
এম হাসান, কুমিল্লা

শীত মৌসুম শুরুর আগেই পানিশূন্য হয়ে পড়ছে কুমিল্লার গোমতী নদী। জেলার কৃষি খাত এই নদীর পানির ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় ইতোমধ্যে সেচনির্ভর কৃষিতে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। সরেজমিন দেখা যায়, গোমতীর দুই পাড়জুড়ে কোথাও শুকনা চর আবার কোথাও বালুকাময় জমি । সাধারণত এসব জমিতে শীতকালীন সবজি ভুট্টা, আখ, গম, সরিষা ও বোরো ধানের চাষ হয়ে থাকে। কিন্তু চলতি বছর আগাম পানিশূন্যতা কৃষিকাজে বড় ধরনের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে গোমতী চরের প্রায় চার হাজার হেক্টর আবাদি জমি এখন সরাসরি হুমকির মুখে। পরিস্থিতি এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই নদী পুরোপুরি শুকিয়ে গিয়ে চাষাবাদে মারাত্মক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
জানা যায়, দ্রুত পানি কমে যাওয়ায় শীতকালীন ফসল উৎপাদন কঠিন হয়ে পড়ছে। ফলে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন জেলার হাজার হাজার কৃষক। এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জরুরি ও কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে সংকট থেকে উত্তরণের কোনো পথ নেই বলে মনে করছেন স্থানীয় কৃষকরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গোমতী নদীর উৎপত্তিস্থল ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উদয়পুরে। নদীটি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে কুমিল্লা সদর উপজেলার কটকবাজার এলাকা দিয়ে। পরে জেলার সদর, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, দেবিদ্বার, মুরাদনগর, তিতাস ও দাউদকান্দি উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মেঘনায় গিয়ে মিশেছে। বাংলাদেশ অংশে এ নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৯৭ কিলোমিটার। নদীর ডান তীরে ৪১ কিলোমিটার ও বাম তীরে ৩৪ কিলোমিটার বন্যা ব্যবস্থাপনা বাঁধ রয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, প্রতিবছর শীতকালে পানির পরিমাণ কমলেও এবার তা আগেই নেমে গেছে। এভাবে পানি কমতে থাকলে কয়েক দিনের মধ্যে সেচযন্ত্র বসানোই অসম্ভব হয়ে পড়বে। ফলে অনেক জমি অনাবাদি রয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গোমতী পাড়ের জমিগুলোতে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ করা হয়েছে। এসব সবজির ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা সন্তুষ্ট। কিন্তু পানি সংকট দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে কৃষকদের। বিগত বছরগুলোতে এ সময়ে নদীতে পর্যাপ্ত পানি থাকলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন।
বিশেষজ্ঞরা বলছে, ভারতের উজানে বাঁধ নির্মাণ ও পানি প্রত্যাহার, অনিয়মিত বৃষ্টি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং নদীর নাব্য হ্রাসের ফলে গোমতীতে এই সংকট তৈরি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে নাব্য কমে যাওয়ায় নদীর পানি ধারণক্ষমতাও কমে আসছে।
গোমতীর পানিনির্ভর সেচ ব্যবস্থার ওপর পুরো কুমিল্লা অঞ্চলের কৃষি উৎপাদন নির্ভরশীল। কৃষি কর্মকর্তাদের মতে, পানি না থাকলে শাকসবজি, রবি ফসল এবং আসন্ন বোরো মৌসুম—সবকিছুই বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। প্রয়োজনে বিকল্প সেচের পরামর্শ দেওয়া হতে পারে পাউবি থেকে। তবে বিকল্প সেচ ব্যবস্থা সম্পর্কে কৃষকদের যথেষ্ট ধারণা নেই।
জেলা সদরের আমতলী এলাকার কৃষক মো. শাহ আলম বলেন, এবার পানি আগেভাগেই অনেক কমে গেছে। আমতলী চরে কয়েক একর জমিতে সবজি হয়। কিন্তু নদীতে পানি না থাকলে চাষ অসম্ভব। সরকারের এই বিষয়ে আগেভাগেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
বুড়িচংয়ের কৃষক মফিজুল ইসলাম জানান, টমেটো ও ফুলকপি চাষে নিয়মিত সেচ দরকার। পানি না থাকলে এসব চাষ করা যাবে না। আদর্শ সদর উপজেলার সুবর্ণপুর এলাকার কৃষক আবু সাঈদ মুলা ও শসার চাষ করেছেন। তিনি জানান, গোমতী নদীর পানি ছাড়া সবজি উৎপাদন সম্ভব না । নদীতে পানি রাখার ব্যবস্থা সরকার করবে এটাই প্রত্যাশা। ভারত বর্ষায় পানি ছেড়ে দেবে, শুকনো মৌসুমে পানি দেবে না এটা কোনো নিয়ম হতে পারে না ।
উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হাসান আমার দেশকে বলেন, এবার নদীতে পানি কম। এই নদীর পানি ছাড়া ফসল উৎপাদন সম্ভব হয় না। জেলার শত শত কৃষকের একমাত্র ভরসা এই নদীর পানি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান আমার দেশকে জানান, বিকল্প হিসেবে টিউবওয়েল থাকলেও মূল সমাধান হলো সীমান্তের উজানে পানি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা। প্রয়োজনে ভারতের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিতে হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, ভারতের ভেতরে ডাম্বুর বাঁধ বন্ধ করে দেওয়ায় পানির প্রবাহ কমে গেছে। তিনি আরো জানান, কিছু কৃষক নিজস্ব ব্যবস্থায় সেচ নিয়ে থাকেন। এই পরিস্থিতিতে কৃষি কর্মকর্তারা তাদের জরুরি দিকনির্দেশনা দেবেন।

শীত মৌসুম শুরুর আগেই পানিশূন্য হয়ে পড়ছে কুমিল্লার গোমতী নদী। জেলার কৃষি খাত এই নদীর পানির ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় ইতোমধ্যে সেচনির্ভর কৃষিতে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। সরেজমিন দেখা যায়, গোমতীর দুই পাড়জুড়ে কোথাও শুকনা চর আবার কোথাও বালুকাময় জমি । সাধারণত এসব জমিতে শীতকালীন সবজি ভুট্টা, আখ, গম, সরিষা ও বোরো ধানের চাষ হয়ে থাকে। কিন্তু চলতি বছর আগাম পানিশূন্যতা কৃষিকাজে বড় ধরনের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে গোমতী চরের প্রায় চার হাজার হেক্টর আবাদি জমি এখন সরাসরি হুমকির মুখে। পরিস্থিতি এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই নদী পুরোপুরি শুকিয়ে গিয়ে চাষাবাদে মারাত্মক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
জানা যায়, দ্রুত পানি কমে যাওয়ায় শীতকালীন ফসল উৎপাদন কঠিন হয়ে পড়ছে। ফলে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন জেলার হাজার হাজার কৃষক। এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জরুরি ও কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে সংকট থেকে উত্তরণের কোনো পথ নেই বলে মনে করছেন স্থানীয় কৃষকরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গোমতী নদীর উৎপত্তিস্থল ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উদয়পুরে। নদীটি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে কুমিল্লা সদর উপজেলার কটকবাজার এলাকা দিয়ে। পরে জেলার সদর, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, দেবিদ্বার, মুরাদনগর, তিতাস ও দাউদকান্দি উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মেঘনায় গিয়ে মিশেছে। বাংলাদেশ অংশে এ নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৯৭ কিলোমিটার। নদীর ডান তীরে ৪১ কিলোমিটার ও বাম তীরে ৩৪ কিলোমিটার বন্যা ব্যবস্থাপনা বাঁধ রয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, প্রতিবছর শীতকালে পানির পরিমাণ কমলেও এবার তা আগেই নেমে গেছে। এভাবে পানি কমতে থাকলে কয়েক দিনের মধ্যে সেচযন্ত্র বসানোই অসম্ভব হয়ে পড়বে। ফলে অনেক জমি অনাবাদি রয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গোমতী পাড়ের জমিগুলোতে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ করা হয়েছে। এসব সবজির ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা সন্তুষ্ট। কিন্তু পানি সংকট দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে কৃষকদের। বিগত বছরগুলোতে এ সময়ে নদীতে পর্যাপ্ত পানি থাকলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন।
বিশেষজ্ঞরা বলছে, ভারতের উজানে বাঁধ নির্মাণ ও পানি প্রত্যাহার, অনিয়মিত বৃষ্টি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং নদীর নাব্য হ্রাসের ফলে গোমতীতে এই সংকট তৈরি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে নাব্য কমে যাওয়ায় নদীর পানি ধারণক্ষমতাও কমে আসছে।
গোমতীর পানিনির্ভর সেচ ব্যবস্থার ওপর পুরো কুমিল্লা অঞ্চলের কৃষি উৎপাদন নির্ভরশীল। কৃষি কর্মকর্তাদের মতে, পানি না থাকলে শাকসবজি, রবি ফসল এবং আসন্ন বোরো মৌসুম—সবকিছুই বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। প্রয়োজনে বিকল্প সেচের পরামর্শ দেওয়া হতে পারে পাউবি থেকে। তবে বিকল্প সেচ ব্যবস্থা সম্পর্কে কৃষকদের যথেষ্ট ধারণা নেই।
জেলা সদরের আমতলী এলাকার কৃষক মো. শাহ আলম বলেন, এবার পানি আগেভাগেই অনেক কমে গেছে। আমতলী চরে কয়েক একর জমিতে সবজি হয়। কিন্তু নদীতে পানি না থাকলে চাষ অসম্ভব। সরকারের এই বিষয়ে আগেভাগেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
বুড়িচংয়ের কৃষক মফিজুল ইসলাম জানান, টমেটো ও ফুলকপি চাষে নিয়মিত সেচ দরকার। পানি না থাকলে এসব চাষ করা যাবে না। আদর্শ সদর উপজেলার সুবর্ণপুর এলাকার কৃষক আবু সাঈদ মুলা ও শসার চাষ করেছেন। তিনি জানান, গোমতী নদীর পানি ছাড়া সবজি উৎপাদন সম্ভব না । নদীতে পানি রাখার ব্যবস্থা সরকার করবে এটাই প্রত্যাশা। ভারত বর্ষায় পানি ছেড়ে দেবে, শুকনো মৌসুমে পানি দেবে না এটা কোনো নিয়ম হতে পারে না ।
উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হাসান আমার দেশকে বলেন, এবার নদীতে পানি কম। এই নদীর পানি ছাড়া ফসল উৎপাদন সম্ভব হয় না। জেলার শত শত কৃষকের একমাত্র ভরসা এই নদীর পানি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান আমার দেশকে জানান, বিকল্প হিসেবে টিউবওয়েল থাকলেও মূল সমাধান হলো সীমান্তের উজানে পানি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা। প্রয়োজনে ভারতের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিতে হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, ভারতের ভেতরে ডাম্বুর বাঁধ বন্ধ করে দেওয়ায় পানির প্রবাহ কমে গেছে। তিনি আরো জানান, কিছু কৃষক নিজস্ব ব্যবস্থায় সেচ নিয়ে থাকেন। এই পরিস্থিতিতে কৃষি কর্মকর্তারা তাদের জরুরি দিকনির্দেশনা দেবেন।

জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান বিরোধিতাকারী ৭ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে তাদের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেয়া হয়।
২১ মিনিট আগে
শেখ হাসিনার সর্ব্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন বন্দরনগরী চট্টগ্রামের জুলাই যোদ্ধারা। তারা বলছেন, শেখ হাসিনা আমাদের দেড় হাজারের বেশি ভাই-বোনকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে। অনেক মায়ের বুক খালি করেছে। তার নির্দেশে জুলাই গণহত্যা, শাপল গণহত্যা ও পিলখানা হত্যা হয়েছে।
৩৪ মিনিট আগে
ভারতে পলাতক হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের রায়কে কেন্দ্র করে কেউ যাতে আইনশৃঙ্খলা অবস্থার অবনতি ঘটাতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
৩৬ মিনিট আগে
সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলার পোরশা সদর থেকে শোডাউনটি শুরু হয় এবং উপজেলার ছয় ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পোরশা বাজারে গিয়ে শেষ হয়। শোডাউনে নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে শ্লোগান দেন।
৪১ মিনিট আগে