অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে দেশের পোশাক খাত। একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কারখানা, বেকার হচ্ছেন হাজার হাজার শ্রমিক। ছোট, মাঝারি কিংবা বড়—সব শিল্পেই চলছে সংকট। এ সংকটের শুরু বিগত হাসিনা সরকারের আমলে, ২০২৩ সাল থেকে। সে সময় হাতেগোনা কিছু কারখানা বন্ধ হলেও ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত মাত্র ২২ মাস ১০ দিনে বন্ধ হয়ে গেছে ২২৬টি কারখানা। এ সময়ে বেকার হয়েছেন দুই লাখের বেশি শ্রমিক।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি পরিবর্তনের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারছে না এ শিল্প খাতটি। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে হাসিনার আমলে এক লাফে শিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ানো হয় প্রায় ১৫০ শতাংশ। এতে তখন থেকেই অনেক কারখানা নিয়মিত গ্যাস বিল দিতে পারছিল না। বর্তমান সরকারের আমলে ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার কৌশল হিসেবে এবং দাতা সংস্থাগুলোর পরামর্শে ঋণের সুদহার এক লাফে ৯ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ করা হয়। সে সঙ্গে খেলাপি ঋণ সংজ্ঞায়িত হওয়ার সময়সীমা ছয় মাস থেকে তিন মাসে নামিয়ে আনা হয়। এতে শত শত কারখানা মালিক খেলাপি হয়ে যান।
ব্যাংকঋণের চড়া সুদহার এবং খেলাপি সংজ্ঞার পরিবর্তনই মূলত একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ। বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান আমার দেশকে বলেন, বিপুলসংখ্যক কারখানা বন্ধ হওয়ার পেছনে মূল দায় হঠাৎ ব্যাংকঋণের সুদহার বাড়িয়ে দেওয়া এবং খেলাপি ঋণের সংজ্ঞা ছয় মাস থেকে তিন মাসে নামিয়ে আনা। সে সঙ্গে বিগত সরকারের শেষ সময়ে এসে বিরাট অঙ্কের গ্যাস বিল চাপিয়ে দেওয়া হয় শিল্প খাতে। গ্যাসের চড়া মূল্য ও ব্যাংকঋণের উচ্চ সুদ দিয়ে অনেকেই ব্যবসায় টিকে থাকতে পারছেন না। তার সঙ্গে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় অনেক পোশাক উদ্যোক্তা দেশ ছেড়েছেন। এ পরিস্থিতি সামনে আরো ভয়াবহ হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
বস্ত্র ও পোশাক খাতের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে পোশাক খাতের ৭৭ কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। এসব কারখানায় মোট শ্রমিক ছিলেন ৫১ হাজার ৯৬০ জন।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানাগুলোর মধ্যে আছে—ক্রিয়েটিভ ডিজাইন, প্রিন্স গার্মেন্টস, রিসাল গার্মেন্টস, সিও ওয়ান বাংলাদেশ, সারোজ গার্মেন্টস, এনএইচ ফ্যাশন, অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রি, সেভরন লিমিটেড, ডিও ফ্যাশন, ঢাকা নিক অ্যাপারেল, ফ্যাশন ট্রেড, এমআর অ্যাপারেল, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন্স, ওডাসি ক্রাফট, নিয়াগারা টেক্সটাইল, টিআরজেড গার্মেন্টস, আবান্তি কালার টেক্স, ডিজনি সুয়েটার; ক্রিয়েটিভ ডিজাইনার্স লিমিটেড, প্রিন্স গার্মেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড, রিশাল গার্মেন্টস লিমিটেড, সিও ওয়ান বাংলাদেশ লিমিটেড, শারোজ গার্মেন্টস লিমিটেড, এন.এইচ. ফ্যাশন লিমিটেড, শামসের রেজিয়া ফ্যাশনস লিমিটেড, অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড, ক্যাভরন লিমিটেড, ডিউ ফ্যাশন লিমিটেড, ঢাকা নিক অ্যাপারেলস লিমিটেড, ফ্যাশন ট্রেড, এম.আর. অ্যাপারেলস, মাল্টিভার্স অ্যাপারেল প্রাইভেট লিমিটেড, এনআরকে ফ্যাশন লিমিটেড, শামসের অ্যাপারেলস লিমিটেড, বার্ডস এ অ্যান্ড জেড লিমিটেড, বার্ডস ফ্যাড্রেক্স লিমিটেড, বার্ডস গার্মেন্টস লিমিটেড ইউনিট–২, বার্ডস আরএনআর ফ্যাশনস লিমিটেড, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনস লিমিটেড, অ্যাক্সন ফ্যাশন লিমিটেড, সেঞ্চুরি ডিজাইন অ্যান্ড ফ্যাশন প্রাইভেট লিমিটেড, ডার্ড গার্মেন্টস লিমিটেড, গোল্ডস্টার গার্মেন্টস লিমিটেড, মেরি গোল্ড গার্মেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড, ওডিসি ক্র্যাফট প্রাইভেট লিমিটেড, ড্যানিস নিটওয়্যার লিমিটেড, ইক্সোরা অ্যাপারেলস লিমিটেড, লা-মুনি অ্যাপারেলস লিমিটেড, মাহমুদ জিন্স লিমিটেড, নিয়াগারা টেক্সটাইলস লিমিটেড, অল ওয়েদার ফ্যাশনস লিমিটেড, কোস্টালিনো অ্যাটায়ার্স লিমিটেড, ইননার্ট ফেব্রিক অ্যান্ড কুইল্ট লিমিটেড, আইশা মিম অ্যাপারেলস লিমিটেড, প্রিন্স জ্যাকোয়ার্ড সুয়েটার লিমিটেড, এইচএন গার্মেন্টস লিমিটেড, নওসিন গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, টিআরজেড গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড, অ্যাপারেল প্লাস লিমিটেড, ক্রসলাইন ওয়োভেন গার্মেন্টস লিমিটেড, সিয়ার্ক অ্যাপারেলস লিমিটেড, ট্রেডফেয়ার গ্লাভস লিমিটেড, ভাস্ট অ্যাপারেলস লিমিটেড, এইচআর-ওয়ান ফ্যাশনস লিমিটেড, আদর কম্পোজিট লিমিটেড, এএসআর সুয়েটার লিমিটেড, নিট স্টাইল কম্পোজিট লিমিটেড, অলিম্পিক ফ্যাশন লিমিটেড, আবান্তি কালার টেক্স লিমিটেড, অ্যারিস্টো ফ্যাশনস লিমিটেড, ইমপ্রেসিভ গার্মেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড, আর.টি. ফ্যাশন, রহিমআজিজ নিটস্পিন লিমিটেড, সাফা নিটওয়্যার লিমিটেড, তোহা নিট ফ্যাশন লিমিটেড, আল-হাজ আকতার গার্মেন্টস লিমিটেড, বজদান নিট ফ্যাশন লিমিটেড, ক্রনি অ্যাপারেলস লিমিটেড, ক্রনি টেক্স সুয়েটার লিমিটেড, ডিজনি সুয়েটার লিমিটেড, ডিএনভি ক্লথিং লিমিটেড, ফে-ম্যাক্স সুয়েটার কম্পোজিট লিমিটেড, ইনফিনিট টেক্স লিমিটেড, জাসে বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড, মাহিদ অ্যাপারেল লিমিটেড, মাহিদ এক্সপো ইন্টারন্যাশনাল টেক্স লিমিটেড, মডিশ অ্যাটায়ার্স লিমিটেড, প্যারিটি ফ্যাশন লিমিটেড, প্রমিনেন্ট অ্যাপারেলস, এস.এফ. অ্যাপারেলস লিমিটেড, সোনালি ফেব্রিক্স অ্যান্ড টেক্সটাইল মিলস প্রাইভেট লিমিটেড (সুইটার ইউনিট), ভিবজিওর ফ্যাশন লিমিটেড।
চলতি ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যাওয়া পোশাক কারখানার সংখ্যা বছর ভিত্তিক তালিকায় সর্বাধিক। এ বছর এ পর্যন্ত মোট কারখানা বন্ধ হয়েছে ১৪৯টি। এসব কারখানা থেকে চাকুরি হারিয়েছেন ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৩৫ জন্য পোশাক শ্রমিক।
কারখানাগুলোর মধ্যে আছে, ক্রিয়েটিভ ডিজাইনার্স লিমিটেড, প্রিন্স গার্মেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড, রিশাল গার্মেন্টস লিমিটেড, সিও ওয়ান বাংলাদেশ লিমিটেড, শরোজ গার্মেন্টস লিমিটেড, এন. এইচ. ফ্যাশন লিমিটেড, শামসের রেজিয়া ফ্যাশনস লিমিটেড, অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড, ক্যাভরন লিমিটেড, ডিউ ফ্যাশন লিমিটেড, ঢাকা নিক অ্যাপারেলস লিমিটেড, ফ্যাশন ট্রেড, এম. আর. অ্যাপারেলস, মাল্টিভার্স অ্যাপারেল প্রাইভেট লিমিটেড, এনআরকে ফ্যাশন লিমিটেড, শামসের অ্যাপারেলস লিমিটেড, বার্ডস এ অ্যান্ড জেড লিমিটেড, বার্ডস ফ্যাড্রেক্স লিমিটেড, বার্ডস গার্মেন্টস লিমিটেড ইউনিট–২, বার্ডস আরএনআর ফ্যাশনস লিমিটেড, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনস লিমিটেড, অ্যাক্সন ফ্যাশন লিমিটেড, সেঞ্চুরি ডিজাইন অ্যান্ড ফ্যাশন প্রাইভেট লিমিটেড, ডার্ড গার্মেন্টস লিমিটেড, গোল্ডস্টার গার্মেন্টস লিমিটেড, মেরি গোল্ড গার্মেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড, ওডিসি ক্র্যাফট প্রাইভেট লিমিটেড, ড্যানিস নিটওয়্যার লিমিটেড, ইক্সোরা অ্যাপারেলস লিমিটেড, লা–মুনি অ্যাপারেলস লিমিটেড, মাহমুদ জিন্স লিমিটেড, নাইয়াগারা টেক্সটাইলস লিমিটেড, অল ওয়েদার ফ্যাশনস লিমিটেড, কোস্টালিনো অ্যাটায়ার্স লিমিটেড, ইননার্ট ফেব্রিক অ্যান্ড কুইল্ট লিমিটেড, মাইশা মীম অ্যাপারেলস লিমিটেড, প্রিন্স জ্যাকোয়ার্ড সুইটার লিমিটেড, এইচএন গার্মেন্টস লিমিটেড, নউসিন গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, টিআরজেড গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড, অ্যাপারেল প্লাস লিমিটেড, ক্রসলাইন ওভেন গার্মেন্টস লিমিটেড, সিয়ারক অ্যাপারেলস লিমিটেড, ট্রেডফেয়ার গ্লাভস লিমিটেড, ভাস্ট অ্যাপারেলস লিমিটেড, এইচআর–ওয়ান ফ্যাশনস লিমিটেড, আদর কম্পোজিট লিমিটেড, এএসআর সুইটার লিমিটেড, নিট স্টাইল কম্পোজিট লিমিটেড, অলিম্পিক ফ্যাশন লিমিটেড, ভার্গো এম এইচ লিমিটেড, আবন্তি কালার টেক্স লিমিটেড, অ্যারিস্টো ফ্যাশনস লিমিটেড, ইমপ্রেসিভ গার্মেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড, আর.টি. ফ্যাশন, রহিমআজিজ নিটস্পিন লিমিটেড, সাফা নিট ওয়্যার লিমিটেড, তোহা নিট ফ্যাশন লিমিটেড, আল–হাজ আকতার গার্মেন্টস লিমিটেড, বাদান নিট ফ্যাশন লিমিটেড, ক্রনি অ্যাপারেলস লিমিটেড, ক্রনি টেক্স সুইটার লিমিটেড, ডিজনি সুইটার লিমিটেড, ডিএনভি ক্লোদিং লিমিটেড, ফে–ম্যাক্স সুইটার কম্পোজিট লিমিটেড, ইনফিনিট টেক্স লিমিটেড, জাসে বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড, মাহিদ অ্যাপারেল লিমিটেড, মাহিদ এক্সপো ইন্টারন্যাশনাল টেক্স লিমিটেড, মডিশ অ্যাটায়ার্স লিমিটেড, প্যারিটি ফ্যাশন লিমিটেড, প্রমিনেন্ট অ্যাপারেলস, এস.এফ. অ্যাপারেলস লিমিটেড, সোনালি ফ্যাব্রিকস অ্যান্ড টেক্সটাইল মিলস প্রাইভেট লিমিটেড (সুইটার ইউনিট), ভিবজর ফ্যাশন লিমিটেড, রাফিন নিটওয়্যারস লিমিটেড, ডিজাইন অ্যান্ড সোর্স লিমিটেড, ব্রাদার ট্রেড ওয়্যার, যমুনা ফ্যাশন ওয়্যারস লিমিটেড, ফোর ইউ ক্লোদিং লিমিটেড, বেঙ্গল লিজার ওয়্যার লিমিটেড, হেরিটেজ ফ্যাশন, এমকে সন্স লিমিটেড, রিফাত অ্যান্ড সিফাত অ্যাপারেলস লিমিটেড, সানমুন বাংলাদেশ লিমিটেড, ভ্যালেন্টো অ্যাপারেলস লিমিটেড, এন এফ ইন্টারন্যাশনাল, নিয়ার নিট ফ্যাশন লিমিটেড, ইউরোজোন ফ্যাশন লিমিটেড, এথেন্স ডিজাইন লিমিটেড, জ্যামস ফ্যাশন লিমিটেড, অফ প্রাইস ক্লোদিং, দ্য আলাদিন অ্যাপারেলস, মাসকট ফ্যাশনস লিমিটেড, মাসকট গার্মেন্টস লিমিটেড, মাসকট নিটস লিমিটেড, বীক সুইটার্স লিমিটেড, টেক্সম্যান অ্যাপারেলস লিমিটেড, এ. জে. সুপার গার্মেন্টস লিমিটেড, ক্রিস্টাল কম্পোজিট লিমিটেড, ডায়নাস্টি সুইটার (বিডি) লিমিটেড, ইকো গার্মেন্টস লিমিটেড, এলেইন অ্যাপারেলস লিমিটেড, ফেরোজা গার্মেন্টস লিমিটেড, হিলটন অ্যাপারেলস লিমিটেড, জে–মার্ফ অ্যাপারেল লিমিটেড, এমএএম গার্মেন্টস লিমিটেড, নাসা বেসিক্স লিমিটেড, নাসা সুপার গার্মেন্টস লিমিটেড, সাইন অ্যাপারেলস লিমিটেড, কলার নিটিংস লিমিটেড, বার্ডস গার্মেন্টস লিমিটেড ইউনিট–২, আরএম নিটওয়্যার প্রাইভেট লিমিটেড, ধালি ফ্যাশন ওয়ার্ল্ড, বেস্টেক্স ফ্যাশনস লিমিটেড, এথিকাল গার্মেন্টস লিমিটেড, দ্য ড্রেস অ্যান্ড দ্য আইডিয়াজ, তারিফ নিটওয়্যার লিমিটেড, এন.এ. গার্মেন্টস লিমিটেড, সিডকো অ্যাপারেলস লিমিটেড, সিডকো লিমিটেড (গার্মেন্টস ডিভিশন), সুপাসক্স লিমিটেড, স্কাইলার্ক অ্যাপারেল লিমিটেড, ইটন ফ্যাশনস লিমিটেড, জেইশা ফ্যাশনওয়্যার লিমিটেড, মোমো ফ্যাশনস লিমিটেড, বসুন্ধরা গার্মেন্টস লিমিটেড, ইউটেক্স ফ্যাশন লিমিটেড, ফ্যাশন নিট গার্মেন্টস লিমিটেড, ফাইভস্টার অ্যাটায়ার্স লিমিটেড, এইচ. আর. টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, মানে ক্লোদিং লিমিটেড, প্রতীক অ্যাপারেলস লিমিটেড, অ্যাডভেঞ্চার গার্মেন্টস লিমিটেড, অ্যাপোলো অ্যাপারেলস লিমিটেড, অটাম লুপ অ্যাপারেলস লিমিটেড, বে সিটি অ্যাপারেলস লিমিটেড, বেক্সিমকো ফ্যাশনস লিমিটেড, বেক্সটেক্স গার্মেন্টস লিমিটেড, কসমোপলিটান অ্যাপারেলস লিমিটেড, কোজি অ্যাপারেলস লিমিটেড, ক্রিসেন্ট ফ্যাশন অ্যান্ড ডিজাইন লিমিটেড, এসকর্প অ্যাপারেলস লিমিটেড, এসেস ফ্যাশনস লিমিটেড, ইন্টারন্যাশনাল নিটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাপারেলস লিমিটেড, ইন্টারন্যাশনাল নিটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাপারেলস লিমিটেড ইউনিট–২, মিডওয়েস্ট গার্মেন্টস লিমিটেড, নিউ ঢাক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, পিয়ারলেস গার্মেন্টস লিমিটেড, পিংক মেকার গার্মেন্টস লিমিটেড, প্লাটিনাম গার্মেন্টস লিমিটেড, প্রিফিক্স ফ্যাশনস লিমিটেড, শাইনপুকুর গার্মেন্টস লিমিটেড, স্কাইনেট অ্যাপারেলস লিমিটেড, স্প্রিংফুল অ্যাপারেলস লিমিটেড, হোয়াইট বে অ্যাপারেলস লিমিটেড, উইন্টার স্প্রিন্ট গার্মেন্টস লিমিটেড, ইয়েলো অ্যাপারেলস লিমিটেড, পিয়ারলেস গার্মেন্টস লিমিটেড, এলিয়েন অ্যাপারেলস লিমিটেড, অ্যাপারেলস ফ্যাশন বিডি, ব্লেসিং নিটওয়্যার লিমিটেড, ডোরিন ফ্যাশন লিমিটেড, খান ব্রাদার্স নিটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এম.পি. সুইটার্স লিমিটেড, গ্যালাক্সি সুইটার্স অ্যান্ড ইয়ার্ন ডাই লিমিটেড, জ্যাক্স সুইটার লিমিটেড, কেয়া কসমেটিক লিমিটেড (নিট কম্পোজিট ডিভিশন), মিফকিফ অ্যাপারেল লিমিটেড, নেমস অ্যাপারেলস অ্যান্ড প্রিন্টিং লিমিটেড, তোসি নিট ফেব্রিকস লিমিটেড, ফ্যাশন ১, ভার্চুয়াল নিট অ্যান্ড লিজার ওয়্যার লিমিটেড, হংকং ফ্যাশনস লিমিটেড, তানাজ ফ্যাশনস লিমিটেড, বিএইচআইএস অ্যাপারেলস লিমিটেড, বিএইচআইএস ফ্যাশনস লিমিটেড, সিএন নিট ওয়্যারস লিমিটেড, গ্লোবাল অ্যাপারেল পার্ক লিমিটেড, সিজনস ড্রেসেস লিমিটেড, তারাটেক্স ফ্যাশন লিমিটেড, থ্রেড ওয়ার্কস লিমিটেড, বেসিক নিটওয়্যার লিমিটেড, কসমিক সুইটার্স লিমিটেড, ফাইন সুইটার্স লিমিটেড, ইকোটেক ডিজাইন লিমিটেড, লিজ অ্যাপারেলস লিমিটেড, স্টিচার্স ম্যাট্রিক্স লিমিটেড, সাদাত আউটওয়ার্স, প্রোটেক্স গার্মেন্টস লিমিটেড, টেক্সটিল ফ্যাশনস লিমিটেড, বেসিক ক্লোদিং লিমিটেড, টিএনজেড অ্যাপারেলস লিমিটেড, ইন্টারলিংক অ্যাপারেলস লিমিটেড, এনায়েত গার্মেন্টস লিমিটেড, ফ্যাশন লিঙ্কার্স লিমিটেড, কেএসপি বাংলাদেশ লিমিটেড, স্টিচ মেড লিমিটেড, এপিএস হোল্ডিংস লিমিটেড, জেডএস নিট ফেব্রিকস লিমিটেড, আলফা ড্রেসওয়্যার লিমিটেড, জিনাত ফ্যাশন, প্যারাগন ড্রেস লিমিটেড, আর.আর. সুইটার্স লিমিটেড, প্যারেন্টস অ্যাপারেল, খানটেক্স কম্পোজিট টেক্সটাইলস লিমিটেড, রোর ফ্যাশন লিমিটেড, খানটেক্স ফ্যাশনস লিমিটেড, হরাইজন ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেড, ডিকেই সুইটার লিমিটেড, হরাইজন লিঞ্জারি লিমিটেড, স্টাইল মোড লিমিটেড, অ্যাটায়ার্স ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড, এ.এস.টি. গার্মেন্টস লিমিটেড, টোটাল ফ্যাশন লিমিটেড, তানজিনা ফ্যাশন লিমিটেড, লতিফ নিটিং মিলস লিমিটেড, আদিয়্য অ্যাপারেলস লিমিটেড, ডেলাইট অ্যাপারেল লিমিটেড, হাসনাত টেক্সটাইল লিমিটেড, এম.টি.এস. ফ্যাশন ক্লাব, সারা নিট ওয়্যার, তাশফিয়া এক্সপোর্ট।
গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে হাসিনার হঠকারী সিদ্ধান্ত
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে শিল্পের জন্য গ্যাসের দাম এক লাফে প্রতি ঘনমিটারে বাড়ানো হয় ১৪ টাকা। এর আগে ২০২২ সালের জুনে ১৩ টাকা ৮৫ পয়সা থেকে ১৬ টাকা করা হয়েছিল দাম। ২০২৪ সালেও দুই দফা দাম বাড়ানো হয়। বর্তমানে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের মূল্য ৩১ টাকা ৫০ পয়সা। বর্তমান সরকার নতুন শিল্প সংযোগে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে ৪০ টাকা করেছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, আগের সরকারের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত এবং বর্তমান সরকারের নতুন শিল্পের জন্য অতিরিক্ত গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ দেশি শিল্পকে চরম সংকটে ঠেলে দিয়েছে।
আওয়ামী আমলে বিদ্যুতের মূল্যও এক লাফে তিনগুণ বাড়ানো হয়। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিদ্যুতের ইউনিটপ্রতি মূল্য পাঁচ টাকা দুই পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৪ টাকা করা হয়। এরপর কয়েক দফা বেড়ে বর্তমানে মূল্য ১৫ টাকা ৫০ পয়সা।
ব্যাংকঋণের সুদ গুনতেই ফুরিয়ে যাচ্ছে সব আয়
বাংলাদেশ ব্যাংকের ধারাবাহিক মুদ্রানীতি পরিবর্তনের ফলে ঋণের সুদহার পূর্বের ৯ শতাংশ সীমা অতিক্রম করে ১৬-১৭ শতাংশের বেশি হয়ে গেছে, যার ফলে উদ্যোক্তা ও শিল্প খাত নজিরবিহীন ঋণব্যয়ের বোঝা বহন করতে বাধ্য হচ্ছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, তারা যখন কারখানা স্থাপন করেন, তখন একটি পরিকল্পনা নিয়েই চালু করেন। আবার রপ্তানি আদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে ক্রেতারা বিশ্ববাজারের প্রতিযোগী দরই অফার করেন। সেখানে দেশে গ্যাস সংকট বা মূল্য বৃদ্ধি অথবা ব্যাংকের চড়া সুদ ক্রেতাদের কাছে বিবেচ্য নয়।
ব্যবসায়ী নেতারা সতর্ক করে বলেছেন, বর্তমান ঋণ সংকট বেসরকারি খাতের আস্থা কমিয়ে দিচ্ছে এবং নতুন বিনিয়োগকে স্তব্ধ করে দিচ্ছে। তাদের মতে, ঋণের ব্যয় স্বাভাবিক পর্যায়ে না ফেরালে সরকারের বৃহত্তর অর্থনৈতিক লক্ষ্যমাত্রা ‘রপ্তানি প্রবৃদ্ধি থেকে শিল্প সম্প্রসারণ’ বিপদে পড়তে পারে। বর্তমানে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণের সুদহার ১৬-১৭ শতাংশে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, ঋণের ব্যয় কমানো না হলে এবং জ্বালানির চড়া মূল্যের বিকল্প হিসেবে নীতি সহায়তা না বাড়ালে বিনিয়োগ বাড়বে না; ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে যাবে। এখন ১৫-১৬ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা চালানো অসম্ভব; দুর্বল ব্যাংকগুলো আরো বেশি সুদ নিচ্ছে। তাই নীতি সুদহার কমাতে হবে, যাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণহারও কমে।
ঋণখেলাপি হয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন বহু মালিক
পোশাক খাতের কয়েকশ কারখানা মালিক ঋণখেলাপি হয়ে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ। সংগঠনের সভাপতি বলেন, প্রতিদিনই তার কাছে খবর আসে কোনো না কোনো কারখানা মালিক ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
জানা গেছে, আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী কোনো ঋণগ্রহীতা কিস্তি বা ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে ছয় মাস পর সেই ঋণকে খেলাপি (ঋণ অপরিশোধিত) হিসেবে গণ্য করা হতো। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৫ সালে নতুন ঋণ শ্রেণিবিন্যাস নীতি জারি করেছে, যেখানে খেলাপি ঘোষণার সময়সীমা আরো কঠোর করা হয়েছে। এখন থেকে ঋণের কিস্তি বাকি থাকলে তিন মাস (৯০ দিন) পরই সেই ঋণকে খেলাপি হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
এদিকে আওয়ামী আমলে আর্থিকভাবে ব্যাপক সুবিধাভোগী কিছু ব্যবসায়ী নেতার কারখানাও বন্ধ হয়ে গেছে গত ২২ মাসে। এসব নেতার মধ্যে কেউ কারাগারে আছেন বিভিন্ন অপরাধে, আবার কেউ দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।


শ্রমিকদের অযৌক্তিক দাবিতে পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা