ডা. মোহাম্মদ আফতাব হালিম
মাথাব্যথা একটি সাধারণ উপসর্গ,যা বিভিন্ন অসুখের কারণে হতে পারে। আমরা প্রত্যেকেই কোনো না কোনো সময় মাথাব্যথায় ভুগি। অনিদ্রা, দুশ্চিন্তা, অতিরিক্ত কাজের চাপ, দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকা প্রভৃতি কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। তবে এসব ক্ষেত্রে এর দায়িত্ব কম এবং তা এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। আবার জ্বর-সর্দি-কাশি এসব ভাইরাসজনিত রোগে আমরা মাথাব্যথায় আক্রান্ত হতে পারি, তবে তা দীর্ঘস্থায়ী নয়। বিভিন্ন কারণে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী ও তীব্র মাথাব্যথা হতে পারে, যা আমাদের দৈনন্দিন কাজকে ব্যাহত করে । তাই মাথাব্যথার চিকিৎসা করা প্রয়োজন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিয়মিত ওষুধ খেলে ও নিয়মকানুন মেনে চললে মাথাব্যথা ভালো হয়ে যায় । মাথাব্যথার চিকিৎসার একটি প্রধান দিক হচ্ছে, এর কারণ নির্ণয় করা। সঠিকভাবে রোগীর ইতিহাস নিয়ে ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষার মাধ্যমে তা সম্ভব। মাথাব্যথার অনেক কারণ রয়েছে। তবে শতকরা ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে আমার মাথাব্যথার কারণ হচ্ছে ‘প্রাইমারি হেডেক’, যা দীর্ঘস্থায়ী ও পুনঃপুন দেখা যায় এবং যা দেহের কোনো মারাত্মক ক্ষতি করে না। নিয়মিত ওষুধ খেলে এবং নিয়ম মেনে চললে তা ভালো হয়ে যায়। অনেকাংশে কমে যায় এবং রোগী স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন।
কিন্তু শতকরা ১০ রোগীর ক্ষেত্রে মস্তিকের জটিল রোগের কারণ হতে পারে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে স্ট্রোক (হেমোরেজিক/সাবআয়াকনোরেড) মেনিনজাইটিস, মস্তিকে টিউমার প্রভৃতি। এক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা করার প্রয়োজন, অন্যথায় রোগীর অজ্ঞান হওয়া, খিচুনি হওয়া এবং নানা ধরনের স্নায়বিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। ‘প্রাইমারি হেডেক’, শতকরা ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে যার কোনো নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।
যথাযথ ওষুধ ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অনেকংশে নিরাময় সম্ভাব। এর মধ্যে রয়েছে—
১. টেনশনজনিত মাথাব্যথা বা টেনশন হেডেক ৮০ ভাগ।
২. মাইগ্রেনজনিত মাথাব্যথা ১৫-২০ ভাগ।
৩. ক্লাস্টার হেডেক ০.১ ভাগ।
মাইগ্রেনজনিত মাথাব্যথা
আজকে আমরা ‘মাইগ্রেন’-জনিত মাথাব্যথা নিয়ে আলোচনা করব। সেকেন্ডারি হেডেক নানা জটিল কারণে হতে পারে, যেমন মেনিনজাইটিস, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, মস্তিষ্কের টিউমার, মস্তিষ্কে আঘাত প্রভৃতি । এটি মস্তিষ্কের একটি জটিল সমস্যা। দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথা যাদের রয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকেই এই মাইগ্রেনজনিত মাথাব্যথায় আক্রান্ত। তবে এ রোগে মহিলারা পুরুষদের তুলনায় বেশি আক্রান্ত হয় (মহিলাদের আক্রান্ত হওয়ার হার প্রায় তিনগুণ বেশি)। ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এ রোগ বেশি পরিলক্ষিত হয়।
লক্ষণ: প্রায় মাথাব্যথা। চার ঘণ্টা থেকে ৭২ ঘণ্টা স্থায়ী মাথাব্যথা। মাথায় এক মাসে বারবার ব্যথা করা। মাথার পাশে ধপ-ধপ করে লাফানো। যে কোনো শারীরিক পরিশ্রমে প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। বমি ভাব/বমি করা ও শব্দ না শুনতে পারা। চোখে ঝাপসা দেখা বা জিকজ্যাক দেখা। শব্দ ও আলোতে অতিসংবেদনশীলতা ।
এসব লক্ষণ সাধারণত একজনের নাও থাকতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একপাশে তীব্রভাবে মাথাব্যথা করে। তাই মাইগ্রেনের ডায়াগনসিসের জন্য সঠিকভাবে রোগীর ইতিহাস নিরূপণ করা খুবই জরুরি।
যেসব কারণে মাইগ্রেন অ্যাটাক বাড়তে পারে
খাবারের মধ্যে অতিরিক্ত চকলেট, চিজ ও অ্যালকোহল মাইগ্রেনজনিত মাথাব্যথাকে বাড়াতে পারে। খাদ্যে ব্যবহৃত টেস্টি সল্ট। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও অনিদ্রা। তাছাড়া মাসিকের সময় অনেক মহিলাদের মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়তে পারে। রোদ বা উচ্চ শব্দে অনেকের সমস্যা বাড়তে পারে।
মাইগ্রেন কেন হয়
মাইগ্রেনের কোনো নির্দিষ্ট কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে বিজ্ঞানীরা এর বেশ কয়েকটি মতবাদ প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ‘নিউরোভাসকুন্দার’ থিওরি। মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে ট্রাইজেমিনাল নিউক্লিয়াস নামে একটি অতিসংবেদনশীল জায়গা আছে, যা বিভিন্ন কারণে উদ্দীপ্ত হয়ে এক ধরনের কেমিক্যাল বা নিউরোট্রান্সমিটার রিলিজ করে (CGRP, Substance P) । এসব নিউরোট্রান্সমিটার তখন রক্তনালিকে প্রসারিত করে এবং একপ্রকার প্রদাহের সৃষ্টি করে, যা মাইগ্রেনের অন্যতম কারণ। এ ছাড়া কিছু জেনেটিক কারণ রয়েছে। তাই এই রোগ অনেকের দেখা যায়। বিজ্ঞানীরা এসব বিষয় নিয়ে প্রচুর গবেষণা করছেন এবং এর আলোকে ওষুধ তৈরির চেষ্টা করছেন।
মাইগ্রেনের বর্তমান চিকিৎসা
নন-ফার্মাকোলজিক্যাল চিকিৎসা বা ওষুধ ছাড়া চিকিৎসা
> এক্ষেত্রে জীবনযাপন ব্যবস্থাপনা, শরীরচর্চা ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা প্রধান কাজ।
> তা ছাড়া পর্যাপ্ত ঘুম, অতিরিক্ত টেনশন না করা এবং যেসব কাজে মাইগ্রেন বাড়তে পারে তা থেকে বিরত থাকলে মাইগ্রেনের ব্যথা কমে যেতে পারে।
> অনেকে এই ইয়োগা বা মেডিটেশনের ধারণ ও মাইগ্রেনের যন্ত্রণা থেকে মুক্ত হয়েছেন।
ফার্মাকোলজিক্যাল চিকিৎসা
> প্রতিরোধ চিকিৎসার ক্ষেত্রে কিছু ওষুধ দীর্ঘদিন খেতে হয় এবং তা দীর্ঘদিন দমন থাকে, অথবা সম্পূর্ণ ভালো হয়।
> তাৎক্ষণিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে কিছু ব্যথানাষক ওষুধ ও ট্রিপটানজাতীয় ওষুধ অতি সাবধানতার সঙ্গে দেয়া যায়।
মাইগ্রেনের আধুনিক চিকিৎসা
নিউরোমডিউলেটর থেরাপি
‘সুপরাঅরবিন্টালনার্ভ’ কউমুলেটর একটি ছোট যন্ত্র, যা মাথার সামনে ২০ মিনিট ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে তীব্র মাথাব্যথা কমে যায়। তবে এটা সবার জন্য নয়, যারা ওষুধ খেতে পারেন না, তারাই এতে উপকৃত হন।
অ্যান্টি-সিজিআরপি থেরাপি
এটি একটি মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি, যা বর্তমানে উন্নত বিশ্বে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি মাইগ্রেন সৃষ্টিকারী নিউরোট্রান্সমিশনকে বাধা দেয় এবং মাইগ্রেনের সমস্যা প্রশমিত করে।
সবেশেষে একটা কথা বলা প্রয়োজন যে, মাথাব্যথা সবসময় মাইগ্রেনের কারণে নাও হতে পারে। তাই কিছু ক্ষেত্রে অবশ্যই পরীক্ষার মাধ্যমে তা নির্ণয় করতে হবে। এক্ষেত্রে এমআরআই করলে দ্রুত মাথাব্যথার কারণ নির্ণয় করা যাবে এবং সেভাবে চিকিৎসা শুরু করা যায়।
লেখক: কনসালটেন্ট নিউরোমেডিসিন
বিআরবি হাসপাতাল, পান্থপথ, ঢাকা
মাথাব্যথা একটি সাধারণ উপসর্গ,যা বিভিন্ন অসুখের কারণে হতে পারে। আমরা প্রত্যেকেই কোনো না কোনো সময় মাথাব্যথায় ভুগি। অনিদ্রা, দুশ্চিন্তা, অতিরিক্ত কাজের চাপ, দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকা প্রভৃতি কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। তবে এসব ক্ষেত্রে এর দায়িত্ব কম এবং তা এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। আবার জ্বর-সর্দি-কাশি এসব ভাইরাসজনিত রোগে আমরা মাথাব্যথায় আক্রান্ত হতে পারি, তবে তা দীর্ঘস্থায়ী নয়। বিভিন্ন কারণে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী ও তীব্র মাথাব্যথা হতে পারে, যা আমাদের দৈনন্দিন কাজকে ব্যাহত করে । তাই মাথাব্যথার চিকিৎসা করা প্রয়োজন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিয়মিত ওষুধ খেলে ও নিয়মকানুন মেনে চললে মাথাব্যথা ভালো হয়ে যায় । মাথাব্যথার চিকিৎসার একটি প্রধান দিক হচ্ছে, এর কারণ নির্ণয় করা। সঠিকভাবে রোগীর ইতিহাস নিয়ে ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষার মাধ্যমে তা সম্ভব। মাথাব্যথার অনেক কারণ রয়েছে। তবে শতকরা ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে আমার মাথাব্যথার কারণ হচ্ছে ‘প্রাইমারি হেডেক’, যা দীর্ঘস্থায়ী ও পুনঃপুন দেখা যায় এবং যা দেহের কোনো মারাত্মক ক্ষতি করে না। নিয়মিত ওষুধ খেলে এবং নিয়ম মেনে চললে তা ভালো হয়ে যায়। অনেকাংশে কমে যায় এবং রোগী স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন।
কিন্তু শতকরা ১০ রোগীর ক্ষেত্রে মস্তিকের জটিল রোগের কারণ হতে পারে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে স্ট্রোক (হেমোরেজিক/সাবআয়াকনোরেড) মেনিনজাইটিস, মস্তিকে টিউমার প্রভৃতি। এক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা করার প্রয়োজন, অন্যথায় রোগীর অজ্ঞান হওয়া, খিচুনি হওয়া এবং নানা ধরনের স্নায়বিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। ‘প্রাইমারি হেডেক’, শতকরা ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে যার কোনো নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।
যথাযথ ওষুধ ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অনেকংশে নিরাময় সম্ভাব। এর মধ্যে রয়েছে—
১. টেনশনজনিত মাথাব্যথা বা টেনশন হেডেক ৮০ ভাগ।
২. মাইগ্রেনজনিত মাথাব্যথা ১৫-২০ ভাগ।
৩. ক্লাস্টার হেডেক ০.১ ভাগ।
মাইগ্রেনজনিত মাথাব্যথা
আজকে আমরা ‘মাইগ্রেন’-জনিত মাথাব্যথা নিয়ে আলোচনা করব। সেকেন্ডারি হেডেক নানা জটিল কারণে হতে পারে, যেমন মেনিনজাইটিস, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, মস্তিষ্কের টিউমার, মস্তিষ্কে আঘাত প্রভৃতি । এটি মস্তিষ্কের একটি জটিল সমস্যা। দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথা যাদের রয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকেই এই মাইগ্রেনজনিত মাথাব্যথায় আক্রান্ত। তবে এ রোগে মহিলারা পুরুষদের তুলনায় বেশি আক্রান্ত হয় (মহিলাদের আক্রান্ত হওয়ার হার প্রায় তিনগুণ বেশি)। ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এ রোগ বেশি পরিলক্ষিত হয়।
লক্ষণ: প্রায় মাথাব্যথা। চার ঘণ্টা থেকে ৭২ ঘণ্টা স্থায়ী মাথাব্যথা। মাথায় এক মাসে বারবার ব্যথা করা। মাথার পাশে ধপ-ধপ করে লাফানো। যে কোনো শারীরিক পরিশ্রমে প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। বমি ভাব/বমি করা ও শব্দ না শুনতে পারা। চোখে ঝাপসা দেখা বা জিকজ্যাক দেখা। শব্দ ও আলোতে অতিসংবেদনশীলতা ।
এসব লক্ষণ সাধারণত একজনের নাও থাকতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একপাশে তীব্রভাবে মাথাব্যথা করে। তাই মাইগ্রেনের ডায়াগনসিসের জন্য সঠিকভাবে রোগীর ইতিহাস নিরূপণ করা খুবই জরুরি।
যেসব কারণে মাইগ্রেন অ্যাটাক বাড়তে পারে
খাবারের মধ্যে অতিরিক্ত চকলেট, চিজ ও অ্যালকোহল মাইগ্রেনজনিত মাথাব্যথাকে বাড়াতে পারে। খাদ্যে ব্যবহৃত টেস্টি সল্ট। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও অনিদ্রা। তাছাড়া মাসিকের সময় অনেক মহিলাদের মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়তে পারে। রোদ বা উচ্চ শব্দে অনেকের সমস্যা বাড়তে পারে।
মাইগ্রেন কেন হয়
মাইগ্রেনের কোনো নির্দিষ্ট কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে বিজ্ঞানীরা এর বেশ কয়েকটি মতবাদ প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ‘নিউরোভাসকুন্দার’ থিওরি। মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে ট্রাইজেমিনাল নিউক্লিয়াস নামে একটি অতিসংবেদনশীল জায়গা আছে, যা বিভিন্ন কারণে উদ্দীপ্ত হয়ে এক ধরনের কেমিক্যাল বা নিউরোট্রান্সমিটার রিলিজ করে (CGRP, Substance P) । এসব নিউরোট্রান্সমিটার তখন রক্তনালিকে প্রসারিত করে এবং একপ্রকার প্রদাহের সৃষ্টি করে, যা মাইগ্রেনের অন্যতম কারণ। এ ছাড়া কিছু জেনেটিক কারণ রয়েছে। তাই এই রোগ অনেকের দেখা যায়। বিজ্ঞানীরা এসব বিষয় নিয়ে প্রচুর গবেষণা করছেন এবং এর আলোকে ওষুধ তৈরির চেষ্টা করছেন।
মাইগ্রেনের বর্তমান চিকিৎসা
নন-ফার্মাকোলজিক্যাল চিকিৎসা বা ওষুধ ছাড়া চিকিৎসা
> এক্ষেত্রে জীবনযাপন ব্যবস্থাপনা, শরীরচর্চা ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা প্রধান কাজ।
> তা ছাড়া পর্যাপ্ত ঘুম, অতিরিক্ত টেনশন না করা এবং যেসব কাজে মাইগ্রেন বাড়তে পারে তা থেকে বিরত থাকলে মাইগ্রেনের ব্যথা কমে যেতে পারে।
> অনেকে এই ইয়োগা বা মেডিটেশনের ধারণ ও মাইগ্রেনের যন্ত্রণা থেকে মুক্ত হয়েছেন।
ফার্মাকোলজিক্যাল চিকিৎসা
> প্রতিরোধ চিকিৎসার ক্ষেত্রে কিছু ওষুধ দীর্ঘদিন খেতে হয় এবং তা দীর্ঘদিন দমন থাকে, অথবা সম্পূর্ণ ভালো হয়।
> তাৎক্ষণিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে কিছু ব্যথানাষক ওষুধ ও ট্রিপটানজাতীয় ওষুধ অতি সাবধানতার সঙ্গে দেয়া যায়।
মাইগ্রেনের আধুনিক চিকিৎসা
নিউরোমডিউলেটর থেরাপি
‘সুপরাঅরবিন্টালনার্ভ’ কউমুলেটর একটি ছোট যন্ত্র, যা মাথার সামনে ২০ মিনিট ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে তীব্র মাথাব্যথা কমে যায়। তবে এটা সবার জন্য নয়, যারা ওষুধ খেতে পারেন না, তারাই এতে উপকৃত হন।
অ্যান্টি-সিজিআরপি থেরাপি
এটি একটি মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি, যা বর্তমানে উন্নত বিশ্বে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি মাইগ্রেন সৃষ্টিকারী নিউরোট্রান্সমিশনকে বাধা দেয় এবং মাইগ্রেনের সমস্যা প্রশমিত করে।
সবেশেষে একটা কথা বলা প্রয়োজন যে, মাথাব্যথা সবসময় মাইগ্রেনের কারণে নাও হতে পারে। তাই কিছু ক্ষেত্রে অবশ্যই পরীক্ষার মাধ্যমে তা নির্ণয় করতে হবে। এক্ষেত্রে এমআরআই করলে দ্রুত মাথাব্যথার কারণ নির্ণয় করা যাবে এবং সেভাবে চিকিৎসা শুরু করা যায়।
লেখক: কনসালটেন্ট নিউরোমেডিসিন
বিআরবি হাসপাতাল, পান্থপথ, ঢাকা
দেশে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে প্রাণঘাতী ব্যাধি ক্যানসার সংক্রমণ। বর্তমানে প্রতি লাখে ১০৬ জন মানুষ ক্যানসারে ভুগছেন। প্রতি বছর এই তালিকায় নতুন করে যুক্ত হচ্ছে ৫৩ জন।
৯ দিন আগে‘বাংলাদেশে ৩৮ ধরণের ক্যান্সারের রোগী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে স্তন, মুখ, পাকস্থলী, শ্বাসনালি এবং জরায়ু মুখের ক্যান্সার রোগীর সংখ্যাই বেশি। আক্রান্তদের মধ্যে ৯৩ শতাংশ রোগীর বয়স ১৮ থেকে ৭৫ বছর।
৯ দিন আগেশীতকালে নবজাতকের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন। কারণ নবজাতকের তাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা খুবই কম, তাই অল্প শীতেই তারা কাবু হয়ে যায়। যে বাচ্চা পূর্ণ ৩৭ সপ্তাহ মাতৃগর্ভে কাটিয়ে জন্ম নিয়েছে, তার ক্ষেত্রে জটিলতা কম। কিন্তু সময়ের আগেই জন্ম নেওয়া শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন।
১৩ দিন আগেবর্তমানে বিশ্বে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। গ্লোবোকানের তথ্যমতে, ২০২৪ সালে বিশ্বে প্রায় দুই কোটি মানুষ ক্যানসার-আক্রান্ত হয়েছে এবং এর মধ্যে প্রায় এক কোটি মানুষই মৃত্যুবরণ করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৫০ সাল নাগাদ ক্যানসার-আক্রান্ত রোগীর হার প্রায় ৩ দশমিক ৫ কোটিতে দাঁড়াবে।
১৩ দিন আগে