আওয়ামী লীগের পতনের পর কিশোরগঞ্জে পাল্টে গেছে ভোটের মাঠের হিসাব-নিকাশ। দলটির নেতারা কেউ আছেন আত্মগোপনে, আর কেউ কারাগারে। এর মধ্যে দলের কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে ফ্যাসিবাদী এই দল-সংশ্লিষ্টরা ভোটের মাঠে থাকতে পারবে না, এটা এক প্রকার নিশ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মাঠ গোছাতে নেমে পড়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। ভোটাররাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য।
১৯৯১ সালের নির্বাচনে এই জেলার সাতটি আসনের মধ্যে বিএনপির প্রার্থীরা ৫টিতে বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করেন ও আওয়ামী লীগ পায় ২টি। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৬-এর নির্বাচনে দুটি আসনে এবং ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুটি আসনে জয়লাভ করে বিএনপি। এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচন থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই জেলার প্রায় সব আসনেই ছিল আওয়ামী লীগের আধিপত্য। অভ্যুত্থানে দলটির পতনের পর বর্তমানে কিশোরগঞ্জের ৬ আসনেই নির্বাচনি হাওয়া বইছে। এখন পর্যন্ত কিশোরগঞ্জের কোনো আসন থেকে জামায়াতে ইসলামীর কোনো প্রার্থী জয়লাভ করতে পারেনি। তবে এইবার ইসলামি দলগুলোর একক প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনের জন্য বেশ জোরেশোরে প্রস্তুতি নিচ্ছে। অন্যদিকে প্রতিটি আসনে বিএনপির অর্ধ ডজনের মতো নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন।
কিশোরগঞ্জ-০১ (সদর-হোসেনপুর)
এই আসনে গণসংযোগ, মতবিনিময় ও সাংগঠনিক নানা কর্মকাণ্ডে দেখা মিলছে সাবেক ঢাকা বিভাগীয় স্পেশাল জজ ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রেজাউল করিম খান চুন্নু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি মাসুদ হিলালী, সহ-সভাপতি রুহুল হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আঈম ওয়ালী উল্লাহ রাব্বানী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইসরাইল মিয়া, ব্যারিস্টার আতিকুর রহমান, সাবেক পৌর মেয়র আবু তাহের মিয়া ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম-সম্পাদক ওমর ফারুক। এসব নেতা এই আসনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক বলে জানা গেছে। এছাড়া এই আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের ছোট ভাই ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক কমিশনার মির্জা খোকন নির্বাচন করতে পারেন বলে তার সমর্থকরা জানিয়েছেন ।
জামায়াতে ইসলামী দলের সাবেক জেলা নায়েবে আমির ও বর্তমান জেলা কমিটির সদস্য অধ্যাপক মোসাদ্দেক ভূঁইয়াকে আগামী নির্বাচন উপলক্ষে একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে। নিয়মিত গণসংযোগ করছেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ। এ আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী শায়খুল হাদিস মাওলানা হিফজুর রহমান খান। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম প্রার্থী করেছে দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ জামীকে। এই আসনে এনসিপি এখনো কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি।
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী রুহুল হোসাইন বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন আমরা ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের লড়াই করছি। তরুণ ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেই এই সংগ্রাম। দেশের মানুষ এখন কোনো ঘুসখোর, চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের তাদের নেতা বা নির্বাচিত প্রতিনিধি করবে না। আমি নির্বাচিত হলে প্রতিটি এলাকায় চাঁদাবাজি, ধর্ষণসহ নানা অপরাধ শক্ত হাতে দমন করব।
জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী মোসাদ্দেক ভূইয়া বলেন, আমি আশাবাদী জনগণ এবার চাঁদাবাজদের বয়কট করবে। আমি এবং আমার দল সব সময়ই চাঁদাবাজ, অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব। নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি মাদকমুক্ত সমাজ গঠন এবং কর্মমুখী শিক্ষার বিস্তারে কাজ করব।
গণঅধিকার পরিষদের নেতা আবু হানিফ বলেন, আগামী নির্বাচনে চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের প্রত্যাখ্যান করবে জনগণ।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুহাম্মদুল্লাহ জামী বলেন, দেশের কল্যাণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে।
কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া)
এই আসনে বিএনপির মনোনয়নের প্রত্যাশায় রয়েছেনÑ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি, পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দীন, সহ-সভাপতি আশফাক আহমেদ জুন, সহ-সভাপতি রুহুল আমিন আকিল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুজ্জামান কাকন, পাকুন্দিয়া উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আহমদ ফারুক খোকন, যুবদলের সাবেক কর্মসংস্থানবিষয়ক সম্পাদক খন্দকার আল আশরাফ মামুন, কটিয়াদী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেন খাঁন দিলীপ। এ ছাড়াও মোশাহিদ আহমেদ, উপজেলা বিএনপির সদস্য রেজাউল করিম বজলু মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে পোস্টার সাঁটিয়েছেন এবং গণসংযোগ করছেন।
এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা শফিকুল ইসলাম মোড়ল। এছাড়া খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মাওলানা ছাঈদ আহমদ, গণঅধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মাওলানা রশীদ আহমদ জাহাঙ্গীর হোছাইনী ।
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী জালাল উদ্দীন বলেন, আমি আন্দোলন সংগ্রামে সব সময় মাঠে ছিলাম। নেতা-কর্মী-সমর্থক ও এলাকাবাসী— সবাই তা জানে । আমি শতভাগ আশাবাদী প্রার্থী হিসেবে দল আমাকেই বেছে নেবে ।
এ আসনে বিএনপির অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী রুহুল আমিন আকিল বলেন, দল চাচ্ছে আন্দোলন সংগ্রামে যে লোকটি সব সময় সক্রিয় ছিল এবং এলাকায় ক্লিন ইমেজ রয়েছে তাকে মনোনয়ন দিতে । সে বিবেচনায় দলের মনোনয়ন আমিই পাব বলে আশাবাদী।
জামায়াতের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি নির্বাচিত হলে এ আসনের লোকজন যেন নিরাপদ আশ্রয়স্থল এবং দলমত নির্বিশেষে সবাই যেন সুবিচার পায় সেদিকে লক্ষ রাখব।
কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল)
নির্বাচনি এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. এম ওসমান ফারুক মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। তার অনুসারীরা মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। এছাড়া বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন অ্যাডভোকেট জালাল মোহাম্মদ গাউস ও জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমন ।
এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী কর্নেল (অব.) প্রফেসর অধ্যাপক ডা. জেহাদ খান। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের শ্যালক। এ আসনে ইসলামী আন্দোলনের জেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা আলমগীর হোসাইন তালুকদার প্রার্থী হবেন বলে জানা গেছে। নির্বাচনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী প্রভাষক আতাউর রহমান শাহান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের শায়খুল হাদীস মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক।
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী জালাল মোহাম্মদ গাউস বলেন, ছাত্র জীবন থেকে আমি এ দলের সঙ্গে আছি। আশা করছি দলে অবদান ও ত্যাগের বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে।
বিএনপির অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, হাসিনার আমলে আমার বাবাসহ ৫ ভাই একত্রে জেল খেটেছি । এ দলের জন্য আমি এবং আমার পরিবার পরীক্ষিত । আশা করি দল আমাকে মনোনয়ন দেবে।
জামায়াতের প্রার্থী ডা. জেহাদ খান বলেন, শিক্ষা, চিকিৎসা ও কৃষির উপর বিশেষ নজর দেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে আমার। নির্বাচিত হলে গরিব-দুঃখী মানুষের জন্য যা কিছু কল্যাণকর সবকিছু করব ইনশাআল্লাহ।
কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম)
এই আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান মনোনয়ন চাইতে পারেন। এছাড়া মনোনয়নপ্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন— সাবেক জেলা প্রশাসক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম মোল্লা, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রতন, দলের নেতা ফেরদৌস আহমদ চৌধুরী লাকী, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের সাবেক ট্রাস্টি সুরঞ্জন ঘোষ, সাবেক উপ-সচিব জহির উদ্দিন ভূইয়া, বুয়েটের সাবেক ছাত্রদল নেতা নেসার আহমেদ।
এ আসনের জামায়াতের প্রার্থী ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও জামায়াতে ইসলামী ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তর শাখার আইন বিভাগীয় সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ মো. রোকন রেজা। খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মাওলানা অলিউর রহমান, ইসলামী আন্দোলনের বিল্লাল আহমেদ মজুমদার, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের শায়খ মাওলানা আনোয়ারুল ইসলাম।
বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, দুঃসময়ে আমি সব সময় কর্মী-সমর্থকদের পাশে থেকেছি, এখনো আছি। এলাকাবাসীর কাছে আমার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তাছাড়া দলের প্রতি আনুগত্য দেখে দল অবশ্যই আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে আমি ও আমার সমর্থকদের বিশ্বাস।
জামায়াতের প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ রুকন রেজা বলেন, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজমুক্ত একটি মানবিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে জামায়াতে ইসলামীকে মানুষ বেছে নেবে, ইনশাআল্লাহ।
কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী)
এই আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল এবং সাবেক পৌর মেয়র এহসান কুফিয়া, প্রবীণ নেতা মীর মোহাম্মদ জলিল হোসেন, অ্যাডভোকেট বদরুল মোমেন মিঠু, শফিকুল আলম রাজন, কেন্দ্রীয় কৃষকদল নেতা হাজী মাসুক মিয়া, সাবেক এমপি মজিবুর রহমান মঞ্জুর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান মামুন, জেলা বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ বদরুল আলম শিপু, অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল, সাবেক সচিব আব্দুল ওয়াহাব এ আসনে মনোনয়নের প্রত্যাশায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে আসনটিতে ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদাকে সহযোগিতা করার জন্য কেন্দ্রীয় বিএনপি চিঠি দিয়েছে বলে জানা গেছে। চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তাকেও সহযোগিতা করছেন বিএনপি নেতারা।
এই আসনে জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মোহাম্মদ রমজান আলীর নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে দলটি। এই আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মাওলানা আব্দুল আহাদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মাওলানা দিলাওয়ার হোসাইন নূরী।
এছাড়া রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে।
জামায়াতের প্রার্থী রমজান আলী বলেন, ৬টি আসনেই আমাদের প্রার্থীরা মানুষের কাছে যাচ্ছেন। প্রতিটি এলাকায় আমরা সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। জনগণ সুযোগ দিলে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসমুক্ত সুন্দর এলাকা গড়ে তুলব। আমরা আশাবাদী ফলাফল ভালো হবে।
বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী শফিকুল আলম রাজন বলেন, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা এবং বিএনপির কর্মী হিসেবে আমি এই এলাকার মানুষের আকাঙ্ক্ষা, সুখ দুঃখের সাথী হিসেবে ছিলাম এবং থাকব। আশা করি দল আমাকে প্রার্থী হিসেবে বেছে নেবে।
কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর)
এই আসনে দল গোছানোর কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি গণসংযোগ, মতবিনিময় ও প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ শরীফুল আলম। নিজ নির্বাচনি এলাকা ছাড়াও পুরো জেলায়ই সক্রিয় তিনি। এ আসনে বিএনপির আর কোনো প্রার্থী না থাকায় সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন তিনি।
এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী সাবেক ছাত্রনেতা ও ভৈরব উপজেলা আমীর মাওলানা মোহাম্মদ কবীর হোসাইন। আগামী নির্বাচনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের প্রার্থী প্রিন্সিপাল মাওলানা লাইস উদ্দিন, খেলাফত মজলিসের মাওলানা সাইফুল ইসলাম সাহেল, ইসলামী আন্দোলনের মোহাম্মদ মুছা খান।
শরীফুল আলম বলেন, বিএনপি নির্বাচনমুখী বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দল। বর্তমান বিএনপি যে কোনো সময়ের চেয়ে গোছানো এবং শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। সর্বশেষ দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে আমি মনে করি। সেই সঙ্গে দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই সবাই কাজ করবে।
জামায়াতের প্রার্থী কবীর হোসাইন বলেন, আমি গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছি। ভোটারদের মন জয় করতে সব চেষ্টা চলমান। আমি নির্বাচিত হলে এ এলাকার সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান করার চেষ্টা চালিয়ে যাব।
সিপিবির সভাপতি ও বাম জোটের সমন্বয়ক আব্দুর রহমান রুমী বলেন, যখনই নির্বাচন হবে আমরা অংশগ্রহণ করব। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে হবে।
খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য হাফেজ মাওলানা এমদাদুল্লাহ্ বলেন, অন্যান্য দলের মতো আমাদের দলে নিজ ইচ্ছায় কেউ প্রার্থী হয়নি বরং তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে প্রার্থী ঠিক করা হয়েছে। এতে প্রার্থীদের মাঝে কোনো প্রকার ক্ষোভ বা বিরোধিতা নেই। নির্বাচনের আগে ইসলামী দলগুলোর ঐক্যের সম্ভাবনা রয়েছে। হতে পারে ইসলামী দলগুলোর পক্ষ থেকে একটি আসনে যে কোনো একটি দলের প্রার্থী থাকবে।

