স্টাফ রিপোর্টার
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ৫ আগস্ট যে মুক্তির আনন্দ উপভোগ করে ছিলাম। এখন ছয় মাস পরে এসে সে আনন্দ উপভোগ করতে পাচ্ছি না। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বর্তমান সরকার অযথা সময় ক্ষেপন করলে সেটা যৌক্তিক হবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর মোমেন বাগে ডেমোক্রেসি অডিটোরিয়ামে এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে শুরুতেই বলা হয়েছিল, যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সরকারকে নির্বাচন দিতে হবে। তিনি বলেন গতকাল (রোববার) একজন রাষ্ট্রদূত জানতে চেয়েছিলেন নির্বাচনের জন্য কোন সময়টা যৌক্তিক। আমি বলেছিলাম এর উত্তর আমার কাছে নেই। তবে দেশের গ্রামের মানুষকে জিজ্ঞেস করা হলে তারা বলতে পারবে কোন সময়টা যৌক্তিক নয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, গণতন্ত্রের জন্য দেশের লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে। সর্বশেষ ২৪ এর আন্দোলনে যে নতুন সূর্যোদয় হয়েছে। সেই সূর্যকে কোনদিন আমরা অস্তমিত হতে দিতে পারি না।
তিনি বলেন, সরকারকে যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হয়, অনেক অপ্রিয় সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমরা সবাই চেয়েছিলাম প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আজকে কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হলো এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুরের বাড়ি গুড়িয়ে দেয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ৫ ফেব্রুয়ারির ঘটনা সম্পর্কে আমার কাছে একজন রাষ্ট্রদূত জানতে চেয়েছেন । আমি বলেছি, এর বীজ বপন হয়েছিল বেগম খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ি ভেঙে দেওয়ার মধ্যদিয়ে । মঈন খান বলেন এজন্যই আমরা বলেছি, বিএনপির প্রতিহিংসার রাজনীতি বিশ্বাস করি না।বাংলাদেশে সরকার চালানো ইংল্যান্ড, আমেরিকার সরকার চালানোর চেয়েও কঠিন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গণ সংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকারের হাতে সংস্কার এবং নির্বাচন। এই দায়িত্ব থেকে ব্যর্থ হলে আমাদের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, এই সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা। রাজনৈতিক দল গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন , নতুন পার্টি যে কেউ করতে পারে। স্বাগত জানাই। তবে ক্ষমতার ছায়াতলে থেকে পার্টি করলে দেশের মানুষ ভালোভাবে নেবে না।
বৈঠকে অংশ নিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আমরা নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও সরকারের ছয় মাস টিকে থাকাটাই বড় সাফল্য। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন, বিনিয়োগ বাড়বে এটাও আশাব্যঞ্জক হয়নি।
যৌথ বাহিনীর অভিযান নিয়ে তিনি অভিযোগ করে বলেন ,সরকারের পক্ষ থেকেই আগেই বড় ডেভিলদের বের করে দেওয়া হয়েছে। এখন ছিঁচকে ডেভিলদের খুঁজেছে। অধিকাংশ ডেভিল এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে গণফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিন। জাতিকে মুক্ত করুন।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ছাত্ররা রাজনৈতিক দল গঠন করবে। ভালো কথা। কিন্তু এটা যেন কিংবা পার্টি না হয়ে যায়। রাশেদ বলেন, সরকারের উচিত হবে কিংস পার্টিকে সহযোগী না করা। অন্যথায় ফখরুদ্দীন-মঈনুদ্দীনের পরিণতি হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল বলেন, যারা দায়িত্বে আছে তারা নিজেদের আখের গোছাচ্ছেন।আমাদের এখন একমাত্র তীপ্তি হাসিনাকে আর দেখতে হচ্ছে না।
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার ও সাংবাদিক আকবর হোসেন বলেন, আমাদের সমাজে একটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। গত তিন/ চার মাস ধরে দেখতে পাচ্ছি, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একটা দূরত্ব তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আন্দোলনে সবারই অংশ গ্রহণ ছিল।তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট এবং ফ্যাসিস্টের দোসররা আবার ফিরে আসুক এটা কেউ চায় না। এমন কিছু জায়গায় সবাই একমত। সুতরাং ডেমোক্রেসি, লিবারেল, উদারপন্থি, সহনশীল সমাজ লাগবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
প্রাণ আরএফ এলের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী বলেন, গত ছয়টা মাস সময়টা খারাপ ছিল। ব্যাংকিং সেক্টরে উন্নতি হচ্ছে । তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা কেমন আছেন? বলে ভালো নেই। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবে আর রাজনীতিবিদরা রাজনীতি করবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই ডেমোক্রেটিক, লিবারেল, উদারপন্থি, সহনশীল সমাজ ব্যবস্থা।
বৈঠক সঞ্চালনা করেন, দি মিলিনিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টিজ বোর্ডের চেয়ারপাসন অ্যাডভোকেট রোখসানা খন্দকার। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন দি মিলিনিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অভিনয় চন্দ্র সাহা।
বৈঠক আরও বক্তব্য রাখেন , বিএনপি”র সাবেক এমপি নিলুফার চৌধুরী, সাংবাদিক মঞ্জরুল আলম পান্না, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এম রাজীবুল ইসলাম তালুকদার বিন্দু প্রমুখ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ৫ আগস্ট যে মুক্তির আনন্দ উপভোগ করে ছিলাম। এখন ছয় মাস পরে এসে সে আনন্দ উপভোগ করতে পাচ্ছি না। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বর্তমান সরকার অযথা সময় ক্ষেপন করলে সেটা যৌক্তিক হবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর মোমেন বাগে ডেমোক্রেসি অডিটোরিয়ামে এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে শুরুতেই বলা হয়েছিল, যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সরকারকে নির্বাচন দিতে হবে। তিনি বলেন গতকাল (রোববার) একজন রাষ্ট্রদূত জানতে চেয়েছিলেন নির্বাচনের জন্য কোন সময়টা যৌক্তিক। আমি বলেছিলাম এর উত্তর আমার কাছে নেই। তবে দেশের গ্রামের মানুষকে জিজ্ঞেস করা হলে তারা বলতে পারবে কোন সময়টা যৌক্তিক নয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, গণতন্ত্রের জন্য দেশের লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে। সর্বশেষ ২৪ এর আন্দোলনে যে নতুন সূর্যোদয় হয়েছে। সেই সূর্যকে কোনদিন আমরা অস্তমিত হতে দিতে পারি না।
তিনি বলেন, সরকারকে যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হয়, অনেক অপ্রিয় সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমরা সবাই চেয়েছিলাম প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আজকে কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হলো এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুরের বাড়ি গুড়িয়ে দেয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ৫ ফেব্রুয়ারির ঘটনা সম্পর্কে আমার কাছে একজন রাষ্ট্রদূত জানতে চেয়েছেন । আমি বলেছি, এর বীজ বপন হয়েছিল বেগম খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ি ভেঙে দেওয়ার মধ্যদিয়ে । মঈন খান বলেন এজন্যই আমরা বলেছি, বিএনপির প্রতিহিংসার রাজনীতি বিশ্বাস করি না।বাংলাদেশে সরকার চালানো ইংল্যান্ড, আমেরিকার সরকার চালানোর চেয়েও কঠিন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গণ সংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকারের হাতে সংস্কার এবং নির্বাচন। এই দায়িত্ব থেকে ব্যর্থ হলে আমাদের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, এই সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা। রাজনৈতিক দল গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন , নতুন পার্টি যে কেউ করতে পারে। স্বাগত জানাই। তবে ক্ষমতার ছায়াতলে থেকে পার্টি করলে দেশের মানুষ ভালোভাবে নেবে না।
বৈঠকে অংশ নিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আমরা নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও সরকারের ছয় মাস টিকে থাকাটাই বড় সাফল্য। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন, বিনিয়োগ বাড়বে এটাও আশাব্যঞ্জক হয়নি।
যৌথ বাহিনীর অভিযান নিয়ে তিনি অভিযোগ করে বলেন ,সরকারের পক্ষ থেকেই আগেই বড় ডেভিলদের বের করে দেওয়া হয়েছে। এখন ছিঁচকে ডেভিলদের খুঁজেছে। অধিকাংশ ডেভিল এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে গণফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিন। জাতিকে মুক্ত করুন।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ছাত্ররা রাজনৈতিক দল গঠন করবে। ভালো কথা। কিন্তু এটা যেন কিংবা পার্টি না হয়ে যায়। রাশেদ বলেন, সরকারের উচিত হবে কিংস পার্টিকে সহযোগী না করা। অন্যথায় ফখরুদ্দীন-মঈনুদ্দীনের পরিণতি হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল বলেন, যারা দায়িত্বে আছে তারা নিজেদের আখের গোছাচ্ছেন।আমাদের এখন একমাত্র তীপ্তি হাসিনাকে আর দেখতে হচ্ছে না।
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার ও সাংবাদিক আকবর হোসেন বলেন, আমাদের সমাজে একটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। গত তিন/ চার মাস ধরে দেখতে পাচ্ছি, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একটা দূরত্ব তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আন্দোলনে সবারই অংশ গ্রহণ ছিল।তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট এবং ফ্যাসিস্টের দোসররা আবার ফিরে আসুক এটা কেউ চায় না। এমন কিছু জায়গায় সবাই একমত। সুতরাং ডেমোক্রেসি, লিবারেল, উদারপন্থি, সহনশীল সমাজ লাগবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
প্রাণ আরএফ এলের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী বলেন, গত ছয়টা মাস সময়টা খারাপ ছিল। ব্যাংকিং সেক্টরে উন্নতি হচ্ছে । তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা কেমন আছেন? বলে ভালো নেই। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবে আর রাজনীতিবিদরা রাজনীতি করবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই ডেমোক্রেটিক, লিবারেল, উদারপন্থি, সহনশীল সমাজ ব্যবস্থা।
বৈঠক সঞ্চালনা করেন, দি মিলিনিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টিজ বোর্ডের চেয়ারপাসন অ্যাডভোকেট রোখসানা খন্দকার। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন দি মিলিনিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অভিনয় চন্দ্র সাহা।
বৈঠক আরও বক্তব্য রাখেন , বিএনপি”র সাবেক এমপি নিলুফার চৌধুরী, সাংবাদিক মঞ্জরুল আলম পান্না, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এম রাজীবুল ইসলাম তালুকদার বিন্দু প্রমুখ।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ৯০ দিনের মধ্যে বিচার ও রায় কার্যকর দেখতে চাই, ৯১ দিন যেন পার না হয়।
৩৬ মিনিট আগেমৌলিক সংস্কারের ভিত্তি এই সরকারের সময়েই তৈরি করতে হবে এবং সকল রাজনৈতিক দল মিলে একটি ঐক্যমত্য পোষণ করতে হবে জুলাই সনদে স্বাক্ষরের মাধ্যমে বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
১ ঘণ্টা আগেজাতিসংঘের মহাসচিব সংস্কার বিষয়ে কোন মন্তব্য করেছেন কি না জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব এই ব্যাপারে কোন কথা বলেননি, এটা আমাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়। এই গোলটেবিল টা কেন, আমি আসলে বুঝিনি আর কী।
১ ঘণ্টা আগেজাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সাথে বৈঠকে বসেছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল। শনিবার দুপুর ১টায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এই বৈঠক শুরু হয়।
২ ঘণ্টা আগে