প্রবন্ধ ও গান লেখেন। তার কুড়িটিরও বেশি মৌলিক ও সম্পাদিত গ্রন্থের মধ্যে সবচেয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে শিশুদের জন্য লেখা উপন্যাস সিত্তিজ সিক্রেট্স (১৯৯৪) ও হাবিবি (১৯৯৭)। ইবরাহিম ফাওয়ালের জন্ম রামাল্লায়, অন্যদের মতো ১৯৪৮ সালে তাকেও ভিটেমাটি ছেড়ে পালাতে হয়। বার্মিংহামের ইউনিভার্সিটি অব অ্যালাবামা ও বার্মিংহাম সাদার্ন কলেজে শিক্ষকতা করেন এখন। ১৯৯৮ সালে প্রকাশিত হিল্স অব গড উপন্যাসটির ভিত্তি ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ ও বিস্তৃত ঐতিহাসিক গবেষণা। ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগের ফিলিস্তিনকে চিত্রিত করেছেন তিনি।
ফিলিস্তিনি সাহিত্যিকরা খুব দ্রুত নানা বাঁক পেরিয়ে নিজস্ব সমৃদ্ধ সাহিত্যজগৎ নির্মাণে সক্ষম হয়েছেন, বৃহত্তর আরবি সাহিত্য ও বিশ্বসাহিত্যের বিশাল দরবারেও নিজেদের জন্য প্রতিষ্ঠা করে নিয়েছেন স্বতন্ত্র অবস্থান।
কোনো ফিলিস্তিনিই নিজেকে ‘একা’ ভাবে না। তাদের মধ্যে ‘আমি’ নেই, ‘আমরা’ই তাদের অস্তিত্বের প্রধান স্মারক। ফিলিস্তিনি লেখকরাও এর ব্যতিক্রম নন। তারা, আজকে পর্যন্তও, তাদের দুঃখকে বহুবাচনিক উত্তম পুরুষে গঠন করেন, তারা টলস্টয়ের মন্তব্য শুনুন বা না শুনুন। কারণ ফিলিস্তিনি জনগণের একটা সমষ্টিগত আখ্যান রয়েছে—সেটা এমন একটা গল্প যার শেকড় বিস্তৃত ইতিহাসের মধ্যে এবং সাধারণত তার শুরু ১৯১৭ সালের বালফুর ঘোষণা, অর্থাৎ ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনে ইহুদিদের জন্য বাসভূমি প্রতিষ্ঠার ইউরোপীয় অঙ্গীকার থেকে। এই জাতির, মানবিক অর্থে, রয়েছে গল্পের ভাণ্ডার—নির্বাসন, প্রতিরোধ ও বাসভূমির থিমের মধ্যে দিয়ে এগুনো বিচিত্র অভিযান ও গন্তব্যের গল্পের সম্ভার। এসব গল্প, যা অনবরত পুনরাবিষ্কৃত হয়ে চলেছে এবং যা এখনো ঘটমান, তার অবস্থান ‘সাধারণ মানবাধিকার’-এর একেবারে কেন্দ্রস্থলে, যা থেকে বঞ্চিত ফিলিস্তিনিরা। এভাবে তারা রূপান্তরিত হয় ধ্বস্ত মানব অস্তিত্বে, ফিলিস্তিনি লেখকরা তাই কেবলই বর্ণনা করে চলেন নিজেদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সেই সূত্রে জাতিগত ধ্বংসের গল্প।
তাদের এই দুর্ভোগ—যুগের পর যুগ বহুমুখী দমন-পীড়ন, গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ একেবারেই অনন্যসাধারণ, একেবারেই তাদের নিজস্ব ধরনের। ফিলিস্তিনি সাহিত্যের গতি-প্রকৃতি নির্ধারণে তাদের এই দুর্ভাগ্যের অনন্যতার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। ফিলিস্তিনিদের দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা যেমন একেবারেই পৃথক আর সবার থেকে, একেবারেই নিজস্ব ধরনের—ফিলিস্তিনি সাহিত্যও তেমনি, বৈশ্বিক আঙ্গিক ও ঐতিহ্যকে আত্মসাৎ করে গড়ে উঠলেও, নিখাদ ‘ফিলিস্তিনি’ চারিত্র্য অর্জন করেছে। তাদের সাহিত্য ও দেশের জন্য সংগ্রাম কখনো সমান্তরাল, কখনো সমাপাতনিক, কখনোবা পরস্পর থেকে অবিচ্ছেদ্য।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে গত বছরের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় দুজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে চার্জশিট গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
১৫ ঘণ্টা আগেসাত বছর আগে দেশে ম্যালেরিয়া রোগীর যে চিত্র ছিল এখনো তা-ই রয়ে গেছে। এজন্য বাহকদের অসচেতনতাকে দায়ী করা হলেও নির্মূল কার্যক্রম নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। বছরের পর বছর ধরে কার্যক্রম চললেও নির্মূলে তেমন প্রভাব ফেলছে না। উল্টো নির্মূল হওয়া জেলায়ও সংক্রমণের নজির রয়েছে।
১ দিন আগেছবি কথা বলে। হাজার শব্দের চেয়েও একটি ছবি শক্তিশালী। একজন শিল্পী রঙতুলি দিয়েই মনের অব্যক্ত কথা, আনন্দ-বেদনা, দেশপ্রেম, ভালোবাসা-ঘৃণা সব প্রকাশ করেন। তুলির আঁচড়েই শিল্পী তার পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও ঘটনা জীবন্ত করে তোলেন। শিল্পীর বড় হাতিয়ার রঙ-তুলি। শিল্পী স্বপ্ন আঁকেন রঙ-তুলি দিয়ে; জীবনের প্রতিচ্ছবি
২ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহনাফ আবীর আশরাফুল্লাহ ২৪-এর স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার পতন যুদ্ধের একজন সাহসী যোদ্ধার নাম। আশরাফ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা সদরের বারপাখিয়া গ্রামের মো. হারুন অর রশিদ ও মা আছিয়া খাতুনের একমাত্র পুত্রসন্তান এবং তিন বোনের মধ্যে একমাত্র ভাই।
২ দিন আগে