মো. সাইফুল ইসলাম সুজন
ছায়ানট ঐতিহাসিকভাবে রবীন্দ্রপ্রেমী একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। রবীন্দ্র জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ১৯৬১ সালে এ প্রতিষ্ঠান হয়। কবি সুফিয়া কামাল এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন। আবার সুফিয়া কামাল ১৯৫৫ সালে জিন্নাহকে নিয়ে একটা কবিতা লেখেন মাহে নও পত্রিকায়। কবিতার নাম হলো ‘হে মশালধারী’। কবিতার শেষ দুটি লাইন হলোÑ ‘কায়েদে আজম। তব দান, মহাকাল-ব ভারি’ রহিবে অম্লান।’
সুফিয়া কামাল প্রচণ্ড জিন্নাহভক্ত ছিলেন ‘দ্বিজাতিতত্ত্বের’ কারণে। অবশ্য তার এই বিশ্বাস অটুট থাকেনি। তিনি সোভিয়েতভক্ত হয়ে পড়েন এবং ১৯৭০ সালে লেনিন পুরস্কার পান। ১৯৬৭ সালে আইয়ুব সরকার তথ্যমাধ্যমে রবীন্দ্রসংগীত নিষিদ্ধ করলে এর প্রতিক্রিয়ায় গঠিত হয় প্রতিক্রিয়াশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানট’ রমনা বটমূলে নববর্ষ পালন করে। এর আগে ৬৪ সালে ছোটখাটো পরিসরে তারা নববর্ষ পালন করে।
ছায়ানট বা উদীচী বিগত ফ্যাসিস্ট রেজিমে ফ্যাসিবাদের সাংস্কৃতিক লাঠিয়াল ছিল। ফ্যাসিবাদের সফট পাওয়ার হিসেবে কাজ করে তারা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থাকে দীর্ঘায়িত করেছে এবং রঠা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। বাঙালি সংস্কৃতির নামে তারা এ দেশে হিন্দুত্ববাদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছে।
ছায়ানটকে ভারত সরকার ২০১৫ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রদান করে। ২০২১ সালে সন্জীদা ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কার পান, যেটা ভারতীয় নাগরিকদের দেওয়া হয়। বিদেশিদের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম যারা তারা এই পুরস্কার পান। মজার ব্যাপার হচ্ছেÑ সন্জীদার এই ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য আমরা বাংলাদেশি হয়েও জানতে পারিনি, যেটা ভারত সরকার জানতে পেরেছে।
কিছুদিন আগে শিবলী মেহেদী নামের একজন অভিভাবক ছায়ানটের ‘নালন্দা’ স্কুলে তার মেয়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ইসলাফোবিক আচরণের কিছু ভয়াবহ চিত্র ফেসবুকে তার ব্যক্তিগত আইডিতে তুলে ধরেছেন। তাদের স্কুলে তারা খুবই সূক্ষ্ম কৌশলে কীভাবে ইসলামিফোবিক কাজ করে, তা জানার পর তিনি তার মেয়েকে নালন্দা থেকে নিয়ে এসেছেন বলে ওই ভিডিওতে বলেছেন।
ছায়ানটের আরেক ‘তারকা’ সন্জীদা খাতুন রমজানে মারা যান। তার লাশ নিয়ে ছায়ানটীদের যে রবীন্দ্র ধর্ম পালন আমরা দেখতে পাই, এর পর ছায়ানটের ‘বাঙালি’ প্রকল্প সম্পর্কে সচেতন যেকোনো ব্যক্তি নতুন করে ভাবতে বাধ্য হবে।
ছায়ানটের সন্জীদার বাঙালি ধর্ম প্রকল্প এমন ছিল, তিনি নাকি ঘুমের ভেতরেও দেখে নিতেন তার টিপ ঠিক আছে কি না। (সন্জীদা খাতুন চলে গেলেন, সমকাল, ২৬ মার্চ)
টিপ পরা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘হাজার হাজার বছর ধরেই বিশ্বের অনেক দেশের নারীদের মধ্যে টিপ পরার রীতি চালু রয়েছে।’ (টিপ পরার প্রচলন শুরু হলো যেভাবে, বিবিসি বাংলা, ৫ এপ্রিল ২০২২)
উল্লেখ্য, সিরাজুল ইসলাম ওই ঐতিহাসিক যিনি মনে করেন দ্বিজাতিতত্ত্ব মিথ্যা। তার একটা বই ‘দ্বিজাতিতত্ত্বের সত্য-মিথ্যা’তে তিনি এমনই বয়ান দিয়েছেন।
ইসলামের দৃষ্টিতে টিপ পরার ন্যারেটিভ ভিন্ন। ইবরাহিম (আ.)-কে আগুনে পোড়ানো গেল না, কারণ ফেরেশতারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এমতাবস্থায় নগ্ন মেয়েদের ডেকে আনা হয়। তখনই সম্ভব হয় ইবরাহিম (আ.)-কে আগুনে নিক্ষেপ করা, কারণ সে সময়ে নাপাক নগ্ন মেয়েরা আসার কারণে ফেরেশতারা সেখান থেকে চলে যান। এ ঘটনার পর নগ্ন মেয়েগুলোকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া হলো এবং তাদের মাথায় তিলক পরিয়ে দেওয়া হলো।
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলামের ‘হাজার বছর’ ধরে তিলক পরা ও নমরুদের নগ্ন মেয়েগুলোর তিলক মুসলমানরা সংস্কৃতির অংশ নাও মনে করতে পারেন। বাঙালি সংস্কৃতির নামে ‘তিলক’ পরার যে কলকাতার সংস্কৃতি, সেই সংস্কৃতিকে আমরা আমাদের বিশ্বাসের জায়গা থেকে ভিন্ন।
এখন প্রশ্ন হলোÑ যে ছায়ানট আমাদের ‘বাঙালি’ প্রকল্পের আড়ালে কলকাতার হিন্দুত্ববাদী সংস্কৃতি এবং ইসলামফোবিক আচরণ শেখাতে চায়, সেই ছায়ানট কেন ফ্যাসিবাদের পতনের পরও বর্ষবরণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবে? আমাদের জুলাই ছিল ভারতের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আধিপত্যবাদের বিপক্ষে আমাদের আত্মরক্ষার লড়াই। জুলাইয়ের রক্তক্ষয়ী বিজয়ের পর ফ্যাসিবাদের কোনো রক্ষাকারী উপাদানকে ন্যূনতম সুযোগ দেওয়া উচিত হবে না।
সামগ্রিকভাবে আমাদের এখন থেকে বাংলা নববর্ষকে তার চিরায়ত ঐতিহ্যের দিকে নিয়ে যেতে হবে। নববর্ষ পালনকে কলকাতাকেন্দ্রিক সংস্কৃতি ও পুঁজিবাদী শ্রেণির যৌথ প্রকল্প থেকে দূরে রাখতে হবে। নববর্ষের নামে প্রভাতে সূর্যপূজা, অন্যান্য প্রাণীর অবয়বে সাংস্কৃতিক প্রকল্প নির্মাণের প্রচেষ্টা এ দেশের মাটি, মানুষ ও ঐতিহ্যের বিরোধী। মেলা হবে, আনন্দ হবেÑ সেই আনন্দ শুধু শহুরে মধ্যবিত্ত ও উচ্চশ্রেণির মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে গ্রামের পরিশ্রমী কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।
বাংলা সনের সঙ্গে কৃষকের যে সম্পর্ক, সেই সম্পর্ককে আরো টেকসই করার জন্য যুগোপযোগী কৃষি চিন্তার বাস্তবায়ন করাই হবে আসল কাজ। বৈশাখকে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রকল্প হিসেবে হাজির করার যে সাংস্কৃতিক প্রচেষ্টা, তা সম্মিলিতভাবে রুখে দেওয়ারও জরুরি।
আমাদের যেকোনো জাতীয় অনুষ্ঠানে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনতার ধর্মবিশ্বাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটানোই রাষ্ট্র এবং সরকারের দায়িত্ব।
ছায়ানট ঐতিহাসিকভাবে রবীন্দ্রপ্রেমী একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। রবীন্দ্র জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ১৯৬১ সালে এ প্রতিষ্ঠান হয়। কবি সুফিয়া কামাল এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন। আবার সুফিয়া কামাল ১৯৫৫ সালে জিন্নাহকে নিয়ে একটা কবিতা লেখেন মাহে নও পত্রিকায়। কবিতার নাম হলো ‘হে মশালধারী’। কবিতার শেষ দুটি লাইন হলোÑ ‘কায়েদে আজম। তব দান, মহাকাল-ব ভারি’ রহিবে অম্লান।’
সুফিয়া কামাল প্রচণ্ড জিন্নাহভক্ত ছিলেন ‘দ্বিজাতিতত্ত্বের’ কারণে। অবশ্য তার এই বিশ্বাস অটুট থাকেনি। তিনি সোভিয়েতভক্ত হয়ে পড়েন এবং ১৯৭০ সালে লেনিন পুরস্কার পান। ১৯৬৭ সালে আইয়ুব সরকার তথ্যমাধ্যমে রবীন্দ্রসংগীত নিষিদ্ধ করলে এর প্রতিক্রিয়ায় গঠিত হয় প্রতিক্রিয়াশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানট’ রমনা বটমূলে নববর্ষ পালন করে। এর আগে ৬৪ সালে ছোটখাটো পরিসরে তারা নববর্ষ পালন করে।
ছায়ানট বা উদীচী বিগত ফ্যাসিস্ট রেজিমে ফ্যাসিবাদের সাংস্কৃতিক লাঠিয়াল ছিল। ফ্যাসিবাদের সফট পাওয়ার হিসেবে কাজ করে তারা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থাকে দীর্ঘায়িত করেছে এবং রঠা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। বাঙালি সংস্কৃতির নামে তারা এ দেশে হিন্দুত্ববাদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছে।
ছায়ানটকে ভারত সরকার ২০১৫ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রদান করে। ২০২১ সালে সন্জীদা ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কার পান, যেটা ভারতীয় নাগরিকদের দেওয়া হয়। বিদেশিদের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম যারা তারা এই পুরস্কার পান। মজার ব্যাপার হচ্ছেÑ সন্জীদার এই ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য আমরা বাংলাদেশি হয়েও জানতে পারিনি, যেটা ভারত সরকার জানতে পেরেছে।
কিছুদিন আগে শিবলী মেহেদী নামের একজন অভিভাবক ছায়ানটের ‘নালন্দা’ স্কুলে তার মেয়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ইসলাফোবিক আচরণের কিছু ভয়াবহ চিত্র ফেসবুকে তার ব্যক্তিগত আইডিতে তুলে ধরেছেন। তাদের স্কুলে তারা খুবই সূক্ষ্ম কৌশলে কীভাবে ইসলামিফোবিক কাজ করে, তা জানার পর তিনি তার মেয়েকে নালন্দা থেকে নিয়ে এসেছেন বলে ওই ভিডিওতে বলেছেন।
ছায়ানটের আরেক ‘তারকা’ সন্জীদা খাতুন রমজানে মারা যান। তার লাশ নিয়ে ছায়ানটীদের যে রবীন্দ্র ধর্ম পালন আমরা দেখতে পাই, এর পর ছায়ানটের ‘বাঙালি’ প্রকল্প সম্পর্কে সচেতন যেকোনো ব্যক্তি নতুন করে ভাবতে বাধ্য হবে।
ছায়ানটের সন্জীদার বাঙালি ধর্ম প্রকল্প এমন ছিল, তিনি নাকি ঘুমের ভেতরেও দেখে নিতেন তার টিপ ঠিক আছে কি না। (সন্জীদা খাতুন চলে গেলেন, সমকাল, ২৬ মার্চ)
টিপ পরা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘হাজার হাজার বছর ধরেই বিশ্বের অনেক দেশের নারীদের মধ্যে টিপ পরার রীতি চালু রয়েছে।’ (টিপ পরার প্রচলন শুরু হলো যেভাবে, বিবিসি বাংলা, ৫ এপ্রিল ২০২২)
উল্লেখ্য, সিরাজুল ইসলাম ওই ঐতিহাসিক যিনি মনে করেন দ্বিজাতিতত্ত্ব মিথ্যা। তার একটা বই ‘দ্বিজাতিতত্ত্বের সত্য-মিথ্যা’তে তিনি এমনই বয়ান দিয়েছেন।
ইসলামের দৃষ্টিতে টিপ পরার ন্যারেটিভ ভিন্ন। ইবরাহিম (আ.)-কে আগুনে পোড়ানো গেল না, কারণ ফেরেশতারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এমতাবস্থায় নগ্ন মেয়েদের ডেকে আনা হয়। তখনই সম্ভব হয় ইবরাহিম (আ.)-কে আগুনে নিক্ষেপ করা, কারণ সে সময়ে নাপাক নগ্ন মেয়েরা আসার কারণে ফেরেশতারা সেখান থেকে চলে যান। এ ঘটনার পর নগ্ন মেয়েগুলোকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া হলো এবং তাদের মাথায় তিলক পরিয়ে দেওয়া হলো।
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলামের ‘হাজার বছর’ ধরে তিলক পরা ও নমরুদের নগ্ন মেয়েগুলোর তিলক মুসলমানরা সংস্কৃতির অংশ নাও মনে করতে পারেন। বাঙালি সংস্কৃতির নামে ‘তিলক’ পরার যে কলকাতার সংস্কৃতি, সেই সংস্কৃতিকে আমরা আমাদের বিশ্বাসের জায়গা থেকে ভিন্ন।
এখন প্রশ্ন হলোÑ যে ছায়ানট আমাদের ‘বাঙালি’ প্রকল্পের আড়ালে কলকাতার হিন্দুত্ববাদী সংস্কৃতি এবং ইসলামফোবিক আচরণ শেখাতে চায়, সেই ছায়ানট কেন ফ্যাসিবাদের পতনের পরও বর্ষবরণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবে? আমাদের জুলাই ছিল ভারতের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আধিপত্যবাদের বিপক্ষে আমাদের আত্মরক্ষার লড়াই। জুলাইয়ের রক্তক্ষয়ী বিজয়ের পর ফ্যাসিবাদের কোনো রক্ষাকারী উপাদানকে ন্যূনতম সুযোগ দেওয়া উচিত হবে না।
সামগ্রিকভাবে আমাদের এখন থেকে বাংলা নববর্ষকে তার চিরায়ত ঐতিহ্যের দিকে নিয়ে যেতে হবে। নববর্ষ পালনকে কলকাতাকেন্দ্রিক সংস্কৃতি ও পুঁজিবাদী শ্রেণির যৌথ প্রকল্প থেকে দূরে রাখতে হবে। নববর্ষের নামে প্রভাতে সূর্যপূজা, অন্যান্য প্রাণীর অবয়বে সাংস্কৃতিক প্রকল্প নির্মাণের প্রচেষ্টা এ দেশের মাটি, মানুষ ও ঐতিহ্যের বিরোধী। মেলা হবে, আনন্দ হবেÑ সেই আনন্দ শুধু শহুরে মধ্যবিত্ত ও উচ্চশ্রেণির মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে গ্রামের পরিশ্রমী কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।
বাংলা সনের সঙ্গে কৃষকের যে সম্পর্ক, সেই সম্পর্ককে আরো টেকসই করার জন্য যুগোপযোগী কৃষি চিন্তার বাস্তবায়ন করাই হবে আসল কাজ। বৈশাখকে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রকল্প হিসেবে হাজির করার যে সাংস্কৃতিক প্রচেষ্টা, তা সম্মিলিতভাবে রুখে দেওয়ারও জরুরি।
আমাদের যেকোনো জাতীয় অনুষ্ঠানে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনতার ধর্মবিশ্বাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটানোই রাষ্ট্র এবং সরকারের দায়িত্ব।
দেশের রাজনীতিতে নাটকীয় পরিবর্তন ঘটতে চলেছে। আওয়ামী লীগমুক্ত মাঠ রাজনীতির প্রধান দুই দল বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে নতুন করে বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক সমীকরণ বদলের আভাস মিলছে। মধ্যম ও পেছনের সারির রাজনৈতিক দলগুলো নতুন করে অবহেলা-অনাদরের শঙ্কা ও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থীরা অবশেষে নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছে – এমন একটা স্বস্তির আবহ যখন বাংলাদেশে বিরাজ করছে, তখন রোহিঙ্গারা এ নিয়ে কী ভাবছে? তারা কি আশ্বস্ত হয়েছে যে তারা নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছে? বিশেষ করে যারা মিয়ানমার সরকারের যোগ্যতার সূচকে দেশে ফেরার জন্য ‘যোগ্য’ বলে বিবেচিত হয়েছে
১১ ঘণ্টা আগেএকাত্তর-পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশে ৫০ বছরে আমরা একটি জনগোষ্ঠীকে জনগোষ্ঠী হয়ে উঠতে দিইনি। বরং বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে তাদের প্রতি অমানবিক আচরণ করেছে।
১৩ ঘণ্টা আগেএযাবৎ দেশে যত এমপি নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের ৯৫ ভাগ নিজেদের স্ত্রী-সন্তানকে পরবর্তী এমপি বানাতে চেয়েছেন, অনেকেই এই প্রচেষ্টায় কামিয়াব হয়েছেন। দেশের ৯৮ ভাগ মন্ত্রী নিজেদের পোষ্যকে মন্ত্রী করার খায়েশ প্রকাশ করে গেছেন।
১ দিন আগে