Ad T1

আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ও স্বচ্ছতা প্রসঙ্গে বিসিবির ব্যাখ্যা

স্পোর্টস রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১: ৫৮
আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২: ২৯

দিন কয়েক ধরে ক্রিকেটপাড়া উত্তাল বিসিবির ১২০ কোটি টাকা ট্রান্সফারের তথ্যে। এই ট্রান্সফার বা লেনদেন বিষয়ে একটা বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছে। বিসিবি জানিয়েছে ২৩৮ কোটি টাকা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংক থেকে সরিয়ে ভালো মানের ব্যাংকে পুনঃবিনিয়োগ করা হয়েছে। আর এই কাজটি সভাপতির একক এখতিয়ারে নয়, এই কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিসি বির দুই পরিচালক মাহবুব আনাম ও ফাহিম সিনহার

সায় ও সই নিয়েই করা হয়েছে। অন্যান্য পরিচালকদের এই তথ্য না জানার যে অভিযোগ উঠেছে সেটা সঠিক নয় বলে দাবি করেছে বিসিবি।

বিসিবি গতকাল এক বিবৃতিতে জানায় ফারুক আহমেদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য এসব করা হচ্ছে। 'বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জাতীয় গণমাধ্যমের কিছু অংশে বোর্ডের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিসিবির মতে, এসব প্রতিবেদন ভ্রান্ত, ভুল তথ্যভিত্তিক এবং বোর্ড ও এর সভাপতি ফারুক আহমেদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয়েছে।'

বিসিবি তাদের বিবৃতিতে আরও জানায়, 'বিসিবি তার ব্যাংকিং সম্পর্কগুলোর পুনর্মূল্যায়ন করে এবং কৌশলগতভাবে সিদ্ধান্ত নেয় যে শুধুমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত গ্রীন ও ইয়েলো জোনভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথেই বোর্ড আর্থিক লেনদেনে জড়িত থাকবে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে, বিসিবি ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংকগুলো থেকে ২৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করে এবং এর মধ্যে ২৩৮ কোটি টাকা গ্রীন ও ইয়েলো জোনভুক্ত ব্যাংকগুলোতে পুনঃবিনিয়োগ করে। অবশিষ্ট ১২ কোটি টাকা বিসিবির দৈনন্দিন পরিচালন ব্যয় নির্বাহের জন্য নির্ধারিত একাউন্টে স্থানান্তর করা হয়।'

বিসিবির অন্য পরিচালকদের এ তথ্য না মানার যে অভিযোগ আছে সে বিষয়টিও পরিস্কার করেছে বিসিবি। এ নিয়ে বিসিবি জানায়, ‘পার্টনার ব্যাংকগুলোর সাথে বিসিবির আর্থিক বিষয়ক লেনদেনে স্বাক্ষরপ্রদানকারী দুজন বোর্ড পরিচালক - বোর্ডের ফিনান্স কমিটি চেয়ারম্যান ফাহিম সিনহা ও টেন্ডার ও পারচেজ কমিটি চেয়ারম্যান মাহবুবুল আনাম I বোর্ড সভাপতি কোন একক সিদ্ধান্তবলে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের অজ্ঞাতে ব্যাঙ্ক পরিবর্তনের নির্দেশ প্রদান করেন না এবং তিনি ব‍্যাংকিং বিষয়ে স্বাক্ষর প্রদানকারী নন।'

এসব এফডিআর থেকে বিসিবি বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে এই বিবৃতিতে। জানানো হয়, 'বিসিবি অবগত যে, কিছু সুবিধাভোগী মহল এবং ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী, যারা ক্রিকেট প্রশাসনের ভিতরেও সক্রিয়, বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এই কারণেও বিসিবি তার আর্থিক নিরাপত্তা আরও জোরদার করেছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত বিসিবি তার অর্থ ও স্থায়ী আমানত সংরক্ষণের দায়িত্ব ১৩টি নির্ভরযোগ্য ব্যাংকের হাতে দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত কেবল বিসিবির আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেনি, বরং প্রতিযোগিতামূলক মুনাফা প্রাপ্তির মাধ্যমে আয় বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি করেছে। এর ফলে, পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় বিসিবির স্থায়ী আমানতে ২ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত মুনাফা হয়েছে।'

বিবৃতিতে আরও জানায়, 'গত ছয় মাসে বিসিবি তার বর্তমান তিনটি ব্যাংকিং অংশীদারের কাছ থেকে আনুমানিক ১২ কোটি টাকার স্পনসরশিপ পেয়েছে। এছাড়াও, অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বিসিবির অংশীদার ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকার বিনিয়োগের আশ্বাস পাওয়া গেছে, যা এই আর্থিক সম্পর্কগুলোর দৃঢ়তা ও গভীরতা নির্দেশ করে।'

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত