পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৫ বছর, তাঁর বোন শেখ রেহানার ৭ বছর এবং শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিককে ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪–এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
এছাড়া এ মামলায় অপর ১৪ আসামিকেও ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তিন জনকেই এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে শেখ রেহানার নামে পূর্বাচলের প্লটের বরাদ্দ বাতিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ মামলা দায়ের করে গত ১৩ জানুয়ারি। ইতিপূর্বে দুদকের ৩টি মামলায় শেখ হাসিনাকে ২১ বছর সাজা দেয়া হয়। এ মামলায় শুধু রাজউক কর্মচারি খুরশীদ আলম কারাগারে রয়েছেন; বাকি আসামি ১৬ জন সবাই পলাতক রয়েছেন।
দুদক সূত্র জানায়, শেখ রেহানার বিরুদ্ধে পূর্বাচল প্রকল্পে অনিয়ম করে ১০ কাঠা প্লট নেয়ার অভিযোগে এ বছরের ১৩ জানুয়ারি মামলা দায়ের করা হয়। তদন্ত শেষে ১০ মার্চ ১৭ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা আফনান জান্নাত কেয়া। এরপর গত ৩১ জুলাই আদালত আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন। এ মামলায় মোট ৩২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
রেহানার প্লট দুর্নীতি মামলার অন্য আসামিরা হলেন—সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন-২) অলিউল্লাহ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন) অবসরপ্রাপ্ত মেজর প্রকৌশলী সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, সাবেক পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি ২) মো. নুরুল ইসলাম, রাজউকের উপপরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) নায়েব আলী শরীফ এবং সহকারী পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) মাজহারুল ইসলাম।

