Ad T1

হাসিনার দুর্নীতির তদন্ত সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার: প্রেস সচিব

স্পোর্টস রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০: ৪৭

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের দুর্নীতির তদন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার দুর্নীতির নিয়ে আমাদের কাজগুলো শুরু হয়েছে। এটা আমাদের টপ প্রায়োরিটি।

মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। এর আগে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের বিষয়ে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর, সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি।

শেখ হাসিনার পরিবারের দুর্নীতির তথ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, কাজ শুরু হয়েছে। উনি একটা চোরতন্ত্র এখানে জারি করেছিলেন। সেই চোরতন্ত্রে কারা কারা এই মহাচুরিতে জড়িত ছিলো এটা বাংলাদেশের মানুষ জানতে চায়। জনগনকে জানানোটা আমাদের একটা নৈতিক দায়িত্ব। উনি কি পরিমাণ চুরি করেছেন, সামনে সেটা অবশ্যই আপনারা জানতে পারবেন।

বাংলাদেশের কি পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে, তার একটা ধারণা শ্বেতপত্রে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৬ মিলিয়ন ডলার প্রতি বছর পাচার হয়েছে। এটা বাংলাদেশের মানুষের টাকা। আর ব্যাংকগুলো কীভাবে ডাকাতি হয়েছে আপনারা তো দেখেছেন। আমরা গুরুত্বের সঙ্গে এটা তদন্ত করছি।

শেখ হাসিনার অপরাধগুলো ভয়াবহ মন্তব্য করে তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে যে ধরনের অপরাধগুলো হয়েছে এটা তো চিন্তা করা যায় না। পুরো পৃথিবী হঠাৎ করে ঘুম থেকে উঠে দেখছেন তার ক্রাইমটা কী ছিলো। প্রায় সাড়ে তিন হাজার লোক গুম হয়েছে। বিচারবহির্ভূত হত্যা হয়েছে কয়েক হাজার লোক। জুলাই আগস্টে মারা গেছেন প্রায় ১৫-শ জনের মত লোক। কত ভয়ানক একটা বিষয়। মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। এটা আঁতকে ওঠার মত।

কিছু গণমাধ্যম অফিসে গিয়ে তালিকা দিয়ে তাদের বের করে দিতে সমন্বয়কদের বলাটা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য কতটা সহায়ক জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আমি আমার সরকারের কথা বলতে পারি। বেসরকারি নাগরিক কে কী বলছেন সেটা আমরা বলতে পারি না। আমরা তো সমন্বয়কদের সরকার নই। এটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আমি আমার সরকারের কথা বলছি। আমার সরকারের কেউ যদি এ ধরনের কিছু করে থাকে সেটা বলেন। সরকারের বাইরে কে কী করলো সেটা বিএনপি হোক, আওয়ামী লীগ হোক। বা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-যে-ই হোক তার দায় দায়িত্ব তো আমার নয়। এটা উনারদের প্রশ্নটা করেন।

সরকার অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, গত সাড়ে তিন মাসে বিডার চেয়ারম্যান সাড়ে তিন হাজার সিইও-এর সঙ্গে কথা বলেছেন। সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে চীনের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ সফরেও আসছেন বলে জানান প্রেস সচিব।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি তার ব্যক্তিগত মতামত। পরে কিন্তু তিনি সেটা মুছে ফেলে আরেকটি স্ট্যাটাস দিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সেখানে তার জবাব পাওয়া যাবে। এটা নিয়ে ভারত তার প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। ভারত একটা স্বাধীন দেশ। আমরা বলছি এটা মাহফুজের ব্যক্তিগত মতামত।

বিষয়:

সরকার
Ad
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত