বিএসএমএমইউর গবেষণা
স্টাফ রিপোর্টার
দেশে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে প্রাণঘাতী ব্যাধি ক্যানসার সংক্রমণ। বর্তমানে প্রতি লাখে ১০৬ জন মানুষ ক্যানসারে ভুগছেন। প্রতি বছর এই তালিকায় নতুন করে যুক্ত হচ্ছে ৫৩ জন। আর দেশে মৃত্যুর ১২ শতাংশ হচ্ছে অসংক্রামক এ মরণ ব্যাধিতে ভোগে।
এমনকি দেশে থাকা ৩৮ ধরনের ক্যানসারের মধ্যে স্তন, মুখ, পাকস্থলি, শ্বাসনালি এবং জরায়ু মুখের ক্যানসার রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
দেশে ক্যানসারের এমন ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করা গবেষণায়।
গতকাল শনিবার বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে ‘বাংলাদেশে ক্যানসারের বোঝা : জনসংখ্যাভিত্তিক ক্যানসার রেজিস্ট্রি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে গবেষণার এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন প্রধান গবেষক ও পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. খালেকুজ্জামান।
তিনি জানান, ক্যানসার বিশ্বে মৃত্যুর প্রধান কারণগুলোর একটি। বাংলাদেশে জনসংখ্যাভিত্তিক ক্যানসার রেজিস্ট্রি (পিবিসিআর) না থাকায় প্রতিবেশী দেশগুলোর তথ্য ব্যবহার করে ক্যানসারের পরিস্থিতি অনুমান করতে হয়।
এর ফলে বাংলাদেশে ক্যানসারের সঠিক পরিস্থিতি জানার ব্যাপারে সীমাবদ্ধতা আছে। তাই জনসংখ্যাভিত্তিক ক্যানসার রেজিস্ট্রি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ক্যানসার পরিস্থিতি নির্ণয় করা জরুরি হয়ে পড়েছিল, এজন্যই এ গবেষণা।
তিনি জানান, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় ২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে এ গবেষণা পরিচালিত হয়ে আসছে। এতে প্রতিটি বাড়িতে বিশেষভাবে তৈরি করা ইন্টারনেটভিত্তিক ক্যানসার নিবন্ধন সফটওয়্যার নিয়ে সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহণ করা হয়েছে।
এক বছর পূর্তিতে একই পরিবারের ফলোআপ পরিদর্শন ২০২৪ সালের জুলাই মাসে শুরু হয়েছে। ড. মো. খালেকুজ্জামান জানান, দুই লাখ মানুষের ওপর এই গবেষণা চালানো হয়। বাংলাদেশে ৩৮ ধরনের ক্যানসার রোগী পাওয়া গেছে। প্রতি লাখে ১০৬ জন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।
৯৩ শতাংশ রোগীর বয়স ১৮ থেকে ৭৫ বছর। রোগীদের মধ্যে ২ দশমিক ৪ শতাংশ শিশু। আর ৫ শতাংশের বয়স ৭৫ বছরের বেশি।
গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে পাঁচটি প্রধান ক্যানসার হলোÑ স্তন, মুখ, পাকস্থলি, শ্বাসনালি এবং জরায়ু মুখের ক্যানসার। পুরুষদের পাঁচটি প্রধান ক্যানসার হলোÑ শ্বাসনালি, পাকস্থলি, ফুসফুস, মুখ ও খাদ্যনালির ক্যানসার। নারীদের পাঁচটি প্রধান ক্যানসারের মধ্যে রয়েছেÑ স্তন, জরায়ুমুখ, মুখ, থাইরয়েড এবং ওভারি।
পুরুষ ক্যানসার রোগীদের ৭৫ দশমিক ৮ শতাংশ ধূমপায়ী এবং ধোঁয়াহীন পান, জর্দা, তামাক সেবনকারী ৪০ দশমিক ৫ শতাংশ। রোগীদের মধ্যে প্রায় ৬১ শতাংশ নারী ধোঁয়াহীন পান, জর্দা, তামাক সেবনকারী। ৪৬ শতাংশ রোগীর ক্যানসারের সঙ্গে তামাক সেবনের সম্পর্ক রয়েছে।
গবেষণায় আরো জানা গেছে, আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৬০ শতাংশ কম্বাইন্ড চিকিৎসা নিয়েছে এবং ৭ শতাংশ রোগী কোনো চিকিৎসাই নেয়নি। দেশে মোট মৃত্যুর ১২ শতাংশই ক্যানসার রোগী। মৃত রোগীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ফুসফুস, শ্বাসনালি ও পাকস্থলির ক্যানসার।
প্রতি বছর নতুন করে প্রতি লাখে ৫৩ জন রোগী ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। আক্রান্তদের মধ্যে ফুসফুস, লিভার ও শ্বাসনালির ক্যানসারের রোগীর সংখ্যা বেশি।
বিএসমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, নিত্যনতুন জ্ঞান তৈরিতে গবেষণার বিকল্প নেই।
যেসব গবেষণা দেশের মানুষের, দেশের রোগীদের উপকার হবে, সেক্ষেত্রে সরকারের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম বলেন, গণআকাঙ্খা পূরণ করে এমন গবেষণার জন্য ফান্ডের কোনো সমস্যা হবে না।
বিএসএমএমইউর উদ্যোগে পরিচালিত বাংলাদেশে জনসংখ্যাভিত্তিক ক্যানসার রেজিস্ট্রি থেকে যে পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে তা দেশের মানুষের ক্যানসার প্রতিরোধ, প্রতিকার ও ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসায় বিরাট ভূমিকা রাখবে। সেই সঙ্গে এ পরিসংখ্যান বাংলাদেশে ক্যানসার নিয়ে গবেষণার বহুমুখী দ্বার উন্মোচন করেছে।
দেশে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে প্রাণঘাতী ব্যাধি ক্যানসার সংক্রমণ। বর্তমানে প্রতি লাখে ১০৬ জন মানুষ ক্যানসারে ভুগছেন। প্রতি বছর এই তালিকায় নতুন করে যুক্ত হচ্ছে ৫৩ জন। আর দেশে মৃত্যুর ১২ শতাংশ হচ্ছে অসংক্রামক এ মরণ ব্যাধিতে ভোগে।
এমনকি দেশে থাকা ৩৮ ধরনের ক্যানসারের মধ্যে স্তন, মুখ, পাকস্থলি, শ্বাসনালি এবং জরায়ু মুখের ক্যানসার রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
দেশে ক্যানসারের এমন ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করা গবেষণায়।
গতকাল শনিবার বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে ‘বাংলাদেশে ক্যানসারের বোঝা : জনসংখ্যাভিত্তিক ক্যানসার রেজিস্ট্রি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে গবেষণার এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন প্রধান গবেষক ও পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. খালেকুজ্জামান।
তিনি জানান, ক্যানসার বিশ্বে মৃত্যুর প্রধান কারণগুলোর একটি। বাংলাদেশে জনসংখ্যাভিত্তিক ক্যানসার রেজিস্ট্রি (পিবিসিআর) না থাকায় প্রতিবেশী দেশগুলোর তথ্য ব্যবহার করে ক্যানসারের পরিস্থিতি অনুমান করতে হয়।
এর ফলে বাংলাদেশে ক্যানসারের সঠিক পরিস্থিতি জানার ব্যাপারে সীমাবদ্ধতা আছে। তাই জনসংখ্যাভিত্তিক ক্যানসার রেজিস্ট্রি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ক্যানসার পরিস্থিতি নির্ণয় করা জরুরি হয়ে পড়েছিল, এজন্যই এ গবেষণা।
তিনি জানান, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় ২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে এ গবেষণা পরিচালিত হয়ে আসছে। এতে প্রতিটি বাড়িতে বিশেষভাবে তৈরি করা ইন্টারনেটভিত্তিক ক্যানসার নিবন্ধন সফটওয়্যার নিয়ে সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহণ করা হয়েছে।
এক বছর পূর্তিতে একই পরিবারের ফলোআপ পরিদর্শন ২০২৪ সালের জুলাই মাসে শুরু হয়েছে। ড. মো. খালেকুজ্জামান জানান, দুই লাখ মানুষের ওপর এই গবেষণা চালানো হয়। বাংলাদেশে ৩৮ ধরনের ক্যানসার রোগী পাওয়া গেছে। প্রতি লাখে ১০৬ জন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।
৯৩ শতাংশ রোগীর বয়স ১৮ থেকে ৭৫ বছর। রোগীদের মধ্যে ২ দশমিক ৪ শতাংশ শিশু। আর ৫ শতাংশের বয়স ৭৫ বছরের বেশি।
গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে পাঁচটি প্রধান ক্যানসার হলোÑ স্তন, মুখ, পাকস্থলি, শ্বাসনালি এবং জরায়ু মুখের ক্যানসার। পুরুষদের পাঁচটি প্রধান ক্যানসার হলোÑ শ্বাসনালি, পাকস্থলি, ফুসফুস, মুখ ও খাদ্যনালির ক্যানসার। নারীদের পাঁচটি প্রধান ক্যানসারের মধ্যে রয়েছেÑ স্তন, জরায়ুমুখ, মুখ, থাইরয়েড এবং ওভারি।
পুরুষ ক্যানসার রোগীদের ৭৫ দশমিক ৮ শতাংশ ধূমপায়ী এবং ধোঁয়াহীন পান, জর্দা, তামাক সেবনকারী ৪০ দশমিক ৫ শতাংশ। রোগীদের মধ্যে প্রায় ৬১ শতাংশ নারী ধোঁয়াহীন পান, জর্দা, তামাক সেবনকারী। ৪৬ শতাংশ রোগীর ক্যানসারের সঙ্গে তামাক সেবনের সম্পর্ক রয়েছে।
গবেষণায় আরো জানা গেছে, আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৬০ শতাংশ কম্বাইন্ড চিকিৎসা নিয়েছে এবং ৭ শতাংশ রোগী কোনো চিকিৎসাই নেয়নি। দেশে মোট মৃত্যুর ১২ শতাংশই ক্যানসার রোগী। মৃত রোগীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ফুসফুস, শ্বাসনালি ও পাকস্থলির ক্যানসার।
প্রতি বছর নতুন করে প্রতি লাখে ৫৩ জন রোগী ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। আক্রান্তদের মধ্যে ফুসফুস, লিভার ও শ্বাসনালির ক্যানসারের রোগীর সংখ্যা বেশি।
বিএসমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, নিত্যনতুন জ্ঞান তৈরিতে গবেষণার বিকল্প নেই।
যেসব গবেষণা দেশের মানুষের, দেশের রোগীদের উপকার হবে, সেক্ষেত্রে সরকারের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম বলেন, গণআকাঙ্খা পূরণ করে এমন গবেষণার জন্য ফান্ডের কোনো সমস্যা হবে না।
বিএসএমএমইউর উদ্যোগে পরিচালিত বাংলাদেশে জনসংখ্যাভিত্তিক ক্যানসার রেজিস্ট্রি থেকে যে পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে তা দেশের মানুষের ক্যানসার প্রতিরোধ, প্রতিকার ও ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসায় বিরাট ভূমিকা রাখবে। সেই সঙ্গে এ পরিসংখ্যান বাংলাদেশে ক্যানসার নিয়ে গবেষণার বহুমুখী দ্বার উন্মোচন করেছে।
‘বাংলাদেশে ৩৮ ধরণের ক্যান্সারের রোগী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে স্তন, মুখ, পাকস্থলী, শ্বাসনালি এবং জরায়ু মুখের ক্যান্সার রোগীর সংখ্যাই বেশি। আক্রান্তদের মধ্যে ৯৩ শতাংশ রোগীর বয়স ১৮ থেকে ৭৫ বছর।
৯ দিন আগেমাথাব্যথা একটি সাধারণ উপসর্গ,যা বিভিন্ন অসুখের কারণে হতে পারে। আমরা প্রত্যেকেই কোনো না কোনো সময় মাথাব্যথায় ভুগি। অনিদ্রা, দুশ্চিন্তা, অতিরিক্ত কাজের চাপ, দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকা প্রভৃতি কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। তবে এসব ক্ষেত্রে এর দায়িত্ব কম এবং তা এমনিতেই ভালো হয়ে যায়।
১৩ দিন আগেশীতকালে নবজাতকের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন। কারণ নবজাতকের তাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা খুবই কম, তাই অল্প শীতেই তারা কাবু হয়ে যায়। যে বাচ্চা পূর্ণ ৩৭ সপ্তাহ মাতৃগর্ভে কাটিয়ে জন্ম নিয়েছে, তার ক্ষেত্রে জটিলতা কম। কিন্তু সময়ের আগেই জন্ম নেওয়া শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন।
১৩ দিন আগেবর্তমানে বিশ্বে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। গ্লোবোকানের তথ্যমতে, ২০২৪ সালে বিশ্বে প্রায় দুই কোটি মানুষ ক্যানসার-আক্রান্ত হয়েছে এবং এর মধ্যে প্রায় এক কোটি মানুষই মৃত্যুবরণ করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৫০ সাল নাগাদ ক্যানসার-আক্রান্ত রোগীর হার প্রায় ৩ দশমিক ৫ কোটিতে দাঁড়াবে।
১৩ দিন আগে