শাহীদ কামরুল
প্রায় প্রাচীনকাল থেকেই এ অঞ্চলে নববর্ষের উৎসব পালন হয়ে আসছিল। বৈশাখ মূলত সৌর বৎসরের বাংলা হিসাব। এটি বাংলা, তামিল, পাঞ্জাব ও আসাম অঞ্চলের কমবেশি সব জায়গাতেই পালন করা হতো। এটাকে হিন্দু বিক্রমী দিনপুঞ্জ বলা হতো, রাজা বিক্রমাদিত্যের নাম অনুসারে খ্রিষ্টপূর্ব ৫৭ সালে এটি পালন শুরু হয়, এখানে ১২টি মাসের নাম সংস্কৃত ভাষায় লেখা ছিল। তবে পহেলা বৈশাখ রাজা শশাঙ্কের সময়ে বিক্রমী দিনপুঞ্জ বাংলা ও নেপাল অঞ্চলে ব্যাপকভাবে পালন করা শুরু হয় এবং সংস্কৃত গ্রন্থ সূর্য সিদ্ধান্তের অনুসারে নামকরণ করা হয়।
এখানে একটি কথা বলে রাখা ভালো যে, রাজা শশাঙ্ক খুবই নিষ্ঠুর এবং নির্দয় শাসক ছিলেন। তিনি বৌদ্ধদের দেখলেই হত্যা করার ইজাজত দিয়েছিলেন। ‘Ancient History of India’ বইতে বলা আছে, শশাঙ্ক বাংলার সাধারণ মানুষের সংস্কৃতিকে কখনো গ্রহণ করেননি। তিনি ব্রাহ্মণ্যবাদী সংস্কৃতিকে গ্রহণ করেছিলেন। তা ছাড়া ডক্টর ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত তার ‘বাঙ্গালা ইতিহাস’ বইতে বলেছেন, শশাঙ্ক ফতুয়া দিয়েছিলেন বৌদ্ধদের দেখা মাত্রই হত্যা করতে হবে। তিনি প্রোটো বাংলাভাষীদেরও হত্যা করেছিলেন এবং তাদের ওপর নিদারুণ জুলুম করেছিলেন। বাংলা ভাষার প্রাচীন নিদর্শন চর্যাপদের কবিরাও সবাই বৌদ্ধ ছিলেন।
শশাঙ্কের পর আমাদের এ বাংলায় পাল রাজারা এসেছিলেন, তারপর সেনারা। আর সেনাদের সময় বৌদ্ধদের ওপর আরো বেশি অত্যাচার নেমে আসে, যার কারণে তারা জীবন বাঁচানোর জন্য পাণ্ডুলিপি (চর্যাপদ) সঙ্গে নিয়ে বাংলা থেকে নেপাল হয়ে তিব্বতে চলে যেতে চেয়েছিলেন। এখানে একটা বিষয় মনে রাখা দরকার, চর্যাপদ এককভাবে বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন নয়। বেশিরভাগ পণ্ডিত দাবি করেছেন, এটি আরো বেশ কয়েকটি ভাষারও আদি নিদর্শন, যেমন অসমীয়, ভোজপুরি, উড়িয়া, মৈথালি, ব্রজবুলি, কারমালি ভাষাসহ আর কয়েকটি ভাষাভাষীর মানুষ ও তাদের ভাষার আদি নিদর্শন হিসেবে দাবি করছেন। আসলে বাংলা ভাষার বিকাশ হয়েছে মুসলিমদের বাংলা বিজয়ের মধ্য দিয়ে। আরো সহজ করে বললে ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খিলজী ১২০৪ সালে যখন বাংলা বিজয় করেন, তারপর থেকেই বাংলা ভাষার উন্নতি ক্রমান্বয়ে হতে লাগল। আর তখন বাংলা এবং অসমিয়া ভাষা আলাদা হয়ে গেল। মূলত বাংলা ভাষার পরিপূর্ণতা লাভ করল ১৬০০ সাল থেকে। আর ব্রাহ্মণ্যবাদী বা হিন্দুত্ববাদী রাঢ়ি বাংলা ও আমাদের পূর্বপুরুষদের বাংলাও ১৫০০ সালের পর আলাদা প্যাটার্ন লাভ করে, অর্থাৎ ভাগীরথী নদীর এপার ও ওপারের সংস্কৃতি আলাদা হয়ে যায়।
মুসলমানরা এ অঞ্চলে আসার পর হিজরি সন অনুসারে সবকিছু গণনা করত। এরপর সম্রাট আকবর দেখলে ফসলের খাজনা নেওয়ার ক্ষেত্রে একটু সমস্যা হয়ে যাচ্ছে, কারণ চান্দ্র বৎসের কারণে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কৃষকদের খাজনা দিতে হতো, যা কৃষকদের জন্য খুবই কষ্টসাধ্য ছিল, পরে তিনি ফতেউল্লা সিরাজী সাহেবকে দায়িত্ব দিলেন এ বিষয়টাকে সুরাহা করার জন্য, তখন সিরাজী সাহেব লোকাল সৌর সন এবং আরবি হিজরি সনকে মিলিয়ে একটি নতুন বাংলা সন চালু করলেন। আমাদের বর্তমান সনটি শুরু হয় ১৫৮৪ সালে সম্রাট আকবরের সময়ে। আসলে এটির তখন দরকারও ছিল বটে।
যাই হোক, কেউ কেউ মনে করেন নববর্ষের আদি অনুষ্ঠান হিসেবে ‘আমানি’ উৎসবের কথা বলেছেন কোনো কোনো ঐতিহাসিক, যা পহেলা অগ্রহায়ণে হতো। এটি ছিল মূলত কৃষকের উৎসব। বৈশাখকে বছর শুরুর মাস আর পহেলা বৈশাখকে বছরের প্রথম দিন হিসেবে বাঙালিরা উদযাপন করেনি। পহেলা বৈশাখ বাঙালির উৎসব নয়। বাঙালির উৎসব ছিল পহেলা অগ্রহায়ণ। বাংলা বছরের পঞ্জিকায় যে ১২টি মাস আছে, তার মধ্যে ১১টিই নক্ষত্রের নামে। এ ক্ষেত্রে ‘বৈশাখ’ বিশাখা নক্ষত্রের নামে, ‘জ্যৈষ্ঠ’ জ্যাষ্ঠা নক্ষত্রের নামে, ‘আষাঢ়’ আষাঢ়ার নামে এবং এরূপ শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন, কার্তিক, পৌষ, মাঘ, ফাল্গুন ও চৈত্র যথাক্রমে শ্রবণা, পূর্বভাদ্রপদা, অশ্বিনী, কৃত্তিকা, পৌষী, মঘা, ফাল্গুনী ও চিত্রার নামে। যে মাসটি নক্ষত্রের নামের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, সেটি হচ্ছে অগ্রহায়ণ; আর এই নামটির সঙ্গেই মিশে আছে বাংলার কিছু ইতিহাস, কিছু স্মৃতি এবং কিছু বিস্মৃত হয়ে যাওয়া তথ্য।
‘অগ্র’ শব্দের অর্থ প্রথম, আর ‘হায়ণ’ শব্দের অর্থবছর। বছরের প্রথম বা অগ্রে অবস্থান করার কারণে নক্ষত্রের সঙ্গে সম্পর্কহীন একমাত্র মাসটির নাম হচ্ছে অগ্রহায়ণ। খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০ মতান্তরে ১৫০০ বছর আগে প্রণীত শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় মাস হিসেবে অগ্রহায়ণ মাসটির উদ্ধৃতি রয়েছে (দশম অধ্যায় : ৩৫ নম্বর শ্লোক)। অবশ্য সেখানে প্রিয় ঋতু হিসেবে বর্ণিত আছে বসন্তকালের নাম। বাংলার এই মাস ও ঋতুগুলো যে বহু পূর্বকাল থেকে ভারতবর্ষে প্রচলিত, উপর্যুক্ত তথ্য মূলত তারই সত্যতা নিশ্চিত করে।
চৈত্র মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যে আগের বছরের সব খাজনা পরিশোধ করতে হতো কৃষকদের। কারণ পহেলা বৈশাখ থেকে নতুন বছর শুরু হবে আর পহেলা বৈশাখে জমিদাররা বা ভূমির মালিকরা তাদের প্রজাদের নিজ নিজ এলাকায় মিষ্টিমুখ করাতেন। আসলে এটি জমিদার বা এলিটদের একটি উৎসব ছিল, এটি সাধারণ জনগণের কোনো উৎসব ছিল না। এরা ১৫০০ সাল পর্যন্ত ‘কৃত্তিবেশে কাশিদেশে ব্রাহ্মণ ঘেঁষে, এই তিন সর্বনাশে’ এসব ব্রাহ্মণ্যবাদী বিষয়গুলো বিশ্বাস করত। অর্থাৎ কৃত্তিবাসের অনূদিত রামায়ণ কাশীরাম দাসের অনূদিত মহাভারত এবং ব্রাহ্মণদের সঙ্গে ঘেঁষাঘেঁষি করলেই ঈমান চলে যাবে ব্রাহ্মণ্যবাদীদের, এরা এতটাই গোরা ব্রাহ্মণ্যবাদী ছিল।
পহেলা বৈশাখ ছিল জুলুমের, নিষ্পেশনের ও নিপীড়নের একটি টেপিস্টি। মানে সারা বছর আমি আপনাকে পেটালাম আর বৈশাখ মাসে এসে একটু মিষ্টিমুখে তুলে দিলাম আর কি! আসলে ওপার বাংলার হিন্দুত্ববাদীরা কখনো আমাদের বাঙালি জ্ঞান করেনি, প্রাপ্য সম্মানটুকু দেয়নি, হরহামেশাই আমাদের হীনতার চোখে দেখেছে, যদিও তারা নৃতাত্ত্বিকভাবে আমাদের মতোই। মনে রাখা দরকার, বর্তমানে আমরা কিন্তু একটা ভিন্ন জাতি, কারণ তারা এখন ভারতবাসী আর আমরা বাংলাদেশি, তারা ভারতীয় জাতীয়তাবাদের তাঁবেদার আর আমরা বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করি। তা ছাড়া আমাদের সংস্কৃতিতেও অনেক পরিবর্তন এসেছে, আমাদের কথা বলার ঢং থেকে শুরু করে অনেক কিছুই তাদের থেকে ব্যতিক্রম, সেটা আদিকাল থেকেই ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।
একজন হিন্দু ও মুসলিমের অনুভূতি, ভাবনাচিন্তার মধ্যে ফারাক থাকবে, পশ্চিম বাংলার বাঙালি ও বড় বাংলার বাঙালির মধ্যে ও তফাত থাকবে, তারা যেভাবে ভাবে, আমাদের বাংলাদেশের মানুষ তথা বাঙালি মুসলমানরা তা সেভাবে ভাবে না। আর আমাদের ধর্মীয় রীতিনীতি ও বিলকুল আলাদা।
আদতে, জলভাত কিংবা পান্তাভাত ছিল বাঙালি কৃষক, শ্রমিক, মজুর তথা সব মেহনতি মানুষের প্রাতরাশ। সূর্য ওঠার আগে পান্তাভাত কাঁচা কিংবা ভাজা লঙ্কা, সঙ্গে পেঁয়াজ দিয়ে খেয়ে কৃষক লাঙল-জোয়াল নিয়ে মাঠে যেতেন। কেউ কোনো দিন পান্তা ইলিশ খেয়ে মাঠে যাননি। আসলে নববর্ষটা তাদের কাছে ছিল চিন্তার কারণ, কারণ জমিদারদের খাজনা ও দোকানের হালখাতার টাকা জোগাড় করে রাখতে হতো। খাজনা আদায় উপলক্ষে প্রজাবৎসল জমিদাররা তাদের হয়তো পান্তাভাতে ইলিশ খাওয়াতে পারে; কিন্তু এ নজির বেশুমার নয়। আর টাকার জোগাড় না হলে পান্তাভাতও কপালে জুটত না, তবে জমিদার ও জোতদাররা নিয়মিত পান্তা ইলিশ খেয়ে থাকতে পারেন। সাধারণ মানুষের পান্তা ইলিশ নিত্য আহার কোনোকালেই ছিল না। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদ্মা নদীর মাঝি যারা পড়েছেন বা পর্দায় দেখেছেন, তারা বলতে পারবেন ইলিশ কাদের কপালে জোটে।
ফরাসি দার্শনিক মিশেল ফুকো বলেন ক্ষমতা জ্ঞান উৎপাদন করে আবার জ্ঞানও ক্ষমতা উৎপাদন করে। ইতিহাস শুধু লিপিবদ্ধ বিষয় নয় বরং ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের দ্বারা নির্মিত বিষয়ও বটে। আর ক্ষমতার কাঠামো ইতিহাসে ‘সত্য’ হিসেবে কী গণ্য করা হয় বা হবে, তা সংজ্ঞায়িত করে থাকে।
আমরা রেনেসান্স, এনলাইটেনমেন্ট ও মডার্ন পর্ব পেরিয়ে বর্তমানে পোস্ট মডার্ন সময়ে বসবাস করছি। যেটা গ্লোবালাইজেশন নামে পরিচিত। আরো পরিষ্কার করে বললে, বর্তমান বিশ্বটা হলো একটা গ্লোবালাইজেশন, মানে লোকালটা হয়ে গেছে, এখন গ্লোবাল আর গ্লোবাল হয়ে গেছে লোকাল, যেটাকে আমরা গ্লোবাল ভিলিজও বলে থাকি।
এই উত্তর আধুনিক বিশ্বে এখন পিউর ন্যাশনালিটি কখনো সম্ভব নয়, কারণ এই গ্লোকোলাইজেশনের কারণে সারা পৃথিবীর সব দেশে বিভিন্ন এথনিসিটির মানুষ একসঙ্গে বসবাস করছে আর সে জন্যই কালচারাল হাইব্রিডাইজেশন ও অ্যাথনিক হাইব্রিডাইজেশন প্রতিনিয়ত মানুষের মধ্যে ঘটে যাচ্ছে এবং সংস্কৃতিতে মিমিক্রির আসিমিলেইশন ঘটছে।
এ ক্ষেত্রে বিখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও ঐতিহাসিক বেনেডিক্ট অ্যান্ডারসনের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। তিনি তার লেখা Imagined Communities (কল্পিত সম্প্রদায়)-তে বলেন, আসলে জাতিগুলো হলো কাল্পনিক সম্প্রদায় বা জাতি হলো একটা কল্পনা মাত্র। বাংলা ক্যালেন্ডারের বিবর্তন, শশাঙ্কের অধীনে ভাষাগত দমন এবং পরে বাংলা ও অসমিয়া ভাষার বিভাজন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পরিচয় কীভাবে তৈরি হয়, তাই আমাদের দেখায়। রিজিড জাতীয় পরিচয় একটা কৃত্রিম ব্যাপার ছাড়া আর কিছু নয় আর জাতিগুলো প্রাকৃতিক সত্তার পরিবর্তে ভাগ করা মিথের পণ্য। সুতরাং এই বাস্তবতা মেনেই আমাদেরও জেনারেলিটির দিকে অগ্রসর হতে হবে এবং কোনো কিছুকে মারজিনালাইজড করা ঠিক হবে না। সুতরাং পোস্ট হাসিনা পিরিয়ড তথা নতুন বাংলাদেশে আমাদের উচিত অন্যান্য এথনিসিটির মানুষ এবং তাদের সংস্কৃতিকে আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে কানেক্ট করে নববর্ষকে উদযাপন করা।
পরিশেষে জিন বাউড্রিলার্ডের Hyper Reality (অতি-বাস্তবতা) তত্ত্বের কথা বলেই ইতি টানতে চাই। তিনি বলেন, আমরা এমন একটি পৃথিবীতে বাস করি, যেখানে বাস্তব এবং কৃত্রিম ঐতিহ্যের মধ্যে পার্থক্য ভেঙে পড়েছে। পহেলা বৈশাখ, প্রথমে একটি অভিজাত উৎসব ছিল, এখন একটি ‘ঐতিহ্যবাহী’ বাঙালি অনুষ্ঠান। উত্তর-আধুনিক বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক পরিবর্তনগুলো আসলে সিমুলাক্রায় পরিণত হয়েছে। এখন কথা হলো, আপনাদের ঐতিহ্য কোনটা হবে বিচার্য আপনাদের, আপনারা কোনটা গ্রহণ করবেন, যা আপনার ঐতিহ্য, তা নাকি হাইপার রিয়ালিটি।
লেখক : সাবেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, লেখক ও গবেষক, ফ্রাই ইউনিভার্সিটি বার্লিন, জার্মানি
জনৈকা এনজিও নেত্রী ও বর্তমান সরকারের এক শক্তিশালী উপদেষ্টা সব রাজনীতিবিদের প্রতি প্রশ্ন রেখেছেন, ‘গত ৫৩ বছরে আপনারা কী করেছেন?’ তার এই স্পর্ধা দেখে স্তম্ভিত হলাম! ভাবতে লাগলাম, এই প্রশ্ন করার সাহস ও সুযোগটি তারা কেন পেলেন, কীভাবে পেলেন?
৩ ঘণ্টা আগেভারত অধিকৃত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত ও অনেকে আহত হওয়ার পর চিরবৈরী দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা এখন চরমে। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে দেশটির সঙ্গে সাড়ে ছয় দশক ধরে কার্যকর সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করাসহ কয়েকটি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটি নদী হচ্ছে ফেনী নদী। এটি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত। নদীতীরের সংকীর্ণ অঞ্চল বাংলাদেশে জাতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের দৃষ্টিতে এক গুরুতর কৌশলগত বিষয় হয়ে উঠেছে।
৪ ঘণ্টা আগেপেছনের কথা বাদ, আমরা ২০০৮ সাল থেকে ধরি। আওয়ামী লীগের ‘দিনবদলের সনদ’, ‘রূপকল্প-২০৪১’, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’- এ রকম গালভরা হরেক রকম নামের অঙ্গীকারনামার কথা মনে আছে? কী ছিল না তাতে? ওইসব অঙ্গীকার বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ অনেক আগেই এক মহাউন্নত আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত হতো।
১ দিন আগে