Ad T1

গঙ্গাচড়ায় জামায়াতের উদ্যোগে ২০ এতিম মেয়ের যৌতুকবিহীন বিয়ে

উপজেলা প্রতিনিধি, গঙ্গাচড়া (রংপুর)
প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৫, ১৮: ৩৭

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও মানবকল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক ব্যতিক্রমধর্মী ও মানবিক আয়োজনে যৌতুকবিহীন ২০ জন এতিম মেয়ের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা ও উপহারসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার গঙ্গাচড়া সরকারি মডেল হাইস্কুল মাঠে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে নবদম্পতিদের হাতে খাট, আলমারি, তোষক, কম্বল, স্বর্ণালংকার, রাইস কুকার, প্রেসার কুকার এবং গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন উপহার দেওয়া হয়।

জামায়াত সূত্রে জানা গেছে, গঙ্গাচড়ার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আর্থিকভাবে অসচ্ছল ও কন্যাদায়গ্রস্ত পরিবারগুলোকে খুঁজে বের করা হয়। বিশেষ করে যেসব পরিবার তাদের মেয়ের বিয়েতে যৌতুক দিতে অক্ষম, তাদের জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ঢাকার একটি অভিজাত কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানে নবদম্পতিদের দুই পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

Marry

নবদম্পতি তৌহিদুল ইসলাম বলেছেন, যৌতুক একটি সামাজিক অভিশাপ। আমি সবসময় চাইতাম এমন একটি বিয়ে করব, যেখানে কোনো লেনদেন থাকবে না। আল্লাহ্‌র রহমতে সেটি সম্ভব হয়েছে। যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

গজঘণ্টা ইউনিয়নের আব্দুর রহিম বলেন, যৌতুক নেওয়া বা দেওয়া ইসলামবিরোধী। আমি বিশ্বাস করি, ভালোবাসা ও সম্মানই একটি বৈবাহিক জীবনের ভিত্তি হওয়া উচিত, টাকার লেনদেন নয়। তাই আমি সচেতনভাবেই যৌতুকবিহীন বিয়েকে বেছে নিয়েছি। তিনি আরো বলেন, সবার প্রতি আহ্বান থাকবে বিয়েকে যেন ব্যবসায়িক লেনদেনের জায়গায় না নিয়ে যাই। কাউকে কষ্ট দিয়ে সুখী হওয়া যায় না।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রংপুর মহানগর শাখার সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক রায়হান সিরাজী। সভাপতিত্ব করেন গঙ্গাচড়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা নায়েবুজ্জামান।

মাওলানা নায়েবুজ্জামান বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হলে বাস্তবিক সহায়তা দরকার।

প্রধান অতিথি অধ্যাপক রায়হান সিরাজী বলেন, এই উদ্যোগটি সমাজে যৌতুকবিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধি করবে। ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী, বিবাহে লেনদেন বা যৌতুকের কোনো স্থান নেই।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত