দেশের রপ্তানি খাত টানা চার মাস ধরে পতনের ধারায় রয়েছে। নভেম্বরে রপ্তানি আয় ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলারে, যা গত বছরের একই সময়ে ৪ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার ছিল। বৃহস্পতিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত রিপোর্টে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জুলাই থেকে নভেম্বর মাসের সময়ে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার, যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের ১৯ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের তুলনায় সামান্য বেশি। নভেম্বরের দুরবস্থা সত্ত্বেও পাঁচ মাসে রপ্তানি খাতে ১ দশমিক ৭৭ শতাংশের কিছুটা প্রবৃদ্ধি বজায় রয়েছে। রপ্তানি আয় এ সময়ে বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬২ শতাংশ।
চলতি মাসেও পোশাক খাতই রপ্তানি আয়ের প্রধান হিসেবে রয়ে গেছে। ২০২৫ সালের নভেম্বরে এ খাত থেকে এসেছে ৩ হাজার ১৪০ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। নিটওয়্যার ও ওভেন উভয় পণ্যই রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। পাশাপাশি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষিপণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ওষুধশিল্প, জাহাজ, চিংড়ি এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যও উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছে। এসব খাত মিলে দেশের রপ্তানি আয় মজবুত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য প্রধান রপ্তানি গন্তব্যের মধ্যে শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে, যেখানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ এবং ৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। এছাড়া রপ্তানিও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে—চীনে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ড ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরব ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেন ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

