শাহ বিলিয়া জুলফিকার
সফলতার কোনো নির্দিষ্ট ছক নেই, নেই নির্দিষ্ট কোনো পথ। তবে একাগ্রতা, অধ্যবসায় ও সঠিক প্রস্তুতি যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্যের দ্বার উন্মুক্ত করতে পারে—তার উজ্জ্বল উদাহরণ মারুফা ইয়াসমিন। সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন পড়া এই শিক্ষার্থী ১৭তম বিজেএস পরীক্ষায় সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে প্রমাণ করেছেন, গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নয়, বরং নিজের প্রচেষ্টা ও পরিকল্পিত প্রস্তুতিই মুখ্য।
তার জার্নিটা শুধুই ব্যক্তিগত সাফল্যের গল্প নয়, এটি প্রত্যেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর জন্য এক বড় অনুপ্রেরণা। আইন পড়ার শুরু থেকে বিচার বিভাগে ক্যারিয়ার গড়ার প্রস্তুতি পর্যন্ত তার যে কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও আত্মবিশ্বাসের পথচলা—তা নতুনদের জন্য পথনির্দেশক হতে পারে। তার অভিজ্ঞতা এবং নবীনদের জন্য পরামর্শ শুনেছেন শাহ বিলিয়া জুলফিকার।
শুরুটা যেভাবে
আইন নিয়ে পড়ার পরিকল্পনা মারুফার ছিল না, যেন হঠাৎ করেই চলে এসেছিলেন এই জগতে। সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন স্কলারশিপে। আর স্কলারশিপ বহাল রাখতে প্রতি সেমিস্টারে সিজিপিএ ধরে রাখতে হতো ৩ দশমিক ৫-এ। কিন্তু সে চ্যালেঞ্জ নিতে নিতে একাডেমিক পড়াশোনার মাধ্যমেই আইনের মৌলিক ধারণাগুলো স্পষ্ট হয়ে উঠছে। সেখান থেকেই শুরু হয় তার বিজেএস পরীক্ষার স্বপ্ন দেখার যাত্রা। ২০২০ সালে মনে হলো ভবিষ্যতে হয়তো বিচার বিভাগীয় পরীক্ষায় বসতে পারেন। তবে সেটাকে বাস্তবে রূপ দিতে দৃঢ় প্রস্তুতি শুরু করেন ২০২৩ সালে। প্রথমেই করলেন বই সংগ্রহ—সিনিয়রদের পরামর্শ নিয়ে রেফারেন্স বই কিনলেন আর সেই বইগুলো টেবিলে সাজিয়ে একরকম আত্মবিশ্বাস অনুভব করলেন। যত বই বাড়তে থাকল, পড়ার আগ্রহও যেন ততই বাড়ল। এরপর শুরু করলেন সিলেবাস বিশ্লেষণ, আইনের বিভিন্ন অধ্যায় বুঝে নেওয়া আর মূলত নোট করা। সাধারণ বিষয়গুলোর সিলেবাস নিয়েও করতে থাকলেন চর্চা, যাতে প্রস্তুতি গোছানো থাকে। এভাবেই এক ধাপে এক ধাপে এগিয়ে গেছেন মারুফা। কঠোর পরিশ্রম, পরিকল্পিত প্রস্তুতি আর আত্মবিশ্বাসই হয়ে উঠেছে তার সাফল্যের সোপান। আর সেই পথ পেরিয়ে আজ তিনি বিচারকের আসনে!
যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন
বিজেএসের পথচলা কোনো সরলরেখার মতো নয়—এটা এক দীর্ঘ যাত্রা, যেখানে প্রতিটি ধাপেই দৃঢ়তা, পরিকল্পনা আর নিরবচ্ছিন্ন অধ্যবসায়ের প্রয়োজন হয়। মারুফার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। একবার এই গন্তব্যকে নিজের লক্ষ্য হিসেবে স্থির করার পর তিনি শুরু করেছিলেন এক সুসংগঠিত ও পরিকল্পিত প্রস্তুতি।
প্রিলির প্রস্তুতি
জেনারেল সাবজেক্ট
ম্যাথ বাদে অন্যসব বিষয় তিনি বিসিএস এবং বিজেএসের বিগত বছরের প্রশ্ন ব্যাখ্যাসহ পড়েছিলেন। কোনো টপিক বুঝতে সমস্যা হলে, সরাসরি রেফারেন্স বই খুলে পড়তেন এবং সঙ্গে সঙ্গে নোট করতেন। সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে তিনি এমন বিষয়গুলো খুঁজে বের করেছিলেন, যেগুলো পরিবর্তন হয় না এবং সেগুলো নোট করে রাখতেন। পাশাপাশি, নিয়মিত পত্রিকা পড়তেন, মাস শেষে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ও সাম্প্রতিক সিরিজের বই থেকে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো আয়ত্ত করতেন।
ম্যাথের জন্য আলাদা প্রস্তুতি না নিয়ে বোর্ড বই অনুসারে অনুশীলন করেছেন। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও নোট করতেন এবং বোর্ড বই ধরে ধরে ব্যাসিক তৈরি করেছিলেন।
আইন অংশের প্রস্তুতি
আইন ছিল মারুফার শক্তিশালী দিক। তিনি মনে করেছিলেন, আইন থেকেই প্রিলিমিনারি পরীক্ষা উতরে যাবেন আর জেনারেল সাবজেক্ট থেকে যা পারবেন, তা হবে এক্সট্রা নম্বর। প্রিলির জন্য তিনি বেয়ার অ্যাক্টভিত্তিক পড়াশোনা করতেন—আইনকে টুকরো টুকরো করে ভেঙে বিশ্লেষণ করতেন। সংবিধানের বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনের মূল শব্দগুলো হুবহু মুখস্থ করেছিলেন। ছোট আইনগুলো সম্পূর্ণ পড়ে ফেলতেন আর বড় আইনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ধারা আয়ত্ত করতেন। তা ছাড়া মডেল টেস্ট ছিল তার অন্যতম প্রস্তুতির কৌশল। তিনি নিয়মিত মডেল টেস্ট দিতেন এবং প্রতিবার নতুন কোনো ধারা পেলেই সেটিকে তার পড়ার তালিকায় সংযুক্ত করতেন। এই অনুশীলন তার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল বহুগুণে।
রিটেনের প্রস্তুতি
জেনারেল সাবজেক্ট
বাংলা ও ইংরেজির ক্ষেত্রে তিনি প্রিলিমিনারির পড়াগুলোই আবার রিভিশন দিয়েছেন তবে লিখিত পরীক্ষার জন্য আরো কিছু অতিরিক্ত অধ্যয়ন করতে হয়েছে। সাহিত্য অংশ তিনি গভীরভাবে পড়েছিলেন এবং বারবার রিভিশন দিয়েছিলেন। সাধারণ জ্ঞানের জন্য তিনি বিসিএস ও বিজেএসের লিখিত প্রশ্নগুলো পড়তেন, তবে মুখস্থ করতেন না। তিনি সাধারণ জ্ঞানের ব্যাসিক তৈরি করতে জিওপলিটিকস বুঝে নোট নিতেন। প্রতিদিন পত্রিকা পড়ার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ইনফোগ্রাফ পেলে সেগুলোও নোট করতেন। ম্যাপ, চার্ট, ট্যালি, গ্রাফ—এসবের জন্য তার আলাদা খাতা ছিল, যা পরীক্ষার হলে উত্তর উপস্থাপনায় তাকে বাড়তি সুবিধা দিয়েছে।
আইন অংশ
প্রিলিমিনারিতে যেসব ধারা পড়েছিলেন, সেগুলোর পুনরালোচনা করেছেন। পাশাপাশি, তিনি আগের বছরের প্রশ্নব্যাংক থেকে সব অধ্যয়ন করেছেন। বার কাউন্সিল পরীক্ষার কারণে তার ‘মাদার ল’ বিষয়গুলো আগেই গুছানো ছিল, তাই তিনি অন্যান্য আইনের ওপর বেশি ফোকাস করেছিলেন।
মারুফার প্রস্তুতির বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল তার সুসংগঠিত নোট নেওয়া। তিনি ধারা ধরে পড়ার বদলে, লিখিত পরীক্ষার জন্য টপিকভিত্তিক পড়তেন এবং একাধিক রেফারেন্স বই মিলিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতেন। গুরুত্বপূর্ণ কেস রেফারেন্স, ডকট্রিন, লাতিন টার্ম ও ম্যাক্সিমগুলোর জন্য আলাদা নোট রেখেছিলেন।
ভাইভা প্রস্তুতি
ভাইভার জন্য তিনি মূলত প্রিলি ও রিটেনের পড়াগুলোই রিভিশন করেছেন। যেহেতু তিনি ২০২৩ সাল থেকে একা বাসায় বসে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, তাই মনে করেছিলেন কথা বলার অনুশীলন করাটা জরুরি। সে কারণে, তিনি প্রচুর মক ভাইভা দিয়েছেন। মক ভাইভা দেওয়ার ফলে তার কথা বলার জড়তা কেটেছে, আত্মবিশ্বাস বেড়েছে এবং প্রিলি বা রিটেনে বাদ পড়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখানে এসে কভার হয়েছে। ভাইভার সময় তিনি সাম্প্রতিক ইস্যুগুলো নিয়ে পড়াশোনা করেছেন, নিয়মিত পত্রিকা ও নিউজ দেখেছেন। বিশেষত, পত্রিকায় বিচার বিভাগীয় সংস্কার-সংক্রান্ত লেখাগুলো সংরক্ষণ করে খাতায় লিখে পড়েছেন, যা তাকে গভীরতর বিশ্লেষণমূলক চিন্তার সক্ষমতা দিয়েছে।
নতুনদের জন্য বিজেএস প্রস্তুতি পরামর্শ
বিজেএস পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করা অনেকের জন্যই চ্যালেঞ্জিং মনে হতে পারে। বিশেষ করে নতুনদের জন্য কোথা থেকে শুরু করতে হবে, কীভাবে পড়তে হবে, কোন বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে—এসব নিয়ে বিভ্রান্তি থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা আর দৃঢ় মনোবল থাকলে এই পথচলা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।
যারা এখনো অনার্স শেষ করেননি
অনার্স চলাকালীন সময়টাই মূলত একাডেমিক ভিত্তি শক্ত করার সেরা সময়। যারা বিজেএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে চান, তাদের উচিত একাডেমিক পড়াশোনাকে গুরুত্ব দেওয়া। বিশেষ করে, যেসব বিষয় ভবিষ্যতে জুডিশিয়ারির সঙ্গে সম্পর্কিত, সেগুলো খুঁটিয়ে পড়া এবং নোট রাখা অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। এ ছাড়া, যদি কারো জেনারেল পার্ট (বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান) তুলনামূলক দুর্বল হয়, তাহলে এখন থেকেই ধাপে ধাপে ব্যাসিক ক্লিয়ার করা শুরু করা ভালো। তবে, কোনোভাবেই অযথা চাপ নেওয়ার দরকার নেই। ভার্সিটি লাইফকে উপভোগ করুন, কারণ এ সময়টাও ফিরে আসবে না।
যারা অনার্স বা মাস্টার্স শেষ করেছেন
যারা ইতোমধ্যেই অনার্স বা মাস্টার্স শেষ করেছেন এবং এখন প্রস্তুতি নিতে চান, তাদের জন্য সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হলো এক-দেড় বছর টানা পড়াশোনা করা। একাডেমিক ল পড়াশোনার পাশাপাশি প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ধরে জেনারেল পার্ট অনুশীলন করলেই ধাপে ধাপে প্রস্তুতি গুছিয়ে আনা সম্ভব।
যাদের হাতে সময় কম
যাদের প্রস্তুতির জন্য সময় কম, তাদের জন্য সবচেয়ে বড় কৌশল হলো—সর্বোচ্চ সময়কে কাজে লাগানো। দিনে ৮-১০ ঘণ্টা পড়াশোনা করলে সাধারণভাবে ভালো প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব, তবে যদি হাতে সময় কম থাকে, তাহলে দিনে ১৩-১৪ ঘণ্টা পড়াশোনায় দিতে হবে।
এ ক্ষেত্রে, ল ও জেনারেল দুই পার্টকে ভাগ করে সময় দিতে হবে। যেহেতু প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় প্রতিটি নম্বর গুরুত্বপূর্ণ, তাই সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার করাটা অপরিহার্য।
জেনারেল ও ল পার্টের ভারসাম্য
অনেকেই মনে করেন যে বিচারক হওয়ার জন্য শুধু ল পার্ট ভালো জানাই যথেষ্ট। কিন্তু বাস্তবে জেনারেল পার্টের গুরুত্বও সমান। জেনারেল পার্টে যদি খুবই খারাপ করা হয়, তাহলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাবে। এ জন্য চারটি জেনারেল বিষয় থেকে কমপক্ষে দুটি বা তিনটি বিষয়ে চমৎকার দক্ষতা তৈরি করতে হবে। এ বিষয়গুলোয় সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করুন এবং বাকি একটি বিষয়ে প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে পড়ুন। অন্যদিকে, যেহেতু আপনি ভবিষ্যতে বিচারক হতে যাচ্ছেন, তাই ল পার্টে আপনাকে অবশ্যই সেরা পারফরম্যান্স দেখাতে হবে। আইন সবাই কমবেশি ভালো পারে; কিন্তু এই অংশে যদি আপনি সেরাটা দিতে পারেন, তাহলে অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকবেন। তাই ল পার্টে ১০০% মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করুন এবং মডেল টেস্টের মাধ্যমে নিজের প্রস্তুতি যাচাই করুন।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য পরামর্শ
অনেকেই মনে করেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তুলনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় পিছিয়ে থাকে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সফলতা নির্ভর করে ব্যক্তির পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও পরিকল্পনার ওপর। মারুফা তার অভিজ্ঞতা থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন।
শিক্ষকদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিন
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সুবিধা হলো শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে খুব একটা দূরে থাকেন না। তাই সুযোগ থাকলে ক্লাসের বাইরে তাদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করুন, শিখুন, পরামর্শ নিন। আপনার আইন পড়ার ভিত মজবুত করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
লাইব্রেরি ব্যবহার করুন
লাইব্রেরি হলো জ্ঞানের আধার। মারুফা নিজে লাইব্রেরির সুবিধা তেমন নিতে পারেননি বলে আফসোস করেন। তাই তিনি নতুনদের উৎসাহিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিকে সর্বোচ্চ কাজে লাগাতে। বই পড়ুন, রেফারেন্স ঘাঁটুন, গবেষণা করুন—এটাই ভবিষ্যতে আপনাকে এগিয়ে রাখবে।
প্রতিষ্ঠান নয়, নিজের দক্ষতাই আসল
অনেকে প্রতিষ্ঠান নিয়ে হীনম্মন্যতায় ভোগেন। কিন্তু মারুফার মতে, প্রতিষ্ঠানের কাজ হলো ক্লাস নেওয়া, পরীক্ষা নেওয়া এবং সার্টিফিকেট দেওয়া। দিনশেষে আপনাকেই নিজের ক্যারিয়ার গড়তে হবে।
আপনি যা শিখছেন, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কতটা দক্ষতা অর্জন করছেন, সেটাই পার্থক্য গড়ে দেবে। আপনার পরীক্ষাগুলো শুধু আপনার অর্জিত জ্ঞানকেই যাচাই করবে, প্রতিষ্ঠানকে নয়।
আত্মবিশ্বাস ও আল্লাহর ওপর ভরসা রাখুন
সফলতার অন্যতম চাবিকাঠি হলো আত্মবিশ্বাস। আপনি যদি নিজেকে ছোট মনে করেন, তাহলে আপনি কখনোই বড় কিছু অর্জন করতে পারবেন না। নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখুন।
আল্লাহর ওপর ভরসা রাখুন। কষ্ট ও পরিশ্রম একদিন আপনাকে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে দেবে।
মারুফার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
মারুফার প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য হলো—আল্লাহ তাকে যে বড় দায়িত্ব দিয়েছেন, সেটি সততা, নিষ্ঠা ও যথাযথভাবে পালন করা। বিচারকের আসনে থেকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার যে গুরুদায়িত্ব তার কাঁধে এসেছে, সেটিকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও সততার সঙ্গে পালন করাই তার অন্যতম অঙ্গীকার। তবে, তার স্বপ্ন শুধু নিজের সফলতার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। জীবনের পথচলায় তিনি নিজে যেমন কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এগিয়েছেন, তেমনি ভবিষ্যতে যদি এমন কাউকে পান, যে একই ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, তবে তার জন্য সফলতার পথটাকে সহজ করে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এই মুহূর্তে তার পরিকল্পনা এটুকুই—নিজের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা এবং ভবিষ্যতে কারো জন্য পথপ্রদর্শক হয়ে ওঠা। আর এর সবকিছুই তিনি করবেন একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, যদি তিনি তাকে সুস্থ ও বাঁচিয়ে রাখেন।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।
৯ ঘণ্টা আগে১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ শহরের মধ্যবর্তী শান্তিডাঙ্গায় প্রতিষ্ঠিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
১৬ ঘণ্টা আগেআল্লামা ইকবাল, তার প্রণীত মুসলিম জাতীয়তাবাদ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা একসূত্রে গাঁথা বলে অভিহিত করেছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ।
১ দিন আগেইউরোপ-আমেরিকা যাওয়ার জন্য মানুষ কত কিছুই না করে। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও সেসব দেশের নাগরিক হওয়ার চেষ্টা করে মানুষ। কিন্তু ইউরোপের দেশ আয়ারল্যান্ড সরকার দেশটির পশ্চিম সমুদ্র তীরে অবস্থিত অতি সুন্দর দ্বীপপুঞ্জে বসতি বাড়াতে বড় অঙ্কের অর্থ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।
১ দিন আগে