Ad T1

২০৫ অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে আমেরিকা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮: ৩৬
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০: ১৪

ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি পূরণে এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশের অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ২০৫ অবৈধ ভারতীয়কে আমেরিকা থেকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। সোমবার দেশটির সামরিক বাহিনীর সি-১৭ নামক বিমানটি তাদের নিয়ে ভারতের উদ্দেশে রওনা হয়। এর আগে ২০৫ ব্যক্তির প্রত্যেকের ভারতীয় নাগরিকত্ব যাচাই করা হয়েছে। নয়াদিল্লিও আমেরিকার এই বিতাড়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত। ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত আনতে এটিই প্রথম ফ্লাইট। এর আগে গুয়াতেমালা, পেরু ও হন্ডুরাসে অবৈধ অভিবাসীদের সামরিক বিমানে করে ফেরত পাঠিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়েই অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে নির্বাহী আদেশ জারি করেন ট্রাম্প। এর পর থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ধরপাকড় এবং নিজ দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার কার্যক্রম।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী সপ্তাহে আমেরিকা সফরে যাবেন। এ খবরের মধ্যেই প্রথম দফায় ২০৫ অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে আমেরিকা থেকে বের করে দেওয়া হলো। ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর এবারই প্রথম আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি।

এদিকে নিজ দেশের অভিবাসী প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর এর আগে বলেছিলেন, আমেরিকাসহ বিদেশে ‘অবৈধভাবে’ বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকদের ‘বৈধ প্রত্যাবর্তনের’ জন্য নয়াদিল্লি প্রস্তুত আছে।

গত মাসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আমেরিকা অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত করে বিতাড়নের ব্যবস্থা নিয়েছে। তাদের সামরিক বিমানে করে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। ভারত তাদের সব অভিবাসীদের ফেরত নিতে প্রস্তুত বলেও ট্রাম্পকে জানিয়েছিলেন মোদি। ব্লুমবার্গের নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৮ হাজার অবৈধ অভিাসীকে শনাক্ত করেছে আমেরিকা। ভারত ‘অবৈধ অভিবাসীদের’ বিপক্ষে, কারণ তারা অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে বলে জানিয়েছেন জয়শংকর।

এদিকে ট্রাম্পের আমন্ত্রণে দুই দিনের সফরে ১২ ফেব্রুয়ারি আমেরিকা যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদি। এই সফরে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। গতকাল রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

সম্প্রতি ভারতীয় পণ্যের ওপর সমান শুল্ক আরোপে ট্রাম্পের হুমকি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে মোদি সরকার। তাই এই বৈঠক দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও কৌশলগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি ফোন আলাপ করেন এই দুই রাষ্ট্রপ্রধান। সেসময় উভয় নেতা অভিবাসন নীতি, নিরাপত্তা সহযোগিতা ও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করেন। ভারতে আমেরিকা থেকে আরও বেশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার ওপর জোর দেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে বাণিজ্যে ভারসাম্য আনার প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেছিলেন তিনি।

১৩ ফেব্রুয়ারি নিজ নিজ দেশের ভবিষ্যতের সহযোগিতার জন্য রোডম্যাপ তৈরি করতে আলোচনা করতে পারেন। এই সফরে সেখানকার ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গেও নরেন্দ্র মোদি বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি প্যারিসে এআই সামিটে অংশ নেবেন মোদি। সেখান থেকে ওয়াশিংটন যাবেন।

মোদি-ট্রাম্পের এই বৈঠক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বৈঠক উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও কৌশলগত অংশীদারত্বকে আরও সুদৃঢ় করবে।

বিষয়:

ট্রাম্প
Ad
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত