স্টাফ রিপোর্টার
সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী বলেছেন, জুলাই শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য আমরা চেষ্টা করছি তবে আমরা যথেষ্ট করতে পারছি না। তবে এটা একদিনে বা এক মাসেও শেষ হবে না। এটা দীর্ঘ কাজ। আমরা চলে যাবার পর যারা দায়িত্বে আসবেন তাদেরও এই কাজটা করতে হবে।
শুক্রবার বিকেলে মিরপুর ১ শাহ আলী (রহ) মাজার প্রাঙ্গণে 'গণমানুষের জাগ্রত জুলাই' শীর্ষক জুলাই স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের স্বজন ও আহতদের কথা শুনলে যে আমরা বিধ্বস্ত হয়ে যাই, প্রচণ্ড বেদনার্ত লাগে, এই অনুভূতিটা থাকা ভাল। এই জাতি যতদিন এই বেদনা মনে রাখবে ততদিনই এই জাতি ঠিক পথে থাকবে, এই বেদনা ভুলে গেলেই আমরা আবার ভুল পথে চলে যাবো।
জুলাই ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সরকার শতভাগ সফল না উল্লেখ করে ফারুকী বলেন, আমি মনে করি না যে, আমরা ১০০ ভাগ সফল হয়েছি যারা আহত হয়েছেন, যারা শহীদ হয়েছেন ঐ পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের কাজে। এর অনেক কারণ আছে, কখনো রিসোর্সের সীমাবদ্ধতা, কখনো পদ্ধতিগত সীমাবদ্ধতা। কিন্তু একটা জিনিস আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, যদিও এটা আমার মন্ত্রণালয়ের কাজ না, আমাদের ইচ্ছায় কোন রকমের কমতি নাই। আমাদের ক্যাবিনেটে সারাক্ষণই আমরা এই কথাটা বলি যে, আমরা বোধহয় যথেষ্ট করতে পারলাম না। এই কথাটা আমি অনুভব করি। এর অর্থ হলো, আমরা স্বীকার করি, আমরা যা করেছি তা যথেষ্ট না।
জুলাই জাদুঘর ভিন্ন আঙ্গিকে নির্মাণ করা হচ্ছে জানিয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, আমরা জুলাই জাদুঘর করছি, সাধারণত জাদুঘর যেমন হয় এটা এমন হবে না। এই যাদুঘরে যারাই যাবেন তারা জুলাই-আগস্টের বেদনার ভিতর দিয়ে ভ্রমণ করবেন। আমার বিশ্বাস, যখন জাদুঘর দেখে বের হয়ে আসবেন তখন তিনি হাঁটতে পারবেন না, তার পা ভারি হয়ে আসবে৷ আমরা চেষ্টা করবো জুলাই যাদুঘরে যেন আপনাদের সমস্ত বেদনা লিপিবদ্ধ থাকে।
ধর্মীয় উৎসব রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের কাজ হচ্ছে, ঈদ, পূজা, বড়দিন যার যা উৎসব, যে যেটা পালন করতে চায় সেটাকে আমরা উদযাপন করবো। আমাদের ধর্মীয় আচার, বিশ্বাস, রীতিনীতি এগুলো মিলেই আমাদের সংস্কৃতি হয়ে উঠে কিন্তু যেই কোন কারণে হউক ৫৪ বছর ধরে শুধু কম্পার্টমেন্টগুলো ভাগ করেছি। কোথাও যদি ইসলামের গন্ধ পাওয়া যায় সে জিনিসটা আর আমাদের সংস্কৃতির অংশ হবে না। এই কম্পার্টমেন্টালাইজেশন টা আমরা ভেঙ্গে দিচ্ছি।
ফারুকী বলেন, এবারের নববর্ষের উৎসবকেও আমরা সবার উৎসবে পরিণত করেছি। চাকমা, মারমা, গারো বাঙালি, আমাদের মধ্যে কোন আলাদা থাকবে না। যে মাজারে বিশ্বাস করেন তিনি মাজারে যাবেন, যিনি বিশ্বাস করেন না তিনি যাবেন না কিন্তু আমি বিশ্বাস করি না বলে সেটা থাকতে পারবে না, ভেঙে এটাই ফ্যাসিজম, এটাই সমস্যা। এই ফ্যাসিজম আমাদেরকে বন্ধ করতে হবে।
জুলাই কমিউনিটি অ্যালায়েন্স মিরপুরের প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মদ রোমেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, কবি ও ভাবুক ফরহাদ মজহার, মিরপুরে আন্দোলনে আহত মাহফুজুর রহমান, আবুল বাসার সোহেল, সম্মুখ সারির যোদ্ধা আলী নুর, কবি নকিব মুকশি, হাসনাত শোয়েব, জুলাই কমিউনিটি অ্যালায়েন্স মিরপুরের সদস্য তৌফিক হাসান, উদয় হাসান ও মিলন হোসেন প্রমুখ।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, শিক্ষা মানে শুধু ডিগ্রি অর্জন নয়—এটি সত্য, ন্যায় এবং পরিবেশ রক্ষার প্রতি একটি গভীর দায়বদ্ধতা।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ বলেন, জাতির আকাঙ্খা পূরণে কাজ করছে জাতীয় ঐক্যমত কমিশন।
২ ঘণ্টা আগেরোমে বাংলাদেশ হাউস পরিদর্শন করেছেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার রোমে বাংলাদেশ হাউস পরিদর্শন করেন এবং দর্শনার্থী বইতে স্বাক্ষর করেন।
২ ঘণ্টা আগেড. আসিফ নজরুল ও হেফাজতে ইসলামির নেতা মুফতী হারুন ইজহারকে জড়িয়ে প্রচারিত খবরটি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর বলে জানিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
২ ঘণ্টা আগে