Ad T1

রাষ্ট্রপতিশাসিত ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার আহ্বান মাহমুদুর রহমানের

কূটনৈতিক রিপোর্টার
প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২০: ৩৩
আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২০: ৩৮

ভবিষ্যতে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের উত্থান ঠেকাতে রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

শনিবার অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের সংগঠন রাওয়া আয়োজিত ‘রাষ্ট্র সংস্কার: রাজনীতিমুক্ত সামরিক বাহিনী’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এই আহ্বান জানান। মাহমুদুর রহমান বলেন, সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় গণতন্ত্রের পরিবর্তে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ চেপে বসেছে। তিনি জনগণ এবং সামরিক বাহিনীর মধ্যে ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জনগণ ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে ইস্পাত কঠিন ঐক্য জরুরি। বাংলাদেশে নীতিহীন রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং উচ্চাভিলাসী সেনা কর্মকর্তারা তাদের ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থে সামরিক বাহিনীতে রাজনীতিকরণ করেছে। শেখ মুজিবুরের রহমানের হাত ধরে সামরিক বাহিনীর রাজনীতিকরণ শুরু বলে তিনি মন্তব্য করেন।

রাওয়ার সভাপতি কর্ণেল (অব.) আব্দুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এলডিপির চেয়ারম্যান কর্ণেল (অব.) অলি আহমেদ বীর বিক্রম বলেন, বাংলাদেশের জন্মের শুরু থেকে সামরিক বাহিনী ও বাংলাদেশকে দুর্বল করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ভারত। ভারত কখনোই বাংলাদেশের মঙ্গল চায় না। ভারত চায় বাংলাদেশকে শাসন ও শোষণ করতে। তিনি বলেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে কোন ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না ভারতকে।

সেমিনারে ব্রিগেডিয়ার (অব.) ড. আবদুল্লাহ আল ইউসুফ আলাদা একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে মেজর জেনারেল (অব.) নাঈম আশফাক চৌধুরী, অধ্যাপক ড. এ এস এম আলী আশরাফ, অধ্যাপক ড. নাহিদ সুলতান, রিয়ার এডমিরাল (অব.) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, কর্ণেল (অব.) মো. আসাদুল্লাহ, ব্রিগেডিয়ার (অব.) এ বিএম গোলাম মোস্তফা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সেমিনারে অবসর ও কর্মরত সামরিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণী পেশার কর্তা ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে মাহমুদুর রহমান বক্তব্যে রাজনৈতিক নেতৃত্বে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার প্রতিরোধ প্রসঙ্গে বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা শাসনামলে সামরিক বাহিনীকে নগ্নভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। হাসিনা শাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে সামরিক বাহিনীর নৈতিকতা, সাহস এবং দেশপ্রেমের অবক্ষয় হয়েছে। শেখ হাসিনা প্রতিটি ভুয়া নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে তার অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার পাশাপাশি দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া ধ্বংস করেছেন। র‌্যাব এবং ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তারা ব্যক্তি স্বার্থে পেশাদারিত্বকে জলাঞ্জলি দিয়ে ফ্যাসিস্ট শাসকের ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করেছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার রাজনৈতিক স্বার্থে সার্বভৌমত্বের প্রতীক সামরিক বাহিনীকে বিতর্কিত করেছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্র ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার ছাড়া সামরিক বাহিনীকে রাজনীতিমুক্ত এবং পেশাদার বাহিনীতে পরিণত করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের বর্তমান শাসন ব্যবস্থার কার্যকারিতা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে আমার দেশ সম্পাদক বলেন, ওয়েস্ট মিনিস্টার শাসন ব্যবস্থা গণতন্ত্রের পরিবর্তে বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদের জোয়াল পরিয়েছে। সংসদীয় পদ্ধতিতে যেহেতু আমৃত্যু ক্ষমতা দখলে রাখার সুযোগ আছে, সেই সুযোগ নিয়েই শেক হাসিনা পুলিশ, র‌্যাব এবং ডিজিএফআইকে ব্যবহার করে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি এবং ভিন্ন মতকে দমন করেছেন, জনগণের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়েছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব িবকিয়ে দিয়েছেন এবং ফ্যাসিবাদ কায়ে, করেছেন। সামরিক বাহিনীও যখন দেখেছে, শেখ হাসিনার ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই তখন ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থে তারাও বশ্যতা স্বীকার করেছে। এই পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলে দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় ভবিষ্যতে নতুন ফ্যাসিবাদের উত্থানের আশঙ্কা থেকে যাবে।

তিনি আরো বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের আদলে প্রেসিডন্সিয়াল পদ্ধতি প্রবর্তনের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনার সময় এসেছে। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে সর্বোচ্চ দু’বার ৫ বছরের মেয়াদের জন্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তাব করেন আমার দেশ সম্পাদক।

মূল প্রবন্ধে আমার দেশ সম্পাদক নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি সংবিধানে পুন:সংযোজন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিয়োগ, মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযুক্ত সামরিক কর্মকর্তাদের বিচারসহ বিভিন্ন সুপারিশ তুলে করেন।

সামরিক বাহিনীর রাজনীতিকরণ প্রসঙ্গ তুলে ধরে আমার দেশ সম্পাদক বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। েএই অনভিপ্রেত বিতর্ককে কেন্দ্র করে পতিত ফ্যাসিবাদী ও ভারতীয় আদিপত্যবাদ িএকত্রিত হয়ে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে জনগণের দুরত্ব বাড়িয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজিপির সমর্থক ইংরেজি সাপ্তাহিক ইন্ডিয়া টুডেতে সুবীর ভৌমিক নামে এক কষ্ট্রর বাংলাদেশি বিদ্বেষী সাংবাদিক এক নিবন্ধে বাংলাদেশে সামরিক শাসন জারির উৎসকানি দিয়েছেন। ওই নিবন্ধে আওয়ামী লীগের এক দোসর ব্যারিস্টার তানিয়া আমির সেনাবাহিনীকে উৎসকানি দিয়ে বলেছেন, রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুম্পুকে আর্টিকেল ১৪১ ধারা বলে বাংলাদেশে জরুরি অবস্থা জারির ব্যাপারে সেনাপ্রধান দৃঢ়ভাবে সমর্থন জানাতে পারেন। ব্যারিস্টার তানিয়া আমির এই বক্তব্যের মাধ্যমে রাষ্ট্রোদ্রোহের অপরাধ করেছেন বলে মনে করেন মাহমুদুর রহমান।

তিনি বলেন, সুবীর ভৌমিকের লেখা ও তানিয়া আমিরের মন্তব্যে আমাদের বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। আমার বিশ্বাস সেনাবাহিনীর কিছু সুযোগ সন্ধানী কর্মকর্তার মধ্যে উচ্চ আকাঙ্খা থাকলেও সেনাবাহিনীর বিপুল সংখ্যাগরিষ্ট অংশ আন্তরিকভাবে ড. ইউনুস সরকারের সাফল্য দেখতে চান। আমার দেশ সম্পাদক আরও বলেন, আমি মনে করি - এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সেনা অভ্যুত্থান বা জরুরি অবস্থা জারির কোনো সম্ভাবনা নেই।

বর্তমান পরিস্থিতিতে এই ধরণের পদক্ষেপ নেয়ার কোনো সুযোগ রয়েছে বলে আমি মনে করি না। বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক জনগণ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের ভারতীয় আদিপত্যবাদী আকাঙ্খা সম্পর্কে সতর্ক হওয়া উচিত। আমরা এমন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারি না, যাতে জনগণ ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে কোনো ধরণের ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ সৃষ্টি হয়। আমাদের স্মরণ রাখা উচিত, সামরিক বাহিনীর রাজনীতিকরণ কোনো একপক্ষীয় বিষয় নয়। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ আমরা দেখেছি, তেমনকি রাজনীতিবিদরাও নিজেদের স্বার্থে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করেছেন। প্রকৃত পক্ষে স্বাধীনতার পর পর রক্ষীবাহিনী সৃষ্টির মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমান সেনাবাহিনীতে রাজনীতিকরণ শুরু করেছিলেন। শেখ মুজিবুব রহমান সেনাবাহিনীকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে ভারতের সহায়তায় আওয়ামী লীগের রাজনীতির চেতনা বিশিষ্ট রক্ষীবাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। শেখ মুজিব এ ব্যাপারে সহযোগিতা করার জন্য ইন্দিরা গান্ধীকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। সে সময় শেখ মুজিবুর রহমান বিখ্যাত সাংবাদিক ম্যাসকারাহ্যান্সকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে বলেছিলেন, তিনি বাংলাদেশে পাকিস্তানের মতো দানব সেনাবাহিনী গঠন করতে চান না।

মাহমুদুর রহমান বাংলাদেশে প্রথম সামরিক আইন জারির প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, আওয়ামী লীগসহ ভারতপন্থি অন্যান্য শক্তি সবসময় বলে থাকেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে প্রথম সামরিক আইন জারি করেন। এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। বাংলাদেশে প্রথম সামরিক আইন জারি করেছিলেন, ব্রি. খালেদ মোশাররফ। খালেদ মোশারফের সামরিক জারি স্থায়িত্ব পান মাত্র ৩দিন। তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে সামরিক আইন জারি করেছিলেন জিয়াউর রহমান এবং পরবর্তীতে তার হাত ধরেই বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসে।

বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদ প্রতিষ্ঠার প্রসঙ্গ তুলে ধরে আমার দেশ সম্পাদক বলেন, ইন্দো-মার্কি পরিকল্পনায় ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি এক ধরণের নতুন সেনাশাসনের যুগে বাংলাদেশ প্রবেশ করে। শুধু যে গণতান্ত্রিক শামস ব্যবস্থার অবসান ঘটে সেই সঙ্গে সাবূভৌমত্ব বিলীন হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বাংলাদেশে তৎকালিন সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন উ আহমেদ প্রকৃতপক্ষে দিল্লীর বশ্যাতা স্বীকার করে নেয়। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিস্ময়কর বিজয়ের নেপথ্যে ডিজিএফআই এবং ভারত যৌথভাবে ভূমিকা পালন করেছিল। শেখ হাসিনার ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র ৬ সপ্তাহের মধ্যে রহস্যময় বিডিআর বিদ্রোহের মাধ্যেমে ৫৭জন সেনা অফিসারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আওয়ামী লীগ এবং ভারত যৌথভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে নানান তথ্য প্রমাণ রয়েছে।

বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত সংস্কারকে অর্থবহ টেকসই করতে হলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অন্যতম স্তম্ভ সামরিক বাহিনীকে সব ধরণের রাজনৈতিক অপছায়া ও প্রভাব থেকে মুক্ত করা আবশ্যক বলে মন্তব্য করেন আমার দেশ সম্পাদক। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে রাজনীতিমুক্ত রেখে একটি পেশাদার বাহিনীতে রূপান্তরের লক্ষ্যে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন, সামরিক বাহিনীতে পদোন্নতি নীতিমালা প্রণয়ন, সামরিক বাহিনীর বাণিজ্য সম্পর্ক রহিতকরণ, বেসামরিক দায়িত্ব থেকে সেনাবাহিনীকে পৃথকীকরণ, সামরিক বাজেটের স্বচ্ছতা আনয়ন, সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণে আন্তর্জাতিক মান-অর্জন ও সাংস্কৃতিক শিক্ষা প্রদানসহ বেশকিছু জরুরি সুপারিশ তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কর্ণেন (অব.) অলি আহমেদ বলেন, দেশের জনগণ এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে একটি মেলবন্ধন তৈরি হতে হবে। এ নিয়ে সব পক্ষের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা প্রয়োজন। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত সম্পর্কে দেশের জনগণ এবং সামরিক বাহিনীকে সচেষ্ট থাকতে হবে। তিনি বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে বাংলাদেশ এবং সামরিক বাহিনীকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে ভারত। ভারত সবসময় সামরিক বাহিনীর মধ্যে বিভিন্ন গ্রুপ তৈরি করে সেনাবাহিনীকে দুর্বল করতে চেয়েছে। ভারত কখনই বাংলাদেশের মঙ্গল চায়নি। ভারত চায় বাংলাদেশকে শাসন ও শোষণ করতে। তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ভারতকে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে দেশের রাজনীতিবিদ, সামরিক বাহিনী এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে অবশ্যই ঐক্যমত থাকতে হবে। কর্ণেল অলি আহমেদ আরও বলেন, সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে না পাঠানোর দাবি জানিয়ে বলেন, এখন থেকে কোনো সামরিক কর্মকর্তা যেনো প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে না যায়। প্রশিক্ষণের নামে ভারত বিভিন্ন সময়ে সামরিক কর্মকর্তাদের অনৈতিক কাজে যুক্ত করে ট্রাপে ফেলেছে; জেনারেল এরশাদ তার বড় উদাহরণ। এরশাদকে দিয়েই ভারত নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে সামরিক শাসন জারি করেছিল। তিনি আরও বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের সময় ভারতে ব্ল্যাকক্যাট সরাসরি হত্যাকান্ডে জড়িত ছিল। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার সময়ও আমরা এয়ারপোর্টে ভারতীয় ব্ল্যাকক্যাটদেরও পালিয়ে যেতে দেখেছি। সুতরং ভারতের ব্যাপারে আমাদের অবশ্যই সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

আওয়ামী লীগের তীব্র সমালোচনা করে কর্ণেল অলি আহমেদ বলেন, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগ ছিল না। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁরা ভারতের আশ্রয়ে ছিলো। সশস্ত্রবাহিনী ও মুক্তিযুদ্ধদের অবমূল্যায়ন এবং একদলীয় শাসন ব্যবস্থার কারণে ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের ঘটনা ঘটেছিল বলে মন্তব্য করেন এলডিপির সভাপতি।

ব্রি. জে. (অব.) আবদুল্লাহ আল ইউসুফ তার প্রমাণ দিয়ে বলেন, সশস্ত্রবাহিনীকে দলীয় ও অপরাজনীতির প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রয়োজন। প্রথমে প্রয়োজন সশস্ত্রবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা রাষ্ট্র ব্যবস্থার মধ্যে এমনভাবে বিন্যস্ত করে দেয়া যাতে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় থাকে। তিনি বলেন, সশস্ত্রবাহিনীকে দলীয় রাজনীতিমুক্ত রাখার জন্য সশস্ত্রবাহিনীর প্রধানকে সরকার প্রধানের অধীনে ন্যস্ত না করে জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধানের অধীনে ন্যস্ত করায় অধিক যুক্তযুক্ত।

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত