আমার দেশ অনলাইন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ৩৮তম নির্বাচন হতে যাচ্ছে এবার। ১৯৯০ সালের পর দ্বিতীয় নির্বাচন এটি। এবারের ডাকসু নির্বাচন খবরেও অনেকটা বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। এ নিয়ে এখন পুরো দেশে চলছে আলোচনা। রাজনৈতিক দলগুলোরও উৎসাহ অনেক। যেন আরেকটি জাতীয় নির্বাচন। কিন্তু কেন?
এই ছাত্র সংসদের ভোটার প্রায় ৪০ হাজার। ভোটারদের সরাসরি ভোটে ২৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় সংসদের পাশাপাশি হল সংসদও নির্বাচিত হতে যাচ্ছে। মঙ্গলবারের (৯ সেপ্টেম্বর) এ ভোটে ২৩৪ জন (প্রতিটিতে ১৩ জন) নেতা পাচ্ছে ১৮টি হল। ২৮টি পদে প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন। তাদের মধ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং বিভিন্ন বাম দলের অঙ্গ সংগঠনের প্রার্থী রয়েছেন। এছাড়া ‘নির্দলীয়’ অনেকেই আছেন, যারা ইতোমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) গঠনতন্ত্রের ‘কার্যাবলি’ ধারায় ৯টি কাজকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সেগুলো হলো— ১. ছাত্র সংসদ সবসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার সংরক্ষণ এবং সুরক্ষার প্রচেষ্টা চালাবে; ২. সংসদ সদস্যদের ব্যবহারের জন্য কমনরুম তত্ত্বাবধান করবে এবং ইনডোর গেমস, দৈনিক পত্রিকা ও সাময়িকী সরবরাহ করবে; ৩. বছরে অন্তত একটি জার্নাল প্রকাশ করবে এবং নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত ও সভাপতির অনুমোদন সাপেক্ষে অন্যান্য বুলেটিন, ম্যাগাজিন বা পত্রিকা প্রকাশ করবে; ৪. সময়ে সময়ে বিতর্ক ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সাধারণের আগ্রহের বিষয়গুলোকে নিয়ে লেকচার আয়োজন করবে এবং যথাসম্ভব মিলনমেলার আয়োজন করবে; ৫. বছরে অন্তত একবার সদস্যদের মধ্যে বক্তৃতা, বিতর্ক, আবৃত্তি, প্রবন্ধ ও ইনডোর গেমসের প্রতিযোগিতা আয়োজন করবে। প্রতিযোগিতাগুলো অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্যও উন্মুক্ত হতে পারে; ৬. সম্ভব হলে, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক ও শিক্ষা সম্মেলনগুলোতে প্রতিনিধি প্রেরণ করবে; ৭. বিতর্ক প্রতিযোগিতা, সম্মেলন এবং এ ধরনের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি পাঠাতে কিংবা আমন্ত্রণ জানাতে পারবে; ৮. সামাজিক সেবা কার্যক্রম উৎসাহিত এবং সমাজকল্যাণ বক্তৃতা, সভা ও প্রদর্শনীর আয়োজন এবং সম্ভব হলে বিদ্যালয়গুলোতে এগুলো পরিচালনা করা; ৯. সভাপতির অনুমোদন সাপেক্ষে নির্বাহী কমিটি সময়ে সময়ে এ ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারবে।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ডাকসুর ‘লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য’: ১. স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা এবং লালন করা; ২. বৈষম্য ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জুলাই ২০২৪ অভ্যুত্থান এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্য সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেতনা প্রতিষ্ঠা; ৩. শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক ও সহ-শিক্ষা কার্যক্রমের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানো; ৪. বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিভিত্তিক সহযোগিতা লালন করা; ৫. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সত্যিকারের নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলা এবং তাদের মধ্যে নেতৃত্ব তৈরি করা; ৬. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিধিবদ্ধ ও অ্যাফিলিয়েটেড কলেজ বা ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ ও বিদেশের একই রকমের বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিভিত্তিক সহযোগিতা লালন করা।
১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুসারে, প্রতি বছর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। ডাকসু মনোনীত ৫ শিক্ষার্থী প্রতিনিধি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিনেটের সদস্য হন। তবে এখন পর্যন্ত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে ৩৭ বার। এর মধ্যে ২৯ বারই হয়েছে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের ৫০ বছরে। স্বাধীন দেশে ৫৩ বছরে মাত্র ৮ বার ভোট দেখেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ডাকসুর নেতৃত্বে ছিলেন যারা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরপরই শুরু হয়েছিল ছাত্র সংসদ; যদিও শত বছরের ইতিহাসে বেশির ভাগ সময়ই ছিল না এর কার্যক্রম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ কারণেই ডাকসুকে কেউ কেউ দেখেন ‘দ্বিতীয় সংসদ’ হিসেবে।
বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের এক লেখায় উঠে এসেছে, ১৯২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম হল সংসদ গঠিত হয়। প্রত্যেক হল থেকে তিনজন ছাত্র এবং একজন শিক্ষক আর উপাচার্যের মনোনীত একজন শিক্ষক এই নিয়ে হয় সংসদ। শিক্ষকদের মধ্যে একজন সংসদের সভাপতি হতেন। ১৯২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ গঠন করা হয়। প্রথম সহ-সভাপতি (ভিপি) হয়েছিলেন মমতাজ উদ্দিন আহমেদ; আর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হয়েছিলেন যোগেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত। আর ১৯২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ভিপি ছিলেন মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, জিএস ছিলেন এ কে মুখার্জি ও এ বি রুদ্র (ভারপ্রাপ্ত)।
১৯২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষে হল সংসদ ছিল নেতৃত্বহীন। পরে ১৯২৮-২৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন এ এম আজহারুল ইসলাম ভূইয়া এবং জিএস হন এস চক্রবর্তী। ১৯২৯-১৯৩০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি ছিলেন রমনীকান্ত ভট্টাচার্য, জিএস ছিলেন কাজী মহব্বত আলী এবং আতা. রহ. খান। ১৯৩০ থেকে ১৯৩২ শিক্ষাবর্ষেও নেতৃত্বহীন ছিল হল সংসদ। ১৯৩২-১৯৪৪ শিক্ষাবর্ষে ভিপি কেউ ছিলেন না। তবে ১৯৩৩-১৯৩৪ শিক্ষাবর্ষে জিএস ছিলেন ভবেশ চক্রবর্তী। ১৯৩৪ থেকে ১৯৩৬ শিক্ষাবর্ষেও কেউ ছিলেন না। ১৯৩৭-১৯৩৮ শিক্ষাবর্ষে জিএস ছিলেন আ. আওয়াল খান।
১৯৩৯-১৯৪১ শিক্ষাবর্ষেও কেউ নেতৃত্বে ছিলেন না। ১৯৪১-১৯৪২ শিক্ষাবর্ষে জিএস ছিলেন আ. রহিম। ১৯৪৪-৪৫ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নতুন গঠনতন্ত্র অনুমোদন করেন। এই গঠনতন্ত্রের অধীনে ১৯৪৫-৪৬ সালে উপাচার্য পদাধিকারবলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সভাপতি হন। ছাত্রদের মধ্যে থেকে সহ-সভাপতি (ভিপি) হন আহমেদুল কবির এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হন সুধীর দত্ত। পরের বছরও এই সংসদ থেকে যায়, তবে আহমেদুল কবির পদত্যাগ করায় সহ-সভাপতির দায়িত্ব পান ফরিদ আহমদ।
১৯৪৭-৪৮ সালে ভিপি হন জগন্নাথ হলের অরবিন্দ বসু এবং জিএস হন গোলাম আযম। এই সংসদও পরের বছরে থেকে যায় এবং এক সময়ে গোলাম আযমের বদলে ভারপ্রাপ্ত জিএস হন এ জেড খান। ১৯৫০ সালে এই কার্যকালের মেয়াদ শেষ হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ গঠনের আর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
১৯৫৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নতুন গঠনতন্ত্র অনুমোদন করে; নামকরণ করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বা Dhaka University Central Students' Union (DUCSU)। নামের আদ্যক্ষর দিয়ে শিক্ষার্থীদের মুখে ফেরে ডাকসু। ১৯৫৪ সালের জানুয়ারি মাসে নির্বাচন হয়। ওই বছর সলিমুল্লাহ মুসলিম হল থেকে কেন্দ্রীয় সংসদে নির্বাচিত হন এস এ বারী এ টি (পরে বাংলাদেশের উপ-প্রধানমন্ত্রী), জিএস হন জুলমত আলী খান, ফরিদ আহমেদ (ভারপ্রাপ্ত)।
১৯৫৪-৫৫ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন নিরোদ বিহারী নাগ, জিএস হন আব্দুর রব চৌধুরী। পরের বছরও ভিপি হন নিরোদ বিহারী নাগ, জিএস হন আব্দুর রব চৌধুরী। ১৯৫৬-১৯৫৭ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন একরামুল হক, জিএস হন শাহ আলী হোসেন। ১৯৫৭-১৯৫৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন বদরুল আলম, জিএস হন মো. ফজলী হোসেন। ১৯৫৮-১৯৫৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আবুল হোসেন, জিএস হন এটিএম মেহেদী।
১৯৫৯-১৯৬০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আমিনুল ইসলাম তুলা, জিএস হন আশরাফ উদ্দিন মকবুল। ১৯৬০-১৯৬১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন জাহানারা আখতার, জিএস হন অমূল্য কর। এর মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ প্রথম কোনো নারী ভিপি পায়। ১৯৬১-১৯৬২ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন এস এম রফিকুল হক, জিএস হন এনায়েতুর রহমান। ১৯৬২-১৯৬৩ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন শ্যামাপ্রসাদ ঘোষ, জিএস হন কে এম ওবায়েদুর রহমান।
১৯৬৩-১৯৬৪ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন রাশেদ খান মেনন, জিএস হন মতিয়া চৌধুরী। এর মধ্য দিয়ে প্রথম নারী জিএস পায় ডাকসু। ১৯৬৪-১৯৬৫ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন বোরহান উদ্দীন, জিএস হন আসাফুদ্দৌলা।
পরের বছর নেতৃত্বহীন ছিল ডাকসু। ১৯৬৬-১৯৬৭ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন ফেরদৌস আহমদ কোরেশী, জিএস হন শফি আহমেদ। ১৯৬৭-১৯৬৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন মাহফুজা খানম, জিএস মোরশেদ আলী। ডাকসুর ইতিহাসে দুজন নারী ভিপি ছিলেন। বেগম জাহানারা আখতারের পর মাহফুজা খান ছিলেন দ্বিতীয় নারী ভিপি। ১৯৬৮-১৯৬৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন তোফায়েল আহমেদ, জিএস হন নাজিম কামরান চৌধুরী। পরের বছরও নেতৃত্বহীন ছিল ডাকসু।
১৯৯৬ সালে অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী উপাচার্য হওয়ার পর একাধিকবার ডাকসু নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করেছিলেন, কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। ১৯৯৮ সালেও নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সেটিও বাস্তবায়িত হয়নি। বিভিন্ন সময় ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনেও নেমেছেন।
২০০৫ সালে ডাকসু নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করা হলেও সেবার নির্বাচন করা হয়নি। ২০১২ সাল থেকে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন জোড়ালো হয়। এরপর নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হয় ডাকসু নির্বাচন। সবশেষ ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন নুরুল হক এবং জিএস হন গোলাম রাব্বানী। ১৯৭১ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ১৯ বার নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ৭ বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডাকসু নির্বাচন । এই নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার শেষ দিন আজ রোববার। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী, এদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শেষ দিনের প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। এর আগে গত ২৫ আগস্ট এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্রী হলগুলোতে সংশ্লিষ্ট হলের অনাবাসিক এবং অন্যান্য ছাত্রী হলের আবাসিক ও অনাবাসিক প্রার্থীরা ২৬ আগস্ট ২০২৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে পারবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ৩৮তম নির্বাচন হতে যাচ্ছে এবার। ১৯৯০ সালের পর দ্বিতীয় নির্বাচন এটি। এবারের ডাকসু নির্বাচন খবরেও অনেকটা বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। এ নিয়ে এখন পুরো দেশে চলছে আলোচনা। রাজনৈতিক দলগুলোরও উৎসাহ অনেক। যেন আরেকটি জাতীয় নির্বাচন। কিন্তু কেন?
এই ছাত্র সংসদের ভোটার প্রায় ৪০ হাজার। ভোটারদের সরাসরি ভোটে ২৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় সংসদের পাশাপাশি হল সংসদও নির্বাচিত হতে যাচ্ছে। মঙ্গলবারের (৯ সেপ্টেম্বর) এ ভোটে ২৩৪ জন (প্রতিটিতে ১৩ জন) নেতা পাচ্ছে ১৮টি হল। ২৮টি পদে প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন। তাদের মধ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং বিভিন্ন বাম দলের অঙ্গ সংগঠনের প্রার্থী রয়েছেন। এছাড়া ‘নির্দলীয়’ অনেকেই আছেন, যারা ইতোমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) গঠনতন্ত্রের ‘কার্যাবলি’ ধারায় ৯টি কাজকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সেগুলো হলো— ১. ছাত্র সংসদ সবসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার সংরক্ষণ এবং সুরক্ষার প্রচেষ্টা চালাবে; ২. সংসদ সদস্যদের ব্যবহারের জন্য কমনরুম তত্ত্বাবধান করবে এবং ইনডোর গেমস, দৈনিক পত্রিকা ও সাময়িকী সরবরাহ করবে; ৩. বছরে অন্তত একটি জার্নাল প্রকাশ করবে এবং নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত ও সভাপতির অনুমোদন সাপেক্ষে অন্যান্য বুলেটিন, ম্যাগাজিন বা পত্রিকা প্রকাশ করবে; ৪. সময়ে সময়ে বিতর্ক ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সাধারণের আগ্রহের বিষয়গুলোকে নিয়ে লেকচার আয়োজন করবে এবং যথাসম্ভব মিলনমেলার আয়োজন করবে; ৫. বছরে অন্তত একবার সদস্যদের মধ্যে বক্তৃতা, বিতর্ক, আবৃত্তি, প্রবন্ধ ও ইনডোর গেমসের প্রতিযোগিতা আয়োজন করবে। প্রতিযোগিতাগুলো অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্যও উন্মুক্ত হতে পারে; ৬. সম্ভব হলে, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক ও শিক্ষা সম্মেলনগুলোতে প্রতিনিধি প্রেরণ করবে; ৭. বিতর্ক প্রতিযোগিতা, সম্মেলন এবং এ ধরনের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি পাঠাতে কিংবা আমন্ত্রণ জানাতে পারবে; ৮. সামাজিক সেবা কার্যক্রম উৎসাহিত এবং সমাজকল্যাণ বক্তৃতা, সভা ও প্রদর্শনীর আয়োজন এবং সম্ভব হলে বিদ্যালয়গুলোতে এগুলো পরিচালনা করা; ৯. সভাপতির অনুমোদন সাপেক্ষে নির্বাহী কমিটি সময়ে সময়ে এ ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারবে।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ডাকসুর ‘লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য’: ১. স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা এবং লালন করা; ২. বৈষম্য ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জুলাই ২০২৪ অভ্যুত্থান এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্য সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেতনা প্রতিষ্ঠা; ৩. শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক ও সহ-শিক্ষা কার্যক্রমের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানো; ৪. বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিভিত্তিক সহযোগিতা লালন করা; ৫. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সত্যিকারের নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলা এবং তাদের মধ্যে নেতৃত্ব তৈরি করা; ৬. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিধিবদ্ধ ও অ্যাফিলিয়েটেড কলেজ বা ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ ও বিদেশের একই রকমের বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিভিত্তিক সহযোগিতা লালন করা।
১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুসারে, প্রতি বছর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। ডাকসু মনোনীত ৫ শিক্ষার্থী প্রতিনিধি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিনেটের সদস্য হন। তবে এখন পর্যন্ত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে ৩৭ বার। এর মধ্যে ২৯ বারই হয়েছে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের ৫০ বছরে। স্বাধীন দেশে ৫৩ বছরে মাত্র ৮ বার ভোট দেখেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ডাকসুর নেতৃত্বে ছিলেন যারা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরপরই শুরু হয়েছিল ছাত্র সংসদ; যদিও শত বছরের ইতিহাসে বেশির ভাগ সময়ই ছিল না এর কার্যক্রম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ কারণেই ডাকসুকে কেউ কেউ দেখেন ‘দ্বিতীয় সংসদ’ হিসেবে।
বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের এক লেখায় উঠে এসেছে, ১৯২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম হল সংসদ গঠিত হয়। প্রত্যেক হল থেকে তিনজন ছাত্র এবং একজন শিক্ষক আর উপাচার্যের মনোনীত একজন শিক্ষক এই নিয়ে হয় সংসদ। শিক্ষকদের মধ্যে একজন সংসদের সভাপতি হতেন। ১৯২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ গঠন করা হয়। প্রথম সহ-সভাপতি (ভিপি) হয়েছিলেন মমতাজ উদ্দিন আহমেদ; আর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হয়েছিলেন যোগেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত। আর ১৯২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ভিপি ছিলেন মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, জিএস ছিলেন এ কে মুখার্জি ও এ বি রুদ্র (ভারপ্রাপ্ত)।
১৯২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষে হল সংসদ ছিল নেতৃত্বহীন। পরে ১৯২৮-২৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন এ এম আজহারুল ইসলাম ভূইয়া এবং জিএস হন এস চক্রবর্তী। ১৯২৯-১৯৩০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি ছিলেন রমনীকান্ত ভট্টাচার্য, জিএস ছিলেন কাজী মহব্বত আলী এবং আতা. রহ. খান। ১৯৩০ থেকে ১৯৩২ শিক্ষাবর্ষেও নেতৃত্বহীন ছিল হল সংসদ। ১৯৩২-১৯৪৪ শিক্ষাবর্ষে ভিপি কেউ ছিলেন না। তবে ১৯৩৩-১৯৩৪ শিক্ষাবর্ষে জিএস ছিলেন ভবেশ চক্রবর্তী। ১৯৩৪ থেকে ১৯৩৬ শিক্ষাবর্ষেও কেউ ছিলেন না। ১৯৩৭-১৯৩৮ শিক্ষাবর্ষে জিএস ছিলেন আ. আওয়াল খান।
১৯৩৯-১৯৪১ শিক্ষাবর্ষেও কেউ নেতৃত্বে ছিলেন না। ১৯৪১-১৯৪২ শিক্ষাবর্ষে জিএস ছিলেন আ. রহিম। ১৯৪৪-৪৫ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নতুন গঠনতন্ত্র অনুমোদন করেন। এই গঠনতন্ত্রের অধীনে ১৯৪৫-৪৬ সালে উপাচার্য পদাধিকারবলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সভাপতি হন। ছাত্রদের মধ্যে থেকে সহ-সভাপতি (ভিপি) হন আহমেদুল কবির এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হন সুধীর দত্ত। পরের বছরও এই সংসদ থেকে যায়, তবে আহমেদুল কবির পদত্যাগ করায় সহ-সভাপতির দায়িত্ব পান ফরিদ আহমদ।
১৯৪৭-৪৮ সালে ভিপি হন জগন্নাথ হলের অরবিন্দ বসু এবং জিএস হন গোলাম আযম। এই সংসদও পরের বছরে থেকে যায় এবং এক সময়ে গোলাম আযমের বদলে ভারপ্রাপ্ত জিএস হন এ জেড খান। ১৯৫০ সালে এই কার্যকালের মেয়াদ শেষ হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ গঠনের আর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
১৯৫৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নতুন গঠনতন্ত্র অনুমোদন করে; নামকরণ করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বা Dhaka University Central Students' Union (DUCSU)। নামের আদ্যক্ষর দিয়ে শিক্ষার্থীদের মুখে ফেরে ডাকসু। ১৯৫৪ সালের জানুয়ারি মাসে নির্বাচন হয়। ওই বছর সলিমুল্লাহ মুসলিম হল থেকে কেন্দ্রীয় সংসদে নির্বাচিত হন এস এ বারী এ টি (পরে বাংলাদেশের উপ-প্রধানমন্ত্রী), জিএস হন জুলমত আলী খান, ফরিদ আহমেদ (ভারপ্রাপ্ত)।
১৯৫৪-৫৫ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন নিরোদ বিহারী নাগ, জিএস হন আব্দুর রব চৌধুরী। পরের বছরও ভিপি হন নিরোদ বিহারী নাগ, জিএস হন আব্দুর রব চৌধুরী। ১৯৫৬-১৯৫৭ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন একরামুল হক, জিএস হন শাহ আলী হোসেন। ১৯৫৭-১৯৫৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন বদরুল আলম, জিএস হন মো. ফজলী হোসেন। ১৯৫৮-১৯৫৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আবুল হোসেন, জিএস হন এটিএম মেহেদী।
১৯৫৯-১৯৬০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আমিনুল ইসলাম তুলা, জিএস হন আশরাফ উদ্দিন মকবুল। ১৯৬০-১৯৬১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন জাহানারা আখতার, জিএস হন অমূল্য কর। এর মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ প্রথম কোনো নারী ভিপি পায়। ১৯৬১-১৯৬২ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন এস এম রফিকুল হক, জিএস হন এনায়েতুর রহমান। ১৯৬২-১৯৬৩ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন শ্যামাপ্রসাদ ঘোষ, জিএস হন কে এম ওবায়েদুর রহমান।
১৯৬৩-১৯৬৪ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন রাশেদ খান মেনন, জিএস হন মতিয়া চৌধুরী। এর মধ্য দিয়ে প্রথম নারী জিএস পায় ডাকসু। ১৯৬৪-১৯৬৫ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন বোরহান উদ্দীন, জিএস হন আসাফুদ্দৌলা।
পরের বছর নেতৃত্বহীন ছিল ডাকসু। ১৯৬৬-১৯৬৭ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন ফেরদৌস আহমদ কোরেশী, জিএস হন শফি আহমেদ। ১৯৬৭-১৯৬৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন মাহফুজা খানম, জিএস মোরশেদ আলী। ডাকসুর ইতিহাসে দুজন নারী ভিপি ছিলেন। বেগম জাহানারা আখতারের পর মাহফুজা খান ছিলেন দ্বিতীয় নারী ভিপি। ১৯৬৮-১৯৬৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন তোফায়েল আহমেদ, জিএস হন নাজিম কামরান চৌধুরী। পরের বছরও নেতৃত্বহীন ছিল ডাকসু।
১৯৯৬ সালে অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী উপাচার্য হওয়ার পর একাধিকবার ডাকসু নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করেছিলেন, কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। ১৯৯৮ সালেও নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সেটিও বাস্তবায়িত হয়নি। বিভিন্ন সময় ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনেও নেমেছেন।
২০০৫ সালে ডাকসু নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করা হলেও সেবার নির্বাচন করা হয়নি। ২০১২ সাল থেকে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন জোড়ালো হয়। এরপর নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হয় ডাকসু নির্বাচন। সবশেষ ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন নুরুল হক এবং জিএস হন গোলাম রাব্বানী। ১৯৭১ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ১৯ বার নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ৭ বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডাকসু নির্বাচন । এই নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার শেষ দিন আজ রোববার। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী, এদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শেষ দিনের প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। এর আগে গত ২৫ আগস্ট এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্রী হলগুলোতে সংশ্লিষ্ট হলের অনাবাসিক এবং অন্যান্য ছাত্রী হলের আবাসিক ও অনাবাসিক প্রার্থীরা ২৬ আগস্ট ২০২৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে পারবেন।
আন্দোলনরত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের দাবিগুলো দ্রুত পূরণের পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সিআর আবরার। এ বিষয়ে চারটি পদক্ষেপ নেয়ার লিখিত আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা শপথগ্রহণ করছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে এ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগেবৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধনসহ তিন দফা দাবি আদায় না হওয়ায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিভাগের সভাপতির পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
১ দিন আগেখুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে