অর্থনৈতিক রিপোর্টার
ভারতে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার টানা দুই মাস ধরে কমেছে। গত ডিসেম্বর মাসে ভারতে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে খরচ করেছেন ৪০ কোটি টাকা, নভেম্বরে যার পরিমাণ ছিল ৪৭ কোটি টাকা। আর অক্টোবরে ছিল ৫৩ কোটি টাকা। ভারতে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার কমলেও থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, ভারত সীমিত সংখ্যায় ভিসা দেওয়ায় প্রতিবেশী দেশটিতে বাংলাদেশি রোগী ও পর্যটকদের সংখ্যা কমেছে। সম্প্রতি ভারতের আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে বাংলাদেশের পতাকা পোড়ানোর ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্কে নতুন করে অবনতি ঘটে। একপর্যায়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ভিসা সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি। সীমিত পরিসরে চিকিৎসা ভিসা পাওয়া গেলেও তা হাতেগোনা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে ও বিভিন্ন সংস্থার ভিসা প্রসেসিং সংস্থার মাধ্যমে অনেক চেষ্টা-তদবিরের পর সীমিতসংখ্যক ভিসা মিলছে। কেউ কেউ নানা চেষ্টার পর পেলেও অধিকাংশই পাচ্ছেন না। ফলে আপাতত দেশের চিকিৎসার পাশাপাশি থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর নির্ভর করতে হচ্ছে রোগীদের। ভিসা জটিলতায় বছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় শেষ ছয় মাসে ভারতগামী রোগীর সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশে নেমেছে। ফলে দেশটিতে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে মোট খরচের মধ্যে ভারতে ছিল সাড়ে ১৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। চলতি বছরের একই মাসে তা ৮ দশমিক ১৩ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে এই সময়ে থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে।
বিদেশে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি খরচ হতো ভারতে। ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিল ভারত। গত জুলাইয়ে ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর গত অক্টোবরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা জানান, বাংলাদেশিদের জন্য পর্যটন ভিসা শিগগিরই চালু হচ্ছে না। তিনি আরও জানান, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন শুধু জরুরি প্রয়োজনে ভিসা দিচ্ছে।
ওই মাসে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক ব্রিফিংয়ে জানান যে, বাংলাদেশে ভারতের ভিসা কার্যক্রম সীমিত। শুধুমাত্র চিকিৎসা ও জরুরি প্রয়োজনের জন্য ভিসা দেওয়া হচ্ছে।
ফলে ভারতে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার কমেছে। ভারতের পরিবর্তে বাংলাদেশিরা এখন চিকিৎসা ও ভ্রমণের জন্য থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরকে বেছে নিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, বিদেশে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে থাইল্যান্ড অবস্থান দ্বিতীয়। গত নভেম্বর থাইল্যান্ডে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ৪৬ কোটি টাকা খরচ করলেও অক্টোবরে তা ৬৪ কোটি টাকা হয়েছে। থাইল্যান্ডের পর সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খরচ অনেক বেড়েছে। গত নভেম্বর সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশিদের খরচ হয়েছে ৩৮ কোটি টাকা। ডিসেম্বর তা বেড়ে হয়েছে ৪১ কোটি টাকা। ভারতে অবস্থান রয়েছে চতুর্থ।
দেশের ভেতরে ও বাইরে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে ৪৪ তফসিলি ব্যাংক ও একটি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্ড ব্যবহারের তথ্য দেওয়া থাকে।
প্রতিবেদনটিতে দেখা যায়, গত ডিসেম্বর দেশের ভেতরে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ বেড়ে হয়েছিল ৩ হাজার ২১৫ লাখ টাকা। গত নভেম্বরে তা ছিল ২ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।
একইভাবে গত ডিসেম্বর দেশের বাইরে কার্ডের মাধ্যমে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৯১ কোটি টাকা। গত নভেম্বরে ৪৩১ কোটি টাকার তুলনায় ১৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ বেশি।
একই সঙ্গে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের ইস্যু করা কিন্তু দেশের ভেতরে কার্ড ব্যবহার করে লেনদেন নভেম্বরে ২০২ কোটি টাকা থেকে ডিসেম্বরে ২৪০ কোটি টাকা হয়েছে। এটি আগের মাসের তুলনায় ১৮ দশমিক ৯০ শতাংশ বেশি।
ভারতে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার টানা দুই মাস ধরে কমেছে। গত ডিসেম্বর মাসে ভারতে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে খরচ করেছেন ৪০ কোটি টাকা, নভেম্বরে যার পরিমাণ ছিল ৪৭ কোটি টাকা। আর অক্টোবরে ছিল ৫৩ কোটি টাকা। ভারতে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার কমলেও থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, ভারত সীমিত সংখ্যায় ভিসা দেওয়ায় প্রতিবেশী দেশটিতে বাংলাদেশি রোগী ও পর্যটকদের সংখ্যা কমেছে। সম্প্রতি ভারতের আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে বাংলাদেশের পতাকা পোড়ানোর ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্কে নতুন করে অবনতি ঘটে। একপর্যায়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ভিসা সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি। সীমিত পরিসরে চিকিৎসা ভিসা পাওয়া গেলেও তা হাতেগোনা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে ও বিভিন্ন সংস্থার ভিসা প্রসেসিং সংস্থার মাধ্যমে অনেক চেষ্টা-তদবিরের পর সীমিতসংখ্যক ভিসা মিলছে। কেউ কেউ নানা চেষ্টার পর পেলেও অধিকাংশই পাচ্ছেন না। ফলে আপাতত দেশের চিকিৎসার পাশাপাশি থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর নির্ভর করতে হচ্ছে রোগীদের। ভিসা জটিলতায় বছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় শেষ ছয় মাসে ভারতগামী রোগীর সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশে নেমেছে। ফলে দেশটিতে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে মোট খরচের মধ্যে ভারতে ছিল সাড়ে ১৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। চলতি বছরের একই মাসে তা ৮ দশমিক ১৩ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে এই সময়ে থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে।
বিদেশে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি খরচ হতো ভারতে। ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিল ভারত। গত জুলাইয়ে ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর গত অক্টোবরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা জানান, বাংলাদেশিদের জন্য পর্যটন ভিসা শিগগিরই চালু হচ্ছে না। তিনি আরও জানান, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন শুধু জরুরি প্রয়োজনে ভিসা দিচ্ছে।
ওই মাসে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক ব্রিফিংয়ে জানান যে, বাংলাদেশে ভারতের ভিসা কার্যক্রম সীমিত। শুধুমাত্র চিকিৎসা ও জরুরি প্রয়োজনের জন্য ভিসা দেওয়া হচ্ছে।
ফলে ভারতে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার কমেছে। ভারতের পরিবর্তে বাংলাদেশিরা এখন চিকিৎসা ও ভ্রমণের জন্য থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরকে বেছে নিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, বিদেশে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে থাইল্যান্ড অবস্থান দ্বিতীয়। গত নভেম্বর থাইল্যান্ডে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ৪৬ কোটি টাকা খরচ করলেও অক্টোবরে তা ৬৪ কোটি টাকা হয়েছে। থাইল্যান্ডের পর সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খরচ অনেক বেড়েছে। গত নভেম্বর সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশিদের খরচ হয়েছে ৩৮ কোটি টাকা। ডিসেম্বর তা বেড়ে হয়েছে ৪১ কোটি টাকা। ভারতে অবস্থান রয়েছে চতুর্থ।
দেশের ভেতরে ও বাইরে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে ৪৪ তফসিলি ব্যাংক ও একটি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্ড ব্যবহারের তথ্য দেওয়া থাকে।
প্রতিবেদনটিতে দেখা যায়, গত ডিসেম্বর দেশের ভেতরে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ বেড়ে হয়েছিল ৩ হাজার ২১৫ লাখ টাকা। গত নভেম্বরে তা ছিল ২ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।
একইভাবে গত ডিসেম্বর দেশের বাইরে কার্ডের মাধ্যমে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৯১ কোটি টাকা। গত নভেম্বরে ৪৩১ কোটি টাকার তুলনায় ১৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ বেশি।
একই সঙ্গে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের ইস্যু করা কিন্তু দেশের ভেতরে কার্ড ব্যবহার করে লেনদেন নভেম্বরে ২০২ কোটি টাকা থেকে ডিসেম্বরে ২৪০ কোটি টাকা হয়েছে। এটি আগের মাসের তুলনায় ১৮ দশমিক ৯০ শতাংশ বেশি।
মধ্য রমজানেই সরব ঈদের মার্কেট। রমজানের দ্বিতীয় সপ্তাহে গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে রাজধানীর মার্কেট ও বিপণিবিতানে ছিল ক্রেতাদের ভিড়। এতদিন শপিংমলে বেশিরভাগই শুধু ঘুরে দেখতে গেলেও এখন পরিস্থিতি উল্টো।
৩ ঘণ্টা আগেরমজানের শুরুর দিকে খুচরায় প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। গুলশান, বনানী, ধানমন্ডিসহ রাজধানীর অভিজাত এলাকার বাজারগুলোতে একই পণ্য বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।
৩ ঘণ্টা আগেদেশের ব্যাংকগুলোর শেয়ারধারীদের নগদ ও স্টক বা বোনাস লভ্যাংশ দেওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে কোনো ব্যাংকের মোট ঋণের ১০ শতাংশের বেশি খেলাপি ঋণ থাকলে ওই ব্যাংক লভ্যাংশ দিতে পারবে না।
২ দিন আগেটাকা ছাপিয়ে দুর্বল সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিট ইসলামী ব্যাংককে আরো আড়াই হাজার কোটি টাকার ধার দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার তারল্য সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন দেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২ দিন আগে