Ad T1

ভাসানচরকে নোয়াখালী থেকে বিচ্ছিন্ন করার প্রতিবাদ

উপদেষ্টা ফাওজুল কবিরের পদত্যাগ দাবি

জেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালী
প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯: ১৩
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া থেকে ভাসানচরকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
শনিবার নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে হাতিয়া সমিতির ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
আন্দোলনকারীরা ভাসানচরের ওপর অবৈধ হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এসময় উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানের পদত্যাগের দাবি করেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সমিতির সভাপতি এহসানুল কবির সোহেল, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু ছায়েদ মোহাম্মদ নোমান, অ্যাডভোকেট নোমান সিদ্দিকী, যুব কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মো. শাহাদাত হোসেনসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, ভাসানচর একটি মীমাংসিত বিষয়। এটিকে সন্ধীপের সাথে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা করে আঞ্চলিক দাঙ্গা লাগানোর উসকানি দেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে নগ্ন হস্তক্ষেপ করছেন সন্ধীপের বাসিন্দা ও বর্তমান সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। এটি অন্যায় ও অযৌক্তিক, এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্ট করার কারণে এই উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানানো হয়। এ ষড়যন্ত্রের দ্রুত অবসান করে ভাসানচরকে হাতিয়ায় বহাল না রাখলে আরও কঠোর আন্দোলন সংগ্রামের হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
জানা যায়, নোয়াখালী থেকে সন্ধীপ আলাদা হয় ১৯৫৪ সালে। এর পর নোয়াখালীর অন্তর্গত হাতিয়ার সাথে সাগরে জেগে উঠা নতুন এসব চর নোয়াখালী জেলার সাথে রেখে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভাসানচরকে দিয়ারা জরিপের মাধ্যমে ছয়টি মৌজার মধ্যে একটি ভাসানচর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরে হাতিয়া উপজেলাধীন বনবিভাগ ২০০২-২০০৩ সালে ভাসানচরে বনায়ন সৃজন করে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প হিসেবে ভাসানচরকে হাতিয়া উপজেলার প্রশাসনিক এলাকার মধ্যে যাবতীয় নিরাপত্তাসহ রাষ্ট্রীয় সকল ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়ে আসছে।
এমএস
Ad
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত