শহিদ আহাদ
উপজেলা প্রতিনিধি, ভাঙ্গা (ফরিদপুর)
দাদির আদরে বেড়ে উঠছিল চার বছরের আব্দুল আহাদ। নাতিকে ছাড়া সময়ই যেন কাটতো না দাদির। সারাক্ষণ বুকে-পিঠে আর কোলে থাকতো ভালোবাসার নাতি। কিন্তু শেখ হাসিনার ক্ষমতায় টিকে থাকার লড়ায়ে শেষ হয়ে গেল সব। পুলিশের গুলিতে ছোট্ট বয়সেই দিতে হলো তার জীবন।
শিশু আহাদের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদাহ ইউনিয়নের পুখুরিয়া গ্রামে। নাতির অপূর্ণতা কোনোভাবেই ভুলতে পারছেন না ৮০ বছর বয়সী দাদি ওয়াহিদা বেগম।
আহাদের বাবা ঢাকা-৮ কর অঞ্চলের সহকারী আবুল হসনাত শান্ত। তার মায়ের নাম সুমি আক্তার।
ওয়াহিদা বলেন, আমার স্বামী বজলুর রহমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৯৮ সালে তিনি মারা যান। এরপর পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়েকে নিয়ে সংগ্রামের জীবন শুরু হয়েছিল। বড় ছেলে জামাল ব্যাপারী প্রবাসী। বাকিরা সরকারি চাকরি করছেন। সবাই নিজ নিজ কর্মস্থলে রয়েছে। কিন্তু আমি নাতির কবর ছেড়ে কোথাও যেতে পারছি না। তার বিচার না হওয়া পর্যন্ত এখানেই বাকি সময় কাটাতে চাই।
পুখুরিয়ায় গিয়ে দেখা যায়, চার বছর আগে জন্ম নেয়া জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহিদ হওয়া আহাদের কবর দাদার বাড়ির আঙিনার মেহগনি বাগানে। নাতির ছবি নিয়ে সেখানেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন দাদি। এ বাড়িতে আর কেউই থাকেন না। তবে নাতির মায়া ছেড়ে কোথাও যেতে রাজি নন বৃদ্ধা দাদি।
কথা হয় ভাঙ্গা উপজেলার সমন্বয়ক আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, বাবা-মায়ের সামনে সন্তান হারানোর বেদনা নিয়ে পরিবারটির পাশাপাশি আমরাও ন্যায়বিচারের আশায়। যেকোনো কিছুর বিনিময়ে অবশ্যই খুনি শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের এ মাটিতে বিচার হবে।
দিনটি ছিল ১৯ জুলাই। বাবা-মা ও বড় ভাইয়ের সঙ্গে রাজধানীর রায়েরবাজারে ১১ তলা ভবনের অষ্টম ফ্লোরের ভাড়া বাসার বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিল আহাদ। এদিন ঘরের মেঝেতে গরম হাওয়া আর বাইরে চলছিল আন্দোলনের উত্তপ্ততা। বিক্ষোভ করছিলেন নিরস্ত্র কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। তাদের দমনে গুলি করছিল পুলিশ। তাদের একটি বুলেট আহাদের ডান চোখে লাগে।
সন্তানের শরীর থেকে রক্ত ঝরছিল দৃশ্য দেখে বাবা-মা দিশেহারা। সন্তানকে বাঁচাতে জীবনঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় নেমে এলেও বাধা দেয় আওয়ামী দোসররা। আহাদের রক্তাক্ত চিত্র দেখার পরও তাদের মন কাঁদেনি। মায়ের আর্তনাদে চিকিৎসার জন্য ছেড়ে দেন। কিন্তু ততক্ষণে জীবনপ্রদীপ নিভু নিভু করছিল আহাদের। ২০ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে শিশুটি মারা যায়। পরদিন পুখুরিয়ায় তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় কদমতলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন আহাদের চাচা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোকলেছুর রহমান।
দাদির আদরে বেড়ে উঠছিল চার বছরের আব্দুল আহাদ। নাতিকে ছাড়া সময়ই যেন কাটতো না দাদির। সারাক্ষণ বুকে-পিঠে আর কোলে থাকতো ভালোবাসার নাতি। কিন্তু শেখ হাসিনার ক্ষমতায় টিকে থাকার লড়ায়ে শেষ হয়ে গেল সব। পুলিশের গুলিতে ছোট্ট বয়সেই দিতে হলো তার জীবন।
শিশু আহাদের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদাহ ইউনিয়নের পুখুরিয়া গ্রামে। নাতির অপূর্ণতা কোনোভাবেই ভুলতে পারছেন না ৮০ বছর বয়সী দাদি ওয়াহিদা বেগম।
আহাদের বাবা ঢাকা-৮ কর অঞ্চলের সহকারী আবুল হসনাত শান্ত। তার মায়ের নাম সুমি আক্তার।
ওয়াহিদা বলেন, আমার স্বামী বজলুর রহমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৯৮ সালে তিনি মারা যান। এরপর পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়েকে নিয়ে সংগ্রামের জীবন শুরু হয়েছিল। বড় ছেলে জামাল ব্যাপারী প্রবাসী। বাকিরা সরকারি চাকরি করছেন। সবাই নিজ নিজ কর্মস্থলে রয়েছে। কিন্তু আমি নাতির কবর ছেড়ে কোথাও যেতে পারছি না। তার বিচার না হওয়া পর্যন্ত এখানেই বাকি সময় কাটাতে চাই।
পুখুরিয়ায় গিয়ে দেখা যায়, চার বছর আগে জন্ম নেয়া জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহিদ হওয়া আহাদের কবর দাদার বাড়ির আঙিনার মেহগনি বাগানে। নাতির ছবি নিয়ে সেখানেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন দাদি। এ বাড়িতে আর কেউই থাকেন না। তবে নাতির মায়া ছেড়ে কোথাও যেতে রাজি নন বৃদ্ধা দাদি।
কথা হয় ভাঙ্গা উপজেলার সমন্বয়ক আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, বাবা-মায়ের সামনে সন্তান হারানোর বেদনা নিয়ে পরিবারটির পাশাপাশি আমরাও ন্যায়বিচারের আশায়। যেকোনো কিছুর বিনিময়ে অবশ্যই খুনি শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের এ মাটিতে বিচার হবে।
দিনটি ছিল ১৯ জুলাই। বাবা-মা ও বড় ভাইয়ের সঙ্গে রাজধানীর রায়েরবাজারে ১১ তলা ভবনের অষ্টম ফ্লোরের ভাড়া বাসার বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিল আহাদ। এদিন ঘরের মেঝেতে গরম হাওয়া আর বাইরে চলছিল আন্দোলনের উত্তপ্ততা। বিক্ষোভ করছিলেন নিরস্ত্র কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। তাদের দমনে গুলি করছিল পুলিশ। তাদের একটি বুলেট আহাদের ডান চোখে লাগে।
সন্তানের শরীর থেকে রক্ত ঝরছিল দৃশ্য দেখে বাবা-মা দিশেহারা। সন্তানকে বাঁচাতে জীবনঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় নেমে এলেও বাধা দেয় আওয়ামী দোসররা। আহাদের রক্তাক্ত চিত্র দেখার পরও তাদের মন কাঁদেনি। মায়ের আর্তনাদে চিকিৎসার জন্য ছেড়ে দেন। কিন্তু ততক্ষণে জীবনপ্রদীপ নিভু নিভু করছিল আহাদের। ২০ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে শিশুটি মারা যায়। পরদিন পুখুরিয়ায় তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় কদমতলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন আহাদের চাচা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোকলেছুর রহমান।
স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে গত বছরের ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপালের ছাত্র-জনতার অবস্থান কর্মসূচিতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রথম নিহত হন শহীদ ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ। তিন ভাই-বোনের মধ্যে শ্রাবণ ছিলেন সবার বড় এবং মা-বাবার একমাত্র পুত্র সন্তান।
৪ ঘণ্টা আগে২০২৪ সালের জুলাইয়ের উত্তাল দিনগুলোর একটি ছিল ১৯ তারিখ শুক্রবার। জুমার নামাজ শেষে রাজধানীর আফতাবনগরের গেটের সামনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দেন মো. ইমন কবীর। র্যাব, পুলিশ ও বিজিবি সুসজ্জিত বাহিনীর মুহুর্মুহু গুলি চলে।
১ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রলীগ-যুবলীগের গুলিতে লক্ষ্মীপুরে প্রথম শহীদ হন মেধাবী ছাত্র সাদ আল আফনান। আফনান হত্যার ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেছেন। মামলার পর থেকে গত ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে পরিবারটি।
২ দিন আগে‘বাবা আমি মইরা যামু, আমার লাশটা নিয়া যাইও’ বাবা আবুল হোসেনের সঙ্গে এটিই ছিল শহীদ নাফিসা হোসেন মারওয়ার শেষ কথা। গুলি খাওয়ার প্রায় আধা ঘণ্টা পর বাবার মোবাইলে মৃদু কণ্ঠে কথাগুলো বলেছিলেন নাফিসা।
৩ দিন আগে