আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

পাটগ্রাম খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে চাল নিয়ে চালবাজি

মিনাজ ইসলাম, পাটগ্রাম (লালমনিরহাট)
পাটগ্রাম খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে চাল নিয়ে চালবাজি

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে চাল নিয়ে চলছে চালবাজি ।

পাটগ্রাম উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় অভ্যন্তরীণ আমন সংগ্রহ ২০২৫-২৬ মৌসুমের চুক্তিযোগ্য মিলগুলোর মিলভিত্তিক সিদ্ধ চালের বরাদ্দ বিভাজনের ৩৯ জন চাল ছাঁটাই মিল ও চাতাল মালিকের নামের তালিকা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক স্বাক্ষরিত প্রকাশ করেছে । এতে দেখা যায়- অধিকাংশ চাল ছাঁটাই মিল ও চাতালের বর্তমানে কোনো অস্তিত্ব নেই । কিন্তু তালিকায় তাদের নাম রয়েছে। এই তালিকা প্রকাশের পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে । অনেক মিল চাতাল ১০-১২ বছর আগে বন্ধ হয়। কিন্তু এ তালিকায় তাদের নাম রয়েছে। অথচ এসব নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বন্ধ অধিকাংশ মিলের তালিকা প্রকাশ করার ফলে চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, অস্তিত্বহীন চাতাল মিলের তালিকা প্রকাশ করে চাল নিয়ে চালবাজি করছে । পাটগ্রাম উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে সংশোধনের জোরালো দাবি জানান তারা।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, চাল সংগ্রহের প্রজ্ঞাপনের ১১/ক, খ, গ ও ঘ প্রচ্ছদে চালকল নির্বাচনের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ‘চাল সংগ্রহ ও নিয়ন্ত্রণ আদেশ ২০০৮’-এর আওতায় মিলিং লাইসেন্স ও ফুড গ্রেইন লাইসেন্সধারী প্রয়োজনীয় অবকাঠামো সম্পন্ন সচল মিল চুক্তিযোগ্য হবে। যেসব মিলে বয়লার ও চিমনি নেই, সেসব হাস্কিং মিলের সঙ্গে চাল সংগ্রহের জন্য চুক্তি করা যাবে না। প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয় হতে প্রাপ্ত সনদ থাকতে হবে। কোনো বন্ধ চালকল মালিকের সঙ্গে চুক্তি করা যাবে না।

আরো জানা যায়, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৩৯টি মিলারের কাছ থেকে ৭৮১ মেট্রিক টন ও একটি আটো মিলের কাছ থেকে ৪৫৫ মেট্রিক টন আমন মৌসুমে সিদ্ধ চাল সংগ্রহের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে পাটগ্রাম উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়। একটি অটোচাল মিল চালু থাকলেও বাকি মিলের সিংহভাগই বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত বছর আমন সংগ্রহ মৌসুমে উপজেলা ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের কেজি প্রতি ৭৫ পয়সা উপরির বিনিময়ে অস্তিত্ববিহীন মিল চাতাল এ তালিকায় স্থান পেয়ে ছিল।

সরেজমিনে দেখা যায়, পাটগ্রাম পৌরসভার বিশ্বজিৎ কুমার হিসাবিয়ার নামে দুটি পৃথক মিল চাতালে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে ২০২৩ সালে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্বজিৎ কুমার বলেন, ‘আমার মিলের একটি লাইন বিচ্ছিন্ন থাকলেও অপর মিলের একটি চালু আছে।’ নেসকো বিদ্যুৎ ওয়েবসাইটে দেখা যায়, সংযোগের ক্ষেত্রে ৩৯টি চাল মিলের মধ্যে ১৮টিরই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে এক বছরের বহু আগে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাসিম আল আকতার বলেন, ‘গত কয়েকদিন আগে আমি এখানে যোগদান করেছি। সবকিছু ঠিকমত বুঝতে একটু সময় লাগবে। তবে, মিল চাতালবিহীন ও অস্তিত্ববিহীন চাল মিলের তালিকা হওয়ার সুযোগ কম। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে বাতিল করা হবে।’ লালমনিরহাট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ডিসিএফ) কামরুজ্জামান মিয়া প্রকাশিত তালিকা সম্পর্কে বলেন, ‘এটা চলমান তালিকা। যাদের সক্ষমতা নেই, তদন্তের মাধ্যমে তাদেরকে বাতিল করা হবে।

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন