মারুফ কামাল খান
আমার এই লেখা যেদিন দৈনিক আমার দেশ-এ ছাপা হবে তার আগের দিন অর্থাৎ ১৩ মার্চ জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বাংলাদেশে এসে পৌঁছানোর কথা চার দিনের সফরে। আমাদের স্বাধীনতার মাসে ও পবিত্র রমজানে এদেশের বেশিরভাগ মানুষের ধর্মানুভূতির প্রতি সম্মান দেখাতে তিনি নাকি একদিন রোজা রাখবেন বলেও কথা রটেছে। সত্যমিথ্যা জানি না, আর তিনি রোজা রাখুন বা না রাখুন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে আমাদের সরকারপ্রধান ও জাতিসংঘ মহাসচিবের ইফতার করার কর্মসূচি আছে। আমার বিবেচনায় তার এ সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং বাংলাদেশের জন্য মর্যাদার। প্রাণ ও সম্ভ্রম বাঁচাতে নিরাপত্তার জন্য নিপীড়িত যে রোহিঙ্গা মুসলমানেরা তাদের জন্মভূমি বর্মা ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন, এ সফর মূলত সেই উদ্বাস্তু সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত। আমাদের জন্য ইতোমধ্যে দুর্বহ হয়ে ওঠা এ সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার সাফল্য কামনা করে বিশ্বসংস্থার মহাসচিবকে আমরা স্বাগত জানাই। আমাদের আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারও মাথায় রাখতে হবে, জাতিসংঘ মিশনে সবচেয়ে বেশি শান্তিরক্ষী সরবরাহকারী দেশ আমরা। হাসিনার ফ্যাসিস্ট রেজিম সেনা ও নিরাপত্তাবাহিনীগুলোকে খুব বেশি অপব্যবহার করায় এই মিশনে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। সেই কালোছায়া থেকে মুক্ত হতে মহাসচিবের এই সফরকে ড. ইউনূসের টিম একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করবে বলেই আমার ধারণা। মি. গুতেরেসের এ সফরকে বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাফল্যের উষ্ণীষে আরেকটি নতুন পালকের সংযোজন বলেই আমার মনে হয়। বর্মি জান্তার প্রধান মুরুব্বি গণচীন। এরপর ড. ইউনূসের চীন সফরের কর্মসূচি আছে। এগুলোর কোনোটাই ‘সিনক্রোনাইজেশন’ বা সমলয়-বহির্ভূত নয়।
এবারের রমজানে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম মোটামুটি স্বাভাবিক। এর বাইরেও চলতি সপ্তাহগুলোয় আরো কিছু সাফল্য দেখিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। হাসিনা রেজিম ১৮ লাখ কোটি টাকা ঋণ রেখে গেছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সে ঋণের কিস্তি ও সুদ মিলিয়ে ইতোমধ্যে শোধ করতে হয়েছে ৬২ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। তা সত্ত্বেও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলার ছুঁয়েছে। হাসিনা ও তার স্বজনদের জব্দ করা ১২৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাওয়া গেছে ৬৩৫ কোটি টাকা। খাদ্যপণ্যে ভর্তুকি প্রায় ১২ শতাংশ বাড়িয়ে ৮ হাজার ১০০ কোটি টাকা করা হচ্ছে। খাদ্যসহ সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে ২২ মাসের তুলনায় সর্বনিম্ন পর্যায়ে এসেছে। আওয়ামী আমলে অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারির কারণে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ওপর ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাসোসিয়েশন ফুটবল (ফিফা) যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তা তারা তুলে নিয়েছে। কিন্তু এসব সাফল্য কিন্তু জনগণকে তেমন স্বস্তি দিতে পারছে না। পুরো সমাজ ও জনচিত্ত অস্থির হয়ে আছে। এখনো ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার নিয়ে মাঠে সশস্ত্র বাহিনী আছে। চলছে ডেভিল হান্ট নামের সন্ত্রাসবিরোধী অপারেশন। তবুও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরো স্বাভাবিক হয়নি। আন্দোলন, দাবিদাওয়া, বিক্ষোভ ও মব জাস্টিস পরিস্থিতিকে অধীর করে রেখেছে এবং মনে হয় সবখানে সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্ব নেই। পতিত ফ্যাসিস্টদের নানামুখী অন্তর্ঘাত, নাশকতা ও চক্রান্ত শক্ত হাতে থামানো যাচ্ছে না। তাদের গুজব রটনা এবং অপপ্রচার ও মিথ্যাচার অতীতের সব সীমা ছাড়িয়েছে। সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলো নানারকম সন্দেহ, সংশয় ও অবিশ্বাস থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে সফল হওয়ার মতো সহযোগিতা দিতে পিছিয়ে থাকছে। অভ্যুত্থানকারী ছাত্রদের গড়া নতুন দল চটকদার কথামালা ও তাত্ত্বিকতার ওপর গুরুত্ব দিলেও এখনো ব্যাপক জনআস্থা অর্জনের মতো খুব বেশি ব্যতিক্রমধর্মী কালচার ও তৎপরতা প্রদর্শন করতে পারেনি। উপরন্তু তাদের কারও কারও বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অর্থসম্পদের মোহ ও ক্ষমতা প্রদর্শনের অভিযোগ ওঠায় সাধারণ মানুষের মধ্যে হতাশা জন্ম নিচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সাফল্যের দাবিদার কিছু অসহিষ্ণু, উচ্চাভিলাষী ও অসন্তুষ্ট মহল এবং বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী গ্রুপের পারস্পরিক কাদা ছোড়াছুড়ি ও ঘায়েল করার প্রবণতা একদিকে পরাজিত ফ্যাসিস্টদের উৎসাহী করে তুলছে, অন্যদিকে বিজয়ী শক্তিকে দুর্বল ও বিভক্ত করছে। এসব কারণে সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরছে না এবং সাধারণ মানুষ আশঙ্কামুক্ত ও নির্ভার হতে পারছে না।
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি আমাকে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিককার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। তখনো দুই ভগ্নী হাসিনা-রেহানা সপরিবারে নয়াদিল্লিতে রাজনৈতিক আতিথ্য বা আশ্রয়ে ছিলেন। পতিত বাকশালের নেতা-কর্মীদের অনেকেই তখন ভিড় জমিয়েছিলেন কলকাতা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সন্নিহিত নানা এলাকায়। ভারত সরকার তাদের আশ্রয়ের পাশাপাশি অন্নবস্ত্র, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও রসদ জোগান দিচ্ছিল। তারা কাদেরিয়া বাহিনী গঠন করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ও সীমান্তে নাশকতা এবং অন্তর্ঘাত শুরু করে। দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালিয়ে জিয়া সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো হয়। বিভিন্ন মহলের উসকানিতে সশস্ত্র বাহিনীতে একের পর এক বিদ্রোহ ও অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা চলতে থাকে। রাষ্ট্রপতি জিয়ার নিজ জেলা বগুড়ায় ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানো হয়। জিয়ার বিরুদ্ধে ভারতীয় মদতপুষ্ট বাকশাল ও জাসদ ছাড়াও ১৫ আগস্টের অভ্যুত্থানকারী গ্রুপ এবং উগ্র বামপন্থি গোষ্ঠীর বিরোধিতা এক বিন্দুতে এসে মিলে যায়। অন্তর্ঘাতমূলক মারাত্মক রেল দুর্ঘটনা ঘটে। হোম মিনিস্টার এএসএম মোস্তাফিজুর রহমানের নিজ জেলা খুলনায় জেলবিদ্রোহ ঘটে। ব্রিজ উড়িয়ে দেওয়া এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আক্রমণের বেশ কিছু ঘটনা ঘটে। সুপরিকল্পিতভাবে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলার গুরুতর অবনতি ঘটানো হয়।
রাষ্ট্রপতি জিয়া আলোচনা, সমঝোতা ও সতর্ক করার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এরপর তিনি কঠোর হাতে সর্বাত্মক অ্যাকশন শুরু করেন। সেনাবিদ্রোহ শক্তহাতে দমন করেন। কাদেরিয়া বাহিনী ও বাকশালি অন্যান্য সশস্ত্র স্প্লিন্টার গোষ্ঠীর তৎপরতা সীমিত করে ফেলেন। সন্ত্রাস দমন ও অস্ত্র উদ্ধারে ব্যাপক অভিযান চালিয়ে দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনেন। বাকশালিদের বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দেন। অপপ্রচারণা ও গুজবের পালটা প্রচারণা জোরদার করেন। ১৯৭৭ সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে জাতীয় কংগ্রেস ও ইন্দিরা গান্ধীর ভরাডুবি হলে মোরারজি দেশাই প্রথম অ-কংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রী হন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জিয়াউর রহমান কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করেন এবং ভারতে বসে বাংলাদেশবিরোধী কার্যকলাপ চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। জিয়া বাকশাল-সহ সব রাজনৈতিক পক্ষকে নাশকতা ও সশস্ত্র পথ ছেড়ে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেন। এসব পদক্ষেপ পরিস্থিতির ওপর জিয়াউর রহমানের নিয়ন্ত্রণ এনে দেয় এবং তিনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুগান্তকারী সাফল্য অর্জনে সক্ষম হন। তবে জাতীয় ঐক্য ও সমন্বয় গড়তে তার এই রিকন্সিলিয়েশন কর্মসূচি খুব বেশি টেকসই হয়নি। ইতিহাস সাক্ষী, বিষধর সাপকে তিনি ঝাঁপিতে পুরলেও সে সাপ পোষ মানেনি। সময় ও সুযোগমতো বিষাক্ত ছোবল হেনেছে।
ইতিহাস থেকে আবার ফিরে আসি চলমান বাস্তবতায়। ইতিহাস ফিরে ফিরে আসে, হিস্টোরি রিপিটস ইটসেলফ অনেক পুরোনো প্রবাদ। জিয়ার আমলের সেই ইতিহাসেরই যেন এখন আবার পুনরাবৃত্তি ঘটছে বাংলাদেশে। অতিকায় প্রতিবেশী ভারতকেও সেই ইতিহাসের পুনরাবর্তন থেকে আলাদা করা যাচ্ছে না। দিল্লি ও কলকাতায় পতিত ফ্যাসিবাদীদের আশ্রয় দিয়ে, সশস্ত্র বাহিনীকে ক্রমাগত প্রকাশ্য উসকানি দিয়ে ভারত সেই ৫০ বছর আগের ভূমিকারই পুনরাবৃত্তি করে চলেছে। তবে আশ্রয়দাতা ও আশ্রিত সবাই ব্রিটিশ রাষ্ট্রনায়ক ও প্রসিদ্ধ ইংরেজি লেখক স্যর উইনস্টন চার্চিলের একটি বিখ্যাত উক্তি মনে রাখা উচিত : ‘Those that fail to learn from history are doomed to repeat it.’ ইতিহাস থেকে যারা শিক্ষা নিতে ব্যর্থ হয়, তারা অনিবার্যভাবেই এর পুনরাবৃত্তি ঘটাবে। আর ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নেওয়ার পরিণাম ও পরিণতি কি কারও অজানা আছে?
এবার বাল্যকালে পড়া একটা কবিতার কথা বলি। মধ্যযুগের অনন্য পারস্য কবি শেখ সাদী সিরাজীর কবিতার বঙ্গানুবাদ সেটি। অনুবাদকের নাম ভুলে গেছি। তবে আমার স্মৃতিতে কবিতাটি সংরক্ষিত আছে এভাবে :
‘একদা বাঘের করে পড়েছিল পথহারা ছাগ,
উদ্ধারি আনিল তারে বৃদ্ধ এক সাধু মহাভাগ।
সাঁঝের আঁধারে যবে ঢেকে গেলো দিবসের আলা
অস্ত্র হানি কণ্ঠে তার সাধু খেলে ঘাতকের পালা।
মুমূর্ষু পরাণে ছাগ কাঁদি কয় চোখে নিয়ে পানি
বৃক হতে উদ্ধারিয়া বৃক পুনঃ সাজিলা আপনি।’
অমর কবি সাদীর এই কাব্যকাহিনি বারবার ফিরে আসে নানা রূপে সত্য হয়ে। এখন রাজধানী ঢাকা মহানগরীতে ঘটে যাওয়া একটি খুনের গল্প।
টাকাপয়সা রাখার ব্যাগ হারিয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনে অসহায় অবস্থায় পড়েন এক দম্পতি। তাদের দুজনেরই বয়স ২৫ বছরের কম এবং ঢাকায় কোনো থাকার জায়গা ছিল না। তাদের অসহায়ত্ব দেখে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভূঁইয়া। তিনি কমলাপুর স্টেশন থেকে তাদের নিজের ভাড়া বাসায় এনে আশ্রয় ও কাজের ব্যবস্থা করে দেন। আশ্রয়দাতা সেই পরোপকারী শিক্ষাবিদ এক রাতের বেলায় আচানক খুন হয়ে যান। আর আশ্রিত ওই দম্পতি পালিয়ে যায়। সাইফুর রহমানের ছোট ভাই মোহাম্মদ লুৎফর রহমান ভূঁইয়া বাদী হয়ে উত্তরখান থানায় ১১ মার্চ একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, সাইফুর উত্তরখানের পুরানপাড়া বাতান এলাকায় তার স্ত্রীর পৈতৃক আড়াই শতক সম্পত্তিতে বাড়ি নির্মাণের জন্য তিন-চার মাস ধরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। যেখানে ঘটনাস্থল তার সামনেই ওই জায়গাটি। এজাহার পেয়ে পুলিশ ওই পালিয়ে যাওয়া দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে। তদন্ত ও আটক দম্পতির স্বীকারোক্তি থেকে পুলিশ জানতে পারে আসল ঘটনা। নাজিম ও রূপা দম্পতিকে আশ্রয় দিয়ে উপাধ্যক্ষ সাইফুর মেয়েটির সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা শুরু করেন। নাজিমকে বাইরে পাঠিয়ে তিনি তার লালসা চরিতার্থ করার চেষ্টা করতেন। সাইফুর ভয় দেখাতেন, নাজিমকে এসব জানালে রূপার স্বামীকে তিনি মেরে ফেলবেন। ঘটনার রাতে সাইফুর রূপাকে বলাৎকারের চেষ্টা করলে ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয়। স্বামী নাজিম জেগে যায়। রান্নাঘর থেকে বঁটি এনে সাইফুরকে কুপিয়ে হত্যা করে স্বামী-স্ত্রী পালিয়ে যায়। পুলিশ ফরিদপুর রেলস্টেশন থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। সাদীর কবিতায় মহাভাগ বৃদ্ধ পথহারা ছাগশিশুকে বাঘের কবল থেকে উদ্ধার করে এনে যা করেছিলেন, উপাধ্যক্ষ সাইফুরের ক্রিয়াকলাপ তা থেকে মোটেও আলাদা ছিল না। ১৯৭১ সালে জাতি হিসেবে আমরা যখন আক্রান্ত হই তখন প্রতিবেশী ভারত আমাদের সাহায্য করেছিল। কিন্তু আমাদের কৃতজ্ঞ হওয়ার সুযোগ না দিয়ে গত ৫৩ বছর ধরে ভারত আমাদের সঙ্গে যে আচরণ করে চলেছে, তা উপাধ্যক্ষ সাইফুরের আচরণ থেকে কি আলাদা কিছু? দিনশেষে সাইফুরের যে পরিণাম, সে রকম একই ধরনের পরিণতি হয়তো ভারতের বিধিলিপি হিসেবে লেখা হয়ে যেতে পারে। অতএব, সাধু সাবধান।
লেখক পরিচিতি : মারুফ কামাল খান; সিনিয়র সাংবাদিক ও লেখক
ই-মেইল : mrfshl@gmail.com
দুদিন আগে একটি সংবাদপত্রের তিন কলামে শিরোনাম ছিল ধানের বাম্পার ফলন সত্ত্বেও কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত। পেঁয়াজের বাম্পার ফলন নিয়েও এমন খবর প্রকাশিত হয়েছিল। আবার সামনে আমের বাম্পার ফলনের আশাবাদ নিয়েও খবর হয়।
১০ ঘণ্টা আগেপতিত ফ্যাসিবাদ এবং তার দোসরদের বিচারের আওতায় আনা অতীব জরুরি। তবে বিচার হতে হবে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ। বিচারিক ব্যবস্থা সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ করতে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করার জন্য ন্যূনতম সময়টুকু বিচার বিভাগকে দিতে হবে।
১০ ঘণ্টা আগেষাট দশকের মাঝামাঝি সময়ে শাহবাগে অবস্থিত ঢাকা রেডিওতে সকালে কিশোর-কিশোরীদের জন্য সংগীত শিক্ষার আসর প্রচারিত হতো। ‘এখন শুরু হচ্ছে সংগীত শিক্ষার আসর, গান শেখাবেন সংগীত পরিচালক আব্দুল আহাদ’- এমন ঘোষণার পর ওস্তাদ ইয়াসিন খান ও বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী লায়লা আর্জুমান্দ বানুর দ্বৈতকণ্ঠে সা-রে-গা-মা’র উচ্চাঙ্গ
১০ ঘণ্টা আগেজনৈকা এনজিও নেত্রী ও বর্তমান সরকারের এক শক্তিশালী উপদেষ্টা সব রাজনীতিবিদের প্রতি প্রশ্ন রেখেছেন, ‘গত ৫৩ বছরে আপনারা কী করেছেন?’ তার এই স্পর্ধা দেখে স্তম্ভিত হলাম! ভাবতে লাগলাম, এই প্রশ্ন করার সাহস ও সুযোগটি তারা কেন পেলেন, কীভাবে পেলেন?
১ দিন আগে