• facebook
  • fb_group
  • twitter
  • tiktok
  • whatsapp
  • pinterest
  • youtube
  • linkedin
  • instagram
  • google
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
বাণিজ্য
সারা দেশ
বিশ্ব
খেলা
আইন-আদালত
ধর্ম ও ইসলাম
বিনোদন
ফিচার
আমার দেশ পরিবার
ইপেপার
আমার দেশযোগাযোগশর্তাবলি ও নীতিমালাগোপনীয়তা নীতিডিএমসিএ
facebookfb_grouptwittertiktokwhatsapppinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
স্বত্ব: ©️ আমার দেশ | সম্পাদক ও প্রকাশক, মাহমুদুর রহমান 
মাহমুদুর রহমান কর্তৃক ঢাকা ট্রেড সেন্টার (৮ম ফ্লোর), ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫ থেকে প্রকাশিত এবং আমার দেশ পাবলিকেশন লিমিটেড প্রেস, ৪৪৬/সি ও ৪৪৬/ডি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্য বিভাগ: ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।ফোন: ০২-৫৫০১২২৫০। ই-মেইল: info@dailyamardesh.comবার্তা: ফোন: ০৯৬৬৬-৭৪৭৪০০। ই-মেইল: news@dailyamardesh.comবিজ্ঞাপন: ফোন: +৮৮০-১৭১৫-০২৫৪৩৪ । ই-মেইল: ad@dailyamardesh.comসার্কুলেশন: ফোন: +৮৮০-০১৮১৯-৮৭৮৬৮৭ । ই-মেইল: circulation@dailyamardesh.com
ওয়েব মেইল
কনভার্টারআর্কাইভবিজ্ঞাপনসাইটম্যাপ
> আইন-আদালত

রায় ঘোষণার আগে হাসিনা-তাপসের ফোনালাপ পড়ে শোনালেন বিচারক

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ৫৪
আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ৫৮
logo
রায় ঘোষণার আগে হাসিনা-তাপসের ফোনালাপ পড়ে শোনালেন বিচারক

আমার দেশ অনলাইন

প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ৫৪
তাপস ও হাসিনা

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় আজ ঘোষণা হচ্ছে।

বহুল প্রত্যাশিত হাসিনার গণহত্যার রায়ে অপেক্ষায় রয়েছে গোটা জাতি। রায় শোনার জন্য বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীর নজর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দিকে। গণহত্যার দায়ে সরকারের সর্বোচ্চ পদধারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশের ইতিহাসে এটিই হবে প্রথম বিচারের রায়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুন্যাল-১-এর বিচারক বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণা করবে। এই ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্যরা হলেন—বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

আজ দুপুর ১২টা ৩৪ মিনিটে হাসিনার রায় পড়া শুরু করেন বিচারক গোলাম মর্তূজা। গত বছরের জুলাই আন্দোলনের সময় শেখ ফজলে নূর তাপসের সাথে হাসিনার কথোপকথনের কল রেকর্ড পড়েন বিচারক।

শেখ হাসিনা ও শেখ ফজলে নূর তাপসের মধ্যকার কল রেকর্ডের কথোপকথনে শোনা যায় যে....

শেখ হাসিনা: হ্যালো

তাপস: জ্বি, সালামালাইকুম

শেখ হাসিনা: হ্যাঁ, ওয়ালাইকুম আসসালাম

তাপস: জ্বি

শেখ হাসিনা: বল বাবা

শেখ হাসিনা: তুমি নরমাল ফোনে কল দেও ইন্টারনেটের অবস্থা ভালো না

তাপস: নরমাল ফোনেই, নরমাল ফোনেই

শেখ হাসিনা: আচ্ছা বল বাবা

তাপস: জ্বি, সন্ত্রাসীরাতো বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় বিভিন্ন সময় ঘুরতেছে, এখন কোথায় কি আক্রমন করে যাচ্ছে না তো

শেখ হাসিনা: না, করতেছে আমরা ওদের আবার ব্যবস্থা নিচ্ছি, আর আবাহনী ক্লাবে কি আগুন দিছে

ভাপস: ওরা মনে হয় সচিবালয়ে তো আক্রমন করছে আবাহনী ক্লাবেও

শেখ হাসিনা: কোথায়?

তাপস: সচিবালয়ে তো আক্রমন করছে, আপনি জানেন না?

শেখ হাসিনা: না

তাপস: হ্যাঁ, স্বারাষ্ট্র মন্ত্রী তো ঐখানে আছে, সচিবালয়ে কয়েকবার ওরা আক্রমন করছে, ওরা তো রাতে যদি আবার কোথাও কোথাও বিভিন্ন সংবেদনশীল বাসা বাড়ীতে আক্রমন করে তাহলে তো ইয়ে হবে

শেখ হাসিনা: রাতের বেলা সব ভিজিলেন্স থাকবে এবং এই এতদিন তো, আচ্ছা ঠিক আছে আমি এখনি ব্যবস্থা নিচ্ছি। একটু আন্তে আন্তে অনেক জায়গায় গেদারিং ক্লিয়ার হচ্ছে

তাপস: ওরা মনে হচ্ছে না ইয়ে করবে, রাতে মনে হয় ওদের আরো অনেক কিছু পরিকল্পনা আছে মনে হচ্ছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তো আমাকে তাই বললো, আভাস দিল এবং আপনাকে ও মনে হয় বলছে কিছু যে রাতে যদি সর্বোচ্চ সর্বোচ্চ না ইয়ে করে করবেন নাকি?

শেখ হাসিনা: কি করবো?

তাপস: মানে সেনাবাহিনী দিবেন?

শেখ হাসিনা: বাবা, একটু চিন্তা করে কথা কইও

তাপস: জ্বি

শেখ হাসিনা: এটাই তাদের আকাঙ্ক্ষা

তাপস: বুঝতেছি আমি টেকনিকেলি এইটা বুঝতেছি কিন্তু ওরা মনে হয় ঐ পথে নেয়ার জন্য ইয়ে করছে

শেখ হাসিনা: দরকার নাই ওটা দরকার নাই আমি সেনাপ্রধানের সাথে কথা বলছি ওরা রেডি থাকবে ঠিক আছে, এখনতো আমরা অন্য ইয়ে করতেছি। ড্রোন দিয়ে ছবি নিচ্ছি আর হেলিকপ্টারে ইয়ে হচ্ছে মানে কয়েক জায়গায়

তাপস: তাহলে ঐ কিছু ছবি দেখে পাকড়াও করা যায় না রাতের মধ্যে

শেখ হাসিনা: সবগুলিকে এরেস্ট করতে বলেছি রাত্রে

তাপস: হ্যাঁ, পাকড়াও করলে ওদেরকে

শেখ হাসিনা: না ওটা বলা হয়ে গেছে, ওটা নিয়ে র‌্যাব ডিজিএফআই এনএসআই সবাইকে বলা হইছে যে যেখান থেকে যে কয়টা পারবা ধইরা ফেলো

তাপস: জ্বি

শেখ হাসিনা: ওটা বলা আছে, আর যেখানে গেদারিং দেখবে সেখানে ঐ উপর থেকে, এখন উপর থেকে করাচ্ছি, অলরেডি শুরু হইছে কয়েকটা জায়গায়

তাপস: জ্বি

শেখ হাসিনা: হইয়া গেছে

তাপস: জ্বি জ্বি, মোহাম্মদপুর থানার দিকে মনে হয় ওরা যাচ্ছে এটা আমাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললো

শেখ হাসিনা: মোহাম্মদপুর থানার দিকে

তাপস: হ্যাঁ

শেখ হাসিনা: ওখানে পাঠাইয়া দিক র‌্যাব

তাপস: জ্বি, তাহলে আপনার নির্দেশনা লাগবে

শেখ-হাসিনা: আমার নির্দেশনা দেওয়া আছে ওপেন নির্দেশনা দিয়ে দিছি, এখন লেথাল ওয়েপন ব্যবহার করবে। যেখানে পাবে সোজা গুলি করবে।

তাপস: জ্বি

শেখ হাসিনা: ওটা বলা আছে আমি এতদিন বাধা দিয়ে রাখছিলাম। ঐ যে স্টুডেন্টরা ছিল ওদের স্ট্যাডির কথা চিন্তা করে, তারপর তো ---ঐ

তাপস: না রাতে স্টুডেন্ট না রাতে হলো ওরা সন্ত্রাসী

শেখ হাসিনা: কি করছে তোমার, ঐ যে আমাদের রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুলের একটা বাচ্চা ছেলে, তার শিক্ষক তাকে ডাইকা নিয়ে আসছে, শিক্ষক নাকি আবার শিবির করতো, ওরা জানে না। তারপর সেই ছেলেটা মারা গেছে, তার মাত্র বুকে একটা গুলি অথচ পুলিশ কিন্তু কোন রিভলবার ব্যবহার করেনি

‘আর যেন কেউ হাসিনা হয়ে ওঠার সাহস না পায়’‘আর যেন কেউ হাসিনা হয়ে ওঠার সাহস না পায়’

তাপস: হ...জ্বি

শেখ হাসিনা: এইরকম ঘটনা তারা ঘটাইছে

তাপস: জ্বি আপনি সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ইয়ে করেন

শেখ হাসিনা: সব জায়গায় আগুন.. বিআরটি বিটিআরসি বন্ধ করে দিছে, পোড়াইয়া দিছে, বিটিভি পোড়াইয়া দিছে এখনতো ইন্টারনেট বন্ধ সব পোড়াইয়া দিছে, এখন চলবে কিভাবে

তাপস: জ্বি, এটা ভালো হইছে, জ্বি

শেখ হাসিনা: না পোড়াইয়া দিছে, মেশিনপত্র সব পুড়ে গেছে, আমি বলছি যা যা পোড়াতে.., ও আমাদের সেতু ভবন পোড়াইছে

তাপস: জ্বি, ওরা রাতে মনে হয় আরো ব্যাপক আক্রমন করবে

শেখ হাসিনা: হ্যাঁ, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা সেটা পোড়াইছে

তাপস:জি, কারন এই যে আমি ফিরলাম, আমি দেখলাম যে রাস্তায় রাস্তায় ওরা বিভিন্ন জায়গায় ইয়ে করতেছে

হাসিনার যে শাস্তি চান মামলার সাক্ষী দুই চিকিৎসকহাসিনার যে শাস্তি চান মামলার সাক্ষী দুই চিকিৎসক

শেখ হাসিনা: কোন কোন জায়গায়?

তাপস: বনানীতে ও বনানী গুলশানে তো সচারাচার করে না, কিন্তু বনানী গুলশানে ওরা ইয়েতে চলে আসছে- --কোথাও কোথাও ইয়ে করতে পারে মুভমেন্ট আছে সবজায়গায়

শেখ হাসিনা: ঠিক আছে আমি দেখছি

তাপস: জ্বি

শেখ হাসিনা: তোমরা সাবধানে থেকো

তাপস: জ্বি আমি সাবধানে আছি

শে হাসিনা: আচ্ছা

তাপস: ধরপাকড় করতে হবে সব ধরে ফেলতে হবে রাতের মধ্যে

শেখ হাসিনা: না না ওটা বলে দেওয়া আছে অলরেডি, আর একটু আর একটু রাইত গাঢ় হলেই শুরু হবে

তাপস: ফ্রি--জ্বি

শেখ হাসিনা: অন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি

তাপস: জ্বি--জ্বি

শেখ হাসিনা: জ্বি আচ্ছা

তাপস: সালামালাইকুম

মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

এক পর্যায়ে এই মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে (অ্যাপ্রোভার) রাজসাক্ষী হতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আবেদন মঞ্জুর করেন ট্র্যাইব্যুনাল। পরবর্তীতে এই মামলার রাজসাক্ষী হয়ে সাক্ষ্য দেন পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এই মামলাটি ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মাহমুদুর রহমান কর্তৃক প্রকাশিত এবং আল-ফালাহ প্রিন্টিং প্রেস, ৪২৩, এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭ থেকে এবং অস্থায়ীভাবে মিডিয়া প্রিন্টার্স লি. ৪৪৬/এইচ, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্য বিভাগ : ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম এভিণিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। পিএবিএক্স : ০২-৫৫০১২২৫০। ই-মেইল : info@dailyamardesh.com
তাপস ও হাসিনা

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় আজ ঘোষণা হচ্ছে।

বহুল প্রত্যাশিত হাসিনার গণহত্যার রায়ে অপেক্ষায় রয়েছে গোটা জাতি। রায় শোনার জন্য বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীর নজর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দিকে। গণহত্যার দায়ে সরকারের সর্বোচ্চ পদধারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশের ইতিহাসে এটিই হবে প্রথম বিচারের রায়।

বিজ্ঞাপন

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুন্যাল-১-এর বিচারক বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণা করবে। এই ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্যরা হলেন—বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

আজ দুপুর ১২টা ৩৪ মিনিটে হাসিনার রায় পড়া শুরু করেন বিচারক গোলাম মর্তূজা। গত বছরের জুলাই আন্দোলনের সময় শেখ ফজলে নূর তাপসের সাথে হাসিনার কথোপকথনের কল রেকর্ড পড়েন বিচারক।

শেখ হাসিনা ও শেখ ফজলে নূর তাপসের মধ্যকার কল রেকর্ডের কথোপকথনে শোনা যায় যে....

শেখ হাসিনা: হ্যালো

তাপস: জ্বি, সালামালাইকুম

শেখ হাসিনা: হ্যাঁ, ওয়ালাইকুম আসসালাম

তাপস: জ্বি

শেখ হাসিনা: বল বাবা

শেখ হাসিনা: তুমি নরমাল ফোনে কল দেও ইন্টারনেটের অবস্থা ভালো না

তাপস: নরমাল ফোনেই, নরমাল ফোনেই

শেখ হাসিনা: আচ্ছা বল বাবা

তাপস: জ্বি, সন্ত্রাসীরাতো বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় বিভিন্ন সময় ঘুরতেছে, এখন কোথায় কি আক্রমন করে যাচ্ছে না তো

শেখ হাসিনা: না, করতেছে আমরা ওদের আবার ব্যবস্থা নিচ্ছি, আর আবাহনী ক্লাবে কি আগুন দিছে

ভাপস: ওরা মনে হয় সচিবালয়ে তো আক্রমন করছে আবাহনী ক্লাবেও

শেখ হাসিনা: কোথায়?

তাপস: সচিবালয়ে তো আক্রমন করছে, আপনি জানেন না?

শেখ হাসিনা: না

তাপস: হ্যাঁ, স্বারাষ্ট্র মন্ত্রী তো ঐখানে আছে, সচিবালয়ে কয়েকবার ওরা আক্রমন করছে, ওরা তো রাতে যদি আবার কোথাও কোথাও বিভিন্ন সংবেদনশীল বাসা বাড়ীতে আক্রমন করে তাহলে তো ইয়ে হবে

শেখ হাসিনা: রাতের বেলা সব ভিজিলেন্স থাকবে এবং এই এতদিন তো, আচ্ছা ঠিক আছে আমি এখনি ব্যবস্থা নিচ্ছি। একটু আন্তে আন্তে অনেক জায়গায় গেদারিং ক্লিয়ার হচ্ছে

তাপস: ওরা মনে হচ্ছে না ইয়ে করবে, রাতে মনে হয় ওদের আরো অনেক কিছু পরিকল্পনা আছে মনে হচ্ছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তো আমাকে তাই বললো, আভাস দিল এবং আপনাকে ও মনে হয় বলছে কিছু যে রাতে যদি সর্বোচ্চ সর্বোচ্চ না ইয়ে করে করবেন নাকি?

শেখ হাসিনা: কি করবো?

তাপস: মানে সেনাবাহিনী দিবেন?

শেখ হাসিনা: বাবা, একটু চিন্তা করে কথা কইও

তাপস: জ্বি

শেখ হাসিনা: এটাই তাদের আকাঙ্ক্ষা

তাপস: বুঝতেছি আমি টেকনিকেলি এইটা বুঝতেছি কিন্তু ওরা মনে হয় ঐ পথে নেয়ার জন্য ইয়ে করছে

শেখ হাসিনা: দরকার নাই ওটা দরকার নাই আমি সেনাপ্রধানের সাথে কথা বলছি ওরা রেডি থাকবে ঠিক আছে, এখনতো আমরা অন্য ইয়ে করতেছি। ড্রোন দিয়ে ছবি নিচ্ছি আর হেলিকপ্টারে ইয়ে হচ্ছে মানে কয়েক জায়গায়

তাপস: তাহলে ঐ কিছু ছবি দেখে পাকড়াও করা যায় না রাতের মধ্যে

শেখ হাসিনা: সবগুলিকে এরেস্ট করতে বলেছি রাত্রে

তাপস: হ্যাঁ, পাকড়াও করলে ওদেরকে

শেখ হাসিনা: না ওটা বলা হয়ে গেছে, ওটা নিয়ে র‌্যাব ডিজিএফআই এনএসআই সবাইকে বলা হইছে যে যেখান থেকে যে কয়টা পারবা ধইরা ফেলো

তাপস: জ্বি

শেখ হাসিনা: ওটা বলা আছে, আর যেখানে গেদারিং দেখবে সেখানে ঐ উপর থেকে, এখন উপর থেকে করাচ্ছি, অলরেডি শুরু হইছে কয়েকটা জায়গায়

তাপস: জ্বি

শেখ হাসিনা: হইয়া গেছে

তাপস: জ্বি জ্বি, মোহাম্মদপুর থানার দিকে মনে হয় ওরা যাচ্ছে এটা আমাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললো

শেখ হাসিনা: মোহাম্মদপুর থানার দিকে

তাপস: হ্যাঁ

শেখ হাসিনা: ওখানে পাঠাইয়া দিক র‌্যাব

তাপস: জ্বি, তাহলে আপনার নির্দেশনা লাগবে

শেখ-হাসিনা: আমার নির্দেশনা দেওয়া আছে ওপেন নির্দেশনা দিয়ে দিছি, এখন লেথাল ওয়েপন ব্যবহার করবে। যেখানে পাবে সোজা গুলি করবে।

তাপস: জ্বি

শেখ হাসিনা: ওটা বলা আছে আমি এতদিন বাধা দিয়ে রাখছিলাম। ঐ যে স্টুডেন্টরা ছিল ওদের স্ট্যাডির কথা চিন্তা করে, তারপর তো ---ঐ

তাপস: না রাতে স্টুডেন্ট না রাতে হলো ওরা সন্ত্রাসী

শেখ হাসিনা: কি করছে তোমার, ঐ যে আমাদের রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুলের একটা বাচ্চা ছেলে, তার শিক্ষক তাকে ডাইকা নিয়ে আসছে, শিক্ষক নাকি আবার শিবির করতো, ওরা জানে না। তারপর সেই ছেলেটা মারা গেছে, তার মাত্র বুকে একটা গুলি অথচ পুলিশ কিন্তু কোন রিভলবার ব্যবহার করেনি

‘আর যেন কেউ হাসিনা হয়ে ওঠার সাহস না পায়’‘আর যেন কেউ হাসিনা হয়ে ওঠার সাহস না পায়’

তাপস: হ...জ্বি

শেখ হাসিনা: এইরকম ঘটনা তারা ঘটাইছে

তাপস: জ্বি আপনি সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ইয়ে করেন

শেখ হাসিনা: সব জায়গায় আগুন.. বিআরটি বিটিআরসি বন্ধ করে দিছে, পোড়াইয়া দিছে, বিটিভি পোড়াইয়া দিছে এখনতো ইন্টারনেট বন্ধ সব পোড়াইয়া দিছে, এখন চলবে কিভাবে

তাপস: জ্বি, এটা ভালো হইছে, জ্বি

শেখ হাসিনা: না পোড়াইয়া দিছে, মেশিনপত্র সব পুড়ে গেছে, আমি বলছি যা যা পোড়াতে.., ও আমাদের সেতু ভবন পোড়াইছে

তাপস: জ্বি, ওরা রাতে মনে হয় আরো ব্যাপক আক্রমন করবে

শেখ হাসিনা: হ্যাঁ, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা সেটা পোড়াইছে

তাপস:জি, কারন এই যে আমি ফিরলাম, আমি দেখলাম যে রাস্তায় রাস্তায় ওরা বিভিন্ন জায়গায় ইয়ে করতেছে

হাসিনার যে শাস্তি চান মামলার সাক্ষী দুই চিকিৎসকহাসিনার যে শাস্তি চান মামলার সাক্ষী দুই চিকিৎসক

শেখ হাসিনা: কোন কোন জায়গায়?

তাপস: বনানীতে ও বনানী গুলশানে তো সচারাচার করে না, কিন্তু বনানী গুলশানে ওরা ইয়েতে চলে আসছে- --কোথাও কোথাও ইয়ে করতে পারে মুভমেন্ট আছে সবজায়গায়

শেখ হাসিনা: ঠিক আছে আমি দেখছি

তাপস: জ্বি

শেখ হাসিনা: তোমরা সাবধানে থেকো

তাপস: জ্বি আমি সাবধানে আছি

শে হাসিনা: আচ্ছা

তাপস: ধরপাকড় করতে হবে সব ধরে ফেলতে হবে রাতের মধ্যে

শেখ হাসিনা: না না ওটা বলে দেওয়া আছে অলরেডি, আর একটু আর একটু রাইত গাঢ় হলেই শুরু হবে

তাপস: ফ্রি--জ্বি

শেখ হাসিনা: অন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি

তাপস: জ্বি--জ্বি

শেখ হাসিনা: জ্বি আচ্ছা

তাপস: সালামালাইকুম

মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

এক পর্যায়ে এই মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে (অ্যাপ্রোভার) রাজসাক্ষী হতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আবেদন মঞ্জুর করেন ট্র্যাইব্যুনাল। পরবর্তীতে এই মামলার রাজসাক্ষী হয়ে সাক্ষ্য দেন পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এই মামলাটি ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

শেখ হাসিনাআমার দেশট্রাইব্যুনাল
সর্বশেষ
১

রাষ্ট্রীয় গুম-খুনের বিরুদ্ধে এই রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে: খেলাফত মজলিস

২

শেখ হাসিনার প্রকাশ্য ফাঁসির ব্যবস্থা করতে হবে: রাশেদ প্রধান

৩

মামলাবাজ রশিদের ১৮তম মামলা: আসামি এবার আমার দেশ’র দুই সাংবাদিক

৪

সাত কলেজের স্বাতন্ত্র্য ও ঐতিহ্য বজায় রাখার দাবি

৫

নির্বাচনের আগেই হাসিনার ফাঁসি চান সারজিস

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত

কারো মৃত্যুদণ্ডে আমরা আনন্দিত নই: চিফ প্রসিকিউটর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায়ে প্রসিকিউশনের ব্যক্তিগত খুশি বা অখুশির কোনো ব্যাপার নেই। কারো মৃত্যুদণ্ডে আমরা আনন্দিত নই।

১ ঘণ্টা আগে

হাসিনার রায়টি প্রতিশোধ নয়, ন্যায়বিচারের প্রতিজ্ঞা: চিফ প্রসিকিউটর

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে দেওয়া রায় প্রতিশোধ নয়, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য জাতির প্রতিজ্ঞা পূরণ বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।

২ ঘণ্টা আগে

যেদিন গ্রেপ্তার সেদিন থেকে সাজা কার্যকর: অ্যাটর্নি জেনারেল

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যে সাজা দিয়েছে সেটি আসামিরা যেদিন গ্রেপ্তোর হবে সেদিন থেকে কার্যকর হবে। আদালতে রায় ঘোষণার পর প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেছেন, মামলায় দুজন আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।

৩ ঘণ্টা আগে

গণহত্যায় হাসিনা-কামালের মৃত্যুদণ্ড

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন রাজসাক্ষী হওয়ায় লঘুদণ্ড হিসেবে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপর

৩ ঘণ্টা আগে
কারো মৃত্যুদণ্ডে আমরা আনন্দিত নই: চিফ প্রসিকিউটর

কারো মৃত্যুদণ্ডে আমরা আনন্দিত নই: চিফ প্রসিকিউটর

হাসিনার রায়টি প্রতিশোধ নয়, ন্যায়বিচারের প্রতিজ্ঞা: চিফ প্রসিকিউটর

হাসিনার রায়টি প্রতিশোধ নয়, ন্যায়বিচারের প্রতিজ্ঞা: চিফ প্রসিকিউটর

যেদিন গ্রেপ্তার সেদিন থেকে সাজা কার্যকর: অ্যাটর্নি জেনারেল

যেদিন গ্রেপ্তার সেদিন থেকে সাজা কার্যকর: অ্যাটর্নি জেনারেল

গণহত্যায় হাসিনা-কামালের মৃত্যুদণ্ড

গণহত্যায় হাসিনা-কামালের মৃত্যুদণ্ড