
রোহান রাজিব

ঋণ জালিয়াতিতে আলোচিত সাদ মুসা গ্রুপ আর্থিক খাতে আবার সক্রিয় হচ্ছে। অবৈধ সুবিধা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন জায়গায় তদবির করছেন গ্রুপের কর্ণধার মুহাম্মদ মোহসিন। রপ্তানিতে কাঁচামাল কেনাবেচা দেখিয়ে ১১ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকার ঋণ নেয় সাদ মুসা। এর বাইরে আরো কিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গ্রুপটির ঋণ রয়েছে বলে জানা গেছে। এসব ঋণ বহু আগেই খেলাপি হয়ে গেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সাদ মুসাকে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল ব্যাংক। এই অবস্থায় গ্রুপটি নতুন কোনো ঋণ নিতে না পারায় বেকায়দায় পড়ে। ফলে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি থেকে নাম মুছতে তোড়জোড় শুরু করেছে গ্রুপটি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে আপিলও করা হয়েছে। ন্যাশনাল ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি থেকে যদিও এ গ্রুপের নাম মোছার কোনো সুযোগ নেই বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও ঋণ বা সুদ পরিশোধ না করা, জালিয়াতি, প্রতারণা বা মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে ঋণ নেওয়া, যে করেণে ঋণ নেওয়া হয়েছে সেই কারণ ছাড়া অন্য কোনো কারণে ওই ঋণ ব্যবহার করা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হবেন। সাদ মুসা গ্রুপের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির যত সংজ্ঞা রয়েছে—তার সবকিছুর প্রমাণ বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ পরিদর্শন প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে। আর সেই অনুযায়ী, তাকে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল ব্যাংক। ফলে গ্রুপটি আপিল করলেও ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি থেকে অব্যাহতি পাওয়ার সুযোগ নেই।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ও সহকারী মুখপাত্র শারিয়ার সিদ্দিকী আমার দেশকে বলেন, আমাদের সার্কুলারে চারটি শর্ত রয়েছে। জাল জালিয়াতি, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও ঋণ পরিশোধ না করা এবং তহবিল স্থানান্তর করা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ঋণখেলাপি হবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এমন সব তথ্য উঠে এলে তাকে ব্যাংক ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঘোষণা করবে। এরপর প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আপিল করার সুযোগ থাকে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেবে। জালিয়াতিতে যুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পুরো ঋণ পরিশোধ ছাড়া ইচ্ছাকৃত খেলাপি থেকে নাম কাটাতে পারবে না। তবে যখন বাংলাদেশ ব্যাংকে শুনানি চলে এ সময় নির্ধারিত পরিমাণ ডাউনপেমেন্ট দিয়ে ঋণ নিয়মিত করার সুযোগ থাকে।
সাদ মুসা গ্রুপের ধোঁকায় সবচেয়ে বোকা হয়েছে সংকটে থাকা ন্যাশনাল ব্যাংক (এনবিএল)। অনিয়মও বেশি হয়েছে এ ব্যাংকের ঋণে। এনবিএলের আগ্রাবাদ শাখায় গ্রুপটির চার প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ বর্তমানে ১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা।
জানা গেছে, চারটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সাদ মুসা হোমটেক্স অ্যান্ড ক্লথিংয়ের সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ, যার পরিমাণ এক হাজার ২১৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এ প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ২০১৩ সালে ৮০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে ২০১৬ সালে সীমা বাড়িয়ে ৩৩৫ কোটি টাকা বাড়তি দেওয়া হয়। সীমা বাড়িয়ে দেওয়ার পর দুদিনের মধ্যে সব টাকা তুলে নেওয়া হয়। আবার ব্যবসায় না খাটিয়ে ২০১৬ সালের ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর এসওডি ও ইওএল সমন্বয় করা হয় ১৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা। ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর ঢাকার এমপি প্রয়াত আসলামুল হকের মালিকানাধীন মাহিম রিয়েল এস্টেটের অ্যাকাউন্টে ১৫৯ কোটি টাকা স্থানান্তর হয়। সেই টাকা আসলামুল হকের মাইশা প্রপার্টির ঋণ সমন্বয় হয়। মূলত মোহসিন গাজীপুর পৌরসভায় ১৬০০ শতক জমি কেনার জন্য তাকে এ অর্থ দেন। এছাড়া ১৫১ কোটি টাকা পেমেন্ট অর্ডার ইস্যুর মাধ্যমে চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায় সমন্বয় করা হয়। আরোপিত সুদ সমন্বয় ৩ কোটি ১১ লাখ এবং বিভিন্ন ব্যাংকে স্থানান্তর করা হয় ৬ কোটি টাকা। ওই সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন দল বলেছে, ঋণটি যে কারণে নেওয়া হয়েছিল সেই খাতে ব্যবহার হয়নি। কারণ ওডি লোন সংশ্লিষ্ট ব্যবসার ওয়াকিং ক্যাপিটাল হিসেবে ব্যবহার হওয়ার কথা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ব্যবসায় ব্যবহার না করে অন্য খাতে করা হয়েছে।
এছাড়া এমদাদ এতিম স্পিনিং মিলসের খেলাপি ঋণ ৪৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা, মাহমুদ সাজিদ কটন মিলসের ১৮ কোটি ৭০ লাখ এবং রোকেয়া স্পিনিং মিলসের ১৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
জানা গেছে, গত বছরের ৩০ মে ন্যাশনাল ব্যাংক সাদ মুসা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিনকে ১৪ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়। এতে জানতে চাওয়া হয়, কেন গ্রুপটিকে ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঘোষণা করা হবে না। মহসিন ২৩ জুন ওই নোটিসের জবাব দেন। তবে ব্যাংকের ‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি ইউনিট’ তার জবাবকে অসন্তোষজনক বলে বিবেচনা করে। পরবর্তী সময়ে গত বছরের ২ অক্টোবর বিষয়টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৫০৯তম সভায় তোলা হয়। সেখানে মহসিন ও তার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ইচ্ছাকৃত খেলাপি’ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত অনুমোদন হয়।
পরবর্তী সময়ে ন্যাশনাল ব্যাংক গত বছরের ১৪ অক্টোবর মহসিন ও তার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ইচ্ছাকৃত খেলাপি’ ঘোষণা করে চিঠি দেয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, সাদ মুসা গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ব্যাংকের বিপুল পরিমাণ ঋণ বকেয়া রেখেছে। ব্যাংকের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংকের শর্তাবলি লঙ্ঘন করে তহবিলের অপব্যবহার, বিল জালিয়াতি ও অর্থ স্থানান্তর করেছে। চিঠিতে আরো বলা হয়, মহসিনের আর্থিক সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তিনি ঋণ পরিশোধে গড়িমসি করছেন এবং চট্টগ্রাম আদালতের আদেশও মানছেন না।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে —যদি আপনি এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বা ক্ষতিগ্রস্ত হন, তবে চিঠি প্রাপ্তির তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং রেগুলেশন অ্যান্ড পলিসি ডিপার্টমেন্টে আপিল দাখিল করতে পারবেন।
পরবর্তী সময়ে সাদ মুসা গ্রুপ গত বছরের ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকে আপিল করে। গত মাসের ১৫ অক্টোবর সেই আপিলের প্রথম শুনানি হয়। সেই শুনানিতে সাদ মুসা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অর্থ স্থানান্তরে বিষয়টিও স্বীকার করেন।
সার্বিক বিষয় জানতে চাইলে ন্যাশনাল ব্যাংকের চট্টগ্রামের রিজিওনাল ম্যানেজার তৌহিদুল করিম খান বলেন, সাদ মুসা গ্রুপ টাকা দিলেই ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি থেকে নাম কাটানো যাবে। ঋণগুলো পুনঃতফসিল করার জন্য কতটা দিতে হবে তা নিয়ে সমঝোতা চলছে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি হওয়ার কারণে অন্য ব্যাংকের ঋণও পুনঃতফসিল হচ্ছে না। তাই আগে আমাদের সঙ্গে বিষয়টি সমাধান করতে হবে। তিনি এখন পর্যন্ত কোনো টাকা দেননি। ওনার প্রোপার্টি বিক্রি করে কিছু টাকা পেয়েছি, কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়।
এ বিষয়ে জানতে সাদ মুসা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিনকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরবর্তী সময়ে বিস্তারিত লিখে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠালেও কোনো উত্তর মেলেনি।

ঋণ জালিয়াতিতে আলোচিত সাদ মুসা গ্রুপ আর্থিক খাতে আবার সক্রিয় হচ্ছে। অবৈধ সুবিধা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন জায়গায় তদবির করছেন গ্রুপের কর্ণধার মুহাম্মদ মোহসিন। রপ্তানিতে কাঁচামাল কেনাবেচা দেখিয়ে ১১ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকার ঋণ নেয় সাদ মুসা। এর বাইরে আরো কিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গ্রুপটির ঋণ রয়েছে বলে জানা গেছে। এসব ঋণ বহু আগেই খেলাপি হয়ে গেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সাদ মুসাকে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল ব্যাংক। এই অবস্থায় গ্রুপটি নতুন কোনো ঋণ নিতে না পারায় বেকায়দায় পড়ে। ফলে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি থেকে নাম মুছতে তোড়জোড় শুরু করেছে গ্রুপটি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে আপিলও করা হয়েছে। ন্যাশনাল ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি থেকে যদিও এ গ্রুপের নাম মোছার কোনো সুযোগ নেই বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও ঋণ বা সুদ পরিশোধ না করা, জালিয়াতি, প্রতারণা বা মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে ঋণ নেওয়া, যে করেণে ঋণ নেওয়া হয়েছে সেই কারণ ছাড়া অন্য কোনো কারণে ওই ঋণ ব্যবহার করা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হবেন। সাদ মুসা গ্রুপের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির যত সংজ্ঞা রয়েছে—তার সবকিছুর প্রমাণ বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ পরিদর্শন প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে। আর সেই অনুযায়ী, তাকে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল ব্যাংক। ফলে গ্রুপটি আপিল করলেও ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি থেকে অব্যাহতি পাওয়ার সুযোগ নেই।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ও সহকারী মুখপাত্র শারিয়ার সিদ্দিকী আমার দেশকে বলেন, আমাদের সার্কুলারে চারটি শর্ত রয়েছে। জাল জালিয়াতি, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও ঋণ পরিশোধ না করা এবং তহবিল স্থানান্তর করা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ঋণখেলাপি হবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এমন সব তথ্য উঠে এলে তাকে ব্যাংক ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঘোষণা করবে। এরপর প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আপিল করার সুযোগ থাকে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেবে। জালিয়াতিতে যুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পুরো ঋণ পরিশোধ ছাড়া ইচ্ছাকৃত খেলাপি থেকে নাম কাটাতে পারবে না। তবে যখন বাংলাদেশ ব্যাংকে শুনানি চলে এ সময় নির্ধারিত পরিমাণ ডাউনপেমেন্ট দিয়ে ঋণ নিয়মিত করার সুযোগ থাকে।
সাদ মুসা গ্রুপের ধোঁকায় সবচেয়ে বোকা হয়েছে সংকটে থাকা ন্যাশনাল ব্যাংক (এনবিএল)। অনিয়মও বেশি হয়েছে এ ব্যাংকের ঋণে। এনবিএলের আগ্রাবাদ শাখায় গ্রুপটির চার প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ বর্তমানে ১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা।
জানা গেছে, চারটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সাদ মুসা হোমটেক্স অ্যান্ড ক্লথিংয়ের সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ, যার পরিমাণ এক হাজার ২১৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এ প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ২০১৩ সালে ৮০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে ২০১৬ সালে সীমা বাড়িয়ে ৩৩৫ কোটি টাকা বাড়তি দেওয়া হয়। সীমা বাড়িয়ে দেওয়ার পর দুদিনের মধ্যে সব টাকা তুলে নেওয়া হয়। আবার ব্যবসায় না খাটিয়ে ২০১৬ সালের ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর এসওডি ও ইওএল সমন্বয় করা হয় ১৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা। ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর ঢাকার এমপি প্রয়াত আসলামুল হকের মালিকানাধীন মাহিম রিয়েল এস্টেটের অ্যাকাউন্টে ১৫৯ কোটি টাকা স্থানান্তর হয়। সেই টাকা আসলামুল হকের মাইশা প্রপার্টির ঋণ সমন্বয় হয়। মূলত মোহসিন গাজীপুর পৌরসভায় ১৬০০ শতক জমি কেনার জন্য তাকে এ অর্থ দেন। এছাড়া ১৫১ কোটি টাকা পেমেন্ট অর্ডার ইস্যুর মাধ্যমে চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায় সমন্বয় করা হয়। আরোপিত সুদ সমন্বয় ৩ কোটি ১১ লাখ এবং বিভিন্ন ব্যাংকে স্থানান্তর করা হয় ৬ কোটি টাকা। ওই সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন দল বলেছে, ঋণটি যে কারণে নেওয়া হয়েছিল সেই খাতে ব্যবহার হয়নি। কারণ ওডি লোন সংশ্লিষ্ট ব্যবসার ওয়াকিং ক্যাপিটাল হিসেবে ব্যবহার হওয়ার কথা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ব্যবসায় ব্যবহার না করে অন্য খাতে করা হয়েছে।
এছাড়া এমদাদ এতিম স্পিনিং মিলসের খেলাপি ঋণ ৪৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা, মাহমুদ সাজিদ কটন মিলসের ১৮ কোটি ৭০ লাখ এবং রোকেয়া স্পিনিং মিলসের ১৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
জানা গেছে, গত বছরের ৩০ মে ন্যাশনাল ব্যাংক সাদ মুসা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিনকে ১৪ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়। এতে জানতে চাওয়া হয়, কেন গ্রুপটিকে ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঘোষণা করা হবে না। মহসিন ২৩ জুন ওই নোটিসের জবাব দেন। তবে ব্যাংকের ‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি ইউনিট’ তার জবাবকে অসন্তোষজনক বলে বিবেচনা করে। পরবর্তী সময়ে গত বছরের ২ অক্টোবর বিষয়টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৫০৯তম সভায় তোলা হয়। সেখানে মহসিন ও তার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ইচ্ছাকৃত খেলাপি’ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত অনুমোদন হয়।
পরবর্তী সময়ে ন্যাশনাল ব্যাংক গত বছরের ১৪ অক্টোবর মহসিন ও তার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ইচ্ছাকৃত খেলাপি’ ঘোষণা করে চিঠি দেয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, সাদ মুসা গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ব্যাংকের বিপুল পরিমাণ ঋণ বকেয়া রেখেছে। ব্যাংকের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংকের শর্তাবলি লঙ্ঘন করে তহবিলের অপব্যবহার, বিল জালিয়াতি ও অর্থ স্থানান্তর করেছে। চিঠিতে আরো বলা হয়, মহসিনের আর্থিক সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তিনি ঋণ পরিশোধে গড়িমসি করছেন এবং চট্টগ্রাম আদালতের আদেশও মানছেন না।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে —যদি আপনি এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বা ক্ষতিগ্রস্ত হন, তবে চিঠি প্রাপ্তির তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং রেগুলেশন অ্যান্ড পলিসি ডিপার্টমেন্টে আপিল দাখিল করতে পারবেন।
পরবর্তী সময়ে সাদ মুসা গ্রুপ গত বছরের ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকে আপিল করে। গত মাসের ১৫ অক্টোবর সেই আপিলের প্রথম শুনানি হয়। সেই শুনানিতে সাদ মুসা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অর্থ স্থানান্তরে বিষয়টিও স্বীকার করেন।
সার্বিক বিষয় জানতে চাইলে ন্যাশনাল ব্যাংকের চট্টগ্রামের রিজিওনাল ম্যানেজার তৌহিদুল করিম খান বলেন, সাদ মুসা গ্রুপ টাকা দিলেই ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি থেকে নাম কাটানো যাবে। ঋণগুলো পুনঃতফসিল করার জন্য কতটা দিতে হবে তা নিয়ে সমঝোতা চলছে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি হওয়ার কারণে অন্য ব্যাংকের ঋণও পুনঃতফসিল হচ্ছে না। তাই আগে আমাদের সঙ্গে বিষয়টি সমাধান করতে হবে। তিনি এখন পর্যন্ত কোনো টাকা দেননি। ওনার প্রোপার্টি বিক্রি করে কিছু টাকা পেয়েছি, কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়।
এ বিষয়ে জানতে সাদ মুসা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিনকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরবর্তী সময়ে বিস্তারিত লিখে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠালেও কোনো উত্তর মেলেনি।

সিন্ডিকেট চক্রের কারসাজিতে বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৭০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল গত সপ্তাহে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ৭০-৮০ টাকার পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এটি ছিল চলতি বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের সর্বোচ্চ দাম। তবে আমদানির খবরে সরবরাহ বেড়ে গত দুদিনে কেজিতে ২০
৪ ঘণ্টা আগে
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৩০ অক্টোবর শেষে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের নেওয়া নিট ব্যাংকঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার ৪০১ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের ৩০ জুন শেষে সরকারের নিট ব্যাংকঋণের স্থিতি ছিল পাঁচ লাখ ৫০ হাজার ৯০৪ কোটি টাকা।
৫ ঘণ্টা আগে
ঘনচিনি একটি কৃত্রিম মিষ্টিকারক যা সাধারণ চিনির চেয়ে প্রায় ৩০ থেকে ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি। বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন, বেকারি আইটেম, আইসক্রিম, বেভারেজ, জুস, চকোলেট, কনডেন্সড মিল্ক এবং শিশু খাদ্য তৈরিতে সাধারণ চিনির পরিবর্তে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী মারাত্মক ক্ষতিকারক এই কৃত্রিম উপাদানটি ব্যবহার করে থাকে।
১৮ ঘণ্টা আগে
সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, বাংলাদেশে একটি দুর্নীতিমুক্ত, উচ্চ কার্যক্ষমতা সম্পন্ন লজিস্টিক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা দরকার, যাতে দেশের বন্দর কার্যক্রম অন্যান্য দেশের তুলনায় পিছিয়ে না পড়ে।
১৮ ঘণ্টা আগে