প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক আজ
জাহিদুল ইসলাম
পটপরিবর্তনের পরে সবখানে বড় আলোচনা- ‘কবে হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন’। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে বক্তব্যকে অস্পষ্ট মনে করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট হতে চাচ্ছে দলটি। জুলাই বিপ্লবের পরে আওয়ামী লীগের পতনের পর থেকে সরকারের কাছ থেকে নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি করে আসছে। কিন্তু সরকার থেকে সে বার্তা না পাওয়ায় আজ (বুধবার) দুপুর ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় বৈঠক করবে বিএনপি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজকের বৈঠকে শুধু নির্বাচনের রোডম্যাপ আলোচনা করা হবে। নির্বাচন নিয়ে সরকারের ভাবনা ও নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপ জানতে চাইবে দলটি। এর বাইরে কোনো আলোচনা করা হবে না বলেও জানা যায়। বৈঠকে আলোচনা ফলপ্রসূ না হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করা হবে।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সাক্ষাৎ করবেন। প্রতিনিধিদলে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদসহ আরো দুজন স্থায়ী কমিটির সদস্য উপস্থিত থাকবেন বলে জানা যায়।
দলটির নেতারা জানিয়েছেন, আজকের বৈঠকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ এবং নির্বাচন ঘিরে বিভ্রান্তি দূর করা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এ ছাড়া নির্বাচন নিয়ে সরকারের মনোভাব কীÑ তা স্পষ্ট হওয়ার চেষ্টা থাকতে পারে। একই সঙ্গে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলতে চান নেতারা।
এদিকে গত ১১ এপ্রিল আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টার এমন তাগিদের সঙ্গে বিএনপি একমত নয় বলে জানিয়েছে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহম্মেদ। দলটি মনে করে, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। নির্বাচন যত পিছিয়ে যাবে দেশের সংকট ও বিশৃঙ্খলা তত বাড়বে।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, ২০২৫ সালের শেষের দিকে বা ২০২৬ সালের প্রথম দিকে নির্বাচন হবে। তারপর তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। সরকারের তরফ থেকে এমন বক্তব্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর থেকে বিএনপিসহ প্রায় দলই দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বক্তব্য দিয়ে আসছে।
এর পরে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলো বড় সংস্কার চাইলে সামনের বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালের জুনে নির্বাচন, আর ছোট সংস্কার চাইলে চলতি বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু ডিসেম্বরের পরে কোনোভাবে নির্বাচন চায় না বিএনপি। দলটি মনে করে নির্বাচন নিয়ে সরকারের এমন বক্তব্য স্পষ্ট নয়। তাদের দাবি, একটি সুনির্দিষ্ট সময় দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা প্রয়োজন।
জানা গেছে, বিএনপি সরকারের সঙ্গে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ইস্যুতে আলোচনার পাশাপাশি এই দাবিতে সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখারও পরিকল্পনা করছে। দলটির স্থায়ী কমিটিতেও এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিএনপির অভিমত, যেহেতু এই অন্তর্বর্তী সরকার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এসেছে, সরকারকে সর্বোতভাবে সহযোগিতাও করছে। তাই সরকার ব্যর্থ হোক, এটা তারা চায় না। সে কারণে সরাসরি সরকারের বিরুদ্ধে কোনো অবস্থান নেবে না দলটি। তবে নির্বাচন যাতে দ্রুত হয় এবং নির্বাচন নিয়ে যাতে কোনো ষড়যন্ত্র না হয়, সে জন্য তারা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার চিন্তা করছে।
এজন্য সপ্তাহখানেক আগে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে প্রাথমিকভাবে আগামী তিন মাসব্যাপী একটি কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যেটা অনানুষ্ঠানিকভাবে ইতোমধ্যে দলের হাইকমান্ডকে অবহিত করেছে।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকার পক্ষের নানা বক্তব্যে এক ধরনের ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছে বিএনপি। এই অবস্থা নিরসনের তাগিদ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে তার কাছে সময় চেয়েছে দলটি।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুনির্দিষ্টভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বরের আগে একটা রোডম্যাপ অবশ্যই চাইব। যাতে উনি ক্লিয়ারলি জাতির সামনে যথাযথ প্রক্রিয়ায় উপস্থাপন করেন, যাতে অনিশ্চয়তার যে একটা ভাব আছে, সেটা কেটে যায়।
বৈঠকে আলোচনা বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন আয়োজনে ডিসেম্ব যথেষ্ট সময়। তার আগে আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা জুনের মধ্যে সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারবে। প্রধান উপদেষ্টাও এর আগে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার জন্য ওনারা সমস্ত কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। যেহেতু বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্যে একটা ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে, সেটি পরিষ্কার করার জন্য আমরা ওনাকে (প্রধান উপদেষ্টা) আহ্বান জানাব।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে জাতীয় নির্বাচনের আগে দলের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করতে আগামী তিন মাস নানামুখী কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। শান্তিপূর্ণ এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মিছিল, সভা-সমাবেশ, পদযাত্রা। একেবারে তৃণমূল পর্যায় থেকে এসব কর্মসূচি শুরু হয়ে ধাপে ধাপে কেন্দ্রীয়ভাবে তা পালনের চিন্তা রয়েছে দলটির। এসব কর্মসূচিতে ব্যাপক জনসমাগমের পরিকল্পনা রয়েছে। সম্প্রতি বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকদের বৈঠকে প্রাথমিকভাবে এমন কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বিএনপির প্রত্যাশা- আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দলটি এ-ও বলছে, নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনও প্রস্তুত রয়েছে। অধিকাংশ রাজনৈতিক দলও একটি অবাধ-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো শেষ করে দ্রুত নির্বাচন চায়। এমন বাস্তবতায় এখন সরকার সিদ্ধান্ত নিলেই দেশ নির্বাচনমুখী হতে পারে।
পটপরিবর্তনের পরে সবখানে বড় আলোচনা- ‘কবে হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন’। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে বক্তব্যকে অস্পষ্ট মনে করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট হতে চাচ্ছে দলটি। জুলাই বিপ্লবের পরে আওয়ামী লীগের পতনের পর থেকে সরকারের কাছ থেকে নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি করে আসছে। কিন্তু সরকার থেকে সে বার্তা না পাওয়ায় আজ (বুধবার) দুপুর ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় বৈঠক করবে বিএনপি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজকের বৈঠকে শুধু নির্বাচনের রোডম্যাপ আলোচনা করা হবে। নির্বাচন নিয়ে সরকারের ভাবনা ও নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপ জানতে চাইবে দলটি। এর বাইরে কোনো আলোচনা করা হবে না বলেও জানা যায়। বৈঠকে আলোচনা ফলপ্রসূ না হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করা হবে।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সাক্ষাৎ করবেন। প্রতিনিধিদলে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদসহ আরো দুজন স্থায়ী কমিটির সদস্য উপস্থিত থাকবেন বলে জানা যায়।
দলটির নেতারা জানিয়েছেন, আজকের বৈঠকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ এবং নির্বাচন ঘিরে বিভ্রান্তি দূর করা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এ ছাড়া নির্বাচন নিয়ে সরকারের মনোভাব কীÑ তা স্পষ্ট হওয়ার চেষ্টা থাকতে পারে। একই সঙ্গে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলতে চান নেতারা।
এদিকে গত ১১ এপ্রিল আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টার এমন তাগিদের সঙ্গে বিএনপি একমত নয় বলে জানিয়েছে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহম্মেদ। দলটি মনে করে, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। নির্বাচন যত পিছিয়ে যাবে দেশের সংকট ও বিশৃঙ্খলা তত বাড়বে।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, ২০২৫ সালের শেষের দিকে বা ২০২৬ সালের প্রথম দিকে নির্বাচন হবে। তারপর তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। সরকারের তরফ থেকে এমন বক্তব্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর থেকে বিএনপিসহ প্রায় দলই দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বক্তব্য দিয়ে আসছে।
এর পরে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলো বড় সংস্কার চাইলে সামনের বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালের জুনে নির্বাচন, আর ছোট সংস্কার চাইলে চলতি বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু ডিসেম্বরের পরে কোনোভাবে নির্বাচন চায় না বিএনপি। দলটি মনে করে নির্বাচন নিয়ে সরকারের এমন বক্তব্য স্পষ্ট নয়। তাদের দাবি, একটি সুনির্দিষ্ট সময় দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা প্রয়োজন।
জানা গেছে, বিএনপি সরকারের সঙ্গে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ইস্যুতে আলোচনার পাশাপাশি এই দাবিতে সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখারও পরিকল্পনা করছে। দলটির স্থায়ী কমিটিতেও এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিএনপির অভিমত, যেহেতু এই অন্তর্বর্তী সরকার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এসেছে, সরকারকে সর্বোতভাবে সহযোগিতাও করছে। তাই সরকার ব্যর্থ হোক, এটা তারা চায় না। সে কারণে সরাসরি সরকারের বিরুদ্ধে কোনো অবস্থান নেবে না দলটি। তবে নির্বাচন যাতে দ্রুত হয় এবং নির্বাচন নিয়ে যাতে কোনো ষড়যন্ত্র না হয়, সে জন্য তারা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার চিন্তা করছে।
এজন্য সপ্তাহখানেক আগে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে প্রাথমিকভাবে আগামী তিন মাসব্যাপী একটি কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যেটা অনানুষ্ঠানিকভাবে ইতোমধ্যে দলের হাইকমান্ডকে অবহিত করেছে।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকার পক্ষের নানা বক্তব্যে এক ধরনের ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছে বিএনপি। এই অবস্থা নিরসনের তাগিদ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে তার কাছে সময় চেয়েছে দলটি।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুনির্দিষ্টভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বরের আগে একটা রোডম্যাপ অবশ্যই চাইব। যাতে উনি ক্লিয়ারলি জাতির সামনে যথাযথ প্রক্রিয়ায় উপস্থাপন করেন, যাতে অনিশ্চয়তার যে একটা ভাব আছে, সেটা কেটে যায়।
বৈঠকে আলোচনা বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন আয়োজনে ডিসেম্ব যথেষ্ট সময়। তার আগে আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা জুনের মধ্যে সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারবে। প্রধান উপদেষ্টাও এর আগে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার জন্য ওনারা সমস্ত কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। যেহেতু বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্যে একটা ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে, সেটি পরিষ্কার করার জন্য আমরা ওনাকে (প্রধান উপদেষ্টা) আহ্বান জানাব।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে জাতীয় নির্বাচনের আগে দলের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করতে আগামী তিন মাস নানামুখী কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। শান্তিপূর্ণ এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মিছিল, সভা-সমাবেশ, পদযাত্রা। একেবারে তৃণমূল পর্যায় থেকে এসব কর্মসূচি শুরু হয়ে ধাপে ধাপে কেন্দ্রীয়ভাবে তা পালনের চিন্তা রয়েছে দলটির। এসব কর্মসূচিতে ব্যাপক জনসমাগমের পরিকল্পনা রয়েছে। সম্প্রতি বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকদের বৈঠকে প্রাথমিকভাবে এমন কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বিএনপির প্রত্যাশা- আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দলটি এ-ও বলছে, নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনও প্রস্তুত রয়েছে। অধিকাংশ রাজনৈতিক দলও একটি অবাধ-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো শেষ করে দ্রুত নির্বাচন চায়। এমন বাস্তবতায় এখন সরকার সিদ্ধান্ত নিলেই দেশ নির্বাচনমুখী হতে পারে।
সিপিবিসহ গণতান্ত্রিক বাম জোটের অন্তর্ভুক্ত কয়েকটি দলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছে বিএনপি। রোববার রাজধানীর বনানীতে হোটেল সেরিনায় বিকালে ৪টা থেকে প্রায় ১ ঘণ্টার এই বৈঠকে নির্বাচন ও সংস্কার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নেতারা।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার রোববার এক বিবৃতিতে বলেছেন, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালা পবিত্র কুরআনের বিধানের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক এবং ইসলাম ও মুসলিম পরিচয়ের অস্তিত্বের ওপর একটি সুপরিকল্পিত আঘাত।
২ ঘণ্টা আগেক্ষমতার ভারসাম্যের জন্য রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধির পক্ষে বিএনপি। এর জন্য সংবিধানের ৪৮(৩) অনুচ্ছেদের পর আরেকটি অনুচ্ছেদ যুক্ত করা হবে পরবর্তী সময়ে সংসদে আলোচনার মাধ্যমে। রাষ্ট্রপতি সংসদের উভয়কক্ষের সদস্যদের ভোটেই নির্বাচিত হবেন।
৩ ঘণ্টা আগেগণহত্যার দায়ে ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারসহ ৮ দফায় ঐকমত্য পোষণ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি ও খেলাফত মজলিস।
৩ ঘণ্টা আগে