সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও থেমে নেই ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে প্রাণহানির ঘটনা। পতাকা বৈঠকেই সীমাবদ্ধ সমাধানের পথ। বৃহস্পতিবার ভোরে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এবার সবুজ মিয়া (৩০) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। হত্যা করার পর সবুজের লাশ বিএসএফ সদস্যরা ভারতে নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
নিহত সবুজ মিয়া জগতবেড় ইউনিয়নের পঁচাভান্ডার গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
এদিকে বিএসফের গুলি করে বাংলাদেশি হত্যা, ধরে নিয়ে যাওয়া ও নির্যাতন, জোর করে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ, উচ্চ ক্ষমতার সার্চলাইট ব্যবহার করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন সীমান্ত এলাকার অধিবাসীরা।
স্থানীয় ও সীমান্ত সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরে তিস্তা ব্যাটালিয়ন-৬১ বিজিবির অধীনস্থ শমশেরনগর সীমান্তের মেইন পিলার ৮৬৪/৫ এর বিপরীতে ভারতের অভ্যন্তরে চেনাকাটা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গরু পারাপারের উদ্দেশ্যে কয়েকজন বাংলাদেশি ওই সীমান্তে গেলে ভারতীয় ১৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চেনাকাটা ক্যাম্পের টহল দল তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই সবুজ মিয়ার মৃত্যু হয়। পরে তার লাশ বিএসএফ টেনে হেঁচড়ে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায় যায়।
লালমনিরহাট ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুজাহিদ মাসুম বলেন, সবুজ মিয়ার লাশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মাথাভাঙ্গা থানা থেকে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ৬১ বিজিবির শমসেরনগর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদর কামাল উদ্দিন বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের কাছে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিজস্ব মাধ্যমে সীমান্তে এমন একটি ঘটনার খবর পেয়েছি। তবে বিজিবি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। শুনেছি এ ঘটনায় বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন সহ্য করতে না পেরে ভারত বাংলাদেশের উপর যেন তারা প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে উঠেছে। নিয়মিত বিরতিতেই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে প্রাণ হারাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ। বিভিন্ন সময় দুই দেশের উচ্চপর্যায় থেকে সীমান্ত হত্যা বন্ধে নানা প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও তা কাজে আসছে না। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রায় ৪ হাজার ১৫৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আন্তর্জাতিক স্থল সীমান্ত রয়েছে; যা বিশ্বে পঞ্চম বৃহত্তম। সীমান্ত হত্যাকাণ্ড শূন্যে নামাতে দুদেশ একাধিবার যৌথ বিবৃতি দিয়েছিলেন। এই যৌথ বিবৃতির পরও সীমান্তে হত্যাকাণ্ড আজও বন্ধ হয়নি।
স্থানীয় ও সীমান্ত সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরে তিস্তা ব্যাটালিয়ন-৬১ বিজিবির অধীনস্থ শমশেরনগর সীমান্তের মেইন পিলার ৮৬৪/৫ এর বিপরীতে ভারতের অভ্যন্তরে চেনাকাটা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গরু পারাপারের উদ্দেশ্যে কয়েকজন বাংলাদেশি ওই সীমান্তে গেলে ভারতীয় ১৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চেনাকাটা ক্যাম্পের টহল দল তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই সবুজ মিয়ার মৃত্যু হয়। পরে তার লাশ বিএসএফ টেনে হেঁচড়ে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায় যায়।
লালমনিরহাট ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুজাহিদ মাসুম বলেন, সবুজ মিয়ার লাশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মাথাভাঙ্গা থানা থেকে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ৬১ বিজিবির শমসেরনগর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদর কামাল উদ্দিন বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের কাছে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিজস্ব মাধ্যমে সীমান্তে এমন একটি ঘটনার খবর পেয়েছি। তবে বিজিবি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। শুনেছি এ ঘটনায় বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন সহ্য করতে না পেরে ভারত বাংলাদেশের উপর যেন তারা প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে উঠেছে। নিয়মিত বিরতিতেই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে প্রাণ হারাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ। বিভিন্ন সময় দুই দেশের উচ্চপর্যায় থেকে সীমান্ত হত্যা বন্ধে নানা প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও তা কাজে আসছে না। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রায় ৪ হাজার ১৫৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আন্তর্জাতিক স্থল সীমান্ত রয়েছে; যা বিশ্বে পঞ্চম বৃহত্তম। সীমান্ত হত্যাকাণ্ড শূন্যে নামাতে দুদেশ একাধিবার যৌথ বিবৃতি দিয়েছিলেন। এই যৌথ বিবৃতির পরও সীমান্তে হত্যাকাণ্ড আজও বন্ধ হয়নি।


দুই সেনা কর্মকর্তাসহ ৪ জন ফের ট্রাইব্যুনালে